নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নড়াইলের লোহাগড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো। আজ শনিবার পৃথক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিরাপত্তা ও আহত ব্যক্তি সুচিকিৎসারও দাবি জানানো হয়।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ও সরকারের ব্যর্থতায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এর ফলে হামলাকারীরা নিজেদের বিচারের ঊর্ধ্বে ভাবতে শুরু করেছে।
‘প্রজন্ম ৭১’ এক বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতিসত্তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত আক্রমণ ও ষড়যন্ত্র এ দেশে গত কয়েক যুগ ধরেই চলছে। বর্তমান সরকার সফলভাবে এ দেশে জঙ্গিবাদ দমন করেছে। কিন্তু সমাজের ভেতরে ঢুকে পড়া উগ্র সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় প্রশাসনকে কোনো উদ্যোগ নিতে আমরা দেখছি না। এ ব্যাপারে শিক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতা আছে বলে আমরা মনে করি।’
নড়াইলের হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘কিছুদিন আগে নড়াইল কলেজে অধ্যক্ষকে জুতার মালা এবং সম্প্রতি হিন্দুবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর মনে হচ্ছে, পুরো বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যাতে দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি ভেঙে যায়। ভারতে নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে যে প্রতিক্রিয়া দেখলাম, তাতে বাংলাদেশে অন্তত কিছুটা সংযত আচরণ করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন আবার আমরা একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখছি এবং সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এটাকে পরিকল্পিত না বলে কী বলব?’
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আকাশ ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে আসকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আকাশ, তাঁর পরিবার এবং এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু পরিবারের জান ও মালের নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত করা হয়।
এই ঘটনার পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাসদসহ (মার্ক্সবাদী) আরও অনেক সংগঠন এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে। সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি, মন্দির ও ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয় না। তাই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এসব ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভুক্তভোগীরা আইনি হেনস্তার শিকার হয়। পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার আকাশ সাহা যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইসিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী বেআইনি কিছু করে না থাকে, তাহলে তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।
নড়াইলের লোহাগড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো। আজ শনিবার পৃথক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নিরাপত্তা ও আহত ব্যক্তি সুচিকিৎসারও দাবি জানানো হয়।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র ও সরকারের ব্যর্থতায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এর ফলে হামলাকারীরা নিজেদের বিচারের ঊর্ধ্বে ভাবতে শুরু করেছে।
‘প্রজন্ম ৭১’ এক বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতিসত্তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত আক্রমণ ও ষড়যন্ত্র এ দেশে গত কয়েক যুগ ধরেই চলছে। বর্তমান সরকার সফলভাবে এ দেশে জঙ্গিবাদ দমন করেছে। কিন্তু সমাজের ভেতরে ঢুকে পড়া উগ্র সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় প্রশাসনকে কোনো উদ্যোগ নিতে আমরা দেখছি না। এ ব্যাপারে শিক্ষা, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের চরম ব্যর্থতা আছে বলে আমরা মনে করি।’
নড়াইলের হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘কিছুদিন আগে নড়াইল কলেজে অধ্যক্ষকে জুতার মালা এবং সম্প্রতি হিন্দুবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর মনে হচ্ছে, পুরো বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যাতে দেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি ভেঙে যায়। ভারতে নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে যে প্রতিক্রিয়া দেখলাম, তাতে বাংলাদেশে অন্তত কিছুটা সংযত আচরণ করা হচ্ছিল। কিন্তু এখন আবার আমরা একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখছি এবং সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এটাকে পরিকল্পিত না বলে কী বলব?’
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আকাশ ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে আসকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আকাশ, তাঁর পরিবার এবং এলাকার অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু পরিবারের জান ও মালের নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত করা হয়।
এই ঘটনার পেছনের কুশীলবদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী), সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাসদসহ (মার্ক্সবাদী) আরও অনেক সংগঠন এই ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে। সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি, মন্দির ও ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয় না। তাই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এসব ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভুক্তভোগীরা আইনি হেনস্তার শিকার হয়। পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার আকাশ সাহা যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আইসিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী বেআইনি কিছু করে না থাকে, তাহলে তাঁর মুক্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলো।
ফুটবল, ক্রিকেট, কাবাডি, নৌকাবাইচের মতো অনুমোদিত খেলায় আর্থিক ঝুঁকি তৈরি হলে সেগুলোকে জুয়া হিসেবে গণ্য করা হবে। এ জন্য দুই বছর কারাদণ্ড, ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। জুয়া নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করলেও দেওয়া হবে জেল-জরিমানা। অফলাইন ও অনলাইনে জুয়া খেলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে
১১ মিনিট আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ রোববার (২২ জুন) একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে এ সময় ‘মব’ কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এবং অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা সরকারের নজরে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারতীয় টিভি চ্যানেল রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং বাংলাদেশে তাদের সম্প্রচার নিষিদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
৫ ঘণ্টা আগেপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই হামলার পরিণতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই নাজুক একটি অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা
৭ ঘণ্টা আগে