অনলাইন ডেস্ক
সম্প্রতি ঢাকা থেকে ১১ বছরের একটি মেয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে বাড়ি থেকে অনেক দূরে উত্তরবঙ্গের একটি জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মিডিয়ায় রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার অভাব দেখছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ। একই সঙ্গে শিশু আইন, ২০১৩-এর লঙ্ঘন করা হয়েছে।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিবৃতিতে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এমনটি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিসেফ শিশুটিকে উদ্ধারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে, সঙ্গে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করে, যেভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এবং উপস্থাপন করা হয়েছে সে বিষয়ে; বিশেষ করে যেখানে শিশু সুরক্ষা নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং মিডিয়ায় রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার অভাব দেখা দিয়েছে।
রানা ফ্লাওয়ার্স মনে করেন, শিশুটিকে উদ্ধারের সময় যা যা ঘটেছে, তা গভীর উদ্বেগজনক। পুলিশ দ্বারা সুরক্ষিত ও বেষ্টিত থাকার পরিবর্তে শিশুটিকে ক্যামেরায় সবার সামনে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, যা তার মানসিক অবস্থাকে আরও নাজুক করে তোলে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিশু আইন, ২০১৩-এ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা আছে, এ ধরনের ঘটনা কীভাবে সামাল দেওয়া উচিত। ধারা ৫৪(১)-এ কন্যাশিশুদের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু প্রটোকলের উল্লেখ রয়েছে—এমন পরিস্থিতিতে কন্যাশিশুদের একজন নারী পুলিশ অফিসার দ্বারা সংবেদনশীলভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করাতে হবে এবং এ সময় অবশ্যই শিশুটির আস্থাভাজন একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি সহায়তার জন্য তার সঙ্গে থাকবেন।
এ ছাড়া ধারা ৯১-এ আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুদের জন্য শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় আশ্চর্যজনকভাবে শিশুটির সাক্ষাৎকার টেপ বা রেকর্ড করা হয় এবং এর চেয়েও ভয়ংকর বিষয় হলো, শিশুটির পরিচয় গোপন না করে সাক্ষাৎকারটির ফুটেজ তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়; যা প্রমাণ দেয় যে আইন মানা হয়নি।
আইন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, শিশুদের দেখতে বা কথায় যতই পরিপক্ব বা পটু মনে হোক না কেন, তারা প্রাপ্তবয়স্ক সম্পর্কের জটিলতা বা প্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা শোষণের বিপদগুলো সামলাতে অপারগ। যখন এই আইনগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়, তখন এমন একটি সমাজ গড়ে ওঠে, যেখানে প্রতিটি শিশু সুরক্ষিত থাকে, মূল্যায়িত হয়, সম্মানিত বোধ করে এবং ভয় বা ক্ষতি ছাড়া বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়।
রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, শিশুদের সুরক্ষায় মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নৈতিক ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় অবশ্যই শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, তাদের পরিচয় গোপন করতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ছদ্মনাম কিংবা পরিবর্তিত কণ্ঠস্বর ব্যবহার করতে হবে; পরিচয় শনাক্তকারী যেকোনো বিবরণ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। একজন ভুক্তভোগী শিশুকে চিহ্নিত করা যায়, এমন তথ্য প্রকাশ করলে তা শিশুর ওপর দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষকে শিশু সুরক্ষা প্রটোকল পর্যালোচনা করার; শিশু আইন, ২০১৩-এর সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার এবং প্রতিটি শিশুর জন্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা জোরদার করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতির শেষ অংশে বলা হয়, ‘শিশুটির বয়স মাত্র ১১। আমাদের এর চেয়ে বেশি কিছু জানার বোধ হয় প্রয়োজন নেই। এখন আসুন, তাকে সবাই মিলে রক্ষা করি।’
সম্প্রতি ঢাকা থেকে ১১ বছরের একটি মেয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে বাড়ি থেকে অনেক দূরে উত্তরবঙ্গের একটি জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মিডিয়ায় রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার অভাব দেখছে ইউনিসেফ বাংলাদেশ। একই সঙ্গে শিশু আইন, ২০১৩-এর লঙ্ঘন করা হয়েছে।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিবৃতিতে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স এমনটি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইউনিসেফ শিশুটিকে উদ্ধারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে, সঙ্গে গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করে, যেভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এবং উপস্থাপন করা হয়েছে সে বিষয়ে; বিশেষ করে যেখানে শিশু সুরক্ষা নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং মিডিয়ায় রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতার অভাব দেখা দিয়েছে।
রানা ফ্লাওয়ার্স মনে করেন, শিশুটিকে উদ্ধারের সময় যা যা ঘটেছে, তা গভীর উদ্বেগজনক। পুলিশ দ্বারা সুরক্ষিত ও বেষ্টিত থাকার পরিবর্তে শিশুটিকে ক্যামেরায় সবার সামনে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়, যা তার মানসিক অবস্থাকে আরও নাজুক করে তোলে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিশু আইন, ২০১৩-এ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা আছে, এ ধরনের ঘটনা কীভাবে সামাল দেওয়া উচিত। ধারা ৫৪(১)-এ কন্যাশিশুদের জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু প্রটোকলের উল্লেখ রয়েছে—এমন পরিস্থিতিতে কন্যাশিশুদের একজন নারী পুলিশ অফিসার দ্বারা সংবেদনশীলভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করাতে হবে এবং এ সময় অবশ্যই শিশুটির আস্থাভাজন একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি সহায়তার জন্য তার সঙ্গে থাকবেন।
এ ছাড়া ধারা ৯১-এ আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুদের জন্য শিশুবিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাদের ভূমিকার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় আশ্চর্যজনকভাবে শিশুটির সাক্ষাৎকার টেপ বা রেকর্ড করা হয় এবং এর চেয়েও ভয়ংকর বিষয় হলো, শিশুটির পরিচয় গোপন না করে সাক্ষাৎকারটির ফুটেজ তখনই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়; যা প্রমাণ দেয় যে আইন মানা হয়নি।
আইন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, শিশুদের দেখতে বা কথায় যতই পরিপক্ব বা পটু মনে হোক না কেন, তারা প্রাপ্তবয়স্ক সম্পর্কের জটিলতা বা প্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা শোষণের বিপদগুলো সামলাতে অপারগ। যখন এই আইনগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়, তখন এমন একটি সমাজ গড়ে ওঠে, যেখানে প্রতিটি শিশু সুরক্ষিত থাকে, মূল্যায়িত হয়, সম্মানিত বোধ করে এবং ভয় বা ক্ষতি ছাড়া বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়।
রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, শিশুদের সুরক্ষায় মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নৈতিক ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় অবশ্যই শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, তাদের পরিচয় গোপন করতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ছদ্মনাম কিংবা পরিবর্তিত কণ্ঠস্বর ব্যবহার করতে হবে; পরিচয় শনাক্তকারী যেকোনো বিবরণ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। একজন ভুক্তভোগী শিশুকে চিহ্নিত করা যায়, এমন তথ্য প্রকাশ করলে তা শিশুর ওপর দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষকে শিশু সুরক্ষা প্রটোকল পর্যালোচনা করার; শিশু আইন, ২০১৩-এর সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করার এবং প্রতিটি শিশুর জন্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা জোরদার করার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতির শেষ অংশে বলা হয়, ‘শিশুটির বয়স মাত্র ১১। আমাদের এর চেয়ে বেশি কিছু জানার বোধ হয় প্রয়োজন নেই। এখন আসুন, তাকে সবাই মিলে রক্ষা করি।’
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ইতালি থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকাগামী ফ্লাইট (বিজি ৩৫৬) বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ফিউমিসিনো বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল।
১ ঘণ্টা আগেপদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে ঋণচুক্তির সময় ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ না থাকা কিছু কাজ পরে প্রয়োজনে যুক্ত হয়েছে। বাড়তি এসব কাজে খরচ হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময়হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৪৭ কোটি টাকা)। এই টাকা ঋণ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে প্রকল্পটিতে
৭ ঘণ্টা আগেজুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হবে, তা নিয়ে আজ রোববার (১০ আগস্ট) থেকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে তাঁরা প্রাথমিকভাবে সুপ্রিম কোর্টের মতামত, গণভোট ও অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা
১২ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে জনশক্তি রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৫টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হবে। দেশটির শ্রম বাজারের বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ জনশক্ত
১৩ ঘণ্টা আগে