নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে আবরার ফাহাদ—কেবল এই অভিযোগেই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে অভিযুক্তরা। কিন্তু কোনো বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তিদের দ্বারা এমন নির্মম নির্যাতন ও অমানবিকভাবে কাউকে হত্যা করার যুক্তি হতে পারে না। যাদের (অভিযুক্তদের) বুয়েটের মেধাবী ছাত্র বলেও দাবি করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। বিচারিক আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের যথাযথ সাজা দিয়েছে। সাজা পরিবর্তন করার মতো কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি উচ্চ আদালত। তাই ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করা হলো।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে এসব কথা বলা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা ১৩১ পৃষ্ঠার রায়ের কপি পেয়েছি। হাইকোর্টের রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট। রায় পর্যালোচনা করে আপিল করা হবে।’
এর আগে ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করে গত ১৬ মার্চ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার ও নূর মুহাম্মদ আজমী। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ।
রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, ‘এ ধরনের রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে বার্তা গেল, আপনি যত শক্তিশালী হোন না কেন, আপনার পেছনে যত শক্তি থাকুক না কেন—ন্যায়বিচার একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে। আবরার ফাহাদের মৃত্যু গোটা জাতির মূল্যবোধের শিকড়ে নাড়া দিয়েছে। একইভাবে আবরার ফাহাদের মৃত্যু আমাদের প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে গেছে, ফ্যাসিজম যত শক্তিশালীই হোক, মানুষের মনুষ্যত্ববোধ কখনো কখনো জেগে উঠে সকল ফ্যাসিজমকে দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে দিতে পারে। আবরার ফাহাদ তার জীবন দিয়ে এ রকম অসংখ্য আবরার ফাহাদের জীবন রক্ষা করে গেছে। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মেধাবী ছাত্ররা নতুন জীবন পেয়েছে।’
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়। অন্যদিকে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতারা। এক নেতার কক্ষে নিয়ে শিবির সন্দেহে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। যাঁদের সবাই বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ২০ আসামি
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ২০ আসামি হলেন মেহেদী হাসান (রাসেল), অনিক সরকার, মেহেদী হাসান (রবিন), ইফতি মোশাররফ, মনিরুজ্জামান, মেফতাহুল ইসলাম, মাজেদুর রহমান, মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল (জেমি), শামসুল আরেফিন, মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল, এহতেশামুল রাব্বি ও মুজতবা রাফিদ।
তাঁদের মধ্যে বিচারিক আদালতের রায়ের সময় থেকে পলাতক রয়েছেন মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল, এহতেশামুল রাব্বি ও মুজতবা রাফিদ। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল (জেমি) গত বছরের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হলেন মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ।
শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে আবরার ফাহাদ—কেবল এই অভিযোগেই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে অভিযুক্তরা। কিন্তু কোনো বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তিদের দ্বারা এমন নির্মম নির্যাতন ও অমানবিকভাবে কাউকে হত্যা করার যুক্তি হতে পারে না। যাদের (অভিযুক্তদের) বুয়েটের মেধাবী ছাত্র বলেও দাবি করা হয়। এই হত্যাকাণ্ড ছিল পূর্বপরিকল্পিত। বিচারিক আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আসামিদের যথাযথ সাজা দিয়েছে। সাজা পরিবর্তন করার মতো কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি উচ্চ আদালত। তাই ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করা হলো।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ে এসব কথা বলা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা ১৩১ পৃষ্ঠার রায়ের কপি পেয়েছি। হাইকোর্টের রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট। রায় পর্যালোচনা করে আপিল করা হবে।’
এর আগে ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল খারিজ করে গত ১৬ মার্চ রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার ও নূর মুহাম্মদ আজমী। আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, আজিজুর রহমান দুলু, মাসুদ হাসান চৌধুরী, মোহাম্মদ শিশির মনির প্রমুখ।
রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, ‘এ ধরনের রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে বার্তা গেল, আপনি যত শক্তিশালী হোন না কেন, আপনার পেছনে যত শক্তি থাকুক না কেন—ন্যায়বিচার একদিন প্রতিষ্ঠিত হবে। আবরার ফাহাদের মৃত্যু গোটা জাতির মূল্যবোধের শিকড়ে নাড়া দিয়েছে। একইভাবে আবরার ফাহাদের মৃত্যু আমাদের প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে গেছে, ফ্যাসিজম যত শক্তিশালীই হোক, মানুষের মনুষ্যত্ববোধ কখনো কখনো জেগে উঠে সকল ফ্যাসিজমকে দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে দিতে পারে। আবরার ফাহাদ তার জীবন দিয়ে এ রকম অসংখ্য আবরার ফাহাদের জীবন রক্ষা করে গেছে। তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মেধাবী ছাত্ররা নতুন জীবন পেয়েছে।’
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়। অন্যদিকে রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অসম চুক্তি এবং পানি আগ্রাসন নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের জেরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যান ছাত্রলীগের নেতারা। এক নেতার কক্ষে নিয়ে শিবির সন্দেহে দীর্ঘ সাত ঘণ্টা নৃশংস কায়দায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। যাঁদের সবাই বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ২০ আসামি
মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ২০ আসামি হলেন মেহেদী হাসান (রাসেল), অনিক সরকার, মেহেদী হাসান (রবিন), ইফতি মোশাররফ, মনিরুজ্জামান, মেফতাহুল ইসলাম, মাজেদুর রহমান, মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল (জেমি), শামসুল আরেফিন, মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল, এহতেশামুল রাব্বি ও মুজতবা রাফিদ।
তাঁদের মধ্যে বিচারিক আদালতের রায়ের সময় থেকে পলাতক রয়েছেন মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল, এহতেশামুল রাব্বি ও মুজতবা রাফিদ। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল (জেমি) গত বছরের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হলেন মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ।
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন; শুধু এই অভিযোগে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। কিন্তু কোনো বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তির, এমন নির্মম নির্যাতন ও অমানবিকভাবে কাউকে হত্যা করার যুক্তি হতে...
৫ ঘণ্টা আগেকলেজছাত্রীকে ইভটিজিং করে ফেসবুকে ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ডেমরা থানা-পুলিশ। শনিবার (৩ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় ডেমরা সারুলিয়া বাজার এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোন— মো. রোমান সিকদার (২০) ও শুভ হাওলাদার (২০)।
৮ ঘণ্টা আগেনারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে ডাকা হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে জুলাইয়ের সম্মুখসারির নারীদের নোংরা ভাষায় গালি-গালাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব রিফাত রশিদ।
৯ ঘণ্টা আগেনারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল করা হলে অন্য কমিশনগুলোর রিপোর্টও বাতিলযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। শনিবার (৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
৯ ঘণ্টা আগে