Ajker Patrika

রমজানে এক কোটি পরিবার সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য পাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬: ৪৪
রমজানে এক কোটি পরিবার সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপণ্য পাবে

আসন্ন রমজান মাসে এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে ৫ ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করবে সরকার। সচিবালয়ে আজ রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব তথ্য জানান। 

সয়াবিন তেলের দাম বাড়া নিয়ে এক প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তেলের দাম বাড়িয়েছি, কারণ ৯০ ভাগ খাবারের তেল আমরা ইমপোর্ট (আমদানি) করি। আন্তর্জাতিক বাজারে সেই তেলের দাম বেড়েছে। কনটেইনার ভাড়া বেড়েছে। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যদি আমরা দাম ঠিক না করে দিই, তাহলে তো ব্যবসায়ীরা তেল আনবেই না। এ জন্য ট্যারিফ কমিশন বসে আন্তর্জাতিক বাজারের ১০ দিন, ১৫ দিনের প্রাইজ ফিক্সআপ করে। সব দেখে একটি দাম নির্ধারণ করা হয়। তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ১০ বছর আগে যেটা ছিল, সেটা এখন দ্বিগুণ হয়েছে। এখন যদি আমরা বলি দাম বাড়াতে পারবে না, তাহলে ব্যবসায়ীরা ইমপোর্ট করবে না। ইমপোর্ট না করলে তো আরও বড় ধরনের সংকট হয়ে যাবে।’ 

টিপু মুনশি বলেন, ‘এটা তো সত্যি কথা যে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আমরা যেটা চেষ্টা করছি, সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে সেটা সাধারণ মানুষকে দেওয়া। আমরা চিন্তা করলাম রমজান মাস উপলক্ষে ৫০ লাখ মানুষকে দেওয়া যায় কি না? সেটা ট্রাকের মাধ্যমে নয়, আগে যেভাবে আড়াই হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল সেভাবে দুস্থ লোক যারা তাদের কাছে পৌঁছে দেব।’ 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তবে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ৫০ লাখ নয়, এক কোটি মানুষকে সেই ব্যবস্থায় আনতে। আমরা সরকারিভাবে চেষ্টা করছি রমজান সামনে রেখে এক কোটি মানুষকে আমরা এ ধরনের সামগ্রী দেব সাশ্রয়ী মূল্যে। আগে যেভাবে টাকাটা দেওয়া হয়েছে সেই লিস্ট তো আছে। প্রতিটি ইউনিয়নে টিসিবির মাধ্যমে ওপেনিং করা হবে, সেখান থেকে তারা সংগ্রহ করে নেবে। যে চারটা পণ্য আমরা দিই সেটার সঙ্গে রমজান মাসে খেজুর ও ছোলা যোগ হবে।’ উল্লেখ্য, টিসিবির ট্রাকে এখন তেল, চিনি, পেঁয়াজ ও ডাল বিক্রি করা হচ্ছে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম না কমলে ব্যবসায়ীদের চাপ দিয়ে লাভ নেই। আমরা যে দাম নির্ধারণ করে দিলাম, তার চেয়ে বেশি দামে কেউ বিক্রি করলে ভোক্তা অধিকারসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘এর উল্টোটা যদি বলি, পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা হয়ে গেল কেন? সেখানেও কিন্তু কৃষকেরা বলছে, পেঁয়াজ কিন্তু আমরা রাস্তায় ফেলে দেব। এটা কাঁচামাল, দুই দিন যদি ট্রান্সপোর্ট বন্ধ থাকে, এটার দাম কিন্তু বেড়ে যাবে। কৃষি মন্ত্রণালয় আমাদের একটি হিসাব দিয়েছে। সেই হিসেবে প্রতি কেজিতে কৃষকদের জায়গাভেদে ১৮-২০ টাকা খরচ হয়। এটাকে অন্তত ২৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে। ২৫ টাকা যদি কুষ্টিয়া, রাজবাড়ীতে কৃষকেরা বিক্রি করেন, ঢাকায় এটা ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি করতে হবে। এখন ঢাকায় যখন ২৫ টাকা হয়েছিল কৃষিমন্ত্রী আমাকে বললেন, আমরা সব ইমপোর্ট বন্ধ করে দেব, কৃষকেরা তো কান্নাকাটি করছে। এটা হচ্ছে সমস্যা। যদি দাম কমে যায় কৃষকেরা বলেন কী করব? আবার যখন বেড়ে যায় ভোক্তারা বলেন, দাম বেড়ে গেছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত