নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর যখন পুরো দেশ শোক আর আতঙ্কে স্তব্ধ, তখন রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে দেখা গেল এক অনন্য মানবিক দৃশ্য—হাজারো মানুষের রক্তদানে ঝাঁপিয়ে পড়া।
বিশেষ করে, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ছিল অভাবনীয় ভিড়। আহত ব্যক্তিদের রক্তের প্রয়োজন মেটাতে সেখানে তৈরি হয় এক স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশ। হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে শুধু ব্যস্ততা আর ছোটাছুটি।
রক্তের জন্য হাহাকার চলছিল, এরই মধ্যে হাতে হ্যান্ডমাইক নিয়ে একজন তরুণ চিৎকার করে বলছিলেন, ‘আপনারা যাঁরা রক্ত দিতে চান, দয়া করে লাইন ধরে আসুন। আমাদের ভাই-বোনদের অনেক রক্ত দরকার।’
তাঁর নাম ফারদিন তাহের রাহুল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বন্ধুদের নিয়ে ছুটে এসেছেন হাসপাতালে। কেউ হাসপাতালে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন রক্তদাতা, কেউ বাইরে থেকে রক্ত সংগ্রহ করছেন—একটি নিঃশব্দ যুদ্ধ চলছে যেন—জীবন বাঁচানোর লড়াই।
একই চিত্র দেখা গেছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনেও। শত শত মানুষ সেখানে এসেছেন স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে। সেখানেও মাইকিং করে বলা হচ্ছিল, ‘আজকের মতো রক্তের চাহিদা মেটানো গেছে। কিন্তু দয়া করে আপনার নাম, ফোন নম্বর ও রক্তের গ্রুপ দিয়ে যান। পরের দিনগুলোতেও আমাদের আপনাদের দরকার হবে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনেও দাঁড়িয়ে ছিলেন এক তরুণ, হাতে ছোট প্ল্যাকার্ড—‘নেগেটিভ রক্ত লাগবে’। তাঁর নাম রনি। কোনো আত্মীয় হাসপাতালে নেই। শুধু মানুষের ডাকে সাড়া দিতে এসেছেন।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দেশটা আমাদের। এমন সময়ে যদি আমরা পাশে না দাঁড়াই, তাহলে কবে?’
এই স্বেচ্ছাসেবকদের পাশে রয়েছেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের কর্মী, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকেরা। সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন রক্তদানের জন্য আসা মানুষদের সমন্বয়ে। এই দৃশ্যই প্রমাণ করে—সংকটে দেশের তরুণেরাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় ভরসা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় দগ্ধ ও আহত দেড় শতাধিক রোগীকে ভর্তি করানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সিএমএইচ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, বার্ন ইনস্টিটিউট, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক ও উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে।
আরও খবর পড়ুন:
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর যখন পুরো দেশ শোক আর আতঙ্কে স্তব্ধ, তখন রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে দেখা গেল এক অনন্য মানবিক দৃশ্য—হাজারো মানুষের রক্তদানে ঝাঁপিয়ে পড়া।
বিশেষ করে, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ছিল অভাবনীয় ভিড়। আহত ব্যক্তিদের রক্তের প্রয়োজন মেটাতে সেখানে তৈরি হয় এক স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশ। হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে শুধু ব্যস্ততা আর ছোটাছুটি।
রক্তের জন্য হাহাকার চলছিল, এরই মধ্যে হাতে হ্যান্ডমাইক নিয়ে একজন তরুণ চিৎকার করে বলছিলেন, ‘আপনারা যাঁরা রক্ত দিতে চান, দয়া করে লাইন ধরে আসুন। আমাদের ভাই-বোনদের অনেক রক্ত দরকার।’
তাঁর নাম ফারদিন তাহের রাহুল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বন্ধুদের নিয়ে ছুটে এসেছেন হাসপাতালে। কেউ হাসপাতালে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন রক্তদাতা, কেউ বাইরে থেকে রক্ত সংগ্রহ করছেন—একটি নিঃশব্দ যুদ্ধ চলছে যেন—জীবন বাঁচানোর লড়াই।
একই চিত্র দেখা গেছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনেও। শত শত মানুষ সেখানে এসেছেন স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে। সেখানেও মাইকিং করে বলা হচ্ছিল, ‘আজকের মতো রক্তের চাহিদা মেটানো গেছে। কিন্তু দয়া করে আপনার নাম, ফোন নম্বর ও রক্তের গ্রুপ দিয়ে যান। পরের দিনগুলোতেও আমাদের আপনাদের দরকার হবে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনেও দাঁড়িয়ে ছিলেন এক তরুণ, হাতে ছোট প্ল্যাকার্ড—‘নেগেটিভ রক্ত লাগবে’। তাঁর নাম রনি। কোনো আত্মীয় হাসপাতালে নেই। শুধু মানুষের ডাকে সাড়া দিতে এসেছেন।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই দেশটা আমাদের। এমন সময়ে যদি আমরা পাশে না দাঁড়াই, তাহলে কবে?’
এই স্বেচ্ছাসেবকদের পাশে রয়েছেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের কর্মী, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকেরা। সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন রক্তদানের জন্য আসা মানুষদের সমন্বয়ে। এই দৃশ্যই প্রমাণ করে—সংকটে দেশের তরুণেরাই হয়ে ওঠে সবচেয়ে বড় ভরসা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় দগ্ধ ও আহত দেড় শতাধিক রোগীকে ভর্তি করানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সিএমএইচ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, বার্ন ইনস্টিটিউট, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক ও উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে।
আরও খবর পড়ুন:
জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সাংবিধানিক আদেশে বাস্তবায়ন করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেটির বৈধতা দিতে জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার মতামত তাঁদের। বিএনপি বলছে, গণভোট হতে পারে; তবে তা হতে হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। কিন্তু জায়ামাতে ইসলামী ও জাতীয়...
৮ ঘণ্টা আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে মেশিনের সহায়তায় ভোট গণনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৮ ঘণ্টা আগেজীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে জলবায়ু পরিবর্তন, এল নিনোর প্রভাবে বিপর্যস্ত আবহাওয়া। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) পানিসম্পদ নিয়ে নতুন তথ্য হাজির করেছে। সংস্থাটি বলছে, বিশ্বজুড়ে পানিচক্র অস্থিতিশীল এবং ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। এতে করে বড় পরিবর্তন এসেছে বন্যা ও খরায়।
৯ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করলে তাদের বিরুদ্ধেও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১ ঘণ্টা আগে