নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপাতত শুরু হচ্ছে না বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম। আইনগত জটিলতার কারণে বিষয়টি আরও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলি নীতিমালা ২০২৪ ’–এর খসড়া চূড়ান্ত হয়নি। সভায় বদলি কার্যক্রম আপাতত বাস্তবায়ন না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ওই সভার সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম বলেন, গত রোববারের সভায় খসড়া নীতিমালাটি চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আরও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪ টি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি, বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে ৫ লাখের মতো। বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা নেই। এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করে সেখান থেকেই অবসর নিতে হয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের।
২০১৫ সালের আগে পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পেতেন শিক্ষকেরা। তবে ২০১৫ সালের পর নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা পায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। শিক্ষকদের নানা সমস্যার কথা বিবেচনা করে ২০২৩ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। গত বছরের ২২ অক্টোবর বদলি নিয়ে প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সে কর্মশালার পরামর্শের আলোকে বদলির খসড়া তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয়। খসড়া নিয়ে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাসূত্রে জানা যায়, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শূন্য পদে বদলির সুযোগ রাখলে আইনি জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে বলে মত দেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তাদের যুক্তি, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে বদলি শুরু করা আইন সম্মত নয়। এ ছাড়া বদলি শুরু হলে গ্রাম পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও সভায় মত দেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেয় ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি। সেই হিসেবে মাউশি তাদের বদলি করার ক্ষমতা কীভাবে রাখে। আর সে ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালার পরিবর্তন প্রয়োজন। এসব কারণে কোনো কিছুই চূড়ান্ত না হয়ে সভাটি মুলতবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আরও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আপাতত শুরু হচ্ছে না বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম। আইনগত জটিলতার কারণে বিষয়টি আরও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষক বদলি নীতিমালা ২০২৪ ’–এর খসড়া চূড়ান্ত হয়নি। সভায় বদলি কার্যক্রম আপাতত বাস্তবায়ন না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ওই সভার সভাপতিত্ব করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম বলেন, গত রোববারের সভায় খসড়া নীতিমালাটি চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আরও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৬৪ টি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজ ২০ হাজার ৪৩৭টি, বাকিগুলো কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন সাড়ে ৫ লাখের মতো। বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা নেই। এক প্রতিষ্ঠানে চাকরি শুরু করে সেখান থেকেই অবসর নিতে হয় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের।
২০১৫ সালের আগে পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পেতেন শিক্ষকেরা। তবে ২০১৫ সালের পর নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা পায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। শিক্ষকদের নানা সমস্যার কথা বিবেচনা করে ২০২৩ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। গত বছরের ২২ অক্টোবর বদলি নিয়ে প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সে কর্মশালার পরামর্শের আলোকে বদলির খসড়া তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয়। খসড়া নিয়ে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাসূত্রে জানা যায়, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শূন্য পদে বদলির সুযোগ রাখলে আইনি জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে বলে মত দেন শিক্ষা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। তাদের যুক্তি, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডি। তাই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মাধ্যমে বদলি শুরু করা আইন সম্মত নয়। এ ছাড়া বদলি শুরু হলে গ্রাম পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও সভায় মত দেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে মাউশি পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেয় ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি। সেই হিসেবে মাউশি তাদের বদলি করার ক্ষমতা কীভাবে রাখে। আর সে ক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালার পরিবর্তন প্রয়োজন। এসব কারণে কোনো কিছুই চূড়ান্ত না হয়ে সভাটি মুলতবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ বিষয়ে আরও পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকার কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি। এসব যানের ভাড়া ঠিক করছেন পরিবহনের মালিকেরা। দূরপাল্লার এসি বাসে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ। এ অবস্থায় এসি বাস ও পণ্যবাহী যানের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে...
২ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জাতীয় সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতামত গ্রহণ এবং কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন শেষে দু-এক দিনের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত...
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
৩ ঘণ্টা আগেভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এখনো বাড়ছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন গ্রাম। কয়েকটি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ভাঙন দেখা দিয়েছে নদীতীরে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে। পানিতে তলিয়ে আছে খেতের ফসল। কোমরপানি বসতঘরেও। মাচা পেতে চলছে রান্নার কাজ...
৪ ঘণ্টা আগে