৩১ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার দায় কার, বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় তদন্ত করে দেখবে। মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সৃষ্ট সংকটের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
আজ শনিবার দুপুরে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ সময় তিনি রিক্রুটিং এজেন্সির গাফিলতিকে দায়ী করেন।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকারের অনুমোদিত কোটা অনুযায়ী, কর্মী পাঠাতে আমরা বায়রার সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাঁদের সঙ্গে বারবার বসে আমরা আলোচনা করে কর্মীর তালিকা চেয়েছি। মে মাসের ১৫ তারিখে আমি মিটিং করে তাঁদের বলেছি, ফাইনাল লিস্ট করার জন্য। ভিসা পাওয়ার পর কতজন যাওয়া বাকি, কতজনের ভিসা আসা বাকি, এগুলো আমরা ফাইনাল তালিকা দিতে বলেছি। কিন্তু তাঁরা সেগুলো তৈরি করেনি এবং আমাদের দেয়নি। তাঁরা শেষ সময়ে আমাদের জানায়, কর্মীরা রেডি আছে। কিন্তু ফ্লাইট পাওয়া যাচ্ছে না। আমি তখন বিমানমন্ত্রী, বিমানের এমডি, সিভিল অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এরপর ২২-২৩টি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরে শিডিউল ফ্লাইটতো আছেই।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এত ফ্লাইট দেওয়ার পরও কর্মী যাওয়া শেষ হয়নি। এই ভোগান্তির সৃষ্টি যাদের কারণে হয়েছে, আমরা তদন্ত কমিটি করব। তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাঁদের আইনানুগ শাস্তির আওতায় আনা হবে। যারা টাকা দিয়েছেন, কিন্তু যেতে পারেনি, তাঁরা আমাদের কাছে অভিযোগ জানালে, দায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ভিসা হওয়ার পর কর্মী ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। তবে ছাড়পত্র নেওয়ার পর প্রকৃতপক্ষে কতজন কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেনি, তার সঠিক হিসেব এখনো দেয়নি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
বিএমইটির তথ্য বলছে, গত ২১ মে পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়। সিদ্ধান্ত ছিল ২১ মের পর বিএমইটি আর কোনো ছাড়পত্র দেবে না। তবে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ছাড়পত্র দেয় বিএমইটি। ২১ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ১ হাজার ১১২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) বলছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও টিকিট না পাওয়ায় ৫ হাজারের মতো বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি।
বায়রার সভাপতি মো. আবুল বাশার বলেন, এ সংখ্যা হয়তো ৪-৫ হাজার হতে পারে। প্রকৃত সংখ্যা জানতে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সে হিসেবে আজ শনিবার থেকে আবার অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ হলো এই শ্রমবাজার।
এদিকে গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরেও ছিল বাংলাদেশি কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। শেষ দিনে দেশটিতে ঢুকতে পারার আনন্দ থাকলেও ইমিগ্রেশন পার হতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
রাতে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। সে সময় তিনি বলেন, ‘যারা ভিসা পেয়ে মালয়েশিয়ায় আসতে পারেনি, তাঁদের নিয়ে আসার ব্যাপারে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, যেন তাঁদের দ্রুত নিয়ে আসা যায়।’
তিনি বলেন, ‘৫ লাখ ২৭ হাজারের বেশি ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন করেছি। এ পর্যন্ত চার লাখ ৭২ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে এসেছে। আমরা নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তাঁরা যেন এসে এখানে কাজ পায়।’
উল্লেখ্য, ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও উড়োজাহাজের টিকিট সংকটে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয় প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো উড়োজাহাজে আসনসংখ্যা বাড়িয়ে এবং বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
৩১ হাজার কর্মীর মালয়েশিয়ায় যেতে না পারার দায় কার, বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় তদন্ত করে দেখবে। মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে সৃষ্ট সংকটের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
আজ শনিবার দুপুরে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ সময় তিনি রিক্রুটিং এজেন্সির গাফিলতিকে দায়ী করেন।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকারের অনুমোদিত কোটা অনুযায়ী, কর্মী পাঠাতে আমরা বায়রার সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাঁদের সঙ্গে বারবার বসে আমরা আলোচনা করে কর্মীর তালিকা চেয়েছি। মে মাসের ১৫ তারিখে আমি মিটিং করে তাঁদের বলেছি, ফাইনাল লিস্ট করার জন্য। ভিসা পাওয়ার পর কতজন যাওয়া বাকি, কতজনের ভিসা আসা বাকি, এগুলো আমরা ফাইনাল তালিকা দিতে বলেছি। কিন্তু তাঁরা সেগুলো তৈরি করেনি এবং আমাদের দেয়নি। তাঁরা শেষ সময়ে আমাদের জানায়, কর্মীরা রেডি আছে। কিন্তু ফ্লাইট পাওয়া যাচ্ছে না। আমি তখন বিমানমন্ত্রী, বিমানের এমডি, সিভিল অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এরপর ২২-২৩টি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরে শিডিউল ফ্লাইটতো আছেই।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এত ফ্লাইট দেওয়ার পরও কর্মী যাওয়া শেষ হয়নি। এই ভোগান্তির সৃষ্টি যাদের কারণে হয়েছে, আমরা তদন্ত কমিটি করব। তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাঁদের আইনানুগ শাস্তির আওতায় আনা হবে। যারা টাকা দিয়েছেন, কিন্তু যেতে পারেনি, তাঁরা আমাদের কাছে অভিযোগ জানালে, দায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ভিসা হওয়ার পর কর্মী ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। তবে ছাড়পত্র নেওয়ার পর প্রকৃতপক্ষে কতজন কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেনি, তার সঠিক হিসেব এখনো দেয়নি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
বিএমইটির তথ্য বলছে, গত ২১ মে পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ৫ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়। সিদ্ধান্ত ছিল ২১ মের পর বিএমইটি আর কোনো ছাড়পত্র দেবে না। তবে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ছাড়পত্র দেয় বিএমইটি। ২১ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ১ হাজার ১১২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজ (বায়রা) বলছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও টিকিট না পাওয়ায় ৫ হাজারের মতো বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি।
বায়রার সভাপতি মো. আবুল বাশার বলেন, এ সংখ্যা হয়তো ৪-৫ হাজার হতে পারে। প্রকৃত সংখ্যা জানতে রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। দেশটিতে বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী। এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন। চার বছর পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুলেছিল। মালয়েশিয়া সরকার গত মার্চেই ঘোষণা করে, ৩১ মের পর আর কোনো নতুন বিদেশি শ্রমিক দেশটিতে ঢুকতে পারবেন না। সে হিসেবে আজ শনিবার থেকে আবার অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ হলো এই শ্রমবাজার।
এদিকে গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরেও ছিল বাংলাদেশি কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। শেষ দিনে দেশটিতে ঢুকতে পারার আনন্দ থাকলেও ইমিগ্রেশন পার হতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
রাতে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। সে সময় তিনি বলেন, ‘যারা ভিসা পেয়ে মালয়েশিয়ায় আসতে পারেনি, তাঁদের নিয়ে আসার ব্যাপারে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, যেন তাঁদের দ্রুত নিয়ে আসা যায়।’
তিনি বলেন, ‘৫ লাখ ২৭ হাজারের বেশি ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন করেছি। এ পর্যন্ত চার লাখ ৭২ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে এসেছে। আমরা নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তাঁরা যেন এসে এখানে কাজ পায়।’
উল্লেখ্য, ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও উড়োজাহাজের টিকিট সংকটে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয় প্রায় ৩১ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো উড়োজাহাজে আসনসংখ্যা বাড়িয়ে এবং বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের হত্যা, গুম, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এ পর্যন্ত সাবেক আইজিসহ পুলিশের ৬৩ জন সদস্য গ্রেপ্তার হয়ে
২ ঘণ্টা আগেআকাশে যেন দুর্যোগের মেঘ। বিপদ হেঁটে চলেছে পাশ ঘেঁষে, আর অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যাচ্ছে বিমান। উড়ন্ত উড়োজাহাজে যেভাবে একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ছে, তাতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
২ ঘণ্টা আগেজাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার
২ ঘণ্টা আগেফৌজদারি কার্যবিধির ৩২ ধারায় বর্ণিত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানার ক্ষমতা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটরা আগের ১০ হাজার টাকার জায়গায় এখন ৫ লাখ টাকা জরিমানা করতে পারবেন। সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এরই মধ্যে ফৌজদারি কার্যবিধি
৫ ঘণ্টা আগে