Ajker Patrika

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ও বিচার বিভাগীয় সচিবালয় নিয়ে রায় ২ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২১: ৩২
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ও বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর রায় দেবেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার শুনানি শেষে বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের সাত আইনজীবী রিটটি করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে ২৭ অক্টোবর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ও ২০১৭ সালের জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় কেন প্রতিষ্ঠা করা হবে না, তা-ও জানতে চান আদালত।

চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে রুল শুনানি শুরু হয়। তবে গত ২৪ মার্চ বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে আপিল বিভাগে নিয়োগ করে সরকার। এরপর এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি। পুনর্গঠিত বেঞ্চে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল রুল শুনানি শুরু হয়।

রিট আবেদনকারীদের পক্ষে মোহাম্মদ শিশির মনির শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন ও জায়েদ বিন আমজাদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদি হাসান। এ ছাড়া অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শরীফ ভূইয়া ও ইন্টারভেনর (ব্যাখ্যাদানকারী) হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।

আদালত থেকে বের হয়ে মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘নিম্ন আদালত যদি পুরোপুরি স্বাধীন হতে পারে, তাহলে এই জাতির জন্য আরও একটি মাইলফলক রচিত হবে। আমরা আশা করব, এই রায়ের মাধ্যমে নিম্ন আদালতকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে সম্পূর্ণরুপে সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত করবেন। এই রায়ের মাধ্যমে যদি নিম্ন আদালত স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে, তাহলে নতুন করে এই বাংলাদেশ নতুনত্বের ছোঁয়া পাবে। এটিই হবে নতুন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ যাত্রার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আরও একটি পদক্ষেপ। ১১৬ অনুচ্ছেদ বাতিল হওয়ার জরুরি, কারণ, আইন মন্ত্রণালয় যাকে যেভাবে ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ করে।’

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতিদান, ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলা বিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তা প্রযুক্ত হবে। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদকে বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বড় বাধা বলে মনে করেন রিটকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত