নিজস্ব প্রতিনিধি
ঢাকা: নিখোঁজ হওয়ার নয় দিন পর সন্ধান মিলেছে ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান ও তাঁর তিন সফরসঙ্গীর। আবু ত্ব-হার স্ত্রী সাবিকুন নাহার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, উনি ফিরেছেন। শুধু ত্ব-হা নয়, তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি তিনজনও ফিরেছেন। দুপুরের দিকে তাঁরা ফিরে এসেছেন। তিনি এখন রংপুরে ওনার মায়ের কাছে আছেন। রংপুরের আশপাশে কোথাও তাঁদের পাওয়া গেছে।
রংপুর যাবেন কি–না জানতে চাইলে সাবিকুন নাহার বলেন, না, আমি এখন রংপুর যাচ্ছি না। আমাদের আইনজীবী এই মুহূর্তে আমাকে যেতে নিষেধ করেছেন। এখন বের হওয়াটা আমার জন্য নিরাপদ নয়।
তাঁরা কোথায় ছিলেন, কারা তাঁদের নিয়ে গিয়েছিল– জানতে চাইলে সাবিকুন নাহার বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি আর কিছু জানাতে পারবো না। একটু বোঝার চেষ্টা করেন। কাউকে কিছু বলার জন্য আমাকে নিষেধ করা হয়েছে।’
শুক্রবার ৩ টার দিকে নগরীর মাস্টারপাড়া থেকে আদনানকে উদ্ধার করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর তিন সঙ্গীকে নিজ নিজ বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
আদনানের উদ্ধারের বিষয়টা নিশ্চিত করে রংপুরের কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি আব্দুর রশীদ জানান, তাঁর নিখোঁজ তিন সঙ্গীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদেরকেও ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
আদনানের মায়ের নাম আজেদা বেগম। বাবা মৃত রফিকুল ইসলাম। ছোট বোন রিতিকা রুবাইয়াত ইসলাম। আদনানের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী আবিদা নুর, তাঁদের সংসারে তিন বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। কয়েক মাস আগে আদনান আরেকটি বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন্নাহার সারা ঢাকার মিরপুর আল ইদফান ইসলামী গার্লস মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক।
গত ১০ জুন রংপুরে ওয়াজ মাহফিল শেষে ঢাকার বাসায় ফেরার পথে আবু ত্ব–হা মুহাম্মদ আদনান নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। তাঁর সঙ্গে থাকা আরও তিনজনের খোঁজও মিলছিল না। আবু ত্ব-হার পরিবারের পক্ষ থেকে পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে পুলিশ জানায়, তাঁর শেষ অবস্থান ছিল গাবতলী। এ নিয়ে গত বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁর স্ত্রী। পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে আজ জুম্মার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমে মানববন্ধন করেছে সচেতন যুব সমাজ। এ সময় আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানসহ নিখোঁজ চারজনের দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ধান দাবি করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটা স্বাধীন দেশে সবাই সবার মত প্রকাশ করতে পারে। কারও মত প্রকাশ করার জন্য এমন নির্যাতন হতে পারে না। আলেম সমাজের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অনুচিত।
বক্তারা আরও বলেন, গত তেরো বছরে ছয় শ মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন ইসলামি চিন্তাবিদদের গুম করা হচ্ছে, মামলা দেওয়া হচ্ছে। গুমের এই তালিকায় আদনানসহ আরও চারজন যোগ হলেন। এই তালিকা আর যেন লম্বা না হয়। আমাদের একটাই দাবি, যদি সে কোনো অন্যায় করে থাকে তবে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক কিন্তু এমন গুম আমরা মেনে নেব না।
আরও পড়ুন:
ঢাকা: নিখোঁজ হওয়ার নয় দিন পর সন্ধান মিলেছে ইসলামি বক্তা আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান ও তাঁর তিন সফরসঙ্গীর। আবু ত্ব-হার স্ত্রী সাবিকুন নাহার আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, উনি ফিরেছেন। শুধু ত্ব-হা নয়, তাঁর সঙ্গে থাকা বাকি তিনজনও ফিরেছেন। দুপুরের দিকে তাঁরা ফিরে এসেছেন। তিনি এখন রংপুরে ওনার মায়ের কাছে আছেন। রংপুরের আশপাশে কোথাও তাঁদের পাওয়া গেছে।
রংপুর যাবেন কি–না জানতে চাইলে সাবিকুন নাহার বলেন, না, আমি এখন রংপুর যাচ্ছি না। আমাদের আইনজীবী এই মুহূর্তে আমাকে যেতে নিষেধ করেছেন। এখন বের হওয়াটা আমার জন্য নিরাপদ নয়।
তাঁরা কোথায় ছিলেন, কারা তাঁদের নিয়ে গিয়েছিল– জানতে চাইলে সাবিকুন নাহার বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি আর কিছু জানাতে পারবো না। একটু বোঝার চেষ্টা করেন। কাউকে কিছু বলার জন্য আমাকে নিষেধ করা হয়েছে।’
শুক্রবার ৩ টার দিকে নগরীর মাস্টারপাড়া থেকে আদনানকে উদ্ধার করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তাঁর তিন সঙ্গীকে নিজ নিজ বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
আদনানের উদ্ধারের বিষয়টা নিশ্চিত করে রংপুরের কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি আব্দুর রশীদ জানান, তাঁর নিখোঁজ তিন সঙ্গীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদেরকেও ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
আদনানের মায়ের নাম আজেদা বেগম। বাবা মৃত রফিকুল ইসলাম। ছোট বোন রিতিকা রুবাইয়াত ইসলাম। আদনানের দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী আবিদা নুর, তাঁদের সংসারে তিন বছরের একটি মেয়ে ও দেড় বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। কয়েক মাস আগে আদনান আরেকটি বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিকুন্নাহার সারা ঢাকার মিরপুর আল ইদফান ইসলামী গার্লস মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক।
গত ১০ জুন রংপুরে ওয়াজ মাহফিল শেষে ঢাকার বাসায় ফেরার পথে আবু ত্ব–হা মুহাম্মদ আদনান নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। তাঁর সঙ্গে থাকা আরও তিনজনের খোঁজও মিলছিল না। আবু ত্ব-হার পরিবারের পক্ষ থেকে পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরে পুলিশ জানায়, তাঁর শেষ অবস্থান ছিল গাবতলী। এ নিয়ে গত বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁর স্ত্রী। পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে আজ জুম্মার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররমে মানববন্ধন করেছে সচেতন যুব সমাজ। এ সময় আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনানসহ নিখোঁজ চারজনের দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ধান দাবি করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একটা স্বাধীন দেশে সবাই সবার মত প্রকাশ করতে পারে। কারও মত প্রকাশ করার জন্য এমন নির্যাতন হতে পারে না। আলেম সমাজের ওপর যে অত্যাচার হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অনুচিত।
বক্তারা আরও বলেন, গত তেরো বছরে ছয় শ মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন ইসলামি চিন্তাবিদদের গুম করা হচ্ছে, মামলা দেওয়া হচ্ছে। গুমের এই তালিকায় আদনানসহ আরও চারজন যোগ হলেন। এই তালিকা আর যেন লম্বা না হয়। আমাদের একটাই দাবি, যদি সে কোনো অন্যায় করে থাকে তবে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক কিন্তু এমন গুম আমরা মেনে নেব না।
আরও পড়ুন:
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
৭ ঘণ্টা আগেশীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকার কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি। এসব যানের ভাড়া ঠিক করছেন পরিবহনের মালিকেরা। দূরপাল্লার এসি বাসে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ। এ অবস্থায় এসি বাস ও পণ্যবাহী যানের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জাতীয় সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতামত গ্রহণ এবং কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন শেষে দু-এক দিনের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত...
১৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
১৫ ঘণ্টা আগে