Ajker Patrika

বাংলাদেশ নিয়ে খেলা আর হতে দেওয়া যায় না: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৪, ১৮: ৪১
বাংলাদেশ নিয়ে খেলা আর হতে দেওয়া যায় না: প্রধানমন্ত্রী

মানুষ মেরে লাশ ঝুলিয়ে রাখার মতো বর্বরতা, জানোয়ারের মতো ব্যবহার—এটা কেউ করতে পারে কি না, এ বিষয়ে জাতির কাছে প্রশ্ন রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের লাশ ঝুলিয়ে রাখবে পা বেঁধে! যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, অবশ্যই তাদের বিচার হবে। না হলে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না। 

আজ রোববার কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত ৩৪ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে  সঞ্চয়পত্র এবং নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, `মানুষ কী দোষ করল যে এভাবে খুন করতে হবে। মানুষ খুন করে সরকার পতন—এটা কবে হয়, কখন হয়? সাধারণ মানুষ কী দোষ করেছে? আমি আসলে আপনাদের কী বলে সান্ত্বনা দেব? শুধু এইটুকু বলব, আমি আপনাদের মতোই একজন। বাবা-মা হারানো এতিম। কাজেই আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। আমি আছি আপনাদের জন্য, আপনাদের পাশে।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার চেষ্টা থাকবে যারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত, খুঁজে খুঁজে বের করে তারা অবশ্যই যেন শাস্তি পায়। সেটাই আমার প্রচেষ্টা থাকবে, আমি সেটাই করব। আপনাদেরও সাহায্য চাই। কারণ, এভাবে বারবার বাংলাদেশটাকে নিয়ে খেলা আর হতে দেওয়া যায় না। কাজেই আমি আপনাদের সাহায্য চাই।’ 

নিহতদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসসের সৌজন্যেতিনি বলেন, ‘এইটুকু মনে রাখবেন, আপনারা আপনজন হারানোর একটা শোক সইতে পারেন না, আর আমি কী শোক সয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কেন, এই দেশের মানুষের জন্য। কিন্তু আজকে এইভাবে বাধা দেওয়া, যা কিছু করি, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে শেষ করে দেওয়া—এটা তো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সাধারণ মানুষই সুবিধা পেত। মেট্রোরেলে কারা চড়ে, এক্সপ্রেসওয়েতে কারা চলে? মানুষের কাজ করাটাই আমার কাজ।’ 

নিহতদের স্বজনদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের কাছে শুধু এইটুকু বলব, আপনারা সবুর করেন আর আল্লাহকে ডাকেন, যেন এই সমস্ত খুনি-জালেমের হাত থেকে আমাদের দেশটা রেহাই পায়। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি, পাশে আছি। আজকে যদি ভালো সময় হতো, কত হাসিখুশি করে সবাই যেতে পারতেন। এখন আপনাদের চোখের পানি দেখতে হচ্ছে। এটিই সবচেয়ে কষ্টের। স্বজন হারানোর ব্যথা ভোলার নয়, সেটা আমি জানি। তবু আল্লাহ আপনাদের সবুর দিক, সেটা আমি চাই।’ 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তো বুঝি আপনাদের বেদনা। প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই-বোনদের হারানোর ব্যথা নিয়ে আমাদের চলতে হয়। এমনকি লাশটাও দেখতে পারিনি, কাফন-দাফনটাও করতে পারিনি। দেশেও ফিরতে পারিনি, ছয় বছর দেশে ফিরতে দেয়নি আমাকে। যখন দেশে এসেছি, সারা দেশ ঘুরেছি। এই দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছি। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে, এই সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাবে—এটা তো কাম্য না।’ 

এ সময় গণভবনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিক্ষোভ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ বুধবার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ বুধবার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ছবি: ফোকাস বাংলা

দেশের সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়কে এমপিওভুক্ত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা। এ সময় দাবি মানা না হলে আগামী রোববার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে আজ বুধবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে পরিষদের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন এর সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি, এমপিওভুক্তি ও প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে; বিশেষ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষা ভাতা তিন হাজার টাকা নিশ্চিত করা; শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ ও খেলাধুলার সরঞ্জাম প্রদান; থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করা; ছাত্রছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ব্যক্তিদের কোটা অনুযায়ী চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে।

কর্মসূচিতে ইলিয়াস রাজ বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবি সরকারকে মেনে নিতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরব না।’

পরিষদের নেতারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রায় ৯ শতাংশ জনগণ কোনো না কোনোভাবে প্রতিবন্ধী। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রেখে দেশের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিশুদের মা-বাবার পরেই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তাদের মানসিক উন্নয়নে কাজ করেন।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিমা খাতুন জানান, ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু করে। এতে ২ হাজার ৭৪১টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে, যার মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৭৭২টি আবেদন গৃহীত হয়। পরে অফলাইনে আরও প্রায় ২০০টি আবেদন নেওয়া হয়। এরপর বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯ অনুযায়ী জাতীয় স্বীকৃতি ও এমপিও কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক, খ, গ–এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করে কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু তা অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। এর ফলে প্রায় ৬৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছেন এবং শিক্ষা কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাপানে ১ কোটি শ্রমবাজারের সুযোগ কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিকবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ওয়াতানাবে ইয়োইচির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত
জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিকবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ওয়াতানাবে ইয়োইচির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তিকে জাপানের শ্রমবাজারে আরও বেশি অন্তর্ভুক্ত করতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।

আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) টোকিওতে জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিকবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ওয়াতানাবে ইয়োইচির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে সিনিয়র সচিব বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং বিশেষ করে, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে জাপান সরকারের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে—বাংলাদেশ এই বিশাল সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে চায়।

সিনিয়র সচিব জানান, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে দুটি সহযোগিতা স্মারক ও দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। একই সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি বিশেষ ‘জাপান সেল’ গঠন করা হয়েছে, যা জাপানি ভাষা ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্প্রসারণে কাজ করছে।

সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা স্পেসিফায়েড স্কিল্ড ওয়ার্কার (এসএসডব্লিউ) কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশে পাঁচটি ক্ষেত্রে দক্ষতা পরীক্ষা চালু করায় জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন, খাদ্য পরিবেশন শিল্প, বনশিল্পসহ আরও কিছু ক্ষেত্রে এই পরীক্ষার পরিধি বাড়ানোর অনুরোধ জানান।

ভাইস মিনিস্টার ওয়াতানাবে ইয়োইচি এ প্রস্তাবে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাস নতুন খাত অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে।

সাক্ষাৎ শেষে সিনিয়র সচিব ভাইস মিনিস্টারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যাতে দক্ষতা উন্নয়ন ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানে দুই দেশের সহযোগিতা আরও জোরদার হয়।

পরে ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জাপানের শীর্ষ জনশক্তি গ্রহণকারী সংস্থা আইএম জাপান অফিস পরিদর্শন করেন এবং সংস্থার প্রধান নির্বাহী কানামোরি হিতোশির সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠকে জানানো হয়, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ থেকে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেইনি ও এসএসডব্লিউ কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে অন্তত ৩০০ জনে উন্নীত করা হবে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিনিয়র সচিব টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের অডিটরিয়ামে আয়োজিত বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৮
খুরশীদ আলম সরকার। ছবি: সংগৃহীত
খুরশীদ আলম সরকার। ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি সংবিধানের পুনর্বহাল করা অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা (৬)-এর বিধান অনুযায়ী তাঁকে অপসারণ করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্তে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার তাঁর পদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে অযোগ্য হয়ে পড়েছেন বিধায় রাষ্ট্রপতি সংবিধানের পুনর্বহাল করা অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা (৬)-এর বিধান অনুযায়ী তাঁকে অপসারণ করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনলাইন জুয়ার প্রচার বন্ধে মেটা, গুগল, টিকটককে বিটিআরসির চিঠি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অনলাইন জুয়ার প্রচার বন্ধে মেটা, গুগল, টিকটককে বিটিআরসির চিঠি

অনলাইন জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফিসংশ্লিষ্ট কনটেন্ট ও বিজ্ঞাপন অপসারণের অনুরোধ জানিয়ে মেটা, গুগল ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে ই-মেইল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

গত সোমবার মেটা, গুগল ও টিকটকের প্রতিনিধিদের কাছে এই ই-মেইলগুলো পাঠানো হয়।

ই-মেইলে বলা হয়, ‘আমাদের নজরে এসেছে, আপনাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের জুয়া, অনলাইন বেটিং ও পর্নোগ্রাফি-সংক্রান্ত কনটেন্ট ও বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে। এ ধরনের কনটেন্ট বাংলাদেশে অবৈধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব কনটেন্টের প্রচার ও উপস্থিতি আইনি ও সামাজিক দিক থেকে গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।’

ই-মেইলে দ্য পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট-১৮৬৭, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ অনুচ্ছেদ, সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ২০ ধারা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রচলিত এসব আইন অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যমে জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফিক সামগ্রী প্রচারকে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছে। এ ধরনের কনটেন্ট ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এগুলো তরুণ প্রজন্মের নৈতিক অবক্ষয়, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের অবনতি, আর্থিক ও মানসিক সংকট এবং পারিবারিক ও সামাজিক দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে তোলে। কিছু ক্ষেত্রে মানসিক চাপ ও আসক্তির কারণে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে।

অনুরোধ জানিয়ে বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে বলেছে, দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে যেন বাংলাদেশে প্রবেশযোগ্য সব ধরনের জুয়া, অনলাইন বেটিং এবং পর্নোগ্রাফি-সংক্রান্ত কনটেন্ট ও বিজ্ঞাপন শনাক্ত, সীমিত ও অপসারণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত