Ajker Patrika

দুর্গাপূজায় ৭০০ পূজামণ্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ: সনাতনী জাগরণ জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউর সাগর-রুনি মিলনায়তনে মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউর সাগর-রুনি মিলনায়তনে মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় ৭০০ পূজামণ্ডপকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে মনে করছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট। তাদের পক্ষ থেকে পূজার নিরাপত্তার জন্য প্রত্যেক মণ্ডপে সেনা মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ সব কারাবন্দীর নিঃশর্তে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান জোটের নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের সদস্য প্রদীপ কান্তি দে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে তথ্য এসেছে, পাঁচটি জেলায় প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের আশঙ্কা, ঝুঁকিপূর্ণ ৭০০ পূজামণ্ডপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাতক্ষীরা জেলায়। এরই মধ্যে সাতক্ষীরার ৫৫টি মণ্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘পাশাপাশি কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপের তালিকা করে আমরা সরকারকে জানিয়েছি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। সেই সঙ্গে প্রত্যেক পূজামণ্ডপে সরকারি খরচে সিসিটিভি রাখারও অনুরোধ জানিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু আর্মি বর্তমানে সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় কাজ করছে, সে কারণে আমরা দাবি জানিয়েছি, পূজাতে আর্মি মোতায়েনের জন্য, যাতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা করতে পারি।’

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের পক্ষে প্রসেনজিৎ কুমার হালদার বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আট দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন ও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত; অবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন; সংখ্যালঘুবিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন; হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্টকে যথাক্রমে হিন্দু ফাউন্ডেশন, বৌদ্ধ ফাউন্ডেশন ও খ্রিষ্টান ফাউন্ডেশনে উন্নীত; দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার আইন প্রণয়ন এবং ভেস্টেড প্রপার্টি রিটার্ন অ্যাক্ট যথাযথভাবে বাস্তবায়ন; সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোতে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য প্রার্থনাকক্ষের ব্যবস্থা; সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডকে আধুনিকায়ন এবং দুর্গাপূজায় পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি এবং সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় সরকারি ছুটি প্রদান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল বাসায় নিয়ে গায়েব করেন উপদেষ্টা— আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের মেয়রের অভিযোগ

চীনা যুদ্ধবিমান থেকে এলএস-৬ বোমা ফেলে কেন নিজ দেশে ‘হত্যাযজ্ঞ’ চালাল পাকিস্তান

তাহসান তো জিহাদিদের মতোই কথা বললেন: তসলিমা

১৫ শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ইবির এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে

ডাকসুর দুই ভোটকেন্দ্রের ফুটেজ চেয়ে সুর্মী চাকমার আবেদন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত