অর্চি হক, ঢাকা

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এআই নীতিমালার খসড়ার কাজ শুরু হয়েছে বেশ আগেই। আমরা আশা করছি, উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর এটা জুলাই নাগাদ অনবোর্ড (জারি) হয়ে যাবে। জুনে হয়তো উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হয়ে যাবে।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খসড়া নীতিমালা নিয়ে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। জুনে খসড়া নীতিমালা উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হতে পারে। এরপর জুলাইয়ের মধ্যে নীতিমালার প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে গত এপ্রিলে ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এর খসড়া তৈরি করেছে ইউনেসকো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এটুআই, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ইউএনডিপির সমন্বয়ে এই খসড়া তৈরি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা, ২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪), দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। খসড়া নীতিমালাটি ইউনেসকোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিসংক্রান্ত সুপারিশের মূল মূল্যবোধ ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক শাসনকাঠামোগত পরিবর্তনগুলো প্রতিফলিত করতে নীতিমালাটি হালনাগাদ করা গুরুত্বপূর্ণ; যাতে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
গত বুধবার (২১ মে) বহুল বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করে গেজেট প্রকাশ করে। সেখানে আগের আইনের ৯টি ধারা বাদ দিয়ে কিছু নতুন ধারা যুক্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন বিতর্কিত ধারায় সাংবাদিকসহ বেশ কিছু মানুষকে হয়রানি, নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে তখন আইনটি বাতিলের দাবি উঠেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে ওই আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ১ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে মতামত চাওয়া হয়েছিল।
কী আছে নীতিমালায়
খসড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালার ৫.২.২ ধারায় ‘আইনি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো’ অংশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিশাস্ত্রসংক্রান্ত দিকনির্দেশনা ও নীতিমালা সংযোজনের লক্ষ্যে জাতীয় কৌশল হালনাগাদের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ও নৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবহারের জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়।
মানবাধিকারের প্রসঙ্গে, খসড়া নীতিমালার ৩.৬ ধারা (‘মানব-কেন্দ্রিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’)-তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার পরিচালিত হবে আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার, মর্যাদা, মূল্যবোধ এবং পছন্দকে সমুন্নত রাখার মাধ্যমে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে মানুষের হস্তক্ষেপ ও তত্ত্বাবধানের সুযোগ রাখা হবে।
খসড়া নীতিমালার ৫ নম্বর অধ্যায়, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতি বাস্তবায়ন পদ্ধতি’ অংশে প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি ও নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য একটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খসড়া নীতিমালায় প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর জন্য নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ উল্লেখ করা হয়নি।
খসড়া নীতিমালার ৭ নম্বর অধ্যায় ‘নীতি পর্যালোচনা’-তে উল্লেখ করা হয়েছে যে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা প্রতি তিন বছর অন্তর নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় অংশীজনদের অংশগ্রহণ একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হবে।
খসড়া নীতিমালার ৪.৬ ধারাতে (‘অর্থ, বাণিজ্য ও অর্থনীতি’) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত প্রভাব মূল্যায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৩.২ ধারায় (‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি’) নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, নীতিমালাটি ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়া ব্যাখ্যাযোগ্য হয়।
ইউনেসকোর ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা-২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪) দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশে এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শাসনের জন্য নির্ধারিত বাধ্যতামূলক আইন বা ‘সফট ল’ ধরনের কোনো কাঠামো কার্যকর নেই। এ বিষয়ে পরামর্শ প্রক্রিয়ার সময় অংশীজনেরা পরামর্শ দেন যে বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিকতা সম্পর্কিত ইউনেসকোর সুপারিশগুলো ইসলামিক বিশ্ব শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার মূল্যবোধের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা উচিত। বিশেষ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি; যেমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কভিত্তিক এআই সঙ্গী বা ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে খাপ খেতে নাও পারে। সুতরাং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সফল গ্রহণযোগ্যতার জন্য তা দেশের নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত প্রেক্ষাপটে উপযোগী করে তোলা জরুরি।
‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ আরও বলা হয়েছে, এআই প্রযুক্তি যখন ক্রমশ সরকারি সেবায় একীভূত হতে শুরু করবে, তখন ব্যবহারকারী, সেবা প্রদানকারী এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্পষ্ট ও ধারাবাহিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এআই নীতিমালা কেন গুরুত্বপূর্ণ
এআইয়ের অপব্যবহারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যাকিং, স্প্যাম ই-মেইলের মতো ঝুঁকি রয়েছে। এআই-প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে বিপ্লব ঘটালেও এর অপব্যবহারও বেড়েছে সমান তালে। এআইয়ের সাহায্যে ডিপফেক ভিডিও, ভুয়া ছবি, কনটেন্ট তৈরিসহ মানুষের সম্মানহানি, চাঁদাবাজি, সামাজিক হেনস্তাসহ ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এআই প্রয়োগ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৩ সালে এআই আইন করেছে। কানাডায় এআই ও ডেটা অ্যাক্ট রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালে এআই প্রয়োগের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ এসেছিল। জাপান ও ইসরায়েলে এআই নীতিমালা রয়েছে। ভারতও এআই আইন নিয়ে কাজ শুরু করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২০৩১ সাল পর্যন্ত এআই নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে এআইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাত, মোবাইল ব্যাংকিং, মার্কেটিং খাতে এআইয়ের ব্যবহার বেশি। কৃষি খাতেও এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে এখন পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এআই এবং মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজ করে। তবে প্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশেও এআই প্রয়োগ নীতিমালা এবং আইন প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে এআই কৌশল ও নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে। গত বছর তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআই আইন প্রণয়ন হবে।
এআই নীতিমালার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। শিগগির এটা চূড়ান্ত হবে।’

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এআই নীতিমালার খসড়ার কাজ শুরু হয়েছে বেশ আগেই। আমরা আশা করছি, উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর এটা জুলাই নাগাদ অনবোর্ড (জারি) হয়ে যাবে। জুনে হয়তো উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হয়ে যাবে।’
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, খসড়া নীতিমালা নিয়ে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ ও অংশীজনদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। জুনে খসড়া নীতিমালা উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হতে পারে। এরপর জুলাইয়ের মধ্যে নীতিমালার প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিলে গত এপ্রিলে ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এর খসড়া তৈরি করেছে ইউনেসকো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এটুআই, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ইউএনডিপির সমন্বয়ে এই খসড়া তৈরি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা, ২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪), দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। খসড়া নীতিমালাটি ইউনেসকোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিসংক্রান্ত সুপারিশের মূল মূল্যবোধ ও নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে সাম্প্রতিক শাসনকাঠামোগত পরিবর্তনগুলো প্রতিফলিত করতে নীতিমালাটি হালনাগাদ করা গুরুত্বপূর্ণ; যাতে বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
গত বুধবার (২১ মে) বহুল বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করে গেজেট প্রকাশ করে। সেখানে আগের আইনের ৯টি ধারা বাদ দিয়ে কিছু নতুন ধারা যুক্ত করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন বিতর্কিত ধারায় সাংবাদিকসহ বেশ কিছু মানুষকে হয়রানি, নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ কারণে তখন আইনটি বাতিলের দাবি উঠেছিল। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে ওই আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর গত ১ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ওয়েবসাইটে নতুন অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে মতামত চাওয়া হয়েছিল।
কী আছে নীতিমালায়
খসড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালার ৫.২.২ ধারায় ‘আইনি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো’ অংশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিশাস্ত্রসংক্রান্ত দিকনির্দেশনা ও নীতিমালা সংযোজনের লক্ষ্যে জাতীয় কৌশল হালনাগাদের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ও নৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবহারের জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়।
মানবাধিকারের প্রসঙ্গে, খসড়া নীতিমালার ৩.৬ ধারা (‘মানব-কেন্দ্রিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’)-তে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহার পরিচালিত হবে আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার, মর্যাদা, মূল্যবোধ এবং পছন্দকে সমুন্নত রাখার মাধ্যমে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে মানুষের হস্তক্ষেপ ও তত্ত্বাবধানের সুযোগ রাখা হবে।
খসড়া নীতিমালার ৫ নম্বর অধ্যায়, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতি বাস্তবায়ন পদ্ধতি’ অংশে প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি ও নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য একটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খসড়া নীতিমালায় প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলোর জন্য নির্দিষ্ট বাজেট বরাদ্দ উল্লেখ করা হয়নি।
খসড়া নীতিমালার ৭ নম্বর অধ্যায় ‘নীতি পর্যালোচনা’-তে উল্লেখ করা হয়েছে যে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা প্রতি তিন বছর অন্তর নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় অংশীজনদের অংশগ্রহণ একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে বিবেচিত হবে।
খসড়া নীতিমালার ৪.৬ ধারাতে (‘অর্থ, বাণিজ্য ও অর্থনীতি’) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত প্রভাব মূল্যায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ৩.২ ধারায় (‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি’) নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, নীতিমালাটি ডেটা সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়া ব্যাখ্যাযোগ্য হয়।
ইউনেসকোর ‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নীতিমালা-২০২৪ এবং জাতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কৌশল (২০১৯-২৪) দুটোই খসড়া আকারে রয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশে এখনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শাসনের জন্য নির্ধারিত বাধ্যতামূলক আইন বা ‘সফট ল’ ধরনের কোনো কাঠামো কার্যকর নেই। এ বিষয়ে পরামর্শ প্রক্রিয়ার সময় অংশীজনেরা পরামর্শ দেন যে বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নৈতিকতা সম্পর্কিত ইউনেসকোর সুপারিশগুলো ইসলামিক বিশ্ব শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার মূল্যবোধের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা উচিত। বিশেষ করে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি; যেমন ঘনিষ্ঠ সম্পর্কভিত্তিক এআই সঙ্গী বা ব্রেন-কম্পিউটার ইন্টারফেসের মতো বিষয়গুলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সঙ্গে খাপ খেতে নাও পারে। সুতরাং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সফল গ্রহণযোগ্যতার জন্য তা দেশের নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় এবং ভাষাগত প্রেক্ষাপটে উপযোগী করে তোলা জরুরি।
‘বাংলাদেশ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স রেডিনেস অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট’-এ আরও বলা হয়েছে, এআই প্রযুক্তি যখন ক্রমশ সরকারি সেবায় একীভূত হতে শুরু করবে, তখন ব্যবহারকারী, সেবা প্রদানকারী এবং সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে স্পষ্ট ও ধারাবাহিক যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এআই নীতিমালা কেন গুরুত্বপূর্ণ
এআইয়ের অপব্যবহারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হ্যাকিং, স্প্যাম ই-মেইলের মতো ঝুঁকি রয়েছে। এআই-প্রযুক্তি বিশ্বজুড়ে বিপ্লব ঘটালেও এর অপব্যবহারও বেড়েছে সমান তালে। এআইয়ের সাহায্যে ডিপফেক ভিডিও, ভুয়া ছবি, কনটেন্ট তৈরিসহ মানুষের সম্মানহানি, চাঁদাবাজি, সামাজিক হেনস্তাসহ ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এআই প্রয়োগ নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২৩ সালে এআই আইন করেছে। কানাডায় এআই ও ডেটা অ্যাক্ট রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ সালে এআই প্রয়োগের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ এসেছিল। জাপান ও ইসরায়েলে এআই নীতিমালা রয়েছে। ভারতও এআই আইন নিয়ে কাজ শুরু করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ২০৩১ সাল পর্যন্ত এআই নীতি ও কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে এআইয়ের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ খাত, মোবাইল ব্যাংকিং, মার্কেটিং খাতে এআইয়ের ব্যবহার বেশি। কৃষি খাতেও এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে এখন পাঁচ শতাধিক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা এআই এবং মেশিন লার্নিং নিয়ে কাজ করে। তবে প্রতিষ্ঠানের বাইরে ব্যক্তিগতভাবে কাজ করেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এমন অবস্থায় বাংলাদেশেও এআই প্রয়োগ নীতিমালা এবং আইন প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে এআই কৌশল ও নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে। গত বছর তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে এআই আইন প্রণয়ন হবে।
এআই নীতিমালার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘এটা নিয়ে আমাদের কাজ চলছে। শিগগির এটা চূড়ান্ত হবে।’

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
৩০ মিনিট আগে
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৪১ মিনিট আগে
অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগে
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মো. আনিসুর রহমান (৬২), সালেহা বেগম ও আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জেসমিন নাহার।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ১৯ হাজার ৯৬৭ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করা হয়। পরে এসব অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে-বেনামে ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়।
তদন্তে জানা যায়, আব্দুল মান্নান তালুকদার ১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি ‘মানুষ মানুষের জন্য’ স্লোগানে ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে মান্নান ও তাঁর পরিবারের মালিকানা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং অন্য ৫ শতাংশের মালিক ছিলেন আনিসুর রহমান।
প্রতিষ্ঠানটি সুদবিহীন ‘হালাল ব্যবসার’ নামে প্রচারণা চালিয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে যেকোনো অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে আকৃষ্ট করত। বিনিয়োগের চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ মুনাফার কথা বলা হতো। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে তা গোপনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবসায় স্থানান্তর করেন।
তদন্তে আরও জানা যায়, সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৬৬ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা মান্নানের মালিকানাধীন সাবিল গ্রুপের ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এজাক্স জুট মিলস লিমিটেড (খুলনা), সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (বাগেরহাট), সাবিল জেনারেল হাসপাতাল (পিরোজপুর), সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, সাবিল ল প্লাজা ও সাবিল মৎস্য প্রকল্প।
বাকি অর্থও বিভিন্ন নামে-বেনামে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারণা ও অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।
সিআইডি জানিয়েছে, অর্থের পূর্ণ প্রবাহ শনাক্ত, সম্পদ জব্দ ও সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন মো. আনিসুর রহমান (৬২), সালেহা বেগম ও আব্দুল মান্নানের স্ত্রী জেসমিন নাহার।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সিআইডির মুখপাত্র বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ১৯ হাজার ৯৬৭ জন সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ আদায় করা হয়। পরে এসব অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে-বেনামে ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়।
তদন্তে জানা যায়, আব্দুল মান্নান তালুকদার ১৯৮৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরি করেন। চাকরিরত অবস্থায় তিনি জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করেন। অবসরে যাওয়ার পর তিনি ‘মানুষ মানুষের জন্য’ স্লোগানে ‘নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটিতে মান্নান ও তাঁর পরিবারের মালিকানা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং অন্য ৫ শতাংশের মালিক ছিলেন আনিসুর রহমান।
প্রতিষ্ঠানটি সুদবিহীন ‘হালাল ব্যবসার’ নামে প্রচারণা চালিয়ে ৫ হাজার টাকা থেকে যেকোনো অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে আকৃষ্ট করত। বিনিয়োগের চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিগুণ মুনাফার কথা বলা হতো। এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে তা গোপনে নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবসায় স্থানান্তর করেন।
তদন্তে আরও জানা যায়, সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৬৬ কোটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা মান্নানের মালিকানাধীন সাবিল গ্রুপের ছয়টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো এজাক্স জুট মিলস লিমিটেড (খুলনা), সাবিল ড্রেজিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (বাগেরহাট), সাবিল জেনারেল হাসপাতাল (পিরোজপুর), সাবিল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প, সাবিল ল প্লাজা ও সাবিল মৎস্য প্রকল্প।
বাকি অর্থও বিভিন্ন নামে-বেনামে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারণা ও অর্থ পাচারের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করছে।
সিআইডি জানিয়েছে, অর্থের পূর্ণ প্রবাহ শনাক্ত, সম্পদ জব্দ ও সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের...
২৮ মে ২০২৫
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৪১ মিনিট আগে
অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগে
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানান।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

দেশের ৬৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানান।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের...
২৮ মে ২০২৫
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
৩০ মিনিট আগে
অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগে
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) থাকাকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে নরসিংদীর ঘোড়াশালের করতেতৈল আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের দুই দফায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার তাঁকে ওই সাজা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনুমতি না নিয়ে ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানের পদবি গ্রহণ করার বিষয়টি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ। এসব অভিযোগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় মামলা দিয়ে মামুন মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
মামুন মিয়া লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানি চাইলে অভিযোগ তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর তাঁকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।

অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক (উপসচিব) থাকাকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে নরসিংদীর ঘোড়াশালের করতেতৈল আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের দুই দফায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার তাঁকে ওই সাজা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনুমতি না নিয়ে ভিন্ন একটি প্রতিষ্ঠানের পদবি গ্রহণ করার বিষয়টি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা লঙ্ঘন এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণ। এসব অভিযোগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় মামলা দিয়ে মামুন মিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
মামুন মিয়া লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানি চাইলে অভিযোগ তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা মামুন মিয়ার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর তাঁকে ‘তিরস্কার’ সূচক লঘুদণ্ড দেওয়া হয়।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের...
২৮ মে ২০২৫
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
৩০ মিনিট আগে
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৪১ মিনিট আগে
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, নির্বাচনী প্রচারে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ ও নির্বিঘ্ন ভোটের পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন মহাজোটের নেতারা।
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ-মন্দির ভাঙচুর হয়েছে—এ ধরনের পরিস্থিতি যেন না হয়, সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সিইসি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, “এবার কেউ অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।”’
হিন্দু মহাজোটের শঙ্কা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়ের জায়গাটা অমূলক নয়। দুইটা সময় আমরা খুব উদ্বিগ্ন থাকি—দুর্গাপূজা আর নির্বাচন। নির্বাচন কখনো হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখকর ছিল না। স্থানীয় সরকার ও সংসদের প্রতিটি নির্বাচনের আগে-পরে, প্রত্যেকটা সরকারের সময় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা নিয়মিত ব্যাপার। কমিশন বলেছে, অপরাধীরা এবার পার পাবে না।’
হিন্দু মহাজোটের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ভোটের ১০ দিন আগে ও ভোটের ১০ দিন পর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি ও মঠ-মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার; ভোটে সেনা মোতায়েন; হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সমাবেশ না করা; ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করা; হামলা হলে সেই আসনের ভোট স্থগিত ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল করা এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়া-আসার নির্বিঘ্ন ব্যবস্থা করা।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত, নির্বাচনী প্রচারে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ ও নির্বিঘ্ন ভোটের পরিবেশের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করে সাত দফা দাবি তুলে ধরেন মহাজোটের নেতারা।
বৈঠক শেষে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব ও মুখপাত্র পলাশ কান্তি দে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সিইসি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করে গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন—“ভোটের দিন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন।” আমরাও কথা দিয়েছি, নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চাই।’
পলাশ কান্তি দে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পর এসে দেখলাম বাসাবাড়ি, মঠ-মন্দির ভাঙচুর হয়েছে—এ ধরনের পরিস্থিতি যেন না হয়, সে বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সিইসি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, “এবার কেউ অত্যাচার করতে পারবে না। আমরা শক্তভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।”’
হিন্দু মহাজোটের শঙ্কা কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়ের জায়গাটা অমূলক নয়। দুইটা সময় আমরা খুব উদ্বিগ্ন থাকি—দুর্গাপূজা আর নির্বাচন। নির্বাচন কখনো হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সুখকর ছিল না। স্থানীয় সরকার ও সংসদের প্রতিটি নির্বাচনের আগে-পরে, প্রত্যেকটা সরকারের সময় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত হানা নিয়মিত ব্যাপার। কমিশন বলেছে, অপরাধীরা এবার পার পাবে না।’
হিন্দু মহাজোটের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ভোটের ১০ দিন আগে ও ভোটের ১০ দিন পর পর্যন্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি ও মঠ-মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার; ভোটে সেনা মোতায়েন; হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রচার ও সমাবেশ না করা; ভোটে ধর্মের ব্যবহার না করা; হামলা হলে সেই আসনের ভোট স্থগিত ও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া; সংখ্যালঘু ও নারী ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল করা এবং ভোটকেন্দ্রে যাওয়া-আসার নির্বিঘ্ন ব্যবস্থা করা।

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের পর এবার জাতীয় এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নীতিমালা আনতে যাচ্ছে সরকার। এ নীতিমালার খসড়া বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যালোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আগামী জুলাই নাগাদ এই নীতিমালা জারি হতে পারে। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের...
২৮ মে ২০২৫
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাবেক উমেদার (এমএলএসএস) আব্দুল মান্নান তালুকদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২৪৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বাগেরহাট সদর থানায় মামলাটি করা হয়।
৩০ মিনিট আগে
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবার নির্ধারিত সময়ে ৩১৮টি এবং পরে ১৩টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছিল ৭৩টি সংস্থা। দাবি-আপত্তি শেষে ৬৬টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৪১ মিনিট আগে
অনুমতি না নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় এক উপসচিবকে তিরস্কারের সাজা দিয়েছে সরকার। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপসচিব) মো. মামুন মিয়াকে এই সাজা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
১ ঘণ্টা আগে