শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

বইমেলার দিকে গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছিল একদল কচিকাঁচা। ওদের মুঠোতে ধরা বাবা-মায়েদের আস্থার আঙুল। ফটক খুলতেই ওরা কলরব করে ঢুকে পড়ল মেলার শিশুদের আঙিনায়। তারপর মেতে উঠল বই দেখা ও কেনায়। ছবি তোলা বা সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোকে খোঁজা নিয়েও ব্যস্ত ছিল অনেক শিশু। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মেলার শিশুপ্রহরের শুরুটা ছিল এমনই।
বেলা যত বাড়ে, শিশু দর্শনার্থীর সংখ্যাও বেড়ে চলছিল। বিকেল নাগাদ মেলায় শিশুদের কোলাহল ছাপিয়ে নামে বড়দের ঢল। মেলার প্রথম শুক্রবার হওয়ায় টিএসসি থেকে কার্জন হল পর্যন্ত লোকে থইথই করছিল যেন।
বইমেলার শিশুচত্বরটি এবার করা হয়েছে আরও রঙিন। বাংলা একাডেমির উল্টো দিকের ফটকটি দিয়ে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে প্রবেশ করলেই হাতের ডানে চোখে পড়বে ‘শিশুচত্বর’ লেখা সুদৃশ্য ফটক। ভেতরে শুধু শিশু-কিশোরদের উপযোগী বইয়ের পসরা সাজিয়েছেন প্রকাশকেরা। গতকাল দর্শনার্থীর ভিড়ের সঙ্গে সংগতি রেখে বিক্রিও হয়েছে ভালো, জানালেন প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা। কিন্ডার বুকের বিক্রয়কর্মী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আজ মেলার প্রথম শুক্রবার ছিল। তাই অনেক শিশু এসেছে। বিক্রিও বেশ ভালো। ছড়া, গল্প ও সাধারণ জ্ঞানের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
ছোট্ট আরশী ওর ফুফুর সঙ্গে এসেছে। আরশী বলল, ‘গল্পের বই কিনেছি। আর একটা ছবির বই কিনব।’ ওর হাতে দেখা গেল ঈশপের চিরন্তন নীতিকথার গল্পের বই।
ঝিঙেফুলের ব্যবস্থাপক মোস্তফা বাবুল বলেন, ‘আজকে বিক্রি অনেক ভালো। তবে সিসিমপুরের আয়োজন থাকলে মেলায় শিশুদের এলাকাটা বেশি জমে। এবার তা নেই।
বেশ কয়েকজন মা-বাবাকে খুঁজতে দেখা গেল বাচ্চাদের জনপ্রিয় শিক্ষামূলক টিভি অনুষ্ঠান ‘সিসিমপুর’-এর স্টল। মার্কিন টিভি অনুষ্ঠান ‘সেসামি স্ট্রিট’-এর আদলে তৈরি বাংলাদেশি সংস্করণটি। এর ইকরি, হালুম, টুকটুকি নামের বর্ণিল চরিত্রগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে অমর একুশে বইমেলার শিশুচত্বরকে মাতিয়ে রাখত। এবার ‘সিসিমপুর মঞ্চ’ না থাকায় অনেক শিশুর মন খারাপ। মায়ের সঙ্গে আসা মাহবুব তাসিন তাদের একজন। তাসিনের মা বললেন, ‘ছেলেকে সিসিমপুরের স্টল দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি, নাই। তাই ওর মন খারাপ।’
সিসিমপুরের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানটি বাবদ যে অর্থ দেয় মার্কিন দাতা সংস্থা, সেখান থেকে এবার অর্থ পাওয়া যায়নি। তাই এবার মেলার আয়োজনটিও করতে পারেনি সিসিমপুর।
নতুন বই
ঐতিহ্য এবং হিস্টোরিক্যাল ট্রান্সপারেন্সি সোসাইটির যৌথ প্রকাশনায় বের হয়েছে ‘অদেখা ১৯৭৪: দুর্ভিক্ষের বাংলাদেশ’। বইটির ফ্ল্যাপে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার তাগিদ থেকেই বইটির প্রকাশ।
চীনের জনপ্রিয় লেখক সুং থোং-এর উপন্যাস ‘আমার সম্রাট জীবন’ বের করেছে আহমদ পাবলিশিং হাউস। অনুবাদ করেছেন শামীম আহসান মহেব উল্লাহ। একজন অযোগ্য মানুষকে ক্ষমতায় বসালে কোনো দেশের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে, এই উপন্যাসে তারই উপস্থাপন।
দিব্যপ্রকাশ বের করেছে হেনরি জি-এর লেখা কাজী মাহবুব হাসানের অনুবাদের বই ‘পৃথিবীতে জীবনের অতি সংক্ষিপ্ত একটি ইতিহাস’। ১২টি অধ্যায়ে ৪৬০ কোটি বছরের ইতিহাস এতে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ১৮৪টি।
চীনা দূতাবাসের আয়োজন
গতবারের মতো এবারও চায়না বুক হাউসের সামনে ছিল চীনা দূতাবাসের আয়োজন। পাঠক ও দর্শনার্থীদের জন্য ছিল ড্রাগন ডান্স, চীনা চা, সুগার পেইন্টিং, আর্কিটেকচার গেম, ক্যালিগ্রাফিসহ বেশ কিছু আয়োজন। বিকেলে সেখানে আসেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘চীন আমাদের অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। আগামী বছর ১০টা বই যৌথভাবে প্রকাশ করার ব্যাপারে কাজ করছি। ৫টি চীনা ভাষার ধ্রুপদি সাহিত্য বাংলায় এবং বাংলা ভাষার ৫টি ধ্রুপদি সাহিত্যকর্ম চীনা ভাষায় অনুবাদ হবে। ১০টা বই দিয়ে শুরু করছি। সামনে বইয়ের সংখ্যা আরও বাড়বে।’
চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় চলচ্চিত্র নিয়েও কাজের উদ্যোগের কথা জানান পেশাগত জীবনে আলোচিত এই চলচ্চিত্রকার উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের সঙ্গে চিকিৎসাসেবায় চীনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য তিনটি হাসপাতাল তৈরির কথা জানান। চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা যাতে সহজে ভিসা, টিকিট ইত্যাদি সেবা পায় এবং কম টাকায় যাতে চিকিৎসা নিতে পারে, সে ব্যাপারে চীন সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
আয়োজন
অমর একুশে পালনের অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোরদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে মোরশেদ শফিউল হাসানের সভাপতিত্বে হয় ‘সাংস্কৃতিক ইতিহাসের দর্পণে গোলাম মুরশিদ পাঠ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামজীর আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন স্বরোচিষ সরকার এবং গাজী মো. মাহবুব মুর্শিদ।
সামজীর আহমেদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গোলাম মুরশিদের ইতিহাসভিত্তিক আলোচনা বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসচর্চায় পথিকৃৎ সমতুল্য। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ইতিহাস প্রাতিষ্ঠানিকতা পেলে গোলাম মুরশিদ হবেন তার পুরোধা ব্যক্তি। বাংলা সাহিত্যের প্রত্যক্ষ ইতিহাস না লিখলেও তাঁর ইতিহাসচর্চা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।
জুলাই গল্পমঞ্চ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এর শহীদ স্মরণে গতকাল অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও কথাসাহিত্যিক ইকতিজা আহসান ও কবি মৃদুল মাহবুব। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মোসা. ইসমত আরা এবং কবি মুহাম্মদ ইসমাইল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী আরিফুল হাসান ও আফরোজা পারভীন। ছিল মো. ফরিদুল হকের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মাটির সুর সংগীত পরিষদ’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী জি এম জাকির হোসেন, তানজিনা করিম স্বরলিপি, মাকসুদুর রহমান মোহিত খান, চম্পা বণিক, মুর্শিদা নাহিদ ও শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কারণে আজ শনিবার বেলা ১১টার পরিবর্তে বইমেলা শুরু হবে বেলা ২টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। থাকবে না পূর্বঘোষিত শিশুপ্রহরও।

বইমেলার দিকে গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছিল একদল কচিকাঁচা। ওদের মুঠোতে ধরা বাবা-মায়েদের আস্থার আঙুল। ফটক খুলতেই ওরা কলরব করে ঢুকে পড়ল মেলার শিশুদের আঙিনায়। তারপর মেতে উঠল বই দেখা ও কেনায়। ছবি তোলা বা সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোকে খোঁজা নিয়েও ব্যস্ত ছিল অনেক শিশু। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মেলার শিশুপ্রহরের শুরুটা ছিল এমনই।
বেলা যত বাড়ে, শিশু দর্শনার্থীর সংখ্যাও বেড়ে চলছিল। বিকেল নাগাদ মেলায় শিশুদের কোলাহল ছাপিয়ে নামে বড়দের ঢল। মেলার প্রথম শুক্রবার হওয়ায় টিএসসি থেকে কার্জন হল পর্যন্ত লোকে থইথই করছিল যেন।
বইমেলার শিশুচত্বরটি এবার করা হয়েছে আরও রঙিন। বাংলা একাডেমির উল্টো দিকের ফটকটি দিয়ে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে প্রবেশ করলেই হাতের ডানে চোখে পড়বে ‘শিশুচত্বর’ লেখা সুদৃশ্য ফটক। ভেতরে শুধু শিশু-কিশোরদের উপযোগী বইয়ের পসরা সাজিয়েছেন প্রকাশকেরা। গতকাল দর্শনার্থীর ভিড়ের সঙ্গে সংগতি রেখে বিক্রিও হয়েছে ভালো, জানালেন প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা। কিন্ডার বুকের বিক্রয়কর্মী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আজ মেলার প্রথম শুক্রবার ছিল। তাই অনেক শিশু এসেছে। বিক্রিও বেশ ভালো। ছড়া, গল্প ও সাধারণ জ্ঞানের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
ছোট্ট আরশী ওর ফুফুর সঙ্গে এসেছে। আরশী বলল, ‘গল্পের বই কিনেছি। আর একটা ছবির বই কিনব।’ ওর হাতে দেখা গেল ঈশপের চিরন্তন নীতিকথার গল্পের বই।
ঝিঙেফুলের ব্যবস্থাপক মোস্তফা বাবুল বলেন, ‘আজকে বিক্রি অনেক ভালো। তবে সিসিমপুরের আয়োজন থাকলে মেলায় শিশুদের এলাকাটা বেশি জমে। এবার তা নেই।
বেশ কয়েকজন মা-বাবাকে খুঁজতে দেখা গেল বাচ্চাদের জনপ্রিয় শিক্ষামূলক টিভি অনুষ্ঠান ‘সিসিমপুর’-এর স্টল। মার্কিন টিভি অনুষ্ঠান ‘সেসামি স্ট্রিট’-এর আদলে তৈরি বাংলাদেশি সংস্করণটি। এর ইকরি, হালুম, টুকটুকি নামের বর্ণিল চরিত্রগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে অমর একুশে বইমেলার শিশুচত্বরকে মাতিয়ে রাখত। এবার ‘সিসিমপুর মঞ্চ’ না থাকায় অনেক শিশুর মন খারাপ। মায়ের সঙ্গে আসা মাহবুব তাসিন তাদের একজন। তাসিনের মা বললেন, ‘ছেলেকে সিসিমপুরের স্টল দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি, নাই। তাই ওর মন খারাপ।’
সিসিমপুরের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানটি বাবদ যে অর্থ দেয় মার্কিন দাতা সংস্থা, সেখান থেকে এবার অর্থ পাওয়া যায়নি। তাই এবার মেলার আয়োজনটিও করতে পারেনি সিসিমপুর।
নতুন বই
ঐতিহ্য এবং হিস্টোরিক্যাল ট্রান্সপারেন্সি সোসাইটির যৌথ প্রকাশনায় বের হয়েছে ‘অদেখা ১৯৭৪: দুর্ভিক্ষের বাংলাদেশ’। বইটির ফ্ল্যাপে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার তাগিদ থেকেই বইটির প্রকাশ।
চীনের জনপ্রিয় লেখক সুং থোং-এর উপন্যাস ‘আমার সম্রাট জীবন’ বের করেছে আহমদ পাবলিশিং হাউস। অনুবাদ করেছেন শামীম আহসান মহেব উল্লাহ। একজন অযোগ্য মানুষকে ক্ষমতায় বসালে কোনো দেশের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে, এই উপন্যাসে তারই উপস্থাপন।
দিব্যপ্রকাশ বের করেছে হেনরি জি-এর লেখা কাজী মাহবুব হাসানের অনুবাদের বই ‘পৃথিবীতে জীবনের অতি সংক্ষিপ্ত একটি ইতিহাস’। ১২টি অধ্যায়ে ৪৬০ কোটি বছরের ইতিহাস এতে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ১৮৪টি।
চীনা দূতাবাসের আয়োজন
গতবারের মতো এবারও চায়না বুক হাউসের সামনে ছিল চীনা দূতাবাসের আয়োজন। পাঠক ও দর্শনার্থীদের জন্য ছিল ড্রাগন ডান্স, চীনা চা, সুগার পেইন্টিং, আর্কিটেকচার গেম, ক্যালিগ্রাফিসহ বেশ কিছু আয়োজন। বিকেলে সেখানে আসেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘চীন আমাদের অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। আগামী বছর ১০টা বই যৌথভাবে প্রকাশ করার ব্যাপারে কাজ করছি। ৫টি চীনা ভাষার ধ্রুপদি সাহিত্য বাংলায় এবং বাংলা ভাষার ৫টি ধ্রুপদি সাহিত্যকর্ম চীনা ভাষায় অনুবাদ হবে। ১০টা বই দিয়ে শুরু করছি। সামনে বইয়ের সংখ্যা আরও বাড়বে।’
চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় চলচ্চিত্র নিয়েও কাজের উদ্যোগের কথা জানান পেশাগত জীবনে আলোচিত এই চলচ্চিত্রকার উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের সঙ্গে চিকিৎসাসেবায় চীনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য তিনটি হাসপাতাল তৈরির কথা জানান। চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা যাতে সহজে ভিসা, টিকিট ইত্যাদি সেবা পায় এবং কম টাকায় যাতে চিকিৎসা নিতে পারে, সে ব্যাপারে চীন সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
আয়োজন
অমর একুশে পালনের অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোরদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে মোরশেদ শফিউল হাসানের সভাপতিত্বে হয় ‘সাংস্কৃতিক ইতিহাসের দর্পণে গোলাম মুরশিদ পাঠ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামজীর আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন স্বরোচিষ সরকার এবং গাজী মো. মাহবুব মুর্শিদ।
সামজীর আহমেদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গোলাম মুরশিদের ইতিহাসভিত্তিক আলোচনা বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসচর্চায় পথিকৃৎ সমতুল্য। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ইতিহাস প্রাতিষ্ঠানিকতা পেলে গোলাম মুরশিদ হবেন তার পুরোধা ব্যক্তি। বাংলা সাহিত্যের প্রত্যক্ষ ইতিহাস না লিখলেও তাঁর ইতিহাসচর্চা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।
জুলাই গল্পমঞ্চ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এর শহীদ স্মরণে গতকাল অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও কথাসাহিত্যিক ইকতিজা আহসান ও কবি মৃদুল মাহবুব। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মোসা. ইসমত আরা এবং কবি মুহাম্মদ ইসমাইল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী আরিফুল হাসান ও আফরোজা পারভীন। ছিল মো. ফরিদুল হকের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মাটির সুর সংগীত পরিষদ’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী জি এম জাকির হোসেন, তানজিনা করিম স্বরলিপি, মাকসুদুর রহমান মোহিত খান, চম্পা বণিক, মুর্শিদা নাহিদ ও শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কারণে আজ শনিবার বেলা ১১টার পরিবর্তে বইমেলা শুরু হবে বেলা ২টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। থাকবে না পূর্বঘোষিত শিশুপ্রহরও।
শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা

বইমেলার দিকে গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছিল একদল কচিকাঁচা। ওদের মুঠোতে ধরা বাবা-মায়েদের আস্থার আঙুল। ফটক খুলতেই ওরা কলরব করে ঢুকে পড়ল মেলার শিশুদের আঙিনায়। তারপর মেতে উঠল বই দেখা ও কেনায়। ছবি তোলা বা সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোকে খোঁজা নিয়েও ব্যস্ত ছিল অনেক শিশু। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মেলার শিশুপ্রহরের শুরুটা ছিল এমনই।
বেলা যত বাড়ে, শিশু দর্শনার্থীর সংখ্যাও বেড়ে চলছিল। বিকেল নাগাদ মেলায় শিশুদের কোলাহল ছাপিয়ে নামে বড়দের ঢল। মেলার প্রথম শুক্রবার হওয়ায় টিএসসি থেকে কার্জন হল পর্যন্ত লোকে থইথই করছিল যেন।
বইমেলার শিশুচত্বরটি এবার করা হয়েছে আরও রঙিন। বাংলা একাডেমির উল্টো দিকের ফটকটি দিয়ে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে প্রবেশ করলেই হাতের ডানে চোখে পড়বে ‘শিশুচত্বর’ লেখা সুদৃশ্য ফটক। ভেতরে শুধু শিশু-কিশোরদের উপযোগী বইয়ের পসরা সাজিয়েছেন প্রকাশকেরা। গতকাল দর্শনার্থীর ভিড়ের সঙ্গে সংগতি রেখে বিক্রিও হয়েছে ভালো, জানালেন প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা। কিন্ডার বুকের বিক্রয়কর্মী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আজ মেলার প্রথম শুক্রবার ছিল। তাই অনেক শিশু এসেছে। বিক্রিও বেশ ভালো। ছড়া, গল্প ও সাধারণ জ্ঞানের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
ছোট্ট আরশী ওর ফুফুর সঙ্গে এসেছে। আরশী বলল, ‘গল্পের বই কিনেছি। আর একটা ছবির বই কিনব।’ ওর হাতে দেখা গেল ঈশপের চিরন্তন নীতিকথার গল্পের বই।
ঝিঙেফুলের ব্যবস্থাপক মোস্তফা বাবুল বলেন, ‘আজকে বিক্রি অনেক ভালো। তবে সিসিমপুরের আয়োজন থাকলে মেলায় শিশুদের এলাকাটা বেশি জমে। এবার তা নেই।
বেশ কয়েকজন মা-বাবাকে খুঁজতে দেখা গেল বাচ্চাদের জনপ্রিয় শিক্ষামূলক টিভি অনুষ্ঠান ‘সিসিমপুর’-এর স্টল। মার্কিন টিভি অনুষ্ঠান ‘সেসামি স্ট্রিট’-এর আদলে তৈরি বাংলাদেশি সংস্করণটি। এর ইকরি, হালুম, টুকটুকি নামের বর্ণিল চরিত্রগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে অমর একুশে বইমেলার শিশুচত্বরকে মাতিয়ে রাখত। এবার ‘সিসিমপুর মঞ্চ’ না থাকায় অনেক শিশুর মন খারাপ। মায়ের সঙ্গে আসা মাহবুব তাসিন তাদের একজন। তাসিনের মা বললেন, ‘ছেলেকে সিসিমপুরের স্টল দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি, নাই। তাই ওর মন খারাপ।’
সিসিমপুরের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানটি বাবদ যে অর্থ দেয় মার্কিন দাতা সংস্থা, সেখান থেকে এবার অর্থ পাওয়া যায়নি। তাই এবার মেলার আয়োজনটিও করতে পারেনি সিসিমপুর।
নতুন বই
ঐতিহ্য এবং হিস্টোরিক্যাল ট্রান্সপারেন্সি সোসাইটির যৌথ প্রকাশনায় বের হয়েছে ‘অদেখা ১৯৭৪: দুর্ভিক্ষের বাংলাদেশ’। বইটির ফ্ল্যাপে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার তাগিদ থেকেই বইটির প্রকাশ।
চীনের জনপ্রিয় লেখক সুং থোং-এর উপন্যাস ‘আমার সম্রাট জীবন’ বের করেছে আহমদ পাবলিশিং হাউস। অনুবাদ করেছেন শামীম আহসান মহেব উল্লাহ। একজন অযোগ্য মানুষকে ক্ষমতায় বসালে কোনো দেশের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে, এই উপন্যাসে তারই উপস্থাপন।
দিব্যপ্রকাশ বের করেছে হেনরি জি-এর লেখা কাজী মাহবুব হাসানের অনুবাদের বই ‘পৃথিবীতে জীবনের অতি সংক্ষিপ্ত একটি ইতিহাস’। ১২টি অধ্যায়ে ৪৬০ কোটি বছরের ইতিহাস এতে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ১৮৪টি।
চীনা দূতাবাসের আয়োজন
গতবারের মতো এবারও চায়না বুক হাউসের সামনে ছিল চীনা দূতাবাসের আয়োজন। পাঠক ও দর্শনার্থীদের জন্য ছিল ড্রাগন ডান্স, চীনা চা, সুগার পেইন্টিং, আর্কিটেকচার গেম, ক্যালিগ্রাফিসহ বেশ কিছু আয়োজন। বিকেলে সেখানে আসেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘চীন আমাদের অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। আগামী বছর ১০টা বই যৌথভাবে প্রকাশ করার ব্যাপারে কাজ করছি। ৫টি চীনা ভাষার ধ্রুপদি সাহিত্য বাংলায় এবং বাংলা ভাষার ৫টি ধ্রুপদি সাহিত্যকর্ম চীনা ভাষায় অনুবাদ হবে। ১০টা বই দিয়ে শুরু করছি। সামনে বইয়ের সংখ্যা আরও বাড়বে।’
চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় চলচ্চিত্র নিয়েও কাজের উদ্যোগের কথা জানান পেশাগত জীবনে আলোচিত এই চলচ্চিত্রকার উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের সঙ্গে চিকিৎসাসেবায় চীনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য তিনটি হাসপাতাল তৈরির কথা জানান। চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা যাতে সহজে ভিসা, টিকিট ইত্যাদি সেবা পায় এবং কম টাকায় যাতে চিকিৎসা নিতে পারে, সে ব্যাপারে চীন সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
আয়োজন
অমর একুশে পালনের অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোরদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে মোরশেদ শফিউল হাসানের সভাপতিত্বে হয় ‘সাংস্কৃতিক ইতিহাসের দর্পণে গোলাম মুরশিদ পাঠ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামজীর আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন স্বরোচিষ সরকার এবং গাজী মো. মাহবুব মুর্শিদ।
সামজীর আহমেদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গোলাম মুরশিদের ইতিহাসভিত্তিক আলোচনা বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসচর্চায় পথিকৃৎ সমতুল্য। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ইতিহাস প্রাতিষ্ঠানিকতা পেলে গোলাম মুরশিদ হবেন তার পুরোধা ব্যক্তি। বাংলা সাহিত্যের প্রত্যক্ষ ইতিহাস না লিখলেও তাঁর ইতিহাসচর্চা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।
জুলাই গল্পমঞ্চ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এর শহীদ স্মরণে গতকাল অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও কথাসাহিত্যিক ইকতিজা আহসান ও কবি মৃদুল মাহবুব। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মোসা. ইসমত আরা এবং কবি মুহাম্মদ ইসমাইল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী আরিফুল হাসান ও আফরোজা পারভীন। ছিল মো. ফরিদুল হকের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মাটির সুর সংগীত পরিষদ’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী জি এম জাকির হোসেন, তানজিনা করিম স্বরলিপি, মাকসুদুর রহমান মোহিত খান, চম্পা বণিক, মুর্শিদা নাহিদ ও শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কারণে আজ শনিবার বেলা ১১টার পরিবর্তে বইমেলা শুরু হবে বেলা ২টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। থাকবে না পূর্বঘোষিত শিশুপ্রহরও।

বইমেলার দিকে গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছিল একদল কচিকাঁচা। ওদের মুঠোতে ধরা বাবা-মায়েদের আস্থার আঙুল। ফটক খুলতেই ওরা কলরব করে ঢুকে পড়ল মেলার শিশুদের আঙিনায়। তারপর মেতে উঠল বই দেখা ও কেনায়। ছবি তোলা বা সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোকে খোঁজা নিয়েও ব্যস্ত ছিল অনেক শিশু। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মেলার শিশুপ্রহরের শুরুটা ছিল এমনই।
বেলা যত বাড়ে, শিশু দর্শনার্থীর সংখ্যাও বেড়ে চলছিল। বিকেল নাগাদ মেলায় শিশুদের কোলাহল ছাপিয়ে নামে বড়দের ঢল। মেলার প্রথম শুক্রবার হওয়ায় টিএসসি থেকে কার্জন হল পর্যন্ত লোকে থইথই করছিল যেন।
বইমেলার শিশুচত্বরটি এবার করা হয়েছে আরও রঙিন। বাংলা একাডেমির উল্টো দিকের ফটকটি দিয়ে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে প্রবেশ করলেই হাতের ডানে চোখে পড়বে ‘শিশুচত্বর’ লেখা সুদৃশ্য ফটক। ভেতরে শুধু শিশু-কিশোরদের উপযোগী বইয়ের পসরা সাজিয়েছেন প্রকাশকেরা। গতকাল দর্শনার্থীর ভিড়ের সঙ্গে সংগতি রেখে বিক্রিও হয়েছে ভালো, জানালেন প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা। কিন্ডার বুকের বিক্রয়কর্মী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আজ মেলার প্রথম শুক্রবার ছিল। তাই অনেক শিশু এসেছে। বিক্রিও বেশ ভালো। ছড়া, গল্প ও সাধারণ জ্ঞানের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
ছোট্ট আরশী ওর ফুফুর সঙ্গে এসেছে। আরশী বলল, ‘গল্পের বই কিনেছি। আর একটা ছবির বই কিনব।’ ওর হাতে দেখা গেল ঈশপের চিরন্তন নীতিকথার গল্পের বই।
ঝিঙেফুলের ব্যবস্থাপক মোস্তফা বাবুল বলেন, ‘আজকে বিক্রি অনেক ভালো। তবে সিসিমপুরের আয়োজন থাকলে মেলায় শিশুদের এলাকাটা বেশি জমে। এবার তা নেই।
বেশ কয়েকজন মা-বাবাকে খুঁজতে দেখা গেল বাচ্চাদের জনপ্রিয় শিক্ষামূলক টিভি অনুষ্ঠান ‘সিসিমপুর’-এর স্টল। মার্কিন টিভি অনুষ্ঠান ‘সেসামি স্ট্রিট’-এর আদলে তৈরি বাংলাদেশি সংস্করণটি। এর ইকরি, হালুম, টুকটুকি নামের বর্ণিল চরিত্রগুলো বেশ কয়েক বছর ধরে অমর একুশে বইমেলার শিশুচত্বরকে মাতিয়ে রাখত। এবার ‘সিসিমপুর মঞ্চ’ না থাকায় অনেক শিশুর মন খারাপ। মায়ের সঙ্গে আসা মাহবুব তাসিন তাদের একজন। তাসিনের মা বললেন, ‘ছেলেকে সিসিমপুরের স্টল দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখি, নাই। তাই ওর মন খারাপ।’
সিসিমপুরের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানটি বাবদ যে অর্থ দেয় মার্কিন দাতা সংস্থা, সেখান থেকে এবার অর্থ পাওয়া যায়নি। তাই এবার মেলার আয়োজনটিও করতে পারেনি সিসিমপুর।
নতুন বই
ঐতিহ্য এবং হিস্টোরিক্যাল ট্রান্সপারেন্সি সোসাইটির যৌথ প্রকাশনায় বের হয়েছে ‘অদেখা ১৯৭৪: দুর্ভিক্ষের বাংলাদেশ’। বইটির ফ্ল্যাপে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার তাগিদ থেকেই বইটির প্রকাশ।
চীনের জনপ্রিয় লেখক সুং থোং-এর উপন্যাস ‘আমার সম্রাট জীবন’ বের করেছে আহমদ পাবলিশিং হাউস। অনুবাদ করেছেন শামীম আহসান মহেব উল্লাহ। একজন অযোগ্য মানুষকে ক্ষমতায় বসালে কোনো দেশের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে, এই উপন্যাসে তারই উপস্থাপন।
দিব্যপ্রকাশ বের করেছে হেনরি জি-এর লেখা কাজী মাহবুব হাসানের অনুবাদের বই ‘পৃথিবীতে জীবনের অতি সংক্ষিপ্ত একটি ইতিহাস’। ১২টি অধ্যায়ে ৪৬০ কোটি বছরের ইতিহাস এতে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, গতকাল মেলায় নতুন বই এসেছে ১৮৪টি।
চীনা দূতাবাসের আয়োজন
গতবারের মতো এবারও চায়না বুক হাউসের সামনে ছিল চীনা দূতাবাসের আয়োজন। পাঠক ও দর্শনার্থীদের জন্য ছিল ড্রাগন ডান্স, চীনা চা, সুগার পেইন্টিং, আর্কিটেকচার গেম, ক্যালিগ্রাফিসহ বেশ কিছু আয়োজন। বিকেলে সেখানে আসেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘চীন আমাদের অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। আগামী বছর ১০টা বই যৌথভাবে প্রকাশ করার ব্যাপারে কাজ করছি। ৫টি চীনা ভাষার ধ্রুপদি সাহিত্য বাংলায় এবং বাংলা ভাষার ৫টি ধ্রুপদি সাহিত্যকর্ম চীনা ভাষায় অনুবাদ হবে। ১০টা বই দিয়ে শুরু করছি। সামনে বইয়ের সংখ্যা আরও বাড়বে।’
চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় চলচ্চিত্র নিয়েও কাজের উদ্যোগের কথা জানান পেশাগত জীবনে আলোচিত এই চলচ্চিত্রকার উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বাংলাদেশের সঙ্গে চিকিৎসাসেবায় চীনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার জন্য তিনটি হাসপাতাল তৈরির কথা জানান। চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা যাতে সহজে ভিসা, টিকিট ইত্যাদি সেবা পায় এবং কম টাকায় যাতে চিকিৎসা নিতে পারে, সে ব্যাপারে চীন সরকারের উদ্যোগ নেওয়ার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
আয়োজন
অমর একুশে পালনের অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল ১০টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শিশু-কিশোরদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে মোরশেদ শফিউল হাসানের সভাপতিত্বে হয় ‘সাংস্কৃতিক ইতিহাসের দর্পণে গোলাম মুরশিদ পাঠ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সামজীর আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন স্বরোচিষ সরকার এবং গাজী মো. মাহবুব মুর্শিদ।
সামজীর আহমেদ তাঁর প্রবন্ধে বলেন, গোলাম মুরশিদের ইতিহাসভিত্তিক আলোচনা বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসচর্চায় পথিকৃৎ সমতুল্য। বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ইতিহাস প্রাতিষ্ঠানিকতা পেলে গোলাম মুরশিদ হবেন তার পুরোধা ব্যক্তি। বাংলা সাহিত্যের প্রত্যক্ষ ইতিহাস না লিখলেও তাঁর ইতিহাসচর্চা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।
জুলাই গল্পমঞ্চ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এর শহীদ স্মরণে গতকাল অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও কথাসাহিত্যিক ইকতিজা আহসান ও কবি মৃদুল মাহবুব। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি মোসা. ইসমত আরা এবং কবি মুহাম্মদ ইসমাইল। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী আরিফুল হাসান ও আফরোজা পারভীন। ছিল মো. ফরিদুল হকের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘মাটির সুর সংগীত পরিষদ’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী জি এম জাকির হোসেন, তানজিনা করিম স্বরলিপি, মাকসুদুর রহমান মোহিত খান, চম্পা বণিক, মুর্শিদা নাহিদ ও শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কারণে আজ শনিবার বেলা ১১টার পরিবর্তে বইমেলা শুরু হবে বেলা ২টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। থাকবে না পূর্বঘোষিত শিশুপ্রহরও।

শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
২১ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, ‘যেদিন আমরা প্রতিবেদন জমা দিলাম, সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এই প্রতিবেদন নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হবে, অনেক সমালোচনা হবে। আমরা সবটাকেই স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই অনেক বিষয় নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু দেখলাম, আমাদের গালাগাল করা হচ্ছে। সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
জাতীয় নারীশক্তির উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য; গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
এই নারী অধিকারকর্মী অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের পুরো প্রক্রিয়া ‘নারীবর্জিত’ ছিল। তাই তিনি এবং তাঁর কমিশন এটি গ্রহণ করেন না।
শিরীন হক বলেন, ‘সেদিন (জুলাই সনদ সইয়ের দিন) দক্ষিণ প্লাজায় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখনই আমি পোস্ট করেছি, আজ আবারও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুরুষ শাসন কায়েম হলো। কোনো নারীর কথা নেই, কোনো নারীকে রাখা হয়নি, কোনো নারী সংগঠনকে ডাকা হয়নি। এটি শুধু আমাদের ব্যথিতই করেনি; গভীর উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমার ভয় রয়েছে। তাই আপনারা যতই বাস্তবায়নের কথা ভাবুন, আমি এই সনদ গ্রহণ করি না। এ সনদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাদের ‘বঞ্চিত করা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক। তিনি বলেন, ‘যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রাজাকারের বাচ্চা”, তখন রোকেয়া হলের মেয়েরা রাত ১২টায় গেট ভেঙে বেরিয়েছিল। মেয়েরা বেরোনোতেই কিন্তু আন্দোলন বেগ পেল। তারপর ছেলেরা বেরিয়েছিল। এই যে মেয়েগুলো বের হলো, গুটিকয়েক মেয়ে ছাড়া তাদেরকে পরে আর দেখলাম না। এই যে এত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কোনো টেবিলে তো মেয়েরা নেই। পলিসি টেবিলে মেয়েরা নেই। একটার পর একটা অধ্যাদেশ পাস হচ্ছে—কয়টা মেয়ে সেখানে ইনভলভড? আমাদের দেশে তো অনেক নারী আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমরা না হয় বাদ গেলাম, তাঁরা তো থাকতে পারতেন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমরা তিন পা এগিয়ে, চার পা পিছিয়ে গেলাম।’
আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, রাজনীতির মূল পরিসরে বলা হয়—যোগ্য নারী প্রার্থী কোথায় পাব? যোগ্য নারী জনপ্রতিনিধি নাকি পাওয়া যায় না। ২০২৫ সালে এসেও রাজনীতির মেইনস্ট্রিমে রাজনীতিবিদেরা এ রকম কথা বলছেন।
সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। একটা প্রস্তাব ছিল যে, সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত হবে এবং ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে যাবে। পদ্ধতি দুইটা কমিশনের দুই রকম ছিল। সেটা জুলাই সনদে এভাবে আসেনি। কারণ রাজনীতিবিদেরা এ জায়গায় একমত হতে পারেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিএনপি ২০০১ সালে তাদের ইশতেহারে বলেছিল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের কথা। ২০২৫ সালে এসে তারা বলছে, এটা সম্ভব নয়। ২০০১ সালে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল, তখন যদি সেটার বাস্তবতা থেকে থাকে, ’২৫ সালে তো আরও বেশি বাস্তবতা থাকার কথা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক বলেছেন, ‘যেদিন আমরা প্রতিবেদন জমা দিলাম, সেদিন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, এই প্রতিবেদন নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হবে, অনেক সমালোচনা হবে। আমরা সবটাকেই স্বাগত জানাই। কারণ আমরা মনে করি, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়েই অনেক বিষয় নিষ্পত্তি হবে। কিন্তু দেখলাম, আমাদের গালাগাল করা হচ্ছে। সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
জাতীয় নারীশক্তির উদ্যোগে আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘নারীর কণ্ঠে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য; গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।’
এই নারী অধিকারকর্মী অভিযোগ করেন, জুলাই সনদের পুরো প্রক্রিয়া ‘নারীবর্জিত’ ছিল। তাই তিনি এবং তাঁর কমিশন এটি গ্রহণ করেন না।
শিরীন হক বলেন, ‘সেদিন (জুলাই সনদ সইয়ের দিন) দক্ষিণ প্লাজায় আমি উপস্থিত ছিলাম। তখনই আমি পোস্ট করেছি, আজ আবারও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় পুরুষ শাসন কায়েম হলো। কোনো নারীর কথা নেই, কোনো নারীকে রাখা হয়নি, কোনো নারী সংগঠনকে ডাকা হয়নি। এটি শুধু আমাদের ব্যথিতই করেনি; গভীর উদ্বেগও সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমার ভয় রয়েছে। তাই আপনারা যতই বাস্তবায়নের কথা ভাবুন, আমি এই সনদ গ্রহণ করি না। এ সনদের প্রতি আমার কোনো সম্মান নেই।’
জুলাই অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাদের ‘বঞ্চিত করা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক। তিনি বলেন, ‘যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বললেন, “রাজাকারের বাচ্চা”, তখন রোকেয়া হলের মেয়েরা রাত ১২টায় গেট ভেঙে বেরিয়েছিল। মেয়েরা বেরোনোতেই কিন্তু আন্দোলন বেগ পেল। তারপর ছেলেরা বেরিয়েছিল। এই যে মেয়েগুলো বের হলো, গুটিকয়েক মেয়ে ছাড়া তাদেরকে পরে আর দেখলাম না। এই যে এত সিদ্ধান্ত হচ্ছে, কোনো টেবিলে তো মেয়েরা নেই। পলিসি টেবিলে মেয়েরা নেই। একটার পর একটা অধ্যাদেশ পাস হচ্ছে—কয়টা মেয়ে সেখানে ইনভলভড? আমাদের দেশে তো অনেক নারী আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। আমরা না হয় বাদ গেলাম, তাঁরা তো থাকতে পারতেন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমরা তিন পা এগিয়ে, চার পা পিছিয়ে গেলাম।’
আলোচনা সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, রাজনীতির মূল পরিসরে বলা হয়—যোগ্য নারী প্রার্থী কোথায় পাব? যোগ্য নারী জনপ্রতিনিধি নাকি পাওয়া যায় না। ২০২৫ সালে এসেও রাজনীতির মেইনস্ট্রিমে রাজনীতিবিদেরা এ রকম কথা বলছেন।
সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। একটা প্রস্তাব ছিল যে, সংরক্ষিত আসন ৫০ থেকে ১০০-তে উন্নীত হবে এবং ১০০ আসনে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে যাবে। পদ্ধতি দুইটা কমিশনের দুই রকম ছিল। সেটা জুলাই সনদে এভাবে আসেনি। কারণ রাজনীতিবিদেরা এ জায়গায় একমত হতে পারেননি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। বিএনপি ২০০১ সালে তাদের ইশতেহারে বলেছিল, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের কথা। ২০২৫ সালে এসে তারা বলছে, এটা সম্ভব নয়। ২০০১ সালে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল, তখন যদি সেটার বাস্তবতা থেকে থাকে, ’২৫ সালে তো আরও বেশি বাস্তবতা থাকার কথা।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান তাসলিমা আখতার, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন প্রমুখ।

বইমেলার দিকে গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছিল একদল কচিকাঁচা। ওদের মুঠোতে ধরা বাবা-মায়েদের আস্থার আঙুল। ফটক খুলতেই ওরা কলরব করে ঢুকে পড়ল মেলার শিশুদের আঙিনায়। তারপর মেতে উঠল বই দেখা ও কেনায়। ছবি তোলা বা সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোকে খোঁজা নিয়েও ব্যস্ত ছিল অনেক শিশু। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মেলার...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার এলাকা পরিবর্তনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
এর আগে ৪ নভেম্বর ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি সব উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন নিষ্পত্তি-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার আগে আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে ভোটার স্থানান্তরের আবেদন দাখিল ও দাখিল করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে বিস্তারিত সময়সূচির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে হলে ফরম-১৩ পূরণ করে যে এলাকায় যেতে ইচ্ছুক, সংশ্লিষ্ট সেই উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন জমা দিতে হবে।
এরই মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। দাবি-আপত্তি শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকে তফসিল ঘোষণা করে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে কমিশন।

বইমেলার দিকে গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছিল একদল কচিকাঁচা। ওদের মুঠোতে ধরা বাবা-মায়েদের আস্থার আঙুল। ফটক খুলতেই ওরা কলরব করে ঢুকে পড়ল মেলার শিশুদের আঙিনায়। তারপর মেতে উঠল বই দেখা ও কেনায়। ছবি তোলা বা সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোকে খোঁজা নিয়েও ব্যস্ত ছিল অনেক শিশু। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মেলার...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
২১ মিনিট আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রোববার শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এদিকে আজ শনিবার শিক্ষকদের ‘কলম সমর্পণ’ কর্মসূচি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে শিক্ষকেরা কলম সমর্পণ কর্মসূচি পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।
জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বলেন, ‘কলম সমর্পণ কর্মসূচি শেষে আমাদের শহীদ মিনারে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশি হামলায় শাহবাগে অনেক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।’
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিকেল ৫টায় দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশের নির্দেশনা অমান্যকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরবর্তী সময় পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। দশম গ্রেডে বেতন ছাড়াও তাঁদের বাকি দুই দাবি হলো—চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চার শিক্ষক সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করছে। প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ ছাড়াও এই মোর্চায় আছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি)।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭। এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন।
গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ উদ্যোগে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকেরা। পরে আজ থেকে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
এদিকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেকাংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর তিন দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বা ঘোষণা না এলে পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দাবি বাস্তবায়ন ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদে রোববার শহীদ মিনারে অবস্থানের পাশাপাশি সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এদিকে আজ শনিবার শিক্ষকদের ‘কলম সমর্পণ’ কর্মসূচি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ ভন্ডুল করে দেওয়া হয়েছে। আজ বিকেলে শিক্ষকেরা কলম সমর্পণ কর্মসূচি পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলে ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।
জানতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্ল্যাটফর্ম ‘প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ বলেন, ‘কলম সমর্পণ কর্মসূচি শেষে আমাদের শহীদ মিনারে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশি হামলায় শাহবাগে অনেক শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।’
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিকেল ৫টায় দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশের নির্দেশনা অমান্যকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পরবর্তী সময় পুলিশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় সব প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হলেও আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আজ সকাল থেকে তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। দশম গ্রেডে বেতন ছাড়াও তাঁদের বাকি দুই দাবি হলো—চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চার শিক্ষক সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করছে। প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ ছাড়াও এই মোর্চায় আছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন), বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি)।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭। এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন।
গত ২৪ এপ্রিল ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ উদ্যোগে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকেরা। পরে আজ থেকে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’।
এদিকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেকাংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন। এর তিন দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে দাবি আদায়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বা ঘোষণা না এলে পরীক্ষা বর্জন এবং ১১ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।

বইমেলার দিকে গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছিল একদল কচিকাঁচা। ওদের মুঠোতে ধরা বাবা-মায়েদের আস্থার আঙুল। ফটক খুলতেই ওরা কলরব করে ঢুকে পড়ল মেলার শিশুদের আঙিনায়। তারপর মেতে উঠল বই দেখা ও কেনায়। ছবি তোলা বা সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোকে খোঁজা নিয়েও ব্যস্ত ছিল অনেক শিশু। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মেলার...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
২১ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ট্রেস কনসাল্টিং আয়োজিত ‘রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিফলিত করতে পারে’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে এখন সবার একটি স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া জরুরি। তিনি এখনো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রেস সচিব বলেন, “তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আমি মনে করি, এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অস্তিত্বের হুমকি। একজন মানুষকে যখন ‘সন্ত্রাসী’ বলা হয়, তখন আসলে তাঁকে হত্যাযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি কি ১৮ কোটি মানুষকে শত্রু ঘোষণা করে আবার ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন?”
সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খানের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এনায়েতুল্লাহ খান একসময় লিখেছিলেন— ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে কোলাবরেটরস বা রাজাকার বানিয়েছিলেন, আর এখন তাঁর মেয়ে ১৮ কোটি মানুষকে সন্ত্রাসী বলছেন! এটা কল্পনাতীত।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা-সংকোচ থাকা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থা ও জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্ক সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। সারা বিশ্বে সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্কে সময় লাগে, কখনো তা দশক ধরেও চলে। রাতারাতি কোনো সমাধান চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তা দূর করতে ম্যান্ডেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা এখন একটি ফ্র্যাকচারড পলিটিক্যাল সিচুয়েশন দেখছি। এখন ডান, বাম ও মধ্যপন্থী সব পক্ষের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক সমাধান প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ট্রেস-এর সিইও ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ কটন ও কনফেকশনরি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।
প্যানেল আলোচনায় সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান। এতে কূটনীতিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ছিলেন।

রাজনৈতিক দলগুলোকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্ত ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। দলটির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডকে জাতির গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য ‘অস্তিত্বের হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
আজ শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ট্রেস কনসাল্টিং আয়োজিত ‘রাজনৈতিক দলগুলো কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে জনগণের আকাঙ্ক্ষা নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিফলিত করতে পারে’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে এখন সবার একটি স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া জরুরি। তিনি এখনো জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রেস সচিব বলেন, “তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ‘সন্ত্রাসী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। আমি মনে করি, এই বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অস্তিত্বের হুমকি। একজন মানুষকে যখন ‘সন্ত্রাসী’ বলা হয়, তখন আসলে তাঁকে হত্যাযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তিনি কি ১৮ কোটি মানুষকে শত্রু ঘোষণা করে আবার ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছেন?”
সাংবাদিক এনায়েতুল্লাহ খানের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এনায়েতুল্লাহ খান একসময় লিখেছিলেন— ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিব ৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে কোলাবরেটরস বা রাজাকার বানিয়েছিলেন, আর এখন তাঁর মেয়ে ১৮ কোটি মানুষকে সন্ত্রাসী বলছেন! এটা কল্পনাতীত।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ‘সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ নিয়ে কোনো দ্বিধা-সংকোচ থাকা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শাসন ব্যবস্থা ও জুলাই সনদ নিয়ে বিতর্ক সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। সারা বিশ্বে সংবিধান সংক্রান্ত বিতর্কে সময় লাগে, কখনো তা দশক ধরেও চলে। রাতারাতি কোনো সমাধান চাপিয়ে দেওয়া যায় না।’
শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত না নিতে পারে, তাহলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনিশ্চয়তা দূর করতে ম্যান্ডেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা এখন একটি ফ্র্যাকচারড পলিটিক্যাল সিচুয়েশন দেখছি। এখন ডান, বাম ও মধ্যপন্থী সব পক্ষের অংশগ্রহণে গণতান্ত্রিক সমাধান প্রয়োজন।’
অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ট্রেস-এর সিইও ফুয়াদ এম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশ কটন ও কনফেকশনরি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম।
প্যানেল আলোচনায় সঞ্চালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান। এতে কূটনীতিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা ছিলেন।

বইমেলার দিকে গুটি গুটি পায়ে এগোচ্ছিল একদল কচিকাঁচা। ওদের মুঠোতে ধরা বাবা-মায়েদের আস্থার আঙুল। ফটক খুলতেই ওরা কলরব করে ঢুকে পড়ল মেলার শিশুদের আঙিনায়। তারপর মেতে উঠল বই দেখা ও কেনায়। ছবি তোলা বা সিসিমপুরের প্রিয় চরিত্রগুলোকে খোঁজা নিয়েও ব্যস্ত ছিল অনেক শিশু। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মেলার...
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরীন হক বলেন, ‘গালাগাল আর তর্ক-বিতর্ক এক নয়। তর্ক-বিতর্ক গ্রহণযোগ্য, গালাগাল গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং সেটা একটা দুঃখের বিষয় ছিল। আরও দুঃখের বিষয় ছিল, সে সময় আমরা প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কোনো রকমের আওয়াজ শুনলাম না। কোনো রকমের প্রতিবাদ শুনলাম না।
২১ মিনিট আগে
তিনি বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে যাঁরা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করতে চান, তাঁদের ১০ নভেম্বরের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
২ ঘণ্টা আগে
দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগে