নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রংপুরে সেদিন বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্কুল-কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নগরীর লালবাগ এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে বিক্ষোভ মিছিল এগোলে অসংখ্য সশস্ত্র পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে আরিফুজ্জামান ওরফে জীবনের নেতৃত্বে পাঁচজন পুলিশ স্টিল ও কাঠের লাঠি দিয়ে আবু সাঈদের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে। তখন আষাঢ়ের বাদল কিংবা মেঘ না থাকলেও বৃষ্টি ঝরেছিল। সেটি গুলির বৃষ্টি। সেদিনের বৃষ্টিতে পানি ঝরেনি, ঝরেছিল নিরপরাধ ছাত্র-জনতার রক্ত। সেখানেই জুলাই বিপ্লবের সাহসের উজ্জ্বল প্রদীপ হয়ে জ্বলে উঠেছিল শহীদ আবু সাঈদ।
জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
সূচনা বক্তব্য শেষে আবু সাঈদকে গুলি করার দুটি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন গুলির দৃশ্যের ভিডিও দেখে বার বার চোখ মুছছিলেন।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সূচনা বক্তব্য শেষে বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনাল-২-এর অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশের লাঠিচার্জে রক্তাক্ত হয়েও আবি সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে বুক চিতিয়ে যেন বলতে চায়, এভাবে মানুষ মারা চলবে না। সাধারণ ছাত্রদের বাঁচাতে চাইলেন যিনি, ঠিক তার বুকেই তাক করা হলো বন্দুকের নল। যে অস্ত্র কেনা হয়েছিল আবু সাঈদের ট্যাক্সের টাকায় শত্রুর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য, সে অস্ত্রই বিদ্ধ করল আবু সাঈদকে। তাই প্রথম গুলিটি যখন আবু সাঈদের পেটে লাগে, তখন তিনি হতবাক হয়ে যান এবং আবার বুক প্রসারিত করে সেখানে দাঁড়িয়ে যান। তখনই সুজন চন্দ্র রায় (সাবেক কনস্টেবল) তাকে আবার পরপর দুই রাউন্ড গুলি করে। জুলাই আন্দোলনের ফিনিক্স পাখি, জুলাই শহিদদের অগ্রসেনানী আবু সাঈদ।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে সংগৃহীত প্রমাণ কেবল বিশ্বাসযোগ্যই নয়, বরং অকাট্য এবং স্বতন্ত্র ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয়তার উর্ধে। শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতার সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের প্রধান হিসেবে, রাজনৈতিক নির্দেশনার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আন্দোলন দমনের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। এর ফলে ঢাকা শহর থেকে শুরু করে সমগ্র দেশে একটি ব্যাপকমাত্রায় এবং পদ্ধতিগতভাবে আক্রমণের মাধ্যমে নিরীহ আন্দোলনকারীদের ওপর হত্যা, হত্যার চেষ্টা, নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ চালানো হয়। যা আন্তর্জাতিক আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, এই মামলার মূল প্রতিপাদ্য হলো আইনের শাসনের নীতি। যেখানে কারো পদমর্যাদা বা পূর্বের অবস্থান যেমনই হোক না কেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এক সময় আসামিরা ছিলেন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ক্ষমতাবান। কিন্তু আজ তারা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন। এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা দেয় যে, জবাবদিহিতা কখনোই ঐচ্ছিক নয় এবং দায়মুক্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে এই বিচার কার্যক্রম পুরনো রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নয়, বরং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে রাষ্ট্র একটি ন্যায়সঙ্গত ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। এটি প্রমাণ করে যে, দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিকেও আইনসম্মত জবাবদিহিতার আওতায় আনা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনমনে আস্থা তৈরি হবে যে, ন্যায়বিচার কোনো অবস্থাতেই পক্ষপাতদুষ্ট বা প্রভাবিত নয়, বরং সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, দৃঢ় এবং নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতিহাসের পাতা খুললে দেখতে পাই, বিশ্বে যুগে যুগে স্বৈরশাসকের আবির্ভাব হয়েছে। দেশে দেশে ফ্যাসিস্টদের জন্ম হয়েছে। আমরা এডলফ হিটলারের নাম শুনেছি। মুসোলিনি, ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কো, পিনোশে, মার্কোসের নাম শুনেছি। এ সমস্ত ফ্যাসিস্ট এবং হিটলারদের স্বৈরশাসকদের অনেকেই বিচারের মুখোমুখি হয়েছে। সে ফ্যাসিস্টদের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। আমরা তার দোসরদের বিরুদ্ধেই আজ আপনাদের কাছে ন্যায়বিচার চাচ্ছি। নীলনকশার নির্বাচন, লাইলাতুল ইলেকশন আর আমি-ডামির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে ধরে বিগত ১৭ বছরে বাংলাদেশের মাটিতে খুন, গুম, রাজনৈতিক নিপিড়নের যে কালচার চালু হয়েছিল- আজ তার বিচারের ফরিয়দি আমরা। আর আপনারা তার বিচারক। আমরা চাই এই বিচার জাতির সভ্যতার সোপানে ন্যায়বিচারের মানদন্ড হিসেবে স্থান পাক। যাতে আগামীর বাংলাদেশের কেউ যেন গণহত্যা চালাতে না পারে।
শেখ হাসিনার পালানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা দেখেছি অনেক স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশে দেখেছি স্বৈরাচার পালিয়েই শুধু যায়নি, তার ৩০০ এমপি, তার কেবিনেট, মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে সেই সকল বিচারক যারা নিজেদেরকে শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ বলে দাবি করত তারাও পালিয়েছে। এই বিচার কেবল একটি মামলার নিষ্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি শক্ত বার্তা। আমরা আইন ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত শক্তিশালী বা প্রভাবশালী হোক না কেন। এই বিচার হবে একটি ইতিহাস। এটি হবে সেইসব মানুষের আত্মত্যাগের সম্মাননা, যারা ন্যায়বিচারের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই ট্রাইবুন্যাল প্রমাণ করবে যে, বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাষ্ট্র।
রংপুরে সেদিন বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্কুল-কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নগরীর লালবাগ এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে বিক্ষোভ মিছিল এগোলে অসংখ্য সশস্ত্র পুলিশ শিক্ষার্থীদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাগবিতন্ডা শুরু হয়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে আরিফুজ্জামান ওরফে জীবনের নেতৃত্বে পাঁচজন পুলিশ স্টিল ও কাঠের লাঠি দিয়ে আবু সাঈদের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে। তখন আষাঢ়ের বাদল কিংবা মেঘ না থাকলেও বৃষ্টি ঝরেছিল। সেটি গুলির বৃষ্টি। সেদিনের বৃষ্টিতে পানি ঝরেনি, ঝরেছিল নিরপরাধ ছাত্র-জনতার রক্ত। সেখানেই জুলাই বিপ্লবের সাহসের উজ্জ্বল প্রদীপ হয়ে জ্বলে উঠেছিল শহীদ আবু সাঈদ।
জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সূচনা বক্তব্যে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
সূচনা বক্তব্য শেষে আবু সাঈদকে গুলি করার দুটি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন গুলির দৃশ্যের ভিডিও দেখে বার বার চোখ মুছছিলেন।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সূচনা বক্তব্য শেষে বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনাল-২-এর অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশের লাঠিচার্জে রক্তাক্ত হয়েও আবি সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে বুক চিতিয়ে যেন বলতে চায়, এভাবে মানুষ মারা চলবে না। সাধারণ ছাত্রদের বাঁচাতে চাইলেন যিনি, ঠিক তার বুকেই তাক করা হলো বন্দুকের নল। যে অস্ত্র কেনা হয়েছিল আবু সাঈদের ট্যাক্সের টাকায় শত্রুর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য, সে অস্ত্রই বিদ্ধ করল আবু সাঈদকে। তাই প্রথম গুলিটি যখন আবু সাঈদের পেটে লাগে, তখন তিনি হতবাক হয়ে যান এবং আবার বুক প্রসারিত করে সেখানে দাঁড়িয়ে যান। তখনই সুজন চন্দ্র রায় (সাবেক কনস্টেবল) তাকে আবার পরপর দুই রাউন্ড গুলি করে। জুলাই আন্দোলনের ফিনিক্স পাখি, জুলাই শহিদদের অগ্রসেনানী আবু সাঈদ।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে সংগৃহীত প্রমাণ কেবল বিশ্বাসযোগ্যই নয়, বরং অকাট্য এবং স্বতন্ত্র ব্যাখ্যার প্রয়োজনীয়তার উর্ধে। শেখ হাসিনা তাঁর ক্ষমতার সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে, আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের প্রধান হিসেবে, রাজনৈতিক নির্দেশনার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আন্দোলন দমনের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। এর ফলে ঢাকা শহর থেকে শুরু করে সমগ্র দেশে একটি ব্যাপকমাত্রায় এবং পদ্ধতিগতভাবে আক্রমণের মাধ্যমে নিরীহ আন্দোলনকারীদের ওপর হত্যা, হত্যার চেষ্টা, নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ চালানো হয়। যা আন্তর্জাতিক আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, এই মামলার মূল প্রতিপাদ্য হলো আইনের শাসনের নীতি। যেখানে কারো পদমর্যাদা বা পূর্বের অবস্থান যেমনই হোক না কেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এক সময় আসামিরা ছিলেন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ক্ষমতাবান। কিন্তু আজ তারা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন। এটি একটি সুস্পষ্ট বার্তা দেয় যে, জবাবদিহিতা কখনোই ঐচ্ছিক নয় এবং দায়মুক্তি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে এই বিচার কার্যক্রম পুরনো রাজনৈতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নয়, বরং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে রাষ্ট্র একটি ন্যায়সঙ্গত ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। এটি প্রমাণ করে যে, দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিকেও আইনসম্মত জবাবদিহিতার আওতায় আনা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনমনে আস্থা তৈরি হবে যে, ন্যায়বিচার কোনো অবস্থাতেই পক্ষপাতদুষ্ট বা প্রভাবিত নয়, বরং সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, দৃঢ় এবং নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ইতিহাসের পাতা খুললে দেখতে পাই, বিশ্বে যুগে যুগে স্বৈরশাসকের আবির্ভাব হয়েছে। দেশে দেশে ফ্যাসিস্টদের জন্ম হয়েছে। আমরা এডলফ হিটলারের নাম শুনেছি। মুসোলিনি, ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কো, পিনোশে, মার্কোসের নাম শুনেছি। এ সমস্ত ফ্যাসিস্ট এবং হিটলারদের স্বৈরশাসকদের অনেকেই বিচারের মুখোমুখি হয়েছে। সে ফ্যাসিস্টদের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। আমরা তার দোসরদের বিরুদ্ধেই আজ আপনাদের কাছে ন্যায়বিচার চাচ্ছি। নীলনকশার নির্বাচন, লাইলাতুল ইলেকশন আর আমি-ডামির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে ধরে বিগত ১৭ বছরে বাংলাদেশের মাটিতে খুন, গুম, রাজনৈতিক নিপিড়নের যে কালচার চালু হয়েছিল- আজ তার বিচারের ফরিয়দি আমরা। আর আপনারা তার বিচারক। আমরা চাই এই বিচার জাতির সভ্যতার সোপানে ন্যায়বিচারের মানদন্ড হিসেবে স্থান পাক। যাতে আগামীর বাংলাদেশের কেউ যেন গণহত্যা চালাতে না পারে।
শেখ হাসিনার পালানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে আমরা দেখেছি অনেক স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশে দেখেছি স্বৈরাচার পালিয়েই শুধু যায়নি, তার ৩০০ এমপি, তার কেবিনেট, মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে সেই সকল বিচারক যারা নিজেদেরকে শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ বলে দাবি করত তারাও পালিয়েছে। এই বিচার কেবল একটি মামলার নিষ্পত্তি নয়, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি শক্ত বার্তা। আমরা আইন ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়, সে যত শক্তিশালী বা প্রভাবশালী হোক না কেন। এই বিচার হবে একটি ইতিহাস। এটি হবে সেইসব মানুষের আত্মত্যাগের সম্মাননা, যারা ন্যায়বিচারের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। এই ট্রাইবুন্যাল প্রমাণ করবে যে, বাংলাদেশ একটি ন্যায়ভিত্তিক, মানবিক এবং আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ রাষ্ট্র।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে দীর্ঘস্থায়ী গণতন্ত্রের পথে নেওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই। ওই রায় লেখা থেকে শুরু করে সই করা পর্যন্ত আইনি পরিক্রমায় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক যে অপরাধ করেছেন, সে অপরাধ দণ্ডবিধির ২১৯ ধারায় সুনির্দিষ্ট
১ ঘণ্টা আগেতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য আগামী ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রিভিউ ((পুনর্বিবেচনা) শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হলেন মো. শফিকুল ইসলাম। আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাঁকে এ পদায়ন করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের খসড়া নিয়ে দলগুলোর মতামত পর্যালোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। অঙ্গীকারনামার যেসব বিষয় নিয়ে আপত্তি উঠেছে, সেগুলোর গুরুত্ব বিবেচনা করে পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও ভাষাগত সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। আজ বুধবার কমিশন নিজেদের মধ্যে এ বিষয়ে বৈঠক করে। দলগুলোর মতামত সমন্বয় করে খসড়ায় সংশোধনী আনা হবে।
৪ ঘণ্টা আগে