নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা ও তাঁদের সন্তানদের নামে ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান মিলে মোট প্রায় ৫৮৭ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে তাঁদের নামে মোট ১২৪টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৫৭৮ কোটি টাকা অবরুদ্ধ এবং সুধা সদনসহ ৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বাড়ি ও জমি ক্রোক করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ এবং বাড়ি ও জমি ক্রোকের আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক মো. জাকির হোসেন ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ ও সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান।
আবেদন থেকে দেখা যায়— বিভিন্ন ব্যাংকে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘর, সূচনা ফাউন্ডেশন, আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, শফিক আহমেদ সিদ্দিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন তহবিল, আওয়ামী লীগের সেন্টার অব রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নামে ১২৪টি ব্যাংক হিসাবে ৫৭৮ কোটি টাকা রয়েছে, যা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, এসব ব্যাংক হিসাবে রাখা অর্থ যেকোনো মুহূর্তে তাঁরা হস্তান্তর/স্থানান্তর করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ এবং দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে এগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
জমি ও ফ্ল্যাট সম্পর্কে দুদকের আবেদনে দেখা যায়— সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১৬ কাঠা জমিসহ সুধা সদন নামে যেই ভবন, যার পরিচিত মূল্য ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, টিউলিপ সিদ্দিকের নামে গুলশানের ৭১ নম্বর রোডের ইস্টার্ন হারমনি ভবনের একটি ফ্ল্যাট, যার মূল্য ৪৩ লাখ ২৪ হাজার ৯২০ টাকা, শেখ রেহানার নামে গাজীপুরের কালিয়াকৈর মৌজায় ১০ শতাংশের দুটি জমি, যার মূল্য ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন বেলার একটি ফ্ল্যাট, যার মূল্য ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০০ টাকা এবং শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট, যার মোট মূল্য ৪ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার টাকা ক্রোক করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা স্থাবর এসব সম্পত্তি যেকোনো সময় বিক্রি, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে পারেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। যাতে বিক্রি, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে না পারেন, সে জন্য ক্রোক করা প্রয়োজন। একই আপিলে এসব সম্পত্তি তত্ত্বাবধানের জন্য রিসিভার নিয়োগের আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শেখ হাসিনাসহ সাতজনকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন একই আদালত। অন্যরা হলেন—জয়, পুতুল, শেখ রেহানা এবং তাঁর কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান সিদ্দিক।
দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা লোপাট/আত্মসাতের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তারা বিদেশে গেলে অনুসন্ধানকাজ ব্যাহত হবে। এ কারণে তাঁদের বিদেশগমন রহিত করা প্রয়োজন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা ও তাঁদের সন্তানদের নামে ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান মিলে মোট প্রায় ৫৮৭ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর মধ্যে তাঁদের নামে মোট ১২৪টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৫৭৮ কোটি টাকা অবরুদ্ধ এবং সুধা সদনসহ ৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বাড়ি ও জমি ক্রোক করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ এবং বাড়ি ও জমি ক্রোকের আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক মো. জাকির হোসেন ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ ও সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান।
আবেদন থেকে দেখা যায়— বিভিন্ন ব্যাংকে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল জাদুঘর, সূচনা ফাউন্ডেশন, আবু সিদ্দিক মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, শফিক আহমেদ সিদ্দিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন তহবিল, আওয়ামী লীগের সেন্টার অব রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নামে ১২৪টি ব্যাংক হিসাবে ৫৭৮ কোটি টাকা রয়েছে, যা অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, এসব ব্যাংক হিসাবে রাখা অর্থ যেকোনো মুহূর্তে তাঁরা হস্তান্তর/স্থানান্তর করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ এবং দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে এগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
জমি ও ফ্ল্যাট সম্পর্কে দুদকের আবেদনে দেখা যায়— সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১৬ কাঠা জমিসহ সুধা সদন নামে যেই ভবন, যার পরিচিত মূল্য ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, টিউলিপ সিদ্দিকের নামে গুলশানের ৭১ নম্বর রোডের ইস্টার্ন হারমনি ভবনের একটি ফ্ল্যাট, যার মূল্য ৪৩ লাখ ২৪ হাজার ৯২০ টাকা, শেখ রেহানার নামে গাজীপুরের কালিয়াকৈর মৌজায় ১০ শতাংশের দুটি জমি, যার মূল্য ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন বেলার একটি ফ্ল্যাট, যার মূল্য ১৮ লাখ ১৪ হাজার ৯০০ টাকা এবং শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট, যার মোট মূল্য ৪ কোটি ৮২ লাখ ১০ হাজার টাকা ক্রোক করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা স্থাবর এসব সম্পত্তি যেকোনো সময় বিক্রি, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে পারেন বলে দুদক জানতে পেরেছে। যাতে বিক্রি, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে না পারেন, সে জন্য ক্রোক করা প্রয়োজন। একই আপিলে এসব সম্পত্তি তত্ত্বাবধানের জন্য রিসিভার নিয়োগের আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
শেখ হাসিনাসহ সাতজনকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন একই আদালত। অন্যরা হলেন—জয়, পুতুল, শেখ রেহানা এবং তাঁর কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ছেলে রাদওয়ান সিদ্দিক।
দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা লোপাট/আত্মসাতের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তারা বিদেশে গেলে অনুসন্ধানকাজ ব্যাহত হবে। এ কারণে তাঁদের বিদেশগমন রহিত করা প্রয়োজন।
রেলযাত্রা নিয়ে মানুষের ভোগান্তির গল্পের শেষ নেই। সময়মতো ট্রেন না ছাড়া, দরকারি টিকিট না পাওয়া, অপরিচ্ছন্ন আসন, নোংরা প্ল্যাটফর্ম— এমন অভিযোগের দীর্ঘ তালিকা রয়েছে যাত্রী-মনে। ট্রেনে ও স্টেশনে সেসব অভিযোগ জানানোর জন্য রয়েছে বড় আকারের রুলটানা খাতা, যার সরকারি নাম ‘কমপ্লেইন রেজিস্ট্রার বুক’।
৩৫ মিনিট আগেঅবশেষে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড কেনার জট খুলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের (সেপ্টেম্বর) প্রথম সপ্তাহ থেকে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড হাতে পাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার কার্ড কিনছে...
৩ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে, যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমরা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের...
৯ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
১ দিন আগে