নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক কাঠামোর সংস্কার এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কার বলতে সংখ্যানুপাতিকে উচ্চকক্ষ; গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর গঠনপ্রক্রিয়া সংবিধানে উল্লেখ থাকা এবং সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা বুঝিয়েছেন। এ তিন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কার এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও বৈঠকে অভিমত দেন প্রধান উপদেষ্টা।
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অগ্রগতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন সম্ভব হবে।
সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সংলাপের বিস্তারিত কর্মকাণ্ড উপস্থাপন করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জানা গেছে, সংস্কারের কোথায় কোথায় আলোচনা আটক যাচ্ছে, তা উল্লেখ করা হয়। সে সময় কমিশনকে পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
কমিশনের পক্ষ থেকে তাঁকে আরও জানানো হয় যে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের ওপর সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছে। ফলে এ বিষয়ে শিগগির কমিশনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে বলে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।
ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তাঁদের অনন্য ভূমিকা ও প্রচেষ্টার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রতিটি বৈঠক টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় সবাই এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলো দেখতে পাচ্ছেন। দেশ-বিদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। কাজেই পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে, মানুষের কাছে এভাবেই দৃশ্যমান থাকতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে আটটি বিষয়ে আলোচনার পর ঐকমত্য হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন আলী রীয়াজ। এ ছাড়া আরও সাতটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশনের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের অগ্রগতি এবং কোন বিষয়ে ঐক্যমত্য ও মতানৈক্য রয়েছে, তা জানতে চেয়েছিলেন। আমরা তা জানালে তিনি সংলাপের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।’
আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে, এখনো যেসব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা চলছে, সেগুলোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দলগুলোর যুক্তিগুলোও উপস্থাপন করা হয়েছে। আলী রীয়াজ বলেন, তিনি সবকিছু মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং বিষয়গুলো গভীরভাবে অনুধাবন করেছেন।
আরও খবর পড়ুন:
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক কাঠামোর সংস্কার এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কার বলতে সংখ্যানুপাতিকে উচ্চকক্ষ; গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর গঠনপ্রক্রিয়া সংবিধানে উল্লেখ থাকা এবং সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা বুঝিয়েছেন। এ তিন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক সংস্কার এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই বলেও বৈঠকে অভিমত দেন প্রধান উপদেষ্টা।
রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অগ্রগতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন সম্ভব হবে।
সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সংলাপের বিস্তারিত কর্মকাণ্ড উপস্থাপন করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জানা গেছে, সংস্কারের কোথায় কোথায় আলোচনা আটক যাচ্ছে, তা উল্লেখ করা হয়। সে সময় কমিশনকে পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
কমিশনের পক্ষ থেকে তাঁকে আরও জানানো হয় যে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো কমিশনের ওপর সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছে। ফলে এ বিষয়ে শিগগির কমিশনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে বলে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।
ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তাঁদের অনন্য ভূমিকা ও প্রচেষ্টার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রতিটি বৈঠক টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় সবাই এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলো দেখতে পাচ্ছেন। দেশ-বিদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এর মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। কাজেই পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে, মানুষের কাছে এভাবেই দৃশ্যমান থাকতে হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে আটটি বিষয়ে আলোচনার পর ঐকমত্য হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন আলী রীয়াজ। এ ছাড়া আরও সাতটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে আলোচনা চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশনের প্রধান হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের অগ্রগতি এবং কোন বিষয়ে ঐক্যমত্য ও মতানৈক্য রয়েছে, তা জানতে চেয়েছিলেন। আমরা তা জানালে তিনি সংলাপের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।’
আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে, এখনো যেসব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা চলছে, সেগুলোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দলগুলোর যুক্তিগুলোও উপস্থাপন করা হয়েছে। আলী রীয়াজ বলেন, তিনি সবকিছু মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং বিষয়গুলো গভীরভাবে অনুধাবন করেছেন।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশ রেলওয়ের ৯০ শতাংশ ইঞ্জিনেরই (লোকোমোটিভ) মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ৩০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো এসব ইঞ্জিন যাত্রাপথে বিকল হয়ে দুর্ভোগে ফেলছে যাত্রীদের। শুধু পণ্যবাহী, লোকাল বা মেইল নয়; কোনো কোনো আন্তনগর ট্রেনও চলছে কার্যকাল পেরিয়ে যাওয়া ইঞ্জিনে।
৬ ঘণ্টা আগেবিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ হলে আসামিকে কারাগারের কনডেম সেলে (নির্জন প্রকোষ্ঠ) পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেম সেলে রাখা ‘দুবার সাজা দেওয়ার শামিল’ উল্লেখ করে এই বিধান বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিন পরই এই রায় স্থগিত করেন আপিল
৬ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সারা দেশে চালানো হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানবতা-বিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ অ্যাটর্নি জেনারেল ও
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স-সেবা নিয়ে আবারও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ গ্রাহকের ড্রাইভিং লাইসেন্স ঝুলে আছে। ২০২০ সালের ২৯ জুলাই থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স
৬ ঘণ্টা আগে