
গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে র্যাব বিলুপ্তিতে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন যে সুপারিশ করেছিল, তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এ ছাড়া দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা বাহিনী আবারও আগের মতো গ্রেপ্তার, ধরপাকড় শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বাংলাদেশের সংস্কার নিয়ে একটি প্রতিবেদন গত সোমবার প্রকাশ করেছে তাদের ওয়েবসাইটে। ৫০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘আফটার দ্য মুনসুন রেভল্যুশন: আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’। এতে বলা হয়েছে, কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পদ্ধতিগত যেসব সংস্কার দরকার, সে সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, সরকারের সমালোচক যাঁরা তাঁরা যেসব আইনের মাধ্যমে নিগৃহীত হতেন, সেসব আইন বাতিল এবং আইনিপ্রক্রিয়া মেনে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। অন্তর্বর্তী সরকারের এ সংস্কারকাজে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এবং সংস্থাটি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেছে।
এইচআরডব্লিউ বলছে, ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করছে তারা। নতুন করে এসব সুপারিশ করার জন্য তারা মানবাধিকারকর্মী, অন্তর্বর্তী সরকারে কর্মরত, সামরিক বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে এইচআরডব্লিউ।
সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশে স্থায়ী সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আগামী জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা, যাতে এই সরকারের পরও সংস্কার হয়। এ ছাড়া দাতা দেশগুলোর উচিত বাংলাদেশের পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। তবে এর আগে বাহিনীগুলোর আমূল সংস্কার দরকার।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে। এবার সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। পুলিশ আবার নির্বিচারে মানুষকে আটক করছে এবং অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে গণফৌজদারি অভিযোগ করছে। এর মধ্য দিয়ে যে কাউকে গ্রেপ্তারের সুযোগ পাচ্ছে পুলিশ। এর উদাহরণ দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের দুই মাসের মধ্যে এক হাজারের বেশি মামলা করেছে পুলিশ। হত্যা, দুর্নীতি বা অন্যান্য অপরাধের জন্য হাজার হাজার আওয়ামী নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ এমন ৪০০ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এইচআরডব্লিউর আরেক সুপারিশে বলা হয়েছে, সরকারের উচিত গুমবিষয়ক জাতীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বিলুপ্ত করার জন্য কাজ করা। পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত এ সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থাটি অসংখ্য বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী। র্যাবের প্রধান এ কে এম শহিদুর রহমানও সংস্থাটির গোপন আটক কেন্দ্রের কথা স্বীকার করেছেন।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে র্যাব বিলুপ্তিতে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন যে সুপারিশ করেছিল, তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এ ছাড়া দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা বাহিনী আবারও আগের মতো গ্রেপ্তার, ধরপাকড় শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বাংলাদেশের সংস্কার নিয়ে একটি প্রতিবেদন গত সোমবার প্রকাশ করেছে তাদের ওয়েবসাইটে। ৫০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘আফটার দ্য মুনসুন রেভল্যুশন: আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’। এতে বলা হয়েছে, কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পদ্ধতিগত যেসব সংস্কার দরকার, সে সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, সরকারের সমালোচক যাঁরা তাঁরা যেসব আইনের মাধ্যমে নিগৃহীত হতেন, সেসব আইন বাতিল এবং আইনিপ্রক্রিয়া মেনে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। অন্তর্বর্তী সরকারের এ সংস্কারকাজে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এবং সংস্থাটি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেছে।
এইচআরডব্লিউ বলছে, ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করছে তারা। নতুন করে এসব সুপারিশ করার জন্য তারা মানবাধিকারকর্মী, অন্তর্বর্তী সরকারে কর্মরত, সামরিক বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে এইচআরডব্লিউ।
সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশে স্থায়ী সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আগামী জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা, যাতে এই সরকারের পরও সংস্কার হয়। এ ছাড়া দাতা দেশগুলোর উচিত বাংলাদেশের পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। তবে এর আগে বাহিনীগুলোর আমূল সংস্কার দরকার।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে। এবার সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। পুলিশ আবার নির্বিচারে মানুষকে আটক করছে এবং অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে গণফৌজদারি অভিযোগ করছে। এর মধ্য দিয়ে যে কাউকে গ্রেপ্তারের সুযোগ পাচ্ছে পুলিশ। এর উদাহরণ দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের দুই মাসের মধ্যে এক হাজারের বেশি মামলা করেছে পুলিশ। হত্যা, দুর্নীতি বা অন্যান্য অপরাধের জন্য হাজার হাজার আওয়ামী নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ এমন ৪০০ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এইচআরডব্লিউর আরেক সুপারিশে বলা হয়েছে, সরকারের উচিত গুমবিষয়ক জাতীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বিলুপ্ত করার জন্য কাজ করা। পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত এ সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থাটি অসংখ্য বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী। র্যাবের প্রধান এ কে এম শহিদুর রহমানও সংস্থাটির গোপন আটক কেন্দ্রের কথা স্বীকার করেছেন।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে র্যাব বিলুপ্তিতে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন যে সুপারিশ করেছিল, তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এ ছাড়া দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা বাহিনী আবারও আগের মতো গ্রেপ্তার, ধরপাকড় শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বাংলাদেশের সংস্কার নিয়ে একটি প্রতিবেদন গত সোমবার প্রকাশ করেছে তাদের ওয়েবসাইটে। ৫০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘আফটার দ্য মুনসুন রেভল্যুশন: আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’। এতে বলা হয়েছে, কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পদ্ধতিগত যেসব সংস্কার দরকার, সে সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, সরকারের সমালোচক যাঁরা তাঁরা যেসব আইনের মাধ্যমে নিগৃহীত হতেন, সেসব আইন বাতিল এবং আইনিপ্রক্রিয়া মেনে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। অন্তর্বর্তী সরকারের এ সংস্কারকাজে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এবং সংস্থাটি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেছে।
এইচআরডব্লিউ বলছে, ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করছে তারা। নতুন করে এসব সুপারিশ করার জন্য তারা মানবাধিকারকর্মী, অন্তর্বর্তী সরকারে কর্মরত, সামরিক বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে এইচআরডব্লিউ।
সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশে স্থায়ী সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আগামী জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা, যাতে এই সরকারের পরও সংস্কার হয়। এ ছাড়া দাতা দেশগুলোর উচিত বাংলাদেশের পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। তবে এর আগে বাহিনীগুলোর আমূল সংস্কার দরকার।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে। এবার সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। পুলিশ আবার নির্বিচারে মানুষকে আটক করছে এবং অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে গণফৌজদারি অভিযোগ করছে। এর মধ্য দিয়ে যে কাউকে গ্রেপ্তারের সুযোগ পাচ্ছে পুলিশ। এর উদাহরণ দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের দুই মাসের মধ্যে এক হাজারের বেশি মামলা করেছে পুলিশ। হত্যা, দুর্নীতি বা অন্যান্য অপরাধের জন্য হাজার হাজার আওয়ামী নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ এমন ৪০০ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এইচআরডব্লিউর আরেক সুপারিশে বলা হয়েছে, সরকারের উচিত গুমবিষয়ক জাতীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বিলুপ্ত করার জন্য কাজ করা। পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত এ সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থাটি অসংখ্য বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী। র্যাবের প্রধান এ কে এম শহিদুর রহমানও সংস্থাটির গোপন আটক কেন্দ্রের কথা স্বীকার করেছেন।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে র্যাব বিলুপ্তিতে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন যে সুপারিশ করেছিল, তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এ ছাড়া দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা বাহিনী আবারও আগের মতো গ্রেপ্তার, ধরপাকড় শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি বাংলাদেশের সংস্কার নিয়ে একটি প্রতিবেদন গত সোমবার প্রকাশ করেছে তাদের ওয়েবসাইটে। ৫০ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘আফটার দ্য মুনসুন রেভল্যুশন: আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’। এতে বলা হয়েছে, কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পদ্ধতিগত যেসব সংস্কার দরকার, সে সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, সরকারের সমালোচক যাঁরা তাঁরা যেসব আইনের মাধ্যমে নিগৃহীত হতেন, সেসব আইন বাতিল এবং আইনিপ্রক্রিয়া মেনে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। অন্তর্বর্তী সরকারের এ সংস্কারকাজে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এবং সংস্থাটি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেছে।
এইচআরডব্লিউ বলছে, ২০ বছর ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার ইস্যুতে কাজ করছে তারা। নতুন করে এসব সুপারিশ করার জন্য তারা মানবাধিকারকর্মী, অন্তর্বর্তী সরকারে কর্মরত, সামরিক বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে এইচআরডব্লিউ।
সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশে স্থায়ী সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত আগামী জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা, যাতে এই সরকারের পরও সংস্কার হয়। এ ছাড়া দাতা দেশগুলোর উচিত বাংলাদেশের পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। তবে এর আগে বাহিনীগুলোর আমূল সংস্কার দরকার।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে। এবার সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। পুলিশ আবার নির্বিচারে মানুষকে আটক করছে এবং অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে গণফৌজদারি অভিযোগ করছে। এর মধ্য দিয়ে যে কাউকে গ্রেপ্তারের সুযোগ পাচ্ছে পুলিশ। এর উদাহরণ দিয়ে এইচআরডব্লিউ বলছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের দুই মাসের মধ্যে এক হাজারের বেশি মামলা করেছে পুলিশ। হত্যা, দুর্নীতি বা অন্যান্য অপরাধের জন্য হাজার হাজার আওয়ামী নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ এমন ৪০০ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এইচআরডব্লিউর আরেক সুপারিশে বলা হয়েছে, সরকারের উচিত গুমবিষয়ক জাতীয় তদন্ত কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) বিলুপ্ত করার জন্য কাজ করা। পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত এ সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থাটি অসংখ্য বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক গুমের জন্য দায়ী। র্যাবের প্রধান এ কে এম শহিদুর রহমানও সংস্থাটির গোপন আটক কেন্দ্রের কথা স্বীকার করেছেন।

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
১২ মিনিট আগে
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
অভিযোগে নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘গত ৩১ জুলাই থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে দায়িত্ব পালন করছি। সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসে বিবাদী গোপালপুর পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উত্থান (৫২), সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী (৫৫), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন মিয়া (৫০), যুগ্ম সম্পাদক মো. মহির উদ্দিন (৫৬), যুবদল নেতা/কর্মী কামরুল ইসলাম (৪২)সহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১২০ জন নেতা-কর্মীসহ অফিস কক্ষে যায়। তখন আমি খালিদ হাসানকে কী সেবা দিতে পারি জিজ্ঞাসা করলে তিনি রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, আমি কেন তাদের মূল্যায়ন/মান্য করি না এবং কেন তাদের কথামতো কাজ করি না। আমি সরকারি বিধি মোতাবেক সকল সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত আছি জানালে উল্লিখিত বিবাদীরাসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমাকে আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছি মর্মে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি বিবাদীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করে আওয়ামী লীগের কী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছি, তার প্রমাণ দিতে বলি। এতে বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয় এবং আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।
‘এই ঘটনা শুরু থেকে স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানা তার মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকে। ভিডিও করার বিষয়টি দেখতে পেয়ে খালিদ হাসান অন্যান্য বিবাদীকে হুকুম দিয়ে বলে, ‘শালার ভিডিও করার সাধ মিটাইয়া দে।’ হুকুম পাওয়া মাত্রই ৩-৫ নম্বর বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা মো. সুমন রানাকে ধরে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
‘তখন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. আমজাদ হোসেন বিবাদীদের কবল থেকে স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে ৩ নম্বর বিবাদী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমজাদ হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং অফিসের সার্ভার রুমের কাচের গ্লাস ভাঙচুর করে। কাচের থাই গ্লাস ভেঙে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনের বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলের একটু ওপরে পড়ে কেটে গুরুতর রক্তাক্ত হয়। আমি স্ক্যানিং অপারেটর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে ১ ও ২ নম্বর বিবাদী আমার পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে জখম করে। তখন সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবু রায়হান বিবাদীদের কবল থেকে আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাকেও এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারা হয়।’
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘ওই সময় অফিস কক্ষে থাকা একজন সেবাগ্রহীতাকে বিবাদীরা একইভাবে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। বিবাদীরা অফিসের অন্যান্য কক্ষের কাচের থাই গ্লাস, বারান্দায় রাখা ফুলের টবসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও হেল্প ডেস্কে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র ছিঁড়ে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। আমাকেসহ আমার অফিসের সহকর্মীদের নানা রকম ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি দেয়।
‘আমার অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারী আহত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মূল গেটের সামনে বিবাদী গোপালপুর পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. তুহিনসহ (২৭) অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা পুনরায় আমজাদ হোসেনকে মারপিট করে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের সহায়তায় আমজাদ হোসেনকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
‘ঘটনাটি আমি তাৎক্ষণিক গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। পরবর্তীতে বিবাদীরা আমার ও স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানার কেড়ে নেওয়া মোবাইল ফোন দুটি ইউএনওর মাধ্যমে ফেরত দেয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
অভিযোগে নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ‘গত ৩১ জুলাই থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিসে দায়িত্ব পালন করছি। সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় সময় উপজেলা নির্বাচন অফিসে বিবাদী গোপালপুর পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উত্থান (৫২), সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী (৫৫), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন মিয়া (৫০), যুগ্ম সম্পাদক মো. মহির উদ্দিন (৫৬), যুবদল নেতা/কর্মী কামরুল ইসলাম (৪২)সহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১২০ জন নেতা-কর্মীসহ অফিস কক্ষে যায়। তখন আমি খালিদ হাসানকে কী সেবা দিতে পারি জিজ্ঞাসা করলে তিনি রাগান্বিত কণ্ঠে বলেন, আমি কেন তাদের মূল্যায়ন/মান্য করি না এবং কেন তাদের কথামতো কাজ করি না। আমি সরকারি বিধি মোতাবেক সকল সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত আছি জানালে উল্লিখিত বিবাদীরাসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমাকে আওয়ামী লীগের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছি মর্মে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি বিবাদীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করে আওয়ামী লীগের কী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছি, তার প্রমাণ দিতে বলি। এতে বিবাদীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয় এবং আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেন।
‘এই ঘটনা শুরু থেকে স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানা তার মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকে। ভিডিও করার বিষয়টি দেখতে পেয়ে খালিদ হাসান অন্যান্য বিবাদীকে হুকুম দিয়ে বলে, ‘শালার ভিডিও করার সাধ মিটাইয়া দে।’ হুকুম পাওয়া মাত্রই ৩-৫ নম্বর বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা মো. সুমন রানাকে ধরে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
‘তখন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. আমজাদ হোসেন বিবাদীদের কবল থেকে স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে ৩ নম্বর বিবাদী তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমজাদ হোসেনকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং অফিসের সার্ভার রুমের কাচের গ্লাস ভাঙচুর করে। কাচের থাই গ্লাস ভেঙে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনের বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙুলের একটু ওপরে পড়ে কেটে গুরুতর রক্তাক্ত হয়। আমি স্ক্যানিং অপারেটর ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে ১ ও ২ নম্বর বিবাদী আমার পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে জখম করে। তখন সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবু রায়হান বিবাদীদের কবল থেকে আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাকেও এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারা হয়।’
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘ওই সময় অফিস কক্ষে থাকা একজন সেবাগ্রহীতাকে বিবাদীরা একইভাবে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। বিবাদীরা অফিসের অন্যান্য কক্ষের কাচের থাই গ্লাস, বারান্দায় রাখা ফুলের টবসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও হেল্প ডেস্কে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র ছিঁড়ে আনুমানিক ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। আমাকেসহ আমার অফিসের সহকর্মীদের নানা রকম ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি দেয়।
‘আমার অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারী আহত ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথে গোপালপুর উপজেলা পরিষদের মূল গেটের সামনে বিবাদী গোপালপুর পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. তুহিনসহ (২৭) অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা পুনরায় আমজাদ হোসেনকে মারপিট করে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়। সহকারী উপজেলা নির্বাচন অফিসার থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পুলিশের সহায়তায় আমজাদ হোসেনকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
‘ঘটনাটি আমি তাৎক্ষণিক গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। পরবর্তীতে বিবাদীরা আমার ও স্ক্যানিং অপারেটর মো. সুমন রানার কেড়ে নেওয়া মোবাইল ফোন দুটি ইউএনওর মাধ্যমে ফেরত দেয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে র্যাব বিলুপ্তিতে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন যে সুপারিশ করেছিল, তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এ ছাড়া দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা বাহিনী আবারও আগের ম
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এমনটা কখনো দেয়নি। তাই আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করব। শহীদ মিনারে গিয়ে নেতারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। আগামীকাল থেকে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’
গত শনিবার থেকে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকেরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তাঁরা গতকাল রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা।
তৃতীয় দিনের অবস্থান ও দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি শেষে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।
শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগে একটি প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে গতকাল রোববার সারা দেশে কর্মবিরতি ও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে আশানুরূপ সমাধান না এলেও প্রথমে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা। তবে গভীর রাতে ফের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
এ ঘোষণার পর আজ দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কোটালীপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি করছেন শিক্ষকেরা। তবে তাঁরা বিদ্যালয়েই আছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ময়নুর রহমান মিলন জানান, প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় শিক্ষক সংগঠনগুলোর ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য গাইবান্ধায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই তাঁরা পুনরায় ক্লাসে ফিরবেন।
এই তিন দফা দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষকদের। এ সময় দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতারা। এরপর ওই দিন রাতেই শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি দেশজুড়ে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এমনটা কখনো দেয়নি। তাই আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করব। শহীদ মিনারে গিয়ে নেতারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। আগামীকাল থেকে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’
গত শনিবার থেকে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকেরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তাঁরা গতকাল রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা।
তৃতীয় দিনের অবস্থান ও দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি শেষে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।
শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগে একটি প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে গতকাল রোববার সারা দেশে কর্মবিরতি ও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে আশানুরূপ সমাধান না এলেও প্রথমে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা। তবে গভীর রাতে ফের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
এ ঘোষণার পর আজ দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কোটালীপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি করছেন শিক্ষকেরা। তবে তাঁরা বিদ্যালয়েই আছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ময়নুর রহমান মিলন জানান, প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় শিক্ষক সংগঠনগুলোর ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য গাইবান্ধায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই তাঁরা পুনরায় ক্লাসে ফিরবেন।
এই তিন দফা দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষকদের। এ সময় দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতারা। এরপর ওই দিন রাতেই শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি দেশজুড়ে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে র্যাব বিলুপ্তিতে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন যে সুপারিশ করেছিল, তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এ ছাড়া দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা বাহিনী আবারও আগের ম
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
১২ মিনিট আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায়’ সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে ২ নভেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে সংশোধিত ওই বিধিমালার গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। রিটের পক্ষে শুক্লা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায়’ সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে ২ নভেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে সংশোধিত ওই বিধিমালার গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। রিটের পক্ষে শুক্লা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে র্যাব বিলুপ্তিতে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন যে সুপারিশ করেছিল, তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এ ছাড়া দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা বাহিনী আবারও আগের ম
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
১২ মিনিট আগে
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ নভেম্বর বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিটি এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। একই চিঠি অর্থসচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিটিআরসির এমন পদক্ষেপের তথ্য সামনে এল। এনইআইআর কার্যকর হলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া প্রতিটি হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হতে হবে। না হলে সেগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। চাইলেই একজনের সিম কার্ড আরেকজনের হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা যাবে না। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত নেটওয়ার্কে ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হবে। বিটিআরসি চাইছে, ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলোর পাশাপাশি যেগুলো ইতিমধ্যে দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে, সেগুলোকেও বৈধ করা হোক।
বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্মার্টফোন হ্যান্ডসেট অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই খাতের সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে যে সংখ্যক অননুমোদিত হ্যান্ডসেট রয়েছে, তার একটি বিশাল অংশ আগামী ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে অবিক্রীত থেকে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্কে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। বিশাল আর্থিক লোকসান থেকে রক্ষা পেতে এই খাতের ব্যবসায়ীরা বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। কারিগরি দিক বিবেচনায় অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই (ইউনিক কোড, যা প্রতিটি মোবাইল ফোনকে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়) বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর তথ্য বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামতসহ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
চিঠিতে মোবাইল ফোন ও ফোন উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বেশি। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যকরী ভূমিকার মাধ্যমে শুল্কহার যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের আমদানি শুল্ক প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশে অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আনা বন্ধ হবে। ফলে দেশে মোবাইলের উৎপাদন বাড়বে। একই সঙ্গে যেসব ব্র্যান্ডের বা মডেলের মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশে উৎপাদন হয় না, সেগুলোর বৈধভাবে আমদানির পরিমাণ বাড়বে। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য উচ্চ আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।
চিঠিতে বিটিআরসি বলেছে, ‘বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন কর কমানোর জন্য যদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তবে তা এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে যাতে দেশের অভ্যন্তরে স্থাপিত মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্প এবং এ খাতে কর্মরত সকলের স্বার্থ রক্ষা হয়।’
সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনটি বিষয়ে এনবিআরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। এগুলো হলো ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলো বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করা হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, দেশের অভ্যন্তরে কারখানায় মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর ব্যবস্থা এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা ও দেশের অভ্যন্তরে তৈরি মোবাইল সেটের শুল্কের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
বিটিআরসির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. জাকির হোসেন খান এনবিআরের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে এর বেশি কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ নভেম্বর বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিটি এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। একই চিঠি অর্থসচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিটিআরসির এমন পদক্ষেপের তথ্য সামনে এল। এনইআইআর কার্যকর হলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া প্রতিটি হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হতে হবে। না হলে সেগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। চাইলেই একজনের সিম কার্ড আরেকজনের হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা যাবে না। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত নেটওয়ার্কে ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হবে। বিটিআরসি চাইছে, ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলোর পাশাপাশি যেগুলো ইতিমধ্যে দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে, সেগুলোকেও বৈধ করা হোক।
বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্মার্টফোন হ্যান্ডসেট অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই খাতের সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে যে সংখ্যক অননুমোদিত হ্যান্ডসেট রয়েছে, তার একটি বিশাল অংশ আগামী ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে অবিক্রীত থেকে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্কে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। বিশাল আর্থিক লোকসান থেকে রক্ষা পেতে এই খাতের ব্যবসায়ীরা বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। কারিগরি দিক বিবেচনায় অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই (ইউনিক কোড, যা প্রতিটি মোবাইল ফোনকে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়) বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর তথ্য বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামতসহ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
চিঠিতে মোবাইল ফোন ও ফোন উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বেশি। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যকরী ভূমিকার মাধ্যমে শুল্কহার যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের আমদানি শুল্ক প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশে অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আনা বন্ধ হবে। ফলে দেশে মোবাইলের উৎপাদন বাড়বে। একই সঙ্গে যেসব ব্র্যান্ডের বা মডেলের মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশে উৎপাদন হয় না, সেগুলোর বৈধভাবে আমদানির পরিমাণ বাড়বে। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য উচ্চ আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।
চিঠিতে বিটিআরসি বলেছে, ‘বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন কর কমানোর জন্য যদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তবে তা এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে যাতে দেশের অভ্যন্তরে স্থাপিত মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্প এবং এ খাতে কর্মরত সকলের স্বার্থ রক্ষা হয়।’
সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনটি বিষয়ে এনবিআরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। এগুলো হলো ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলো বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করা হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, দেশের অভ্যন্তরে কারখানায় মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর ব্যবস্থা এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা ও দেশের অভ্যন্তরে তৈরি মোবাইল সেটের শুল্কের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
বিটিআরসির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. জাকির হোসেন খান এনবিআরের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে এর বেশি কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে র্যাব বিলুপ্তিতে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন যে সুপারিশ করেছিল, তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে বলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। এ ছাড়া দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সংগঠনটি বলেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিরাপত্তা বাহিনী আবারও আগের ম
২৯ জানুয়ারি ২০২৫
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলার অভিযোগ থানায় অভিযোগ করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (৫০)। আজ সোমবার তিনি গোপালপুর থানায় এমন অভিযোগ করেন।
১২ মিনিট আগে
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
৩ ঘণ্টা আগে