তানিম আহমেদ, ঢাকা

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে। প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে এটিকে অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার তথ্য বিভিন্ন রকম। তাদের মধ্যে তথ্যের ব্যবধান রয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) জুলাই মাসের প্রতিবেদনে ৪২৭টি দুর্ঘটনায় ৩৮০ নিহত এবং ৫৪২ জন আহত হওয়ার সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির একই মাসের প্রতিবেদনে ৫০৬টি দুর্ঘটনায় ৫২০ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩৫৬ জন আহত বলা হয়েছে। জুন মাসে বিআরটিএর হিসাবে ৫৫৭ দুর্ঘটনায় ৫৬৬ জন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে ৬৭১ দুর্ঘটনায় ৭১১ জন এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে ৬৮৯ দুর্ঘটনায় ৬৯৬ জন নিহত হয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসেও সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের হিসাবে লক্ষণীয় পার্থক্য দেখা গেছে।
২০২৪ সালের হিসাবে তিন উৎসের তথ্যে পার্থক্য দেখা যায়। বিআরটিএর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২৪ সালে সারা দেশে প্রাণহানি হয়েছে ৫ হাজার ৩৮০ জনের।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে সংখ্যাটি ৭ হাজার ২৯৪ এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে ৮ হাজার ৫৪৩।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদনগুলো তৈরি হয় দ্বিতীয় স্তরের (সেকেন্ডারি সোর্স) তথা গণমাধ্যম কিংবা পুলিশের তথ্য নিয়ে। এসব প্রতিবেদনে শুধু ঘটনা ঘটার দিনের তথ্য থাকে; হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর উল্লেখ থাকে না। এ কারণে দুর্ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না।
দেশে কয়েক বছর ধরে সরকারের বিআরটিএ, বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মাস শেষে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। সরকারি সংস্থাটি পুলিশের তথ্য নিয়ে এবং বেসরকারি সংগঠনগুলো গণমাধ্যমের তথ্য ঘেঁটে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। এই তিন সূত্রের দেওয়া গত চার মাসের সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্যের তুলনা করলে ‘তথ্য-বিভ্রাট’ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর কারণ হিসেবে তথ্য প্রাপ্তির নানা সীমাবদ্ধতার কথা বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের কথায়, গণমাধ্যমগুলোয় মূলত বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের খবর আসে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা কিংবা কম হতাহতের খবর অনেক সময় প্রচারমাধ্যমে আসে না।
বিআরটিএ পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে। আর রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদন তৈরি করে ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের তথ্যে গরমিলের কারণে কয়েক বছর আগে থেকে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। এর জেরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মাসিক প্রতিবেদন দেওয়া শুরু করে বিআরটিএ। তাদের হিসাবে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘দ্বিতীয় স্তরের তথ্য ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরি করায় আমাদের তথ্যে গরমিল দেখা যায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা যে পদ্ধতি ব্যবহার করছি, সেটা সঠিক নয়। দ্বিতীয় স্তরের তথ্য ব্যবহার না করে মূল সোর্সের মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারলে গরমিল হবে না।’
সড়ক দুর্ঘটনার হিসাবে গরমিলের জন্য ‘অবহেলা’ ও ‘চালাকি’ দায়ী বলে মনে করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এখানে সরকারি সংস্থাগুলোর অবহেলা এবং অন্য সংগঠনগুলোর চালাকি আছে। অনেকে তথ্য ঘষামাজা করেন। সরকারি সংস্থাগুলো আন্তরিক হলে প্রতিবেদনে গরমিল হবে না। আমরা দ্বিতীয় স্তরের তথ্য দিয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিবেদন তৈরির চেষ্টা করি। গরমিল দূর করতে হলে সরকারকে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।’
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের নির্ভরযোগ্য সংখ্যা না পাওয়ায় বেসরকারি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণমাধ্যমের খবরের ওপর নির্ভর করতে হয়। সব ঘটনার খবর পূর্ণাঙ্গভাবে সব প্রচারমাধ্যমে আসে না; বিশেষ করে হতাহতের সংখ্যা কম হলে বা মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলে। কিছুটা এ কারণেও একেক সংগঠনের দেওয়া তথ্য একেক রকম হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় একটি ডেটাবেস বা তথ্যভান্ডার তৈরি করা অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুর্ঘটনার প্রতিকারের জন্য এর কারণ জানতে হবে। এ জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা দরকার। মূলত পুলিশের তা করার সুযোগ ও সামর্থ্য রয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান, কারণ ও প্রতিকার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে ১৯৯৮ সালে জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে পুলিশ কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়, পুলিশ দুই পাতার একটি ফরমে দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত ৬৭টি বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবে। কিন্তু বর্তমানে সেটি তেমনভাবে অনুসরণ করা হয় না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক ড. এম শামসুল হক বলেন, পুলিশের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। দুর্ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। বিআরটিএর কোনো এখতিয়ার নেই এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার। কারণ, তারা নিজের কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। বিআরটিএ স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজটি নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকারকে খুশি করার জন্য। তারা সরকারকে কম তথ্য-উপাত্ত দেখিয়ে বাইরের যারা এ নিয়ে কাজ করে, তাদের হেয় করেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বছর শেষে কিংবা প্রতি তিন মাস অন্তর দুর্ঘটনার তুলনামূলক চিত্রের প্রতিবেদন তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশপ্রধান (অতিরিক্ত আইজি) মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। আমাদের সেই উইং থাকলেও তা ততটা কার্যকর নয়। আমি চেষ্টা করছি।’
দুর্ঘটনার সঠিক পরিসংখ্যান না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ আলাদা প্রতিবেদন তৈরি করে। সবগুলো মিলিয়ে নিলে সঠিক সংখ্যা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিআরটিএ নিজস্ব সোর্স ছাড়া প্রতিবেদন তৈরি করায় পরিসংখ্যানে গরমিল হয়।

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে। প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে এটিকে অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার তথ্য বিভিন্ন রকম। তাদের মধ্যে তথ্যের ব্যবধান রয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) জুলাই মাসের প্রতিবেদনে ৪২৭টি দুর্ঘটনায় ৩৮০ নিহত এবং ৫৪২ জন আহত হওয়ার সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির একই মাসের প্রতিবেদনে ৫০৬টি দুর্ঘটনায় ৫২০ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩৫৬ জন আহত বলা হয়েছে। জুন মাসে বিআরটিএর হিসাবে ৫৫৭ দুর্ঘটনায় ৫৬৬ জন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে ৬৭১ দুর্ঘটনায় ৭১১ জন এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে ৬৮৯ দুর্ঘটনায় ৬৯৬ জন নিহত হয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসেও সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের হিসাবে লক্ষণীয় পার্থক্য দেখা গেছে।
২০২৪ সালের হিসাবে তিন উৎসের তথ্যে পার্থক্য দেখা যায়। বিআরটিএর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২৪ সালে সারা দেশে প্রাণহানি হয়েছে ৫ হাজার ৩৮০ জনের।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে সংখ্যাটি ৭ হাজার ২৯৪ এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে ৮ হাজার ৫৪৩।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদনগুলো তৈরি হয় দ্বিতীয় স্তরের (সেকেন্ডারি সোর্স) তথা গণমাধ্যম কিংবা পুলিশের তথ্য নিয়ে। এসব প্রতিবেদনে শুধু ঘটনা ঘটার দিনের তথ্য থাকে; হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর উল্লেখ থাকে না। এ কারণে দুর্ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না।
দেশে কয়েক বছর ধরে সরকারের বিআরটিএ, বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মাস শেষে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। সরকারি সংস্থাটি পুলিশের তথ্য নিয়ে এবং বেসরকারি সংগঠনগুলো গণমাধ্যমের তথ্য ঘেঁটে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। এই তিন সূত্রের দেওয়া গত চার মাসের সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্যের তুলনা করলে ‘তথ্য-বিভ্রাট’ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর কারণ হিসেবে তথ্য প্রাপ্তির নানা সীমাবদ্ধতার কথা বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের কথায়, গণমাধ্যমগুলোয় মূলত বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের খবর আসে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা কিংবা কম হতাহতের খবর অনেক সময় প্রচারমাধ্যমে আসে না।
বিআরটিএ পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে। আর রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদন তৈরি করে ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের তথ্যে গরমিলের কারণে কয়েক বছর আগে থেকে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। এর জেরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মাসিক প্রতিবেদন দেওয়া শুরু করে বিআরটিএ। তাদের হিসাবে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘দ্বিতীয় স্তরের তথ্য ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরি করায় আমাদের তথ্যে গরমিল দেখা যায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা যে পদ্ধতি ব্যবহার করছি, সেটা সঠিক নয়। দ্বিতীয় স্তরের তথ্য ব্যবহার না করে মূল সোর্সের মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারলে গরমিল হবে না।’
সড়ক দুর্ঘটনার হিসাবে গরমিলের জন্য ‘অবহেলা’ ও ‘চালাকি’ দায়ী বলে মনে করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এখানে সরকারি সংস্থাগুলোর অবহেলা এবং অন্য সংগঠনগুলোর চালাকি আছে। অনেকে তথ্য ঘষামাজা করেন। সরকারি সংস্থাগুলো আন্তরিক হলে প্রতিবেদনে গরমিল হবে না। আমরা দ্বিতীয় স্তরের তথ্য দিয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিবেদন তৈরির চেষ্টা করি। গরমিল দূর করতে হলে সরকারকে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।’
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের নির্ভরযোগ্য সংখ্যা না পাওয়ায় বেসরকারি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণমাধ্যমের খবরের ওপর নির্ভর করতে হয়। সব ঘটনার খবর পূর্ণাঙ্গভাবে সব প্রচারমাধ্যমে আসে না; বিশেষ করে হতাহতের সংখ্যা কম হলে বা মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলে। কিছুটা এ কারণেও একেক সংগঠনের দেওয়া তথ্য একেক রকম হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় একটি ডেটাবেস বা তথ্যভান্ডার তৈরি করা অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুর্ঘটনার প্রতিকারের জন্য এর কারণ জানতে হবে। এ জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা দরকার। মূলত পুলিশের তা করার সুযোগ ও সামর্থ্য রয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান, কারণ ও প্রতিকার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে ১৯৯৮ সালে জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে পুলিশ কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়, পুলিশ দুই পাতার একটি ফরমে দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত ৬৭টি বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবে। কিন্তু বর্তমানে সেটি তেমনভাবে অনুসরণ করা হয় না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক ড. এম শামসুল হক বলেন, পুলিশের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। দুর্ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। বিআরটিএর কোনো এখতিয়ার নেই এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার। কারণ, তারা নিজের কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। বিআরটিএ স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজটি নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকারকে খুশি করার জন্য। তারা সরকারকে কম তথ্য-উপাত্ত দেখিয়ে বাইরের যারা এ নিয়ে কাজ করে, তাদের হেয় করেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বছর শেষে কিংবা প্রতি তিন মাস অন্তর দুর্ঘটনার তুলনামূলক চিত্রের প্রতিবেদন তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশপ্রধান (অতিরিক্ত আইজি) মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। আমাদের সেই উইং থাকলেও তা ততটা কার্যকর নয়। আমি চেষ্টা করছি।’
দুর্ঘটনার সঠিক পরিসংখ্যান না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ আলাদা প্রতিবেদন তৈরি করে। সবগুলো মিলিয়ে নিলে সঠিক সংখ্যা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিআরটিএ নিজস্ব সোর্স ছাড়া প্রতিবেদন তৈরি করায় পরিসংখ্যানে গরমিল হয়।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২১ মিনিট আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।
পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।
পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে...
২৩ আগস্ট ২০২৫
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।
কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’
কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে...
২৩ আগস্ট ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২১ মিনিট আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।
তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে...
২৩ আগস্ট ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২১ মিনিট আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামা ব্যক্তিদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬-এর ৫৪ ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে...
২৩ আগস্ট ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২১ মিনিট আগে
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।
২ ঘণ্টা আগে