Ajker Patrika

সরকারি চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের আগে সবার জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদেরও ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন। 

সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি যেকোনো চাকরির জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়ে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি। কাজেই এখন থেকে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও চাচ্ছি, যাতে নবপ্রজন্ম বিপথগামী না হয়, ভুল পথে না যায়, সে জন্য ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নিরাপত্তা বাহিনীতে যারা চাকরি করছেন এবং মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, তাঁদের মধ্যে যাদের মাদকাসক্ত বা মাদকের সঙ্গে জড়িত বলে মনে হচ্ছে এবং ডোপ টেস্টে যারা শনাক্ত হয়েছেন, তাঁদের সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সব নিয়োগে এরই মধ্যে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মাদক তৈরি হয় না। ভারত কিংবা মিয়ানমার থেকে আসছে। মাদকের স্বর্গরাজ্য হলো মিয়ানমার। টেকনাফের যতই ওপর যাবেন, বান্দরবানের দিকে যতই যাবেন দুর্গম এলাকা। বর্ডার এলাকায় যেতে দু-তিন দিন লাগবে। মিয়ানমার এই সুবিধা নিয়ে সড়ক পথে ও জঙ্গল দিয়ে মাদক পাচার করে। আমরা বর্ডার রুট করছি। আমরা মনে করি দুই বছরের মধ্যে বর্ডার রুট করা শেষ হবে। এটা হয়ে গেলে বর্ডার গার্ডরা সীমান্তে গিয়ে পাহারা দিতে পারবেন। অনেকখানি মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’ 

টেকনাফের অধিবাসীরা ইয়াবাকে মাদক নয়, ওষুধ মনে করে জানিয়ে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, এদের সচেতন করতে হবে। এ জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদকের ৪ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মামলা নিষ্পত্তিতে আইন মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেওয়া হবে। অনলাইনে মাদক বিক্রি শুরু হয়েছে। এসবের ক্রেতা-বিক্রেতাদের ওপর নজরদারি করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক মামলা নিষ্পত্তিতে মাদক আইনে ডেডিকেটেড কোর্ট গঠনের কথা বলা হলেও তা নিয়ে জটিলতা আছে। এ জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রত্যেক কোর্টে অগ্রাধিকার দিয়ে মাদকের মামলা নিষ্পত্তিতে বিশেষ ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিরাময় কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে চিকিৎসা ও নিরাময়কেন্দ্র নাম করার প্রস্তাব এসেছে। মাদকাসক্তদের শতভাগ নিরাময় সম্ভব হয় না বলে মাদকদ্রব্য নিরাময় কেন্দ্রের সঙ্গে চিকিৎসা শব্দটি যোগ করার পরামর্শ এসেছে।’ 

আর লিকারকে কীভাবে মাদক থেকে আলাদা করে দেখা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত