Ajker Patrika

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস চালু প্রক্রিয়াধীন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস আজ বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস আজ বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অফিস চালু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস আজ বুধবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আলোচনায় এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অফিস চালু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি সইয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কর্তৃপক্ষের একটি ইউনিট ঢাকায় আগে থেকে কাজ করছে। এখন তারা লোকবল বাড়াতে চায়। একটি ছোট অফিস করতে চায়। এ বিষয়ে একটি চুক্তির খসড়া নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে।

বাংলাদেশে গত জুলাই ও আগস্টে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা বলা আছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, নারী-পুরুষ ও জাতিসত্তা নির্বিশেষে সমাজের সব অংশের নাগরিকের ভোট দিতে পারা উচিত। জাতিসংঘের বিবেচনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক বলতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের প্রত্যেকের ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকা দরকার।

অন্তর্ভুক্তিমূলক বলতে নির্বাচনে দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি জাতিসংঘ বিবেচনায় নেয় কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দল নয়, জনসমাজের সব অংশের প্রত্যেকের নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়ে থাকে।

করিডর নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি

গোয়েন লুইস অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, রাখাইনে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য করিডর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের আনুষ্ঠানিক সম্মতি প্রয়োজন। আইনি বিষয় হওয়ায় এ বিষয়ে দুই দেশ ও সংশ্লিষ্ট অন্য পক্ষের মধ্যে চুক্তি হতে হবে। চুক্তি হলে জাতিসংঘ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে রাখাইনের সঙ্গে মানবিক করিডরের বিষয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আলোচনা হয়নি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে রাখাইনে অভাব-অনটনের কারণে ত্রাণ পৌঁছাতে ‘মানবিক করিডর’ চালুর কথা সাংবাদিকদের জানান। সশস্ত্র বাহিনীসহ বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি উঠলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেন, করিডর নয়, ‘মানবিক চ্যানেল’ চালু করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত