নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন সামনে রেখে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আসন্ন শারদীয় দুর্গা উৎসব ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নীল নকশা; দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার।
বিজন কান্তি সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা মনে করি ক্ষমতাসীন দল দুর্গোৎসবে সহিংসতার চেষ্টা করবে। হামলা করে তারা অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কয়েক দিন আগে বলেছেন, আমার ভয় হচ্ছে, এদের ওপর না আক্রমণ হয়। তার ভয় হাওয়ার পরের দিনই আক্রমণ হয়েছে।’
বিজন কান্তি আরও বলেন, ‘কুমিল্লার এমপি বাহার উদ্দিন বাহার আমাদের দুর্গোৎসবকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যখন প্রতিবাদ করতে দাঁড়িয়েছে, তখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ আক্রমণ করেছে। আবার পরদিন তারা শান্তি মিছিল করেছে। সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়লে তো হবে না।’
বিজন কান্তি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিপদে পড়লে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে, আর ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে আক্রমণ করে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে অতীতেও দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এসব দুর্ঘটনা রাজনৈতিক কারণে ঘটানো হয়েছে। এবারও আমরা এমন আশঙ্কা করছি।’
দেশের সব বড় দল ও ব্যক্তিদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিজন কান্তি বলেন, ‘দেশের সব দল ও ব্যক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা সতর্ক থাকবেন। প্রয়োজনে মণ্ডপে পাহারায় থাকবেন। ক্ষমতাসীনদের নীল নকশা যেন বাস্তবায়ন না হয়।’
বর্তমান সরকার অতীতের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাগুলোরও বিচার করেনি জানিয়ে বিজন কান্তি বলেন, ‘কুমিল্লা, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের আগের ঘটনাগুলোর বিচার হয়নি। আমরা একটা ভালো নির্বাচন চাই। নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন ভালো হয় না। নির্বাচন ভালো না হলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয় না। আমরা নির্বাচনের সময় অনিশ্চয়তায় থাকতে চাই না।’
এর আগে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির চেয়ারম্যান বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা উৎসবসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আবেগের দিন অথবা স্থানকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক আক্রমণ করা হয়। ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে সংগ্রামরত ঐক্যবদ্ধ মানুষকে বিভক্ত করার জন্যই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নীল নকশা ও ষড়যন্ত্রের এই কার্ড ব্যবহার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব এস এন তরুণ দে, সহসভাপতি রমেশ দত্ত, নারী ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক বৃতা দত্ত, সিনিয়র উপদেষ্টা তপন মজুমদার, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক হৃদয় চন্দ্র ঘোষ, সহকারী সচিব মৃণাল কান্তি বৈষ্ণব প্রমুখ।
নির্বাচন সামনে রেখে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আসন্ন শারদীয় দুর্গা উৎসব ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নীল নকশা; দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার।
বিজন কান্তি সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা মনে করি ক্ষমতাসীন দল দুর্গোৎসবে সহিংসতার চেষ্টা করবে। হামলা করে তারা অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কয়েক দিন আগে বলেছেন, আমার ভয় হচ্ছে, এদের ওপর না আক্রমণ হয়। তার ভয় হাওয়ার পরের দিনই আক্রমণ হয়েছে।’
বিজন কান্তি আরও বলেন, ‘কুমিল্লার এমপি বাহার উদ্দিন বাহার আমাদের দুর্গোৎসবকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যখন প্রতিবাদ করতে দাঁড়িয়েছে, তখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ আক্রমণ করেছে। আবার পরদিন তারা শান্তি মিছিল করেছে। সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়লে তো হবে না।’
বিজন কান্তি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিপদে পড়লে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে, আর ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে আক্রমণ করে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে অতীতেও দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এসব দুর্ঘটনা রাজনৈতিক কারণে ঘটানো হয়েছে। এবারও আমরা এমন আশঙ্কা করছি।’
দেশের সব বড় দল ও ব্যক্তিদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিজন কান্তি বলেন, ‘দেশের সব দল ও ব্যক্তিকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা সতর্ক থাকবেন। প্রয়োজনে মণ্ডপে পাহারায় থাকবেন। ক্ষমতাসীনদের নীল নকশা যেন বাস্তবায়ন না হয়।’
বর্তমান সরকার অতীতের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাগুলোরও বিচার করেনি জানিয়ে বিজন কান্তি বলেন, ‘কুমিল্লা, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের আগের ঘটনাগুলোর বিচার হয়নি। আমরা একটা ভালো নির্বাচন চাই। নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন ভালো হয় না। নির্বাচন ভালো না হলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয় না। আমরা নির্বাচনের সময় অনিশ্চয়তায় থাকতে চাই না।’
এর আগে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির চেয়ারম্যান বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গা উৎসবসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আবেগের দিন অথবা স্থানকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক আক্রমণ করা হয়। ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে সংগ্রামরত ঐক্যবদ্ধ মানুষকে বিভক্ত করার জন্যই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নীল নকশা ও ষড়যন্ত্রের এই কার্ড ব্যবহার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব এস এন তরুণ দে, সহসভাপতি রমেশ দত্ত, নারী ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক বৃতা দত্ত, সিনিয়র উপদেষ্টা তপন মজুমদার, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক হৃদয় চন্দ্র ঘোষ, সহকারী সচিব মৃণাল কান্তি বৈষ্ণব প্রমুখ।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো চেষ্টা রোধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
৬ ঘণ্টা আগেএকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা নারী নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে উচ্চপদস্থ বোর্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই কর্মকর্তার নারী নির্যাতন-সংক্রান্ত একটি অভিযোগ প্রচার হয়েছে। তবে বিষয়টি প্রচারিত হওয়ার আগেই সেনাবাহিনী জানতে পেরে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত কার্যক্রম
৭ ঘণ্টা আগেআগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
১৪ ঘণ্টা আগে