নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অতীতে গঠিত সব নির্বাচন কমিশনের বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে এ বিলে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ সংসদে উত্থাপন করা হয়। পরে বিলটি সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
২০১২ এবং ২০১৭ সালে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি ইসি নিয়োগ করেছিলেন, সে প্রক্রিয়াই আইনের অধীনে আনা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রস্তাবিত এই আইনে।
ইসি নিয়োগের আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বিলে বলেছেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে, গণতন্ত্র সুসংহত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে এবং জনস্বার্থ সমুন্নত হবে বলে আশা করা যায়।
বিলে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এর আগে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি এবং তাদের সম্পাদিত কার্যাবলি এবং অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া ওই বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
বিলটির উত্থাপনের জন্য আইনমন্ত্রী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি চাইলে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ খসড়া আইনটিকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করেন। যদিও এমপি হারুনের আপত্তি সংসদের ভোটে টেকেনি। তাঁর বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অন্য কিছু না পেয়ে ওনারা এইটা নাই, ওইটা নাই বলে নাচ-গান শুরু করেছেন।’
বিলটি সংসদে ওঠানোর বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ‘যে বিলটি আইনমন্ত্রী এনেছেন, তাতে জনগণের প্রত্যাশা, রাজনৈতিক দলগুলোর এবং সুশীল সমাজের যে প্রত্যাশা, তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য একটি আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম। আজকে আইনমন্ত্রী যে বিলটি উত্থাপন করেছেন, এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলা হয়েছে-যাহা লাউ তাহা-ই কদু।’
হারুন বলেন, ‘অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে বলতে চাই—সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিগত যে দুটি নির্বাচন কমিশন, নকিব ও হুদা কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে এত প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
বিএনপি দলীয় এ সাংসদ বলেন, ‘বর্তমান সার্চ কমিটির মধ্য দিয়ে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মেয়াদ শেষ হবে। ওনাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস ও দুর্নীতির যে অভিযোগ রয়েছে তার জন্য ওনাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যে আইনটি তোলা হয়েছে তাতে ধরে নিতে পারি এর আগে সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত দুটি কমিশনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে। এখানে নতুনত্ব কিছু নেই। এর আগে যে কমিশন গঠিত হয়েছে তার অনুরূপ বিল এখানে তোলা হয়েছে।’
সার্চ কমিটির সদস্যদের তথ্য তুলে ধরে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই আইনটি প্রশ্নবিদ্ধ। এই আইন দিয়ে বর্তমান সংকটের নিরসন হবে না। সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো না। আমি দাবি করবো-আইনটি প্রত্যাহার করুন। আইনমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন এ রকম একটি আইন প্রণয়নের জন্য রাজনৈতিক দল ও সুধীসমাজের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এই কথা বলার পর তিনি কী করে এই আইনটি আনেন।’
হারুন তাঁর বক্তব্যের সময় সংসদে উত্থাপিত বিল এবং সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ থেকে পড়ে শোনান।
এর জবাব দিতে উঠে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও খসড়া আইনের বিভিন্ন ধারা পড়ে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, ওনাদের ইতিহাস বলতে হয়। নিজেরা নিজেরা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য যতরকম কারসাজি-বিচারপতি আজিজ সাহেবকে দিয়ে কমিশন গঠন, ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি, একজন ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার জন্য বিচারকদের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘এটা ওনারা কার সঙ্গে আলোচনা করে করেছিলেন? ওনারা এখানে বসে নিজেরা নিজেরা করে ফেলেছিলেন। ওনারা কারও সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন মনে করেননি। কারচুপি করে ক্ষমতায় আসার জন্য ওনারা নিরবচ্ছিন্ন ইলেকশন করতে চেয়েছিলেন। মানে কারচুপি করে ক্ষমতায় আসার জন্য।’
খসড়া আইনে সার্চ কমিটি (অনুসন্ধান কমিটি) সিইসি ও কমিশনারদের প্রতি পদের জন্য দুই জন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। কমিটির গঠনের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে দেবে বলে খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
বিলে বলা আছে সার্চ কমিটি সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যদের অনুসন্ধানের জন্য রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে নাম আহ্বান করতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন। কমিটির সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক। সদস্য হিসেবে থাকবেন-প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুই জন বিশিষ্ট নাগরিক। তিনজন সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির সভার কোরাম হবে বলে প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। আর কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে কাউকে সুপারিশের ক্ষেত্রে তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে বলে বিলে বলা হয়েছে। তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে; ন্যূনতম ৫০ বছর বয়স হতে হবে; কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তাঁর অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
প্রস্তাবিত আইনে সিইসি ও কমিশনার পদের জন্য ছয়টি অযোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে—আদালত অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা করলে; দেউলিয়া হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে; কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলে কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে; নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে; ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট-১৯৭৩ বা বাংলাদেশ কোলাবরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনালস) অর্ডার-১৯৭২-এর অধীনে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে; আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না, এমন পদ ব্যতীত প্রজাতন্ত্রের কর্মে লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অতীতে গঠিত সব নির্বাচন কমিশনের বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে এ বিলে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ সংসদে উত্থাপন করা হয়। পরে বিলটি সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
২০১২ এবং ২০১৭ সালে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি ইসি নিয়োগ করেছিলেন, সে প্রক্রিয়াই আইনের অধীনে আনা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রস্তাবিত এই আইনে।
ইসি নিয়োগের আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বিলে বলেছেন, প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে, গণতন্ত্র সুসংহত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে এবং জনস্বার্থ সমুন্নত হবে বলে আশা করা যায়।
বিলে বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক এর আগে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি এবং তাদের সম্পাদিত কার্যাবলি এবং অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ ছিল বলে গণ্য হবে। এ ছাড়া ওই বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
বিলটির উত্থাপনের জন্য আইনমন্ত্রী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি চাইলে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ খসড়া আইনটিকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে এর বিরোধিতা করেন। যদিও এমপি হারুনের আপত্তি সংসদের ভোটে টেকেনি। তাঁর বক্তব্যের পাল্টা জবাব দেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অন্য কিছু না পেয়ে ওনারা এইটা নাই, ওইটা নাই বলে নাচ-গান শুরু করেছেন।’
বিলটি সংসদে ওঠানোর বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ‘যে বিলটি আইনমন্ত্রী এনেছেন, তাতে জনগণের প্রত্যাশা, রাজনৈতিক দলগুলোর এবং সুশীল সমাজের যে প্রত্যাশা, তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য একটি আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম। আজকে আইনমন্ত্রী যে বিলটি উত্থাপন করেছেন, এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলা হয়েছে-যাহা লাউ তাহা-ই কদু।’
হারুন বলেন, ‘অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে বলতে চাই—সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিগত যে দুটি নির্বাচন কমিশন, নকিব ও হুদা কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে এত প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।’
বিএনপি দলীয় এ সাংসদ বলেন, ‘বর্তমান সার্চ কমিটির মধ্য দিয়ে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মেয়াদ শেষ হবে। ওনাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস ও দুর্নীতির যে অভিযোগ রয়েছে তার জন্য ওনাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যে আইনটি তোলা হয়েছে তাতে ধরে নিতে পারি এর আগে সার্চ কমিটির মাধ্যমে গঠিত দুটি কমিশনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আনা হয়েছে। এখানে নতুনত্ব কিছু নেই। এর আগে যে কমিশন গঠিত হয়েছে তার অনুরূপ বিল এখানে তোলা হয়েছে।’
সার্চ কমিটির সদস্যদের তথ্য তুলে ধরে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘এই আইনটি প্রশ্নবিদ্ধ। এই আইন দিয়ে বর্তমান সংকটের নিরসন হবে না। সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো না। আমি দাবি করবো-আইনটি প্রত্যাহার করুন। আইনমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন এ রকম একটি আইন প্রণয়নের জন্য রাজনৈতিক দল ও সুধীসমাজের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এই কথা বলার পর তিনি কী করে এই আইনটি আনেন।’
হারুন তাঁর বক্তব্যের সময় সংসদে উত্থাপিত বিল এবং সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ থেকে পড়ে শোনান।
এর জবাব দিতে উঠে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও খসড়া আইনের বিভিন্ন ধারা পড়ে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে, ওনাদের ইতিহাস বলতে হয়। নিজেরা নিজেরা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য যতরকম কারসাজি-বিচারপতি আজিজ সাহেবকে দিয়ে কমিশন গঠন, ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়া ভোটার তৈরি, একজন ব্যক্তিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার জন্য বিচারকদের বয়স ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘এটা ওনারা কার সঙ্গে আলোচনা করে করেছিলেন? ওনারা এখানে বসে নিজেরা নিজেরা করে ফেলেছিলেন। ওনারা কারও সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন মনে করেননি। কারচুপি করে ক্ষমতায় আসার জন্য ওনারা নিরবচ্ছিন্ন ইলেকশন করতে চেয়েছিলেন। মানে কারচুপি করে ক্ষমতায় আসার জন্য।’
খসড়া আইনে সার্চ কমিটি (অনুসন্ধান কমিটি) সিইসি ও কমিশনারদের প্রতি পদের জন্য দুই জন করে ব্যক্তির নাম সুপারিশ করবে। কমিটির গঠনের ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে দেবে বলে খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে।
বিলে বলা আছে সার্চ কমিটি সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদে যোগ্যদের অনুসন্ধানের জন্য রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবী সংগঠনের কাছ থেকে নাম আহ্বান করতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন। কমিটির সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক। সদস্য হিসেবে থাকবেন-প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুই জন বিশিষ্ট নাগরিক। তিনজন সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির সভার কোরাম হবে বলে প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে। আর কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার পদে কাউকে সুপারিশের ক্ষেত্রে তিনটি যোগ্যতা থাকতে হবে বলে বিলে বলা হয়েছে। তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে; ন্যূনতম ৫০ বছর বয়স হতে হবে; কোনো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বিচার বিভাগীয়, আধা সরকারি বা বেসরকারি পদে তাঁর অন্যূন ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
প্রস্তাবিত আইনে সিইসি ও কমিশনার পদের জন্য ছয়টি অযোগ্যতার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে—আদালত অপ্রকৃতিস্থ ঘোষণা করলে; দেউলিয়া হওয়ার পর দায় থেকে অব্যাহতি না পেলে; কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলে কিংবা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করলে; নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে; ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট-১৯৭৩ বা বাংলাদেশ কোলাবরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনালস) অর্ডার-১৯৭২-এর অধীনে কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হলে; আইনের দ্বারা পদাধিকারীকে অযোগ্য ঘোষণা করছে না, এমন পদ ব্যতীত প্রজাতন্ত্রের কর্মে লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে।
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে মামলা লড়তে আবেদন করেছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সেই আবেদন খারিজ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, ‘আপনি ট্রেন মিস করেছেন।’
২৪ মিনিট আগেসচিবালয়ের ভেতরে মিছিল, সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। যদিও সরকারি কর্মচারীরা দলবদ্ধভাবে আন্দোলনে অংশ নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
৩১ মিনিট আগেদেশে গত জুলাই মাসে ৫০৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২০ জন নিহত এবং ১৩৫৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৬২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬৯ জন এবং আহত হয়েছেন ১৪৪ জন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, নিহতের ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং আহতের ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগেমাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্থগিত হওয়া জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপনের নতুন সূচি ঘোষণা করেছে সরকার। ১৮ থেকে ২৪ আগস্ট সারা দেশে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদ্যাপন করা কবে। এর লক্ষ্য, দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি, সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবহারে জনসচেতনতা তৈরি করা।
১ ঘণ্টা আগে