নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: করোনামুক্ত হলেও শারীরিক নানা জটিলতা এখনো ভোগাচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। এর মধ্যে হঠাৎ করে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। এখন জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি জ্বর ছাড়েনি তাঁর।
এক মাসের বেশি সময় হলো রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা। ৩ মে থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তাঁর চিকিৎসা চলছে। করোনা পরবর্তীকালে হার্ট, কিডনিসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি। অক্সিজেনের মাত্রাও ওঠানামা করছে। এর মধ্যে ফুসফুসে তরল জমেছিল তাঁর। তরল বের করার জন্য দুটি নলও লাগানো হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কয়েক দিন আগে নল দুটি খোলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর এক চিকিৎসক জানান, জ্বর নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে জ্বর এখনো আছে। আজকের পত্রিকাকে এ চিকিৎসক বলেন, ‘প্রত্যেক দিন কমপক্ষে তিন-চার বার ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগের চেয়ে তাপমাত্রা এখন কম। আজ (সোমবার) মাপা হলে দেখা গেছে, তাপমাত্রাটা ৯৯ থেকে ১০০’ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। ১০০ ছাড়িয়ে যায়নি।’
এর আগে খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ে শুক্রবার পর্যালোচনায় বসে মেডিকেল বোর্ড। বোর্ডের এক চিকিৎসক জানান, বুধবার সিসিইউ থেকে কেবিনে এসে গোসল করেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে শীত অনুভব করতে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে গোসল করায় ঠান্ডা লেগে তাঁর জ্বর এসেছে। জ্বর নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কোনো ওষুধ না দিয়ে তাঁকে শুধু প্যারাসিটামল দেওয়া হয়েছে। তাতেই জ্বর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে।
এদিকে কিডনির জটিলতা নিরসনেও সব ধরনের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামকে এখন প্রতিদিন নিয়ম করে কিছু সময়ের জন্য হাঁটানো হচ্ছে। মাঝে মাঝে কারও সাহায্য ছাড়াই বসার চেষ্টা করছেন তিনি। এটা ভালো লক্ষণ। সিসিইউতে থাকতে চান না, কেবিনে যেতে চান। কিন্তু সিসিইউ ছাড়ার মতো অবস্থা এখনো তাঁর হয়নি।’
২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সিসিইউতে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দেশের বাইরে পাঠানোর পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে সরকারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে তাঁর পরিবার। আইনি বাধায় অনুমোদন মেলেনি বিদেশে যাওয়ার।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ যাওয়ার বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া অন্যায়ভাবে কারাগারে আবদ্ধ হয়ে আছেন। তিনি অসুস্থ। আমরা দাবি করি বাংলাদেশের যেকোনো মানুষের মতো তিনিও যেন প্রয়োজনে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পান। অন্যায়ভাবে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেটা যেন প্রত্যাহার করা হয়।’
এর আগে রোববার জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দুঃখ হয়, যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কারা–নির্যাতন ভোগ করেছেন, তাঁকে চিকিৎসার জন্য সুযোগ দেওয়া হয় না। বারবার বলা হয়েছে, তাঁর অ্যাডভান্সড (উন্নত) চিকিৎসা দরকার। সেটা একটা অ্যাডভান্সড চিকিৎসা সেন্টারে করা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণে তাঁকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।’
ঢাকা: করোনামুক্ত হলেও শারীরিক নানা জটিলতা এখনো ভোগাচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। এর মধ্যে হঠাৎ করে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। এখন জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে পুরোপুরি জ্বর ছাড়েনি তাঁর।
এক মাসের বেশি সময় হলো রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা। ৩ মে থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তাঁর চিকিৎসা চলছে। করোনা পরবর্তীকালে হার্ট, কিডনিসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি। অক্সিজেনের মাত্রাও ওঠানামা করছে। এর মধ্যে ফুসফুসে তরল জমেছিল তাঁর। তরল বের করার জন্য দুটি নলও লাগানো হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কয়েক দিন আগে নল দুটি খোলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান তিনি।
আজ সোমবার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর এক চিকিৎসক জানান, জ্বর নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে জ্বর এখনো আছে। আজকের পত্রিকাকে এ চিকিৎসক বলেন, ‘প্রত্যেক দিন কমপক্ষে তিন-চার বার ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগের চেয়ে তাপমাত্রা এখন কম। আজ (সোমবার) মাপা হলে দেখা গেছে, তাপমাত্রাটা ৯৯ থেকে ১০০’ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। ১০০ ছাড়িয়ে যায়নি।’
এর আগে খালেদা জিয়ার জ্বর নিয়ে শুক্রবার পর্যালোচনায় বসে মেডিকেল বোর্ড। বোর্ডের এক চিকিৎসক জানান, বুধবার সিসিইউ থেকে কেবিনে এসে গোসল করেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে শীত অনুভব করতে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে গোসল করায় ঠান্ডা লেগে তাঁর জ্বর এসেছে। জ্বর নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কোনো ওষুধ না দিয়ে তাঁকে শুধু প্যারাসিটামল দেওয়া হয়েছে। তাতেই জ্বর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে।
এদিকে কিডনির জটিলতা নিরসনেও সব ধরনের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামকে এখন প্রতিদিন নিয়ম করে কিছু সময়ের জন্য হাঁটানো হচ্ছে। মাঝে মাঝে কারও সাহায্য ছাড়াই বসার চেষ্টা করছেন তিনি। এটা ভালো লক্ষণ। সিসিইউতে থাকতে চান না, কেবিনে যেতে চান। কিন্তু সিসিইউ ছাড়ার মতো অবস্থা এখনো তাঁর হয়নি।’
২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। সিসিইউতে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দেশের বাইরে পাঠানোর পরামর্শ দেন। এ বিষয়ে সরকারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে তাঁর পরিবার। আইনি বাধায় অনুমোদন মেলেনি বিদেশে যাওয়ার।
খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় বিদেশ যাওয়ার বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। সোমবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া অন্যায়ভাবে কারাগারে আবদ্ধ হয়ে আছেন। তিনি অসুস্থ। আমরা দাবি করি বাংলাদেশের যেকোনো মানুষের মতো তিনিও যেন প্রয়োজনে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পান। অন্যায়ভাবে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেটা যেন প্রত্যাহার করা হয়।’
এর আগে রোববার জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দুঃখ হয়, যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কারা–নির্যাতন ভোগ করেছেন, তাঁকে চিকিৎসার জন্য সুযোগ দেওয়া হয় না। বারবার বলা হয়েছে, তাঁর অ্যাডভান্সড (উন্নত) চিকিৎসা দরকার। সেটা একটা অ্যাডভান্সড চিকিৎসা সেন্টারে করা প্রয়োজন। কিন্তু সরকার প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণে তাঁকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে।’
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বহুল আলোচিত বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে এ বৈঠকে নিজ নিজ দেশের পক্ষে আলোচনা করছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ কাটছেই না। সংসদ নির্বাচনের আগে নাকি পরে সনদের বাস্তবায়ন—এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি এখনো স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ভোটের আগেই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন চায়। জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানও সেটাই। অপর দিকে বিএনপিসহ সমমনাদের অবস্থান...
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক জোরদার করতে চায় পাকিস্তান। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার গতকাল শনিবার ঢাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এ কথা বলেন।
১৩ ঘণ্টা আগেসন্ধ্যা নামার আগে আগে রাজধানীর সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশানঘাটের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে কান্নার রোলে। শেষবারের মতো কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছিলেন সহকর্মী ও সহযোদ্ধারা। নীরবে দাঁড়িয়ে বারবার চোখ মুছছিলেন স্ত্রী-কন্যা ও স্বজনেরা।
১৪ ঘণ্টা আগে