নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ছয়টি জোনে ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট আছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১১৩টি সেতু এবং ১২ হাজার ৩২৪টি কালভার্ট। এসব সেতু এবং কালভার্টের মধ্যে ৭১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে এক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরেছে সওজের সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ।
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের সেতুর নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং ঝুঁকি কমানো’ বিষয়ক ওই সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বুয়েট-জিডপাস।
সেমিনারে সওজের সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের উপস্থাপনায় বলা হয়, কুমিল্লা, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, চিটাগাং এবং সিলেট—এ ছয়টি জোনে মোট ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট মনিটরিং করে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে সেতুর অবস্থা। ক্যাটাগরি ‘এ’-তে পড়েছে ১৩ হাজার ৪০৬টি সেতু এবং কালভার্ট, এগুলোর অবস্থা ভালো। ক্যাটাগরি ‘বি’-তে আছে ১২৭৭টি, যেগুলোর অবস্থা কিছুটা ভালো। ক্যাটাগরি ‘সি’-তে রয়েছে ৪২টি, এগুলোর মেরামত প্রয়োজন। ক্যাটাগরি ‘ডি’-তে ৭১২টি যেগুলো অতি দ্রুত মেরামত করতে হবে। ক্যাটাগরি ‘বি থেকে ডি’ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মেরামত করতে হবে।
এসব সেতুর ইন্সপেকশন ২০২২ সাল থেকে শুরু করেছে সওজ। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত তারা ইন্সপেকশন করবে। ছয়টি জোনে হয়েছে, আরও চারটিতে ইন্সপেকশন চলবে।
সওজের এই উপস্থাপনার বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু রক্ষণাবেক্ষণ উইং) শিশির কান্তি রাউৎ বলেন, ‘আমাদের যত স্ট্রাকচার আছে, হিসাব করলে প্রতি কিলোমিটারে একটা করে স্ট্রাকচার পড়ে। ফলে কোনো একটা সড়কে সেতু ড্যামেজ হলে পুরা সড়কের যোগাযোগব্যবস্থায় সমস্যা হয়ে যায়। সেতু নির্মাণ হয়; কিন্তু নির্মাণ-পরবর্তী সময়ে মেরামত করা হয় না। নিয়মিত মেরামত করলে সেতুর সেফটি বাড়ে। তবে আমরা সেতুর আধুনিক মনিটরিং সিস্টেম নিয়েও কাজ করছি।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সেতুর নানা বিষয়ে তুলনা করে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন অধ্যাপক ড. নূর ইয়াজদানি।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় নেই। ভালো কাজ করতে হলে সকলের সাথে সকলের সমন্বয় দরকার।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম বদরুজ্জামান বলেন, বুয়েটের রোবটিক নানা ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের, যা দিয়ে সেতুর মনিটরিংয়ে অনেক কাজে লাগানো যায়। সে ক্ষেত্রে বুয়েট এবং সওজ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, সেতুর ডিজাইন যতটা না ইঞ্জিনিয়ারিংভাবে হয়, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্রভাবে হয়। ফলে চাইলেও অনেক কিছু করা যায় না। এ ছাড়াও আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতার কথা বলা হয়।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, সেতু বানানোর জন্য আলাদা সেতু মন্ত্রণালয় করতে হয়, যেটা আমাদের দেশে ছাড়া আর কোথাও নজির নেই। প্ল্যানিং কমিশন যথাযথ প্ল্যান করতে পারে না। ফলে ভুল প্ল্যানিং করলে ভুল জিনিস তৈরি হবে।
মেট্রোরেলের সমালোচনা করে সামসুল হক বলেন, মেট্রোরেলে ক্যাটেনারি সিস্টেম না দেওয়ার জন্য ২০১০ সাল থেকে বলে আসছি, কিন্তু সেটাই করা হয়েছে। গাছের পাতা পড়ে, ঘুড়ি পড়ে, ডাল পড়ে মেট্রো বন্ধ হয়ে যায়। শহরের মধ্যে একটা জঞ্জাল বানানো হয়েছে। মেট্রোর হেড রুমেও জটিলতা আছে। টিকেটিংয়ের পুরনো একটা সিস্টেম আমাদের চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে মেট্রো এখন জাপানি খপ্পরে পড়েছে। মেট্রো হওয়ার পর কোনো ইভাল্যুয়েশন হয়নি।
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ওয়ালিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ছয়টি জোনে ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট আছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১১৩টি সেতু এবং ১২ হাজার ৩২৪টি কালভার্ট। এসব সেতু এবং কালভার্টের মধ্যে ৭১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে এক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরেছে সওজের সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ।
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের সেতুর নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং ঝুঁকি কমানো’ বিষয়ক ওই সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বুয়েট-জিডপাস।
সেমিনারে সওজের সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের উপস্থাপনায় বলা হয়, কুমিল্লা, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, চিটাগাং এবং সিলেট—এ ছয়টি জোনে মোট ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট মনিটরিং করে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে সেতুর অবস্থা। ক্যাটাগরি ‘এ’-তে পড়েছে ১৩ হাজার ৪০৬টি সেতু এবং কালভার্ট, এগুলোর অবস্থা ভালো। ক্যাটাগরি ‘বি’-তে আছে ১২৭৭টি, যেগুলোর অবস্থা কিছুটা ভালো। ক্যাটাগরি ‘সি’-তে রয়েছে ৪২টি, এগুলোর মেরামত প্রয়োজন। ক্যাটাগরি ‘ডি’-তে ৭১২টি যেগুলো অতি দ্রুত মেরামত করতে হবে। ক্যাটাগরি ‘বি থেকে ডি’ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মেরামত করতে হবে।
এসব সেতুর ইন্সপেকশন ২০২২ সাল থেকে শুরু করেছে সওজ। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত তারা ইন্সপেকশন করবে। ছয়টি জোনে হয়েছে, আরও চারটিতে ইন্সপেকশন চলবে।
সওজের এই উপস্থাপনার বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু রক্ষণাবেক্ষণ উইং) শিশির কান্তি রাউৎ বলেন, ‘আমাদের যত স্ট্রাকচার আছে, হিসাব করলে প্রতি কিলোমিটারে একটা করে স্ট্রাকচার পড়ে। ফলে কোনো একটা সড়কে সেতু ড্যামেজ হলে পুরা সড়কের যোগাযোগব্যবস্থায় সমস্যা হয়ে যায়। সেতু নির্মাণ হয়; কিন্তু নির্মাণ-পরবর্তী সময়ে মেরামত করা হয় না। নিয়মিত মেরামত করলে সেতুর সেফটি বাড়ে। তবে আমরা সেতুর আধুনিক মনিটরিং সিস্টেম নিয়েও কাজ করছি।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সেতুর নানা বিষয়ে তুলনা করে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন অধ্যাপক ড. নূর ইয়াজদানি।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় নেই। ভালো কাজ করতে হলে সকলের সাথে সকলের সমন্বয় দরকার।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম বদরুজ্জামান বলেন, বুয়েটের রোবটিক নানা ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের, যা দিয়ে সেতুর মনিটরিংয়ে অনেক কাজে লাগানো যায়। সে ক্ষেত্রে বুয়েট এবং সওজ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, সেতুর ডিজাইন যতটা না ইঞ্জিনিয়ারিংভাবে হয়, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্রভাবে হয়। ফলে চাইলেও অনেক কিছু করা যায় না। এ ছাড়াও আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতার কথা বলা হয়।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, সেতু বানানোর জন্য আলাদা সেতু মন্ত্রণালয় করতে হয়, যেটা আমাদের দেশে ছাড়া আর কোথাও নজির নেই। প্ল্যানিং কমিশন যথাযথ প্ল্যান করতে পারে না। ফলে ভুল প্ল্যানিং করলে ভুল জিনিস তৈরি হবে।
মেট্রোরেলের সমালোচনা করে সামসুল হক বলেন, মেট্রোরেলে ক্যাটেনারি সিস্টেম না দেওয়ার জন্য ২০১০ সাল থেকে বলে আসছি, কিন্তু সেটাই করা হয়েছে। গাছের পাতা পড়ে, ঘুড়ি পড়ে, ডাল পড়ে মেট্রো বন্ধ হয়ে যায়। শহরের মধ্যে একটা জঞ্জাল বানানো হয়েছে। মেট্রোর হেড রুমেও জটিলতা আছে। টিকেটিংয়ের পুরনো একটা সিস্টেম আমাদের চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে মেট্রো এখন জাপানি খপ্পরে পড়েছে। মেট্রো হওয়ার পর কোনো ইভাল্যুয়েশন হয়নি।
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ওয়ালিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ছয়টি জোনে ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট আছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১১৩টি সেতু এবং ১২ হাজার ৩২৪টি কালভার্ট। এসব সেতু এবং কালভার্টের মধ্যে ৭১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে এক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরেছে সওজের সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ।
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের সেতুর নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং ঝুঁকি কমানো’ বিষয়ক ওই সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বুয়েট-জিডপাস।
সেমিনারে সওজের সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের উপস্থাপনায় বলা হয়, কুমিল্লা, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, চিটাগাং এবং সিলেট—এ ছয়টি জোনে মোট ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট মনিটরিং করে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে সেতুর অবস্থা। ক্যাটাগরি ‘এ’-তে পড়েছে ১৩ হাজার ৪০৬টি সেতু এবং কালভার্ট, এগুলোর অবস্থা ভালো। ক্যাটাগরি ‘বি’-তে আছে ১২৭৭টি, যেগুলোর অবস্থা কিছুটা ভালো। ক্যাটাগরি ‘সি’-তে রয়েছে ৪২টি, এগুলোর মেরামত প্রয়োজন। ক্যাটাগরি ‘ডি’-তে ৭১২টি যেগুলো অতি দ্রুত মেরামত করতে হবে। ক্যাটাগরি ‘বি থেকে ডি’ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মেরামত করতে হবে।
এসব সেতুর ইন্সপেকশন ২০২২ সাল থেকে শুরু করেছে সওজ। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত তারা ইন্সপেকশন করবে। ছয়টি জোনে হয়েছে, আরও চারটিতে ইন্সপেকশন চলবে।
সওজের এই উপস্থাপনার বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু রক্ষণাবেক্ষণ উইং) শিশির কান্তি রাউৎ বলেন, ‘আমাদের যত স্ট্রাকচার আছে, হিসাব করলে প্রতি কিলোমিটারে একটা করে স্ট্রাকচার পড়ে। ফলে কোনো একটা সড়কে সেতু ড্যামেজ হলে পুরা সড়কের যোগাযোগব্যবস্থায় সমস্যা হয়ে যায়। সেতু নির্মাণ হয়; কিন্তু নির্মাণ-পরবর্তী সময়ে মেরামত করা হয় না। নিয়মিত মেরামত করলে সেতুর সেফটি বাড়ে। তবে আমরা সেতুর আধুনিক মনিটরিং সিস্টেম নিয়েও কাজ করছি।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সেতুর নানা বিষয়ে তুলনা করে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন অধ্যাপক ড. নূর ইয়াজদানি।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় নেই। ভালো কাজ করতে হলে সকলের সাথে সকলের সমন্বয় দরকার।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম বদরুজ্জামান বলেন, বুয়েটের রোবটিক নানা ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের, যা দিয়ে সেতুর মনিটরিংয়ে অনেক কাজে লাগানো যায়। সে ক্ষেত্রে বুয়েট এবং সওজ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, সেতুর ডিজাইন যতটা না ইঞ্জিনিয়ারিংভাবে হয়, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্রভাবে হয়। ফলে চাইলেও অনেক কিছু করা যায় না। এ ছাড়াও আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতার কথা বলা হয়।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, সেতু বানানোর জন্য আলাদা সেতু মন্ত্রণালয় করতে হয়, যেটা আমাদের দেশে ছাড়া আর কোথাও নজির নেই। প্ল্যানিং কমিশন যথাযথ প্ল্যান করতে পারে না। ফলে ভুল প্ল্যানিং করলে ভুল জিনিস তৈরি হবে।
মেট্রোরেলের সমালোচনা করে সামসুল হক বলেন, মেট্রোরেলে ক্যাটেনারি সিস্টেম না দেওয়ার জন্য ২০১০ সাল থেকে বলে আসছি, কিন্তু সেটাই করা হয়েছে। গাছের পাতা পড়ে, ঘুড়ি পড়ে, ডাল পড়ে মেট্রো বন্ধ হয়ে যায়। শহরের মধ্যে একটা জঞ্জাল বানানো হয়েছে। মেট্রোর হেড রুমেও জটিলতা আছে। টিকেটিংয়ের পুরনো একটা সিস্টেম আমাদের চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে মেট্রো এখন জাপানি খপ্পরে পড়েছে। মেট্রো হওয়ার পর কোনো ইভাল্যুয়েশন হয়নি।
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ওয়ালিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ছয়টি জোনে ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট আছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১১৩টি সেতু এবং ১২ হাজার ৩২৪টি কালভার্ট। এসব সেতু এবং কালভার্টের মধ্যে ৭১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে এক সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরেছে সওজের সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ।
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের সেতুর নিরাপত্তা, স্থায়িত্ব এবং ঝুঁকি কমানো’ বিষয়ক ওই সেমিনার যৌথভাবে আয়োজন করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বুয়েট-জিডপাস।
সেমিনারে সওজের সেতু রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের উপস্থাপনায় বলা হয়, কুমিল্লা, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, চিটাগাং এবং সিলেট—এ ছয়টি জোনে মোট ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট মনিটরিং করে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে সেতুর অবস্থা। ক্যাটাগরি ‘এ’-তে পড়েছে ১৩ হাজার ৪০৬টি সেতু এবং কালভার্ট, এগুলোর অবস্থা ভালো। ক্যাটাগরি ‘বি’-তে আছে ১২৭৭টি, যেগুলোর অবস্থা কিছুটা ভালো। ক্যাটাগরি ‘সি’-তে রয়েছে ৪২টি, এগুলোর মেরামত প্রয়োজন। ক্যাটাগরি ‘ডি’-তে ৭১২টি যেগুলো অতি দ্রুত মেরামত করতে হবে। ক্যাটাগরি ‘বি থেকে ডি’ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মেরামত করতে হবে।
এসব সেতুর ইন্সপেকশন ২০২২ সাল থেকে শুরু করেছে সওজ। আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত তারা ইন্সপেকশন করবে। ছয়টি জোনে হয়েছে, আরও চারটিতে ইন্সপেকশন চলবে।
সওজের এই উপস্থাপনার বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু রক্ষণাবেক্ষণ উইং) শিশির কান্তি রাউৎ বলেন, ‘আমাদের যত স্ট্রাকচার আছে, হিসাব করলে প্রতি কিলোমিটারে একটা করে স্ট্রাকচার পড়ে। ফলে কোনো একটা সড়কে সেতু ড্যামেজ হলে পুরা সড়কের যোগাযোগব্যবস্থায় সমস্যা হয়ে যায়। সেতু নির্মাণ হয়; কিন্তু নির্মাণ-পরবর্তী সময়ে মেরামত করা হয় না। নিয়মিত মেরামত করলে সেতুর সেফটি বাড়ে। তবে আমরা সেতুর আধুনিক মনিটরিং সিস্টেম নিয়েও কাজ করছি।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সেতুর নানা বিষয়ে তুলনা করে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট আর্লিংটন অধ্যাপক ড. নূর ইয়াজদানি।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় নেই। ভালো কাজ করতে হলে সকলের সাথে সকলের সমন্বয় দরকার।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম বদরুজ্জামান বলেন, বুয়েটের রোবটিক নানা ধরনের ফ্যাসিলিটি আছে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের, যা দিয়ে সেতুর মনিটরিংয়ে অনেক কাজে লাগানো যায়। সে ক্ষেত্রে বুয়েট এবং সওজ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
সেমিনারে আলোচকেরা বলেন, সেতুর ডিজাইন যতটা না ইঞ্জিনিয়ারিংভাবে হয়, তার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্রভাবে হয়। ফলে চাইলেও অনেক কিছু করা যায় না। এ ছাড়াও আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতার কথা বলা হয়।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, সেতু বানানোর জন্য আলাদা সেতু মন্ত্রণালয় করতে হয়, যেটা আমাদের দেশে ছাড়া আর কোথাও নজির নেই। প্ল্যানিং কমিশন যথাযথ প্ল্যান করতে পারে না। ফলে ভুল প্ল্যানিং করলে ভুল জিনিস তৈরি হবে।
মেট্রোরেলের সমালোচনা করে সামসুল হক বলেন, মেট্রোরেলে ক্যাটেনারি সিস্টেম না দেওয়ার জন্য ২০১০ সাল থেকে বলে আসছি, কিন্তু সেটাই করা হয়েছে। গাছের পাতা পড়ে, ঘুড়ি পড়ে, ডাল পড়ে মেট্রো বন্ধ হয়ে যায়। শহরের মধ্যে একটা জঞ্জাল বানানো হয়েছে। মেট্রোর হেড রুমেও জটিলতা আছে। টিকেটিংয়ের পুরনো একটা সিস্টেম আমাদের চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে মেট্রো এখন জাপানি খপ্পরে পড়েছে। মেট্রো হওয়ার পর কোনো ইভাল্যুয়েশন হয়নি।
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. ওয়ালিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক তাঁদের ব্যবস্থাপত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদিত ও নিবন্ধিত নয় এমন ওষুধ লিখে আসছেন। এতে রোগীদের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিষয়টি তদন্তে মেডিকেল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবু হেনা চৌধুরীকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন ফার্মাকোলজি বিভাগের সভাপতি ডা. ইলোরা শারমিন এবং উপ-রেজিস্ট্রার (আইন) ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী পরিচালক (আইন) অ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএমইউর চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোনো ওষুধ, ভিটামিন, মিনারেল বা সাপ্লিমেন্টের নাম প্রেসক্রিপশনে লেখা হলে তা আইনভঙ্গের শামিল কি না এবং হলে কী ধরনের আইনি প্রতিকার বা শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে, তা নির্ধারণ করে প্রচলিত আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রামাণ্য আইন হিসেবে ‘ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩’ এবং ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে—যেসব ভিটামিন, মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ও হেলথ কেয়ার প্রোডাক্ট বিদেশ থেকে আমদানি হয়, সেগুলো ডিজিডিএ ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) কীভাবে যাচাই-বাছাই করে, কিংবা এসব পণ্য ব্যবহারের অনুমোদন দেয় কি না, তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ডিজিডিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা সহজেই পাওয়া যায়। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সচেতন করতে আইটি সেকশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রতিকার হিসেবে বিএমইউর চিকিৎসকেরা যেন অননুমোদিত ওষুধ প্রেসক্রিপশনে না লেখেন সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট ছাপানো এবং সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনিবন্ধিত ওষুধ লিখলে সম্ভাব্য শাস্তির বিষয়েও চিকিৎসকদের অবহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ, বহির্বিভাগ এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে বড় সাইনবোর্ড স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি পাঠানো এবং ডিজিডিএ ও বিএসটিআই কর্তৃক নিবন্ধিত ওষুধের তালিকা বিভাগ ও বহির্বিভাগে সরবরাহের সুপারিশও করা হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ছয়টি জোনে ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট আছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১১৩টি সেতু এবং ১২ হাজার ৩২৪টি কালভার্ট। এসব সেতু এবং কালভার্টের মধ্যে ৭১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে...
২০ মে ২০২৫
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল। সেই ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। তার প্রধানত দুটি কারণ–একটি হলো এটা নির্বাচিত সরকার না। আরেকটি হলো, এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এসব কথা বলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগে আজ নবম দিনের মতো এ বিষয়ে শুনানি হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ তাদের শুনানি শেষ করে। এরপর ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনী আপিল বিভাগ বাতিল করলেন এজন্য যে, বিচারকেরা প্রধান বিচারপতি, প্রধান উপদেষ্টা ইত্যাদি হওয়ার লোভ সামলাতে পারবেন না। যদি এটিই সত্য হয়, তাহলে যেসব বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার লোভে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে রায় দিয়েছিলেন, সেই সিস্টেমটা বদলানো দরকার।
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এটা প্রমাণিত হয়েছে, নির্বাচিত সরকার হলেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে না। প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওতায় বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে নিরপেক্ষভাবে, স্বাধীনভাবে, উন্মুক্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
রায় কার্যকর হওয়া প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এই রায় সেই দিন থেকেই কার্যকর হবে। তবে জুলাই বিপ্লবের পর একটি সরকার গঠিত হয়েছে। রাজপথ থেকে নির্ধারণ করা হয়েছে এ দেশের সরকার প্রধান কে হবেন, কোন ধরনের সরকার হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি কে হবেন, সেটাও রাজপথ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। এই যে রেভ্যলুশনের (বিপ্লবের) বিজয়ী শক্তি, এটাকে রেভ্যলুশনের থিওরি জুরিসপ্রুডেন্স বলে। এ থিওরি অনুসারে, এই সরকার একটা নির্বাচনের পথ ধরে হেঁটে গেছে। সেই নির্বাচনের পথে হাঁটতে গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই সরকারের পরে যে সরকার আসবে, সেখান থেকে যদি কার্যকর করেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সরকার প্রধান যখন ৫ আগস্ট পালিয়ে যায়, তার ক্যাবিনেট যখন পালিয়ে যায়, তার সংসদ সদস্যরা যখন পালিয়ে যায়, তখন রাষ্ট্রপতির সামনে যখন কোনো পথ খোলা থাকে না। রাষ্ট্রপতি ১০৬ ধারায় সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। এই সরকার গঠন শুধু সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ওপর নির্ভর করে না। বিপ্লবের তত্ত্ব অনুসারে মুক্তিকামী জনগণ, বিজয়ী জনগণ, স্বাধীন জনগণ, গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বকারী জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবেন—সেটাই সংবিধান, সেটাই আইন। সুতরাং রেভ্যলুশনারি থিওরিতে যে জুরিসপ্রুডেন্স স্বীকার করা হলো, গ্রহণ করা হলো—সেই থিওরিটাকেই আমরা হাইলাইট করছি। ১০৬ সব নয়।’

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ছয়টি জোনে ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট আছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১১৩টি সেতু এবং ১২ হাজার ৩২৪টি কালভার্ট। এসব সেতু এবং কালভার্টের মধ্যে ৭১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে...
২০ মে ২০২৫
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনে মামলাগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা মালয়েশিয়াগামী ৩১ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
দুদকের সূত্র বলেছে, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪৩০ জনের কাছ থেকে ১২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক রুহুল আমিনকে আসামি করা হচ্ছে। মেসার্স মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, তাঁর স্ত্রী এবং কোম্পানির এমডির নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৩ হাজার ৩২১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের বিরুদ্ধে এবং ৮ হাজার ১০১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৫ হাজার ২০২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জনের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এবং ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন কমিশনে মামলাগুলোর অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. আক্তার হোসেন বলেন, এসব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও কর্মকর্তারা মালয়েশিয়াগামী ৩১ হাজার ৩৩১ জন কর্মীর কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার পরিবর্তে পাঁচ গুণ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে ৫২৫ কোটি ২২ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।
দুদকের সূত্র বলেছে, মেসার্স আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ৪৩০ জনের কাছ থেকে ১২৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মালিক রুহুল আমিনকে আসামি করা হচ্ছে। মেসার্স মেরিট ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৮৯ জনের কাছ থেকে ৫৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা অতিরিক্ত নেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, তাঁর স্ত্রী এবং কোম্পানির এমডির নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
৩ হাজার ৩২১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানের বিরুদ্ধে এবং ৮ হাজার ১০১ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ১৩৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা আদায়ের অভিযোগে ইম্পেরিয়াল রিসোর্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসাইন ও এমডি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
৫ হাজার ২০২ জনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগে আরআরসি হিউম্যান রিসোর্স সার্ভিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও এমডি মো. আলমগীর কবীর এবং ৩ হাজার ৭৮৮ জনের কাছ থেকে ৬৩ কোটি ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগে থানেক্স ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের সাবেক এমডি আব্দুল্লাহ শাহেদ, পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন নোমানী ও এমডি শমসের আহমেদের নামে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠিয়ে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১১ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এবং ১ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৪ সেপ্টেম্বর ১৩টি রিক্রুটিং এজেন্সির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও সিন্ডিকেটের কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেশটি পুনরায় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করে। তখন শ্রমিক ভিসায় যেতে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে সরকার, যা ২০২২ সালে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অফিস আদেশের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ছয়টি জোনে ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট আছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১১৩টি সেতু এবং ১২ হাজার ৩২৪টি কালভার্ট। এসব সেতু এবং কালভার্টের মধ্যে ৭১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে...
২০ মে ২০২৫
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে
ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের কর্মচারী নন, সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রের আইনজীবী। অ্যাটর্নি জেনারেল ক্ষমতায় থেকেও নির্বাচন করতে পারেন। এখানে কোনো অ্যাম্বিগুইটির (অস্পষ্টতা) কিছু নেই। এটা সেটেল ল।
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমি যতক্ষণ অ্যাটর্নি জেনারেল আছি, ততক্ষণ রাষ্ট্রের আইনজীবী। দায়িত্ব পালনের সময় আমি রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগ করেছি। এর বাইরে না, এর ওপরে-নিচে কোনো জায়গায় না। অ্যাটর্নি জেনারেল যদি মনে করে, সরকারের কোনো অ্যাকশন ডিফেন্ডেবল না, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর; আমি সেই সরকারের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে পারি—দ্যাট ইজ ল।’
এর আগে গতকাল বুধবার পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করার কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি ভোট করব, আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ক্ষমতায় (পদে) থেকেও অ্যাটর্নি জেনারেল জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন, এখানে অস্পষ্টতার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারসংক্রান্ত আপিলের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) নিজ কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারের কর্মচারী নন, সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রের আইনজীবী। অ্যাটর্নি জেনারেল ক্ষমতায় থেকেও নির্বাচন করতে পারেন। এখানে কোনো অ্যাম্বিগুইটির (অস্পষ্টতা) কিছু নেই। এটা সেটেল ল।
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘আমি যতক্ষণ অ্যাটর্নি জেনারেল আছি, ততক্ষণ রাষ্ট্রের আইনজীবী। দায়িত্ব পালনের সময় আমি রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগ করেছি। এর বাইরে না, এর ওপরে-নিচে কোনো জায়গায় না। অ্যাটর্নি জেনারেল যদি মনে করে, সরকারের কোনো অ্যাকশন ডিফেন্ডেবল না, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর; আমি সেই সরকারের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে পারি—দ্যাট ইজ ল।’
এর আগে গতকাল বুধবার পদ ছেড়ে দিয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করার কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি ভোট করব, আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ছয়টি জোনে ১৫ হাজার ৪৩৭টি সেতু এবং কালভার্ট আছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১১৩টি সেতু এবং ১২ হাজার ৩২৪টি কালভার্ট। এসব সেতু এবং কালভার্টের মধ্যে ৭১২টিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেগুলো দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে...
২০ মে ২০২৫
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) চিকিৎসকদের ব্যবস্থাপত্রে অনিবন্ধিত ও অননুমোদিত ওষুধ লেখা হলে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মহৎ উদ্দেশ্য ছিল জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। গণতন্ত্রের মূলকথা হলো, জনগণ ভোট দিতে পারবে। ভোটাধিকার প্রয়োগটাই এখানে মুখ্য। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা) আনা হয়েছিল।
২ ঘণ্টা আগে
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫২৫ কোটি টাকার বেশি আদায় করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির ১১ মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ৬টি পৃথক মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ঘণ্টা আগে