নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আবারও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মতো আঘাত দেশে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আঘাত আরও আসবে জানি। এই আঘাত হয়তো আরও সামনে আসবে। যখন আমার আব্বা দেশটাকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই তো ১৫ আগস্ট ঘটেছে।’
আজ রোববার একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ প্রশ্ন তোলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গিয়ে প্রথমে তিনি গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত বেদিতে শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়নের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার চেতনায় জয়বাংলা ফিরে এসেছে। এগুলো যারা সহ্য করতে পারবে না, তারা বসে থাকবে না। তারা আঘাত করবে। বাংলাদেশকে আবারও জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করবে।’ সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় বিভিন্ন গোষ্ঠী সরকারকে চাপ দিচ্ছে এমন ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন তাদের সঙ্গে বসতে হবে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের খাতির করতে হবে। তাদের নির্বাচনে আনতে হবে। এত আহ্লাদ কেন আমি তো বুঝি না। বাংলাদেশে কি আর মানুষ নেই?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি। সেখানে থেকে এসে অনুরোধ করে, কোন মতে তাদের একটু জায়গা দেওয়া যায় কি না? জায়গা দেবে কি দেবে না, সেটা ভাববে জনগণ। সেই সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ। তারা আবার সেই সন্ত্রাসের যুগে ফেরত যবে? নাকি আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই উন্নয়নের যুগে থাকবে? এই সিদ্ধান্ত তো জনগণকে নিতে হবে।’
আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। কেউ যদি নির্বাচন... নির্বাচন করবে কীভাবে? যে দলের নেতাই নেই, সাজাপ্রাপ্ত অথবা পলাতক, তারা নির্বাচনই করবে কী আর কীভাবে ভোট পাবে? ভোট কাকে দেখে দেবে এটাই তো প্রশ্ন। তার পরও অনেক চক্রান্ত আছে। এখনো যেমন নানা রকমের চক্রান্ত। নির্বাচন সামনে আসলেই শুরু হয়। কিন্তু এ দেশের মানুষের ওপর আমার আস্থা আছে। বিশ্বাস আছে।’
আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করেছে এটাই বড় অপরাধ দাবি করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যে উন্নয়নটা করে আজকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পেরেছি। হয়তো এটাই বড় অপরাধ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত অত্যন্ত সফলভাবে দেশ চালিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলাম। সে জন্যই তো ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়ে আমাকে শেষ করার একটা পরিকল্পনা। আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন।’
২১ আগস্টে হতাহতদের খোঁজ-খবর নিয়মিত রাখেন বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁদের বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের মাধ্যমে দেওয়া বিভিন্ন সহায়তার কথা তুলে ধরেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে হয়েছিল ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। হামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন নেতা-কর্মী।
আবারও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মতো আঘাত দেশে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আঘাত আরও আসবে জানি। এই আঘাত হয়তো আরও সামনে আসবে। যখন আমার আব্বা দেশটাকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই তো ১৫ আগস্ট ঘটেছে।’
আজ রোববার একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ প্রশ্ন তোলেন। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গিয়ে প্রথমে তিনি গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত বেদিতে শ্রদ্ধা জানান।
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়নের পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার চেতনায় জয়বাংলা ফিরে এসেছে। এগুলো যারা সহ্য করতে পারবে না, তারা বসে থাকবে না। তারা আঘাত করবে। বাংলাদেশকে আবারও জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করবে।’ সে বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির সঙ্গে সমঝোতায় বিভিন্ন গোষ্ঠী সরকারকে চাপ দিচ্ছে এমন ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন তাদের সঙ্গে বসতে হবে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের খাতির করতে হবে। তাদের নির্বাচনে আনতে হবে। এত আহ্লাদ কেন আমি তো বুঝি না। বাংলাদেশে কি আর মানুষ নেই?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি। সেখানে থেকে এসে অনুরোধ করে, কোন মতে তাদের একটু জায়গা দেওয়া যায় কি না? জায়গা দেবে কি দেবে না, সেটা ভাববে জনগণ। সেই সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ। তারা আবার সেই সন্ত্রাসের যুগে ফেরত যবে? নাকি আজকে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই উন্নয়নের যুগে থাকবে? এই সিদ্ধান্ত তো জনগণকে নিতে হবে।’
আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। কেউ যদি নির্বাচন... নির্বাচন করবে কীভাবে? যে দলের নেতাই নেই, সাজাপ্রাপ্ত অথবা পলাতক, তারা নির্বাচনই করবে কী আর কীভাবে ভোট পাবে? ভোট কাকে দেখে দেবে এটাই তো প্রশ্ন। তার পরও অনেক চক্রান্ত আছে। এখনো যেমন নানা রকমের চক্রান্ত। নির্বাচন সামনে আসলেই শুরু হয়। কিন্তু এ দেশের মানুষের ওপর আমার আস্থা আছে। বিশ্বাস আছে।’
আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করেছে এটাই বড় অপরাধ দাবি করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যে উন্নয়নটা করে আজকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পেরেছি। হয়তো এটাই বড় অপরাধ। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত অত্যন্ত সফলভাবে দেশ চালিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছিলাম। সে জন্যই তো ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়ে আমাকে শেষ করার একটা পরিকল্পনা। আল্লাহ বাঁচিয়ে দিয়েছেন।’
২১ আগস্টে হতাহতদের খোঁজ-খবর নিয়মিত রাখেন বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁদের বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের মাধ্যমে দেওয়া বিভিন্ন সহায়তার কথা তুলে ধরেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সমাবেশে হয়েছিল ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। হামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও প্রাণ হারিয়েছেন ২৪ জন নেতা-কর্মী।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য নির্বাচনী আইন-বিধিসংশ্লিষ্ট সুপারিশ চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬ মিনিট আগেনির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত না আসায় আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় ইশরাক হোসেনের নামে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘চতুর্থ কমিশন সভা’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
৩৫ মিনিট আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ‘পাশ কাটিয়ে’ ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তি করে শুল্ক ও কর অব্যাহতির মাধ্যমে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব ড. আহমেদ কায়কাউসসহ সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখছে
৩৯ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে দেশের নাগরিকদের সব সেবা এক ঠিকানায় পৌঁছে দিতে চালু হতে যাচ্ছে নতুন সেবা আউটলেট ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, যার সংক্ষেপিত রূপ ‘নাগরিক সেবা’। এই উদ্যোগের আওতায় ব্যক্তি উদ্যোক্তারা সেবাদাতা হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং চলমান ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এর সঙ্গে
১ ঘণ্টা আগে