অর্চি হক, ঢাকা

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এআই নীতিমালার খসড়ার কাজ শুরু হয়েছে বেশ আগেই। আমরা আশা করছি, উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর এটা জুলাই নাগাদ অনবোর্ড (জারি) হয়ে যাবে। জুনে হয়তো উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হয়ে যাবে।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খসড়া নীতিমালা নিয়ে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। জুনে খসড়া নীতিমালা উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হতে পারে। এরপর জুলাইয়ের মধ্যে নীতিমালার প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে গত এপ্রিলে ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এর খসড়া তৈরি করেছে ইউনেসকো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এটুআই, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ইউএনডিপির সমন্বয়ে এই খসড়া তৈরি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা, ২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪), দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। খসড়া নীতিমালাটি ইউনেসকোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিসংক্রান্ত সুপারিশের মূল মূল্যবোধ ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক শাসনকাঠামোগত পরিবর্তনগুলো প্রতিফলিত করতে নীতিমালাটি হালনাগাদ করা গুরুত্বপূর্ণ; যাতে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
গত বুধবার (২১ মে) বহুল বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করে গেজেট প্রকাশ করে। সেখানে আগের আইনের ৯টি ধারা বাদ দিয়ে কিছু নতুন ধারা যুক্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন বিতর্কিত ধারায় সাংবাদিকসহ বেশ কিছু মানুষকে হয়রানি, নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে তখন আইনটি বাতিলের দাবি উঠেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে ওই আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ১ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে মতামত চাওয়া হয়েছিল।
কী আছে নীতিমালায়
খসড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালার ৫.২.২ ধারায় ‘আইনি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো’ অংশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিশাস্ত্রসংক্রান্ত দিকনির্দেশনা ও নীতিমালা সংযোজনের লক্ষ্যে জাতীয় কৌশল হালনাগাদের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ও নৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবহারের জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়।
মানবাধিকারের প্রসঙ্গে, খসড়া নীতিমালার ৩.৬ ধারা (‘মানব-কেন্দ্রিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’)-তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার পরিচালিত হবে আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার, মর্যাদা, মূল্যবোধ এবং পছন্দকে সমুন্নত রাখার মাধ্যমে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে মানুষের হস্তক্ষেপ ও তত্ত্বাবধানের সুযোগ রাখা হবে।
খসড়া নীতিমালার ৫ নম্বর অধ্যায়, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতি বাস্তবায়ন পদ্ধতি’ অংশে প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি ও নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য একটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খসড়া নীতিমালায় প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর জন্য নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ উল্লেখ করা হয়নি।
খসড়া নীতিমালার ৭ নম্বর অধ্যায় ‘নীতি পর্যালোচনা’-তে উল্লেখ করা হয়েছে যে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা প্রতি তিন বছর অন্তর নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় অংশীজনদের অংশগ্রহণ একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হবে।
খসড়া নীতিমালার ৪.৬ ধারাতে (‘অর্থ, বাণিজ্য ও অর্থনীতি’) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত প্রভাব মূল্যায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৩.২ ধারায় (‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি’) নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, নীতিমালাটি ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়া ব্যাখ্যাযোগ্য হয়।
ইউনেসকোর ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা-২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪) দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশে এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শাসনের জন্য নির্ধারিত বাধ্যতামূলক আইন বা ‘সফট ল’ ধরনের কোনো কাঠামো কার্যকর নেই। এ বিষয়ে পরামর্শ প্রক্রিয়ার সময় অংশীজনেরা পরামর্শ দেন যে বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিকতা সম্পর্কিত ইউনেসকোর সুপারিশগুলো ইসলামিক বিশ্ব শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার মূল্যবোধের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা উচিত। বিশেষ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি; যেমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কভিত্তিক এআই সঙ্গী বা ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে খাপ খেতে নাও পারে। সুতরাং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সফল গ্রহণযোগ্যতার জন্য তা দেশের নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত প্রেক্ষাপটে উপযোগী করে তোলা জরুরি।
‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ আরও বলা হয়েছে, এআই প্রযুক্তি যখন ক্রমশ সরকারি সেবায় একীভূত হতে শুরু করবে, তখন ব্যবহারকারী, সেবা প্রদানকারী এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্পষ্ট ও ধারাবাহিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এআই নীতিমালা কেন গুরুত্বপূর্ণ
এআইয়ের অপব্যবহারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যাকিং, স্প্যাম ই-মেইলের মতো ঝুঁকি রয়েছে। এআই-প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে বিপ্লব ঘটালেও এর অপব্যবহারও বেড়েছে সমান তালে। এআইয়ের সাহায্যে ডিপফেক ভিডিও, ভুয়া ছবি, কনটেন্ট তৈরিসহ মানুষের সম্মানহানি, চাঁদাবাজি, সামাজিক হেনস্তাসহ ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এআই প্রয়োগ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৩ সালে এআই আইন করেছে। কানাডায় এআই ও ডেটা অ্যাক্ট রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালে এআই প্রয়োগের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ এসেছিল। জাপান ও ইসরায়েলে এআই নীতিমালা রয়েছে। ভারতও এআই আইন নিয়ে কাজ শুরু করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২০৩১ সাল পর্যন্ত এআই নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে এআইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাত, মোবাইল ব্যাংকিং, মার্কেটিং খাতে এআইয়ের ব্যবহার বেশি। কৃষি খাতেও এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে এখন পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এআই এবং মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজ করে। তবে প্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশেও এআই প্রয়োগ নীতিমালা এবং আইন প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে এআই কৌশল ও নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে। গত বছর তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআই আইন প্রণয়ন হবে।
এআই নীতিমালার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। শিগগির এটা চূড়ান্ত হবে।’

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এআই নীতিমালার খসড়ার কাজ শুরু হয়েছে বেশ আগেই। আমরা আশা করছি, উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর এটা জুলাই নাগাদ অনবোর্ড (জারি) হয়ে যাবে। জুনে হয়তো উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হয়ে যাবে।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খসড়া নীতিমালা নিয়ে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। জুনে খসড়া নীতিমালা উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হতে পারে। এরপর জুলাইয়ের মধ্যে নীতিমালার প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে গত এপ্রিলে ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এর খসড়া তৈরি করেছে ইউনেসকো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এটুআই, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ইউএনডিপির সমন্বয়ে এই খসড়া তৈরি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা, ২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪), দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। খসড়া নীতিমালাটি ইউনেসকোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিসংক্রান্ত সুপারিশের মূল মূল্যবোধ ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক শাসনকাঠামোগত পরিবর্তনগুলো প্রতিফলিত করতে নীতিমালাটি হালনাগাদ করা গুরুত্বপূর্ণ; যাতে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
গত বুধবার (২১ মে) বহুল বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করে গেজেট প্রকাশ করে। সেখানে আগের আইনের ৯টি ধারা বাদ দিয়ে কিছু নতুন ধারা যুক্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন বিতর্কিত ধারায় সাংবাদিকসহ বেশ কিছু মানুষকে হয়রানি, নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে তখন আইনটি বাতিলের দাবি উঠেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে ওই আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ১ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে মতামত চাওয়া হয়েছিল।
কী আছে নীতিমালায়
খসড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালার ৫.২.২ ধারায় ‘আইনি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো’ অংশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিশাস্ত্রসংক্রান্ত দিকনির্দেশনা ও নীতিমালা সংযোজনের লক্ষ্যে জাতীয় কৌশল হালনাগাদের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ও নৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবহারের জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়।
মানবাধিকারের প্রসঙ্গে, খসড়া নীতিমালার ৩.৬ ধারা (‘মানব-কেন্দ্রিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’)-তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার পরিচালিত হবে আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার, মর্যাদা, মূল্যবোধ এবং পছন্দকে সমুন্নত রাখার মাধ্যমে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে মানুষের হস্তক্ষেপ ও তত্ত্বাবধানের সুযোগ রাখা হবে।
খসড়া নীতিমালার ৫ নম্বর অধ্যায়, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতি বাস্তবায়ন পদ্ধতি’ অংশে প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি ও নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য একটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খসড়া নীতিমালায় প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর জন্য নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ উল্লেখ করা হয়নি।
খসড়া নীতিমালার ৭ নম্বর অধ্যায় ‘নীতি পর্যালোচনা’-তে উল্লেখ করা হয়েছে যে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা প্রতি তিন বছর অন্তর নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় অংশীজনদের অংশগ্রহণ একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হবে।
খসড়া নীতিমালার ৪.৬ ধারাতে (‘অর্থ, বাণিজ্য ও অর্থনীতি’) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত প্রভাব মূল্যায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৩.২ ধারায় (‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি’) নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, নীতিমালাটি ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়া ব্যাখ্যাযোগ্য হয়।
ইউনেসকোর ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা-২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪) দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশে এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শাসনের জন্য নির্ধারিত বাধ্যতামূলক আইন বা ‘সফট ল’ ধরনের কোনো কাঠামো কার্যকর নেই। এ বিষয়ে পরামর্শ প্রক্রিয়ার সময় অংশীজনেরা পরামর্শ দেন যে বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিকতা সম্পর্কিত ইউনেসকোর সুপারিশগুলো ইসলামিক বিশ্ব শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার মূল্যবোধের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা উচিত। বিশেষ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি; যেমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কভিত্তিক এআই সঙ্গী বা ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে খাপ খেতে নাও পারে। সুতরাং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সফল গ্রহণযোগ্যতার জন্য তা দেশের নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত প্রেক্ষাপটে উপযোগী করে তোলা জরুরি।
‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ আরও বলা হয়েছে, এআই প্রযুক্তি যখন ক্রমশ সরকারি সেবায় একীভূত হতে শুরু করবে, তখন ব্যবহারকারী, সেবা প্রদানকারী এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্পষ্ট ও ধারাবাহিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এআই নীতিমালা কেন গুরুত্বপূর্ণ
এআইয়ের অপব্যবহারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যাকিং, স্প্যাম ই-মেইলের মতো ঝুঁকি রয়েছে। এআই-প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে বিপ্লব ঘটালেও এর অপব্যবহারও বেড়েছে সমান তালে। এআইয়ের সাহায্যে ডিপফেক ভিডিও, ভুয়া ছবি, কনটেন্ট তৈরিসহ মানুষের সম্মানহানি, চাঁদাবাজি, সামাজিক হেনস্তাসহ ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এআই প্রয়োগ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৩ সালে এআই আইন করেছে। কানাডায় এআই ও ডেটা অ্যাক্ট রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালে এআই প্রয়োগের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ এসেছিল। জাপান ও ইসরায়েলে এআই নীতিমালা রয়েছে। ভারতও এআই আইন নিয়ে কাজ শুরু করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২০৩১ সাল পর্যন্ত এআই নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে এআইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাত, মোবাইল ব্যাংকিং, মার্কেটিং খাতে এআইয়ের ব্যবহার বেশি। কৃষি খাতেও এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে এখন পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এআই এবং মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজ করে। তবে প্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশেও এআই প্রয়োগ নীতিমালা এবং আইন প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে এআই কৌশল ও নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে। গত বছর তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআই আইন প্রণয়ন হবে।
এআই নীতিমালার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। শিগগির এটা চূড়ান্ত হবে।’
অর্চি হক, ঢাকা

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এআই নীতিমালার খসড়ার কাজ শুরু হয়েছে বেশ আগেই। আমরা আশা করছি, উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর এটা জুলাই নাগাদ অনবোর্ড (জারি) হয়ে যাবে। জুনে হয়তো উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হয়ে যাবে।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খসড়া নীতিমালা নিয়ে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। জুনে খসড়া নীতিমালা উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হতে পারে। এরপর জুলাইয়ের মধ্যে নীতিমালার প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে গত এপ্রিলে ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এর খসড়া তৈরি করেছে ইউনেসকো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এটুআই, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ইউএনডিপির সমন্বয়ে এই খসড়া তৈরি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা, ২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪), দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। খসড়া নীতিমালাটি ইউনেসকোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিসংক্রান্ত সুপারিশের মূল মূল্যবোধ ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক শাসনকাঠামোগত পরিবর্তনগুলো প্রতিফলিত করতে নীতিমালাটি হালনাগাদ করা গুরুত্বপূর্ণ; যাতে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
গত বুধবার (২১ মে) বহুল বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করে গেজেট প্রকাশ করে। সেখানে আগের আইনের ৯টি ধারা বাদ দিয়ে কিছু নতুন ধারা যুক্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন বিতর্কিত ধারায় সাংবাদিকসহ বেশ কিছু মানুষকে হয়রানি, নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে তখন আইনটি বাতিলের দাবি উঠেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে ওই আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ১ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে মতামত চাওয়া হয়েছিল।
কী আছে নীতিমালায়
খসড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালার ৫.২.২ ধারায় ‘আইনি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো’ অংশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিশাস্ত্রসংক্রান্ত দিকনির্দেশনা ও নীতিমালা সংযোজনের লক্ষ্যে জাতীয় কৌশল হালনাগাদের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ও নৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবহারের জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়।
মানবাধিকারের প্রসঙ্গে, খসড়া নীতিমালার ৩.৬ ধারা (‘মানব-কেন্দ্রিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’)-তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার পরিচালিত হবে আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার, মর্যাদা, মূল্যবোধ এবং পছন্দকে সমুন্নত রাখার মাধ্যমে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে মানুষের হস্তক্ষেপ ও তত্ত্বাবধানের সুযোগ রাখা হবে।
খসড়া নীতিমালার ৫ নম্বর অধ্যায়, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতি বাস্তবায়ন পদ্ধতি’ অংশে প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি ও নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য একটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খসড়া নীতিমালায় প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর জন্য নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ উল্লেখ করা হয়নি।
খসড়া নীতিমালার ৭ নম্বর অধ্যায় ‘নীতি পর্যালোচনা’-তে উল্লেখ করা হয়েছে যে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা প্রতি তিন বছর অন্তর নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় অংশীজনদের অংশগ্রহণ একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হবে।
খসড়া নীতিমালার ৪.৬ ধারাতে (‘অর্থ, বাণিজ্য ও অর্থনীতি’) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত প্রভাব মূল্যায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৩.২ ধারায় (‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি’) নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, নীতিমালাটি ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়া ব্যাখ্যাযোগ্য হয়।
ইউনেসকোর ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা-২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪) দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশে এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শাসনের জন্য নির্ধারিত বাধ্যতামূলক আইন বা ‘সফট ল’ ধরনের কোনো কাঠামো কার্যকর নেই। এ বিষয়ে পরামর্শ প্রক্রিয়ার সময় অংশীজনেরা পরামর্শ দেন যে বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিকতা সম্পর্কিত ইউনেসকোর সুপারিশগুলো ইসলামিক বিশ্ব শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার মূল্যবোধের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা উচিত। বিশেষ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি; যেমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কভিত্তিক এআই সঙ্গী বা ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে খাপ খেতে নাও পারে। সুতরাং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সফল গ্রহণযোগ্যতার জন্য তা দেশের নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত প্রেক্ষাপটে উপযোগী করে তোলা জরুরি।
‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ আরও বলা হয়েছে, এআই প্রযুক্তি যখন ক্রমশ সরকারি সেবায় একীভূত হতে শুরু করবে, তখন ব্যবহারকারী, সেবা প্রদানকারী এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্পষ্ট ও ধারাবাহিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এআই নীতিমালা কেন গুরুত্বপূর্ণ
এআইয়ের অপব্যবহারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যাকিং, স্প্যাম ই-মেইলের মতো ঝুঁকি রয়েছে। এআই-প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে বিপ্লব ঘটালেও এর অপব্যবহারও বেড়েছে সমান তালে। এআইয়ের সাহায্যে ডিপফেক ভিডিও, ভুয়া ছবি, কনটেন্ট তৈরিসহ মানুষের সম্মানহানি, চাঁদাবাজি, সামাজিক হেনস্তাসহ ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এআই প্রয়োগ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৩ সালে এআই আইন করেছে। কানাডায় এআই ও ডেটা অ্যাক্ট রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালে এআই প্রয়োগের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ এসেছিল। জাপান ও ইসরায়েলে এআই নীতিমালা রয়েছে। ভারতও এআই আইন নিয়ে কাজ শুরু করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২০৩১ সাল পর্যন্ত এআই নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে এআইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাত, মোবাইল ব্যাংকিং, মার্কেটিং খাতে এআইয়ের ব্যবহার বেশি। কৃষি খাতেও এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে এখন পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এআই এবং মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজ করে। তবে প্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশেও এআই প্রয়োগ নীতিমালা এবং আইন প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে এআই কৌশল ও নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে। গত বছর তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআই আইন প্রণয়ন হবে।
এআই নীতিমালার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। শিগগির এটা চূড়ান্ত হবে।’

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এআই নীতিমালার খসড়ার কাজ শুরু হয়েছে বেশ আগেই। আমরা আশা করছি, উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর এটা জুলাই নাগাদ অনবোর্ড (জারি) হয়ে যাবে। জুনে হয়তো উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হয়ে যাবে।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খসড়া নীতিমালা নিয়ে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। জুনে খসড়া নীতিমালা উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হতে পারে। এরপর জুলাইয়ের মধ্যে নীতিমালার প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে গত এপ্রিলে ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এর খসড়া তৈরি করেছে ইউনেসকো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এটুআই, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ইউএনডিপির সমন্বয়ে এই খসড়া তৈরি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা, ২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪), দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। খসড়া নীতিমালাটি ইউনেসকোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিসংক্রান্ত সুপারিশের মূল মূল্যবোধ ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক শাসনকাঠামোগত পরিবর্তনগুলো প্রতিফলিত করতে নীতিমালাটি হালনাগাদ করা গুরুত্বপূর্ণ; যাতে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
গত বুধবার (২১ মে) বহুল বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করে গেজেট প্রকাশ করে। সেখানে আগের আইনের ৯টি ধারা বাদ দিয়ে কিছু নতুন ধারা যুক্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন বিতর্কিত ধারায় সাংবাদিকসহ বেশ কিছু মানুষকে হয়রানি, নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে তখন আইনটি বাতিলের দাবি উঠেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে ওই আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ১ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে মতামত চাওয়া হয়েছিল।
কী আছে নীতিমালায়
খসড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালার ৫.২.২ ধারায় ‘আইনি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো’ অংশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিশাস্ত্রসংক্রান্ত দিকনির্দেশনা ও নীতিমালা সংযোজনের লক্ষ্যে জাতীয় কৌশল হালনাগাদের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ও নৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবহারের জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়।
মানবাধিকারের প্রসঙ্গে, খসড়া নীতিমালার ৩.৬ ধারা (‘মানব-কেন্দ্রিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’)-তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার পরিচালিত হবে আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার, মর্যাদা, মূল্যবোধ এবং পছন্দকে সমুন্নত রাখার মাধ্যমে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে মানুষের হস্তক্ষেপ ও তত্ত্বাবধানের সুযোগ রাখা হবে।
খসড়া নীতিমালার ৫ নম্বর অধ্যায়, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতি বাস্তবায়ন পদ্ধতি’ অংশে প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি ও নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য একটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খসড়া নীতিমালায় প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর জন্য নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ উল্লেখ করা হয়নি।
খসড়া নীতিমালার ৭ নম্বর অধ্যায় ‘নীতি পর্যালোচনা’-তে উল্লেখ করা হয়েছে যে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা প্রতি তিন বছর অন্তর নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় অংশীজনদের অংশগ্রহণ একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হবে।
খসড়া নীতিমালার ৪.৬ ধারাতে (‘অর্থ, বাণিজ্য ও অর্থনীতি’) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত প্রভাব মূল্যায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৩.২ ধারায় (‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি’) নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, নীতিমালাটি ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়া ব্যাখ্যাযোগ্য হয়।
ইউনেসকোর ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা-২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪) দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশে এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শাসনের জন্য নির্ধারিত বাধ্যতামূলক আইন বা ‘সফট ল’ ধরনের কোনো কাঠামো কার্যকর নেই। এ বিষয়ে পরামর্শ প্রক্রিয়ার সময় অংশীজনেরা পরামর্শ দেন যে বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিকতা সম্পর্কিত ইউনেসকোর সুপারিশগুলো ইসলামিক বিশ্ব শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার মূল্যবোধের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা উচিত। বিশেষ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি; যেমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কভিত্তিক এআই সঙ্গী বা ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে খাপ খেতে নাও পারে। সুতরাং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সফল গ্রহণযোগ্যতার জন্য তা দেশের নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত প্রেক্ষাপটে উপযোগী করে তোলা জরুরি।
‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ আরও বলা হয়েছে, এআই প্রযুক্তি যখন ক্রমশ সরকারি সেবায় একীভূত হতে শুরু করবে, তখন ব্যবহারকারী, সেবা প্রদানকারী এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্পষ্ট ও ধারাবাহিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এআই নীতিমালা কেন গুরুত্বপূর্ণ
এআইয়ের অপব্যবহারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যাকিং, স্প্যাম ই-মেইলের মতো ঝুঁকি রয়েছে। এআই-প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে বিপ্লব ঘটালেও এর অপব্যবহারও বেড়েছে সমান তালে। এআইয়ের সাহায্যে ডিপফেক ভিডিও, ভুয়া ছবি, কনটেন্ট তৈরিসহ মানুষের সম্মানহানি, চাঁদাবাজি, সামাজিক হেনস্তাসহ ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এআই প্রয়োগ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৩ সালে এআই আইন করেছে। কানাডায় এআই ও ডেটা অ্যাক্ট রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালে এআই প্রয়োগের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ এসেছিল। জাপান ও ইসরায়েলে এআই নীতিমালা রয়েছে। ভারতও এআই আইন নিয়ে কাজ শুরু করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২০৩১ সাল পর্যন্ত এআই নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে এআইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাত, মোবাইল ব্যাংকিং, মার্কেটিং খাতে এআইয়ের ব্যবহার বেশি। কৃষি খাতেও এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে এখন পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এআই এবং মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজ করে। তবে প্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশেও এআই প্রয়োগ নীতিমালা এবং আইন প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে এআই কৌশল ও নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে। গত বছর তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআই আইন প্রণয়ন হবে।
এআই নীতিমালার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। শিগগির এটা চূড়ান্ত হবে।’

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ করেছন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ
৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। তিনি প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত ছিলেন।
খোদা বখশ চৌধুরীর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন জানিয়ে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে শেষ দিকে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন ওঠে। ওই পদে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও গুঞ্জন ছিল।
সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছিল, গত মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা ছিল খোদা বখশ চৌধুরীর। কিন্তু এ নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হওয়ায় আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন প্রধান উপদেষ্টা।
একটি সূত্র বলছে, উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় খোদা বখশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে গত ১০ মার্চ প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলামও এভাবে পদত্যাগ করেছিলেন।
অধ্যাপক আমিনুলকে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গত ৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী সি আর আবরারকে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পাঁচদিন পর পদত্যাগ করেন অধ্যাপক আমিনুল।


প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। তিনি প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত ছিলেন।
খোদা বখশ চৌধুরীর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন জানিয়ে বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে শেষ দিকে এসে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে গুঞ্জন ওঠে। ওই পদে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও গুঞ্জন ছিল।
সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছিল, গত মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার কথা ছিল খোদা বখশ চৌধুরীর। কিন্তু এ নিয়ে উপদেষ্টাদের মধ্যে মতভেদ তৈরি হওয়ায় আগের অবস্থান থেকে সরে আসেন প্রধান উপদেষ্টা।
একটি সূত্র বলছে, উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় খোদা বখশ চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন।
এর আগে গত ১০ মার্চ প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক এম আমিনুল ইসলামও এভাবে পদত্যাগ করেছিলেন।
অধ্যাপক আমিনুলকে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গত ৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও মানবাধিকারকর্মী সি আর আবরারকে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর পাঁচদিন পর পদত্যাগ করেন অধ্যাপক আমিনুল।


সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের...
২৮ মে ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ
৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এই মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে গত ১৪ জুলাই অভিযোগ গঠন করা হয়। আট আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার থাকা শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। আর পলাতক রয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আক্তারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
যাত্রাবাড়ীতে তাইম হত্যায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে ইমাম হাসান তাইম হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। যাতে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারদের হাজিরের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পলাতকদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসান ও তৎকালীন ওসি (তদন্ত) জাকির হোসাইন। আর পলাতক রয়েছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, ওয়ারী জোনের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসাইন ও এডিসি এস এম শামীম, ডেমরা জোনের তৎকালীন এডিসি মো. মাসুদুর রহমান মনির, তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার নাহিদ ফেরদৌস, যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ওহিদুল হক মামুন, এসআই (নিরস্ত্র) সাজ্জাদ উজ জামান ও মো. শাহদৎ আলী।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এই মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে গত ১৪ জুলাই অভিযোগ গঠন করা হয়। আট আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার থাকা শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, সাবেক কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন ও মো. নাসিরুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। আর পলাতক রয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আক্তারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল।
যাত্রাবাড়ীতে তাইম হত্যায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে ইমাম হাসান তাইম হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১১ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। যাতে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারদের হাজিরের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পলাতকদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসান ও তৎকালীন ওসি (তদন্ত) জাকির হোসাইন। আর পলাতক রয়েছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, ওয়ারী জোনের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসাইন ও এডিসি এস এম শামীম, ডেমরা জোনের তৎকালীন এডিসি মো. মাসুদুর রহমান মনির, তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার নাহিদ ফেরদৌস, যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ওহিদুল হক মামুন, এসআই (নিরস্ত্র) সাজ্জাদ উজ জামান ও মো. শাহদৎ আলী।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের...
২৮ মে ২০২৫
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ করেছন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী, খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ড. বেনেডিক্ট আলো ডি রোজারিও, জাতীয় চার্চ পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি খ্রিস্টোফার অধিকারীসহ দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় খ্রিষ্টধর্মের নেতারা তাঁদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিশ্বজুড়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুনাম এবং দেশের অর্থনীতি ও সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে তাঁর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজিত হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।

আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে যিশুখ্রিষ্টকে সর্বজনীন উল্লেখ করে বলেন, যিশুখ্রিষ্টের ক্ষমা ও মানবসেবার মহান আদর্শ সামনে রেখে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও এ বছর উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বড়দিন উদ্যাপন করছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে জনগণ আপনার ওপর আস্থা রেখেছিল। আপনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আমরা প্রার্থনা করি, একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপনার প্রচেষ্টা সফল হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত নেতৃবৃন্দসহ সবাইকে বড়দিন ও আসন্ন নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনারাই সমাজের প্রতিবিম্ব। আপনাদের দেখলে বুঝতে পারি, সবকিছু ঠিক আছে কি না।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে চাই। সে জন্যই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে জুলাই সনদ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই সনদের ওপর গণভোটের মাধ্যমে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে জনগণ যে রায় দেবে, পরবর্তী সময়ে সংসদ সেভাবেই সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় আসন্ন নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ। দেশব্যাপী ৮০০টি চার্চের মধ্যে তিন ধাপে এই অনুদান বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
পরে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন প্রধান উপদেষ্টা।

বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলিপ পি অধিকারী, খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ড. বেনেডিক্ট আলো ডি রোজারিও, জাতীয় চার্চ পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি খ্রিস্টোফার অধিকারীসহ দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় খ্রিষ্টধর্মের নেতারা তাঁদের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিশ্বজুড়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুনাম এবং দেশের অর্থনীতি ও সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নে তাঁর ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আয়োজিত হবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন।

আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যে যিশুখ্রিষ্টকে সর্বজনীন উল্লেখ করে বলেন, যিশুখ্রিষ্টের ক্ষমা ও মানবসেবার মহান আদর্শ সামনে রেখে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষও এ বছর উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বড়দিন উদ্যাপন করছে।
প্রধান উপদেষ্টাকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে জনগণ আপনার ওপর আস্থা রেখেছিল। আপনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আমরা প্রার্থনা করি, একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপনার প্রচেষ্টা সফল হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা উপস্থিত নেতৃবৃন্দসহ সবাইকে বড়দিন ও আসন্ন নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘আপনারাই সমাজের প্রতিবিম্ব। আপনাদের দেখলে বুঝতে পারি, সবকিছু ঠিক আছে কি না।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে চাই। সে জন্যই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে জুলাই সনদ প্রস্তুত করা হয়েছে। এই সনদের ওপর গণভোটের মাধ্যমে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে জনগণ যে রায় দেবে, পরবর্তী সময়ে সংসদ সেভাবেই সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় আসন্ন নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান ট্রাস্টের নেতৃবৃন্দ। দেশব্যাপী ৮০০টি চার্চের মধ্যে তিন ধাপে এই অনুদান বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানান তাঁরা।
পরে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন প্রধান উপদেষ্টা।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের...
২৮ মে ২০২৫
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ করেছন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ
৩ ঘণ্টা আগে
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
৫ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
প্রেস সচিব আরও জানান, সরকার তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টি বিএনপির সঙ্গে পরামর্শ করছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাচ্ছি এবং ঘটনার তদন্তে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার হত্যাকাণ্ডকে নিন্দা জানিয়েছে। ভিডিও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অন্তত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আজ উপদেষ্টা পরিষদকে জানিয়েছেন, দীপু হত্যার বিচার দ্রুত বিচার আইনের আওতায় সম্পন্ন হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।’
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকটি মামলা করা হয়েছে। সব দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তাঁর বাংলাদেশে ফেরাকে স্বাগত জানাই। তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দলের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
প্রেস সচিব আরও জানান, সরকার তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টি বিএনপির সঙ্গে পরামর্শ করছে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। আমরা গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাচ্ছি এবং ঘটনার তদন্তে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, ‘সরকার হত্যাকাণ্ডকে নিন্দা জানিয়েছে। ভিডিও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অন্তত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা আজ উপদেষ্টা পরিষদকে জানিয়েছেন, দীপু হত্যার বিচার দ্রুত বিচার আইনের আওতায় সম্পন্ন হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।’
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনার বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকটি মামলা করা হয়েছে। সব দোষীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের...
২৮ মে ২০২৫
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ করেছন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আগামী ২০ জানুয়ারি রায় দেবেন ট্রাইব্যুনাল। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ
৩ ঘণ্টা আগে
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে