Ajker Patrika

আ.লীগের নেতারা পুলিশের নজরে

  • ঢাকায় এসে সমাবেশ ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য
  • সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থানায় থানায় নির্দেশনা
  • মামলায় আসামি থাকা নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযান জোরদার
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা 
আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ২৪
আ.লীগের নেতারা পুলিশের নজরে

সারা দেশে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন মামলায় আসামি থাকা নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে অভিযানও জোরদার করেছে। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে সারা দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

পুলিশের সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনাসহ বিভিন্ন দাবিতে ঢাকায় সমবেত হয়ে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, তাঁরা বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে সংগঠিতভাবে ঢাকায় আসবেন। ঢাকায় তাঁরা সমাবেশ করবেন এবং সরকারবিরোধী প্রচার ও কর্মকাণ্ড চালাবেন। এ জন্য ঢাকায় আসতে পারেন সন্দেহভাজন এমন নেতাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ সারা দেশে দলটির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযানও জোরদার করা হয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেউ যদি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে থাকে, তাদের আইনের আওতায় আনাই পুলিশের দায়িত্ব।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়েন বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, দলটির কেন্দ্রীয় নেতারাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতা। আত্মগোপন করেন অনেকে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গণহত্যা, হত্যা, হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তাঁর সরকারের মন্ত্রী, দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সারা দেশে কয়েক হাজার মামলা হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, ৫ আগস্টের পর সারা দেশে অন্তত ২৪ হাজার মামলায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ প্রায় দেড় লাখ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শতাধিক নেতাসহ ১২ হাজারের বেশি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ২৭ জন সাবেক মন্ত্রী, ছয়জন সাবেক প্রতিমন্ত্রী, তিনজন সাবেক উপমন্ত্রী এবং ৪৩ জন সাবেক সংসদ সদস্য। এ ছাড়া কয়েক শ পুলিশ কর্মকর্তাও বিভিন্ন মামলায় আসামি হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে সাবেকসহ ২৮ কর্মকর্তা কারাগারে রয়েছেন।

জানা যায়, ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা অনলাইনে নিয়মিত দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। বৈঠকে তিনি দেশে ফিরে আসার ইচ্ছা জানাচ্ছেন। সে জন্য নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যে জোটবদ্ধ থেকে প্রস্তুত থাকতে অনুরোধ করেছেন।

পুলিশের সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের পর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, সে জন্য পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনার পর পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে বিভিন্ন জেলার পুলিশের বিশেষ শাখাকে (ডিএসবি) এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের ডিএসবি থেকে সব থানায় পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় আসার পরিকল্পনা করছেন। তাঁরা প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে অন্তত ২০০ নেতা-কর্মী নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যাতে ঢাকায় সরকারবিরোধী কার্যকলাপ করা যায়। ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের জন্য মোবাইল ফোন নজরদারি, মহাসড়কে চেকপোস্টের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ এবং ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাস ও গাড়ির স্ট্যান্ডে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, পুলিশের পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের চলাচল পর্যবেক্ষণ এবং বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। প্রতিটি থানাকে দৈনিক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে, যাতে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া নেতা-কর্মীদের তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করা যায়। পুলিশ বলছে, নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কা থেকে এবং পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) এডিসি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, সর্বশেষ গত সপ্তাহে একটি বৈঠকে শেখ হাসিনার দেশে ফিরে আসার বিষয়টি জোরালো হয়। তার পর থেকেই গ্রেপ্তারের এমন নির্দেশনা পেয়েছেন তাঁরা। মামলা রয়েছে আওয়ামী লীগের এমন ছোট-বড় সব নেতা-কর্মীকে এক মাসের মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ রয়েছে। সে অনুযায়ী অভিযানও শুরু হয়েছে।

ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার তথ্য বলছে, বিভিন্ন মামলার আসামি ঢাকার এমন ১০ জন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে এক দিনে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ, যা গত এক সপ্তাহে গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীর সংখ্যার চেয়ে বেশি। বলা হয়েছে, এই অভিযান চলবে।

ডিএমপির ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার এবং নজরদারি চালাচ্ছি। তাঁদের কর্মকাণ্ড যদি সরকারবিরোধী হয়ে থাকে, আমরা তাঁদের আইনের আওতায় আনব।’

আরও খবর পড়ুন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

  • যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা
  • বিপিসির নথি বলছে, আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি আছে
 আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
বোরো ধানের মৌসুম: সেচ মৌসুমে জ্বালানিতে টান

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।

বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।

বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।

এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।

নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।

পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।

তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।

পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’

তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাষ্ট্রপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত