নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রস্তাবিত জুলাই সনদ ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিনের সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তব্য রাখেন সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা হাসান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি সোহরাব হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান, জুলাই শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন ও সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
জুলাই সনদের প্রণয়নের সার্থকতা নির্ভর করবে বাস্তবায়নের ওপর জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সনদটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা রয়েছে। নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে এবং পরবর্তী সংসদে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হবে এমন মনোভাব পোষণ করলে রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি মনে করি, সংস্কারের ব্যাপারে ব্যাপক জনমত রয়েছে, যা সুজনের জনমত জরিপ থেকেও অনুধাবন করা যায়। তাই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি শুধু নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে এবং সংস্কার বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তাদের তার পরিণাম ভোগ করতে হবে।’
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, মৌলিক অধিকারের মধ্যে যুক্ত হওয়া নতুন বিষয়গুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা স্পষ্ট নয়। আইন প্রণয়নের ব্যাপারে শুধু মতামত নেওয়ার এত খরচ করে উচ্চকক্ষ তৈরি করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’
সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে চৌধুরী বলেন, গণভোটের মাধ্যমেই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায়। এ ছাড়া প্রোক্লোমেশন করে পরবর্তী সংসদে সনদ পাশ করা যেতে পারে।
জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে পাঁচ দফায় আলোচনায় হয়েছে বলে জানান মনির হায়দার। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রথম সংবিধান ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ব্যাপারে দলগুলো একমত না হওয়ায় কমিশন রাজনৈতিক দল কর্তৃক এক-তৃতীয়াংশ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব আনে। কিন্তু তাতেও দলগুলো সম্মত হয়নি। এখন অনেকেই এ বিষয়ে কমিশনকে দোষারোপ করছেন। আমরা দেখিনি কোনো নারীনেত্রী তাদের দাবি আদায়ে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ঘেরাও করতে কিংবা এ ব্যাপারে কোনো শক্ত দাবি তুলে ধরতে।’ সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে এখন যেটা হয়েছে সেটা মন্দের ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মনির হায়দার বলেন, ঐকমত্য কমিশন বিগত ছয় মাসে যা অর্জন করেছে তাতে হতাশ করার কারণ নেই। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অন্যান্য দেশে এসব অর্জন করতে সময় লেগেছে গড়ে আড়াই বছর।’ কমিশন এখন দফায় দফায় জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান বলেন, ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসবে তার স্বৈরাচারী ও আধিপত্যবাদী হওয়ার সুযোগ খুব একটা কমাবে না এই সনদ। এত নোট অব ডিসেন্ট-সহ জুলাই সনদ কীভাবে গণভোটে দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।’
রাজনৈতিক দলগুলো যদি নোট অব ডিসেন্টের ক্ষেত্রে ছাড় না দেয়, তাহলে সনদটি অর্থবহ পরিবর্তন আনবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোহরাব হাসান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় আছে, কারণ দলগুলো নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে এখন আর কোনো বিষয়ে গণভোটের সুযোগ নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করা না গেলে কোনো বাস্তবায়নই ফলপ্রসূ হবে না।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ গবেষক মির্জা হাসান বলেন, তত্ত্বগতভাবে নাগরিকেরা দেশের মালিক হলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ হয় না। যেমনটা দেখেছি সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায়। একটা কথা আছে ‘আর্ট অব দ্য পসিবল, যত দূর সম্ভব’— এমন একটা মনোভাব নিয়ে বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঐকমত্যের বিভিন্ন নিয়ে যে পরিমাণ নোট অব ডিসেন্ট এসেছে তা বেশ হতাশাজনক। এতগুলো সংস্কার একসঙ্গে গণভোটে দেওয়া একটি জটিল বিষয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় আসেনি।’
সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে ভাই মারা গেছে। তার হত্যার হুকুমদাতার বিচারকাজ চললেও এখনো জানি না কোন পুলিশের গুলিতে সে মারা গেছে। একইভাবে অন্য শহীদ পরিবাররাও বিষয়টি জানে না। তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে চলমান থাকে পরবর্তী সরকারের সময়ও, বিচার যাতে থেমে না যায়।

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রস্তাবিত জুলাই সনদ ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।
সুজনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিচারপতি এম এ মতিনের সভাপতিত্বে সংলাপে বক্তব্য রাখেন সাবেক মহাহিসাব নিরীক্ষক ও অর্থসচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, বিআইজিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা হাসান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি সোহরাব হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান, জুলাই শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের জাতীয় কমিটির সদস্য একরাম হোসেন ও সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।
জুলাই সনদের প্রণয়নের সার্থকতা নির্ভর করবে বাস্তবায়নের ওপর জানিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সনদটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা রয়েছে। নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে এবং পরবর্তী সংসদে ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা হবে এমন মনোভাব পোষণ করলে রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমি মনে করি, সংস্কারের ব্যাপারে ব্যাপক জনমত রয়েছে, যা সুজনের জনমত জরিপ থেকেও অনুধাবন করা যায়। তাই আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি শুধু নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে দায়িত্ব শেষ করে এবং সংস্কার বাস্তবায়ন না করে, তাহলে তাদের তার পরিণাম ভোগ করতে হবে।’
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, মৌলিক অধিকারের মধ্যে যুক্ত হওয়া নতুন বিষয়গুলো কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা স্পষ্ট নয়। আইন প্রণয়নের ব্যাপারে শুধু মতামত নেওয়ার এত খরচ করে উচ্চকক্ষ তৈরি করার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’
সনদ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে চৌধুরী বলেন, গণভোটের মাধ্যমেই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উপায়। এ ছাড়া প্রোক্লোমেশন করে পরবর্তী সংসদে সনদ পাশ করা যেতে পারে।
জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে পাঁচ দফায় আলোচনায় হয়েছে বলে জানান মনির হায়দার। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রথম সংবিধান ও নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ব্যাপারে দলগুলো একমত না হওয়ায় কমিশন রাজনৈতিক দল কর্তৃক এক-তৃতীয়াংশ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব আনে। কিন্তু তাতেও দলগুলো সম্মত হয়নি। এখন অনেকেই এ বিষয়ে কমিশনকে দোষারোপ করছেন। আমরা দেখিনি কোনো নারীনেত্রী তাদের দাবি আদায়ে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় ঘেরাও করতে কিংবা এ ব্যাপারে কোনো শক্ত দাবি তুলে ধরতে।’ সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে এখন যেটা হয়েছে সেটা মন্দের ভালো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মনির হায়দার বলেন, ঐকমত্য কমিশন বিগত ছয় মাসে যা অর্জন করেছে তাতে হতাশ করার কারণ নেই। আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, অন্যান্য দেশে এসব অর্জন করতে সময় লেগেছে গড়ে আড়াই বছর।’ কমিশন এখন দফায় দফায় জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ড. আসিফ মোহাম্মদ সাহান বলেন, ভবিষ্যতে যে দলই ক্ষমতায় আসবে তার স্বৈরাচারী ও আধিপত্যবাদী হওয়ার সুযোগ খুব একটা কমাবে না এই সনদ। এত নোট অব ডিসেন্ট-সহ জুলাই সনদ কীভাবে গণভোটে দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।’
রাজনৈতিক দলগুলো যদি নোট অব ডিসেন্টের ক্ষেত্রে ছাড় না দেয়, তাহলে সনদটি অর্থবহ পরিবর্তন আনবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোহরাব হাসান বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয় আছে, কারণ দলগুলো নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে এখন আর কোনো বিষয়ে গণভোটের সুযোগ নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করা না গেলে কোনো বাস্তবায়নই ফলপ্রসূ হবে না।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের জ্যেষ্ঠ গবেষক মির্জা হাসান বলেন, তত্ত্বগতভাবে নাগরিকেরা দেশের মালিক হলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ হয় না। যেমনটা দেখেছি সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায়। একটা কথা আছে ‘আর্ট অব দ্য পসিবল, যত দূর সম্ভব’— এমন একটা মনোভাব নিয়ে বর্তমানে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ঐকমত্যের বিভিন্ন নিয়ে যে পরিমাণ নোট অব ডিসেন্ট এসেছে তা বেশ হতাশাজনক। এতগুলো সংস্কার একসঙ্গে গণভোটে দেওয়া একটি জটিল বিষয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় আসেনি।’
সাবরিনা আফরোজ সেবন্তি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে ভাই মারা গেছে। তার হত্যার হুকুমদাতার বিচারকাজ চললেও এখনো জানি না কোন পুলিশের গুলিতে সে মারা গেছে। একইভাবে অন্য শহীদ পরিবাররাও বিষয়টি জানে না। তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার যাতে চলমান থাকে পরবর্তী সরকারের সময়ও, বিচার যাতে থেমে না যায়।

লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির...
১০ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২১ মিনিট আগে
বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ বৈষম্যমূলক কমিশন গঠনে সহায়ক ধারা ও প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীনতা ক্ষুণ্নের ঝুঁকি সৃষ্টিকারী দুর্বল বিধান অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা জানান।
এই অধ্যাদেশের ফলে মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে বলেও মনে করে টিআইবি।
লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির অকার্যকরতার অন্যতম কারণ।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কমিশনের সব সদস্যের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও দায়িত্ব-কর্তব্যে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এই বিধান সংশোধন করে কমিশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও কার্যকরতা আনা জরুরি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, চেয়ারপারসন ও কমিশনার বাছাইয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া এবং প্রাথমিকভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশের প্রস্তাব টিআইবি দিয়েছিল, কিন্তু তা গৃহীত হয়নি। তা ছাড়া কোনো সংস্থার আটকস্থল যদি কমিশনের নিকট আইনবহির্ভূত মনে হয়, তবে তা বন্ধের ক্ষমতা ও দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের সুপারিশও উপেক্ষিত হয়েছে, যা হতাশাজনক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মানবাধিকার সংরক্ষণের পরিপন্থী কোনো আইন সংশোধনের সুপারিশ করার ক্ষমতা কমিশনের থাকা উচিত।
টিআইবির মতে, অধ্যাদেশে ধারা ১৪-তে ‘মানবাধিকারসংক্রান্ত অন্য কোনো আইন এই আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে এই আইন প্রাধান্য পাবে’–এই অংশ যুক্ত করা হলে ভবিষ্যতে মানবাধিকার বিষয়ে আইনগত সংঘাত এড়ানো সহজ হতো।
এ ছাড়া সব অভিযোগে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক অনুসন্ধানের বিধান বাতিল করে আমলযোগ্য অভিযোগে সরাসরি তদন্তের সুযোগ রাখার প্রস্তাবও গৃহীত হয়নি।
টিআইবির আশঙ্কা, এতে অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হবে এবং ভুক্তভোগীর হয়রানি ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা সরকারি কর্মচারীকে কমিশনে প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সীমা নির্ধারণ এবং প্রেষণপ্রক্রিয়াকে যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালনার প্রস্তাবও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এমনকি কমিশনের দ্বিমতের ভিত্তিতে কোনো প্রেষণ প্রত্যাখ্যানের সুযোগের বিধান রাখার সুপারিশও বিবেচিত হয়নি।
টিআইবি মনে করে, কমিশনের আয়-ব্যয়ের বার্ষিক নিরীক্ষা সম্পন্নের পর তা ওয়েবসাইটে প্রকাশের বিধান যুক্ত করা উচিত। এসব সংস্কারই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ বৈষম্যমূলক কমিশন গঠনে সহায়ক ধারা ও প্রতিষ্ঠানটির স্বাধীনতা ক্ষুণ্নের ঝুঁকি সৃষ্টিকারী দুর্বল বিধান অব্যাহত থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে।
আজ রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা জানান।
এই অধ্যাদেশের ফলে মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে বলেও মনে করে টিআইবি।
লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির অকার্যকরতার অন্যতম কারণ।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কমিশনের সব সদস্যের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা ও দায়িত্ব-কর্তব্যে সমতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এই বিধান সংশোধন করে কমিশনের কার্যক্রমে গতিশীলতা ও কার্যকরতা আনা জরুরি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, চেয়ারপারসন ও কমিশনার বাছাইয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া এবং প্রাথমিকভাবে বাছাই করা প্রার্থীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশের প্রস্তাব টিআইবি দিয়েছিল, কিন্তু তা গৃহীত হয়নি। তা ছাড়া কোনো সংস্থার আটকস্থল যদি কমিশনের নিকট আইনবহির্ভূত মনে হয়, তবে তা বন্ধের ক্ষমতা ও দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের সুপারিশও উপেক্ষিত হয়েছে, যা হতাশাজনক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মানবাধিকার সংরক্ষণের পরিপন্থী কোনো আইন সংশোধনের সুপারিশ করার ক্ষমতা কমিশনের থাকা উচিত।
টিআইবির মতে, অধ্যাদেশে ধারা ১৪-তে ‘মানবাধিকারসংক্রান্ত অন্য কোনো আইন এই আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে এই আইন প্রাধান্য পাবে’–এই অংশ যুক্ত করা হলে ভবিষ্যতে মানবাধিকার বিষয়ে আইনগত সংঘাত এড়ানো সহজ হতো।
এ ছাড়া সব অভিযোগে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক অনুসন্ধানের বিধান বাতিল করে আমলযোগ্য অভিযোগে সরাসরি তদন্তের সুযোগ রাখার প্রস্তাবও গৃহীত হয়নি।
টিআইবির আশঙ্কা, এতে অপ্রয়োজনীয় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হবে এবং ভুক্তভোগীর হয়রানি ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা সরকারি কর্মচারীকে কমিশনে প্রেষণে নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ সীমা নির্ধারণ এবং প্রেষণপ্রক্রিয়াকে যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে পরিচালনার প্রস্তাবও অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এমনকি কমিশনের দ্বিমতের ভিত্তিতে কোনো প্রেষণ প্রত্যাখ্যানের সুযোগের বিধান রাখার সুপারিশও বিবেচিত হয়নি।
টিআইবি মনে করে, কমিশনের আয়-ব্যয়ের বার্ষিক নিরীক্ষা সম্পন্নের পর তা ওয়েবসাইটে প্রকাশের বিধান যুক্ত করা উচিত। এসব সংস্কারই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সত্যিকার অর্থে স্বাধীন ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
২৬ আগস্ট ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২১ মিনিট আগে
বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আজ রোববার পৃথক আদেশে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই নির্দেশ দেন।
অভিযোগ গঠনের আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল ইনুর কাছে জানতে চান, তিনি অভিযোগগুলো শুনতে পেয়েছেন কি না।
জবাবে ইনু জানান, তিনি কিছু শুনতে পেয়েছেন, কিছু শুনতে পাননি।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আপনি দোষ স্বীকার করবেন কি না বলুন?’
ইনু বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা দুবার বলেছেন, দেশে গায়েবি মামলা হচ্ছে। আইন উপদেষ্টাও গায়েবি মামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমি রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার, গায়েবি মামলার ঝড়ে আক্রান্ত। আমি মনে করি, আল্লাহর পর বিচার নিষ্পত্তির প্রতিনিধি আপনি। আপনি ন্যায়বিচার করবেন। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।’
পরে অভিযোগ গঠন করে ৩০ নভেম্বর এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। তাঁরা সবাই পলাতক।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, যেহেতু আসামিরা উপস্থিত নেই, তাই তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পঠিত বলে গণ্য হবে। পরে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষে দুই মামলায় আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করা হয়েছিল।
সে অনুযায়ী আজ অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। আর পলাতক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অন্য প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
চানখাঁরপুলের ঘটনায় সাক্ষ্য গ্রহণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ রোকনুজ্জামান। তিনি পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে কর্মরত রয়েছেন।
এ ছাড়া সাক্ষ্য দিয়েছেন একই সংস্থার ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের উপপরিদর্শক শাহেদ জোবায়ের লরেন্স। তাঁরা এ মামলায় উদ্ধার করা আলামত যাচাই-বাছাইয়ের বর্ণনা দেন।
পরে তাঁদের জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাঁদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আজ রোববার পৃথক আদেশে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই নির্দেশ দেন।
অভিযোগ গঠনের আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শোনান ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনাল ইনুর কাছে জানতে চান, তিনি অভিযোগগুলো শুনতে পেয়েছেন কি না।
জবাবে ইনু জানান, তিনি কিছু শুনতে পেয়েছেন, কিছু শুনতে পাননি।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আপনি দোষ স্বীকার করবেন কি না বলুন?’
ইনু বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা দুবার বলেছেন, দেশে গায়েবি মামলা হচ্ছে। আইন উপদেষ্টাও গায়েবি মামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমি রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার, গায়েবি মামলার ঝড়ে আক্রান্ত। আমি মনে করি, আল্লাহর পর বিচার নিষ্পত্তির প্রতিনিধি আপনি। আপনি ন্যায়বিচার করবেন। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।’
পরে অভিযোগ গঠন করে ৩০ নভেম্বর এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী ও কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। তাঁরা সবাই পলাতক।
ট্রাইব্যুনাল বলেন, যেহেতু আসামিরা উপস্থিত নেই, তাই তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পঠিত বলে গণ্য হবে। পরে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ২৫ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষে দুই মামলায় আদেশের জন্য আজ দিন ধার্য করা হয়েছিল।
সে অনুযায়ী আজ অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। আর পলাতক মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অন্য প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
চানখাঁরপুলের ঘটনায় সাক্ষ্য গ্রহণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ রোকনুজ্জামান। তিনি পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে কর্মরত রয়েছেন।
এ ছাড়া সাক্ষ্য দিয়েছেন একই সংস্থার ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবের উপপরিদর্শক শাহেদ জোবায়ের লরেন্স। তাঁরা এ মামলায় উদ্ধার করা আলামত যাচাই-বাছাইয়ের বর্ণনা দেন।
পরে তাঁদের জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাঁদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
২৬ আগস্ট ২০২৫
লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির...
১০ মিনিট আগে
বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
১ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিডা জানায়, নতুন কাঠামোর ফলে দায়িত্ব ও কর্তব্যে আসবে স্পষ্টতা, কাজের গতি বাড়বে এবং সেবার মান উন্নত হবে। পাশাপাশি সেবার মান মূল্যায়নের জন্য সূচকভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ‘কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটরস’ (কেপিআই)—চালু করা হয়েছে।
নতুন কাঠামোয় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাহী সদস্যপদে সরকারি কর্মকর্তার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি এবং ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন ইউনিটকে পৃথকভাবে গঠন, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ডেস্ক চালু এবং খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার নিয়োগের উদ্যোগ।
বিডার এই পুনর্গঠন সরকারের ঘোষিত ৩২ দফা বিনিয়োগ পরিবেশ সংস্কার কর্মপরিকল্পনার অংশ। এর লক্ষ্য, বাংলাদেশকে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী বিডার কার্যক্রম পরিচালিত হবে পাঁচটি মূল অনুবিভাগ বা উইংয়ের মাধ্যমে—ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি, অপারেশনস, ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। প্রতিটি ইউনিট বিনিয়োগের জীবনচক্রের নির্দিষ্ট পর্যায়ে কাজ করবে।
গত শনিবার রাজধানীর বিডা মাল্টিপারপাস হলে নতুন কাঠামো নিয়ে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, বিডা কোনো সাধারণ সরকারি দপ্তর নয়; এটি বিনিয়োগকারীকেন্দ্রিক একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ পরিবেশ দ্রুত বদলাচ্ছে—আমাদেরও সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এই কাঠামোগত সংস্কার দেশি ও বিদেশি অংশীজনদের দীর্ঘদিনের পরামর্শের ফল। এখন আমরা সেটিকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছি।
এদিকে সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় কমিটি ইতিমধ্যে দেশের সব বিনিয়োগ সংস্থা (আইপিএ) একীভূত করার রোডম্যাপ প্রণয়ন করছে। এতে বিনিয়োগকারীরা বিচ্ছিন্ন সেবার পরিবর্তে একক প্ল্যাটফর্ম থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবেন।
বিডা জানিয়েছে, নতুন কাঠামোর বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই এর বিস্তারিত তথ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিডা জানায়, নতুন কাঠামোর ফলে দায়িত্ব ও কর্তব্যে আসবে স্পষ্টতা, কাজের গতি বাড়বে এবং সেবার মান উন্নত হবে। পাশাপাশি সেবার মান মূল্যায়নের জন্য সূচকভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি ‘কি পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটরস’ (কেপিআই)—চালু করা হয়েছে।
নতুন কাঠামোয় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নির্বাহী সদস্যপদে সরকারি কর্মকর্তার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি এবং ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন ইউনিটকে পৃথকভাবে গঠন, প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ ডেস্ক চালু এবং খাতভিত্তিক বিশেষজ্ঞ ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার নিয়োগের উদ্যোগ।
বিডার এই পুনর্গঠন সরকারের ঘোষিত ৩২ দফা বিনিয়োগ পরিবেশ সংস্কার কর্মপরিকল্পনার অংশ। এর লক্ষ্য, বাংলাদেশকে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী বিডার কার্যক্রম পরিচালিত হবে পাঁচটি মূল অনুবিভাগ বা উইংয়ের মাধ্যমে—ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি, অপারেশনস, ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। প্রতিটি ইউনিট বিনিয়োগের জীবনচক্রের নির্দিষ্ট পর্যায়ে কাজ করবে।
গত শনিবার রাজধানীর বিডা মাল্টিপারপাস হলে নতুন কাঠামো নিয়ে আয়োজিত অবহিতকরণ সভায় সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, বিডা কোনো সাধারণ সরকারি দপ্তর নয়; এটি বিনিয়োগকারীকেন্দ্রিক একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগ পরিবেশ দ্রুত বদলাচ্ছে—আমাদেরও সেই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এই কাঠামোগত সংস্কার দেশি ও বিদেশি অংশীজনদের দীর্ঘদিনের পরামর্শের ফল। এখন আমরা সেটিকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছি।
এদিকে সরকারের একটি উচ্চপর্যায়ের জাতীয় কমিটি ইতিমধ্যে দেশের সব বিনিয়োগ সংস্থা (আইপিএ) একীভূত করার রোডম্যাপ প্রণয়ন করছে। এতে বিনিয়োগকারীরা বিচ্ছিন্ন সেবার পরিবর্তে একক প্ল্যাটফর্ম থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবেন।
বিডা জানিয়েছে, নতুন কাঠামোর বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই এর বিস্তারিত তথ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
২৬ আগস্ট ২০২৫
লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির...
১০ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২১ মিনিট আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি একটি নৌকা উপহার দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে। গতকাল শনিবার (১ অক্টোবর) আলজেরিয়া বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ উপহার দেন। তবে এই উপহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির লিখেছেন, ‘গত সন্ধ্যায় আলজেরিয়ার জাতীয় দিবসে, আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনোনয়নক্রমে, প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেই। অনুষ্ঠানে আমাকে পালতোলা দাঁড় পরিচালনাকারী মাঝিসহ নৌকার প্রতিকৃতি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। কূটনৈতিক সৌজন্যবশত আমি তা গ্রহণ করি। উপহারটিতে দূতাবাসের নাম লিখিত আছে। লক্ষ করুন, এটার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীকের কোনো মিল নেই।’
পরামর্শ চেয়ে তিনি লেখেন, ‘এখন আমি এটি আলজেরীয় দূতাবাসে ফেরত পাঠাতে পারি। এটা অসৌজন্যমূলক ও হীনমন্যতার শামিল হবে; সরকারি তোশাখানায় জমা দিতে পারি। যদিও এটা খুব মূল্যবান কিছু নয়; শৈলান প্রবীণ নিবাসে রাখতে পারি; অথবা নিজে রেখে দিতে পারি।’
শেষে তিনি লেখেন, ‘পাঠকের পরামর্শ পেলে উপকৃত হব।’
উপদেষ্টার ওই পোস্টে প্রায় ৬৩২টি মন্তব্য দেখা গেছে। এখানে বিভিন্নজন বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। লোকমান হাকিম নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘সবদিক বিবেচনায় সরাসরি তোশাখানায় জমা দিতে পারেন স্যার।’ ওয়াহিদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘আপনার মতো বিচক্ষণ ব্যক্তি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারদর্শী তাই অন্যের পরামর্শ প্রয়োজন নাই।’
মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘তোষাখানায় জমা দেয়াই উত্তম। আর সঙ্গে অবশ্যই আলজেরিয়ার দুতাবাস কে ভবিষ্যত এর পরিবর্তে অন্য কোনো কিছু যেমন জাতীয় স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি দেয়ার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।’
মাহবুব আলম নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘স্যার, শৈলান প্রবীণ নিবাসে রেখে দেন, আমাদের শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়র সিটিজেন রা তাদের শৈশবের নৌকা আর খাল-বিল এর স্মৃতি চারন করতে পারবে।’
সর্বশেষ এক ঘণ্টা আগে দেওয়া এক পোস্টে উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তিনি আলজেরীয় দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গে ফেসবুকে মতামতের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘গত রাতে আলজেরীয় দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রেরণ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তর থেকে এ জন্য প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দেয়া হয়েছে। আপনাদের মতামতের জন্য ধন্যবাদ।’
প্রসঙ্গত, গতকাল রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকার আলজেরিয়া দূতাবাস ১৯৫৪ সালের গৌরবময় বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদ্যাপন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে নৌকা উপহার দেন ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।

ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি একটি নৌকা উপহার দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে। গতকাল শনিবার (১ অক্টোবর) আলজেরিয়া বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ উপহার দেন। তবে এই উপহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এটিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার সঙ্গে মিলিয়ে কিছু বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তবে আজ রোববার ফেসবুকের এক পোস্টে বিষয়টি খোলাসা করেছেন উপদেষ্টা নিজেই। সেই সঙ্গে সাত ঘণ্টা আগে দেওয়া ওই পোস্টে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন, এ উপহার নিয়ে তিনি কী করবেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির লিখেছেন, ‘গত সন্ধ্যায় আলজেরিয়ার জাতীয় দিবসে, আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনোনয়নক্রমে, প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেই। অনুষ্ঠানে আমাকে পালতোলা দাঁড় পরিচালনাকারী মাঝিসহ নৌকার প্রতিকৃতি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। কূটনৈতিক সৌজন্যবশত আমি তা গ্রহণ করি। উপহারটিতে দূতাবাসের নাম লিখিত আছে। লক্ষ করুন, এটার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীকের কোনো মিল নেই।’
পরামর্শ চেয়ে তিনি লেখেন, ‘এখন আমি এটি আলজেরীয় দূতাবাসে ফেরত পাঠাতে পারি। এটা অসৌজন্যমূলক ও হীনমন্যতার শামিল হবে; সরকারি তোশাখানায় জমা দিতে পারি। যদিও এটা খুব মূল্যবান কিছু নয়; শৈলান প্রবীণ নিবাসে রাখতে পারি; অথবা নিজে রেখে দিতে পারি।’
শেষে তিনি লেখেন, ‘পাঠকের পরামর্শ পেলে উপকৃত হব।’
উপদেষ্টার ওই পোস্টে প্রায় ৬৩২টি মন্তব্য দেখা গেছে। এখানে বিভিন্নজন বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। লোকমান হাকিম নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘সবদিক বিবেচনায় সরাসরি তোশাখানায় জমা দিতে পারেন স্যার।’ ওয়াহিদ চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘আপনার মতো বিচক্ষণ ব্যক্তি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারদর্শী তাই অন্যের পরামর্শ প্রয়োজন নাই।’
মোহাম্মদ আলী ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘তোষাখানায় জমা দেয়াই উত্তম। আর সঙ্গে অবশ্যই আলজেরিয়ার দুতাবাস কে ভবিষ্যত এর পরিবর্তে অন্য কোনো কিছু যেমন জাতীয় স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি দেয়ার পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।’
মাহবুব আলম নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, ‘স্যার, শৈলান প্রবীণ নিবাসে রেখে দেন, আমাদের শ্রদ্ধাভাজন সিনিয়র সিটিজেন রা তাদের শৈশবের নৌকা আর খাল-বিল এর স্মৃতি চারন করতে পারবে।’
সর্বশেষ এক ঘণ্টা আগে দেওয়া এক পোস্টে উপদেষ্টা জানিয়েছেন, তিনি আলজেরীয় দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গে ফেসবুকে মতামতের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘গত রাতে আলজেরীয় দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত উপহারটি সরকারি তোষাখানায় সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রেরণ করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দপ্তর থেকে এ জন্য প্রাপ্তি স্বীকার পত্র দেয়া হয়েছে। আপনাদের মতামতের জন্য ধন্যবাদ।’
প্রসঙ্গত, গতকাল রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকার আলজেরিয়া দূতাবাস ১৯৫৪ সালের গৌরবময় বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদ্যাপন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে নৌকা উপহার দেন ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সংস্কারের পক্ষে জনমত তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি সংস্কারের বিষয়ে কর্ণপাত না করে, তবে এর মাশুল তাদেরই দিতে হবে। এমনকি শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়বদ্ধতা বাড়বে।’
২৬ আগস্ট ২০২৫
লিখিত বিবৃতিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সৃষ্টিলগ্নে যে মৌলিক দুর্বলতার বীজ বপন করা হয়েছিল, তা কেন অব্যাহত রাখতে হবে, তা বোধগম্য নয়। কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সাত সদস্যের মধ্যে দুজনকে খণ্ডকালীন নিয়োগের বিধান বৈষম্যমূলক এবং সদস্যদের মধ্যে মর্যাদা ও এখতিয়ারে বিভাজন তৈরি করে, যা প্রতিষ্ঠানটির...
১০ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে অপর মামলায় মাহবুব উল আলম হানিফসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২১ মিনিট আগে
বিনিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল, স্বচ্ছ ও বিনিয়োগবান্ধব করতে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিনিয়োগের প্রতিটি ধাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নতুন কাঠামো সাজানো হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা আরও দ্রুত এবং কার্যকর সেবা পান।
১ ঘণ্টা আগে