তানিম আহমেদ, ঢাকা
অনিশ্চয়তা-সংশয় কাটিয়ে নির্ধারিত সময়েই ঘোষিত হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র। সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার জানানো হয়েছে, স্বৈরাচার পতনের বর্ষপূর্তির দিন ৫ আগস্ট মঙ্গলবার সব পক্ষের উপস্থিতিতেই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
তবে ঘোষণাপত্রের সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিষয়টি এখনো খোলাসা হয়নি। সাংবিধানিক স্বীকৃতির কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও কোন ধারায় তা যুক্ত হবে, সেটি পরিষ্কার করা হয়নি। এ নিয়ে সরকারের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতাদের গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে সংবিধানের প্রস্তাবনায় জুলাই ঘোষণাপত্র রাখার দাবি করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলছে না। আর বিএনপি এটি সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করার পক্ষে।
মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমান সংবিধানের সপ্তম তফসিলে যুক্ত করা হয়। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা আছে, যার শুনানি এখনো শেষ হয়নি।
জুলাই ঘোষণাপত্রের সাংবিধানিক স্বীকৃতি অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করে বিএনপি। তারা এটিকে রাজনৈতিক দলিল হিসেবে রাষ্ট্রের আর্কাইভে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সংরক্ষণের পক্ষে। দলটির নেতারা বলছেন, একটি বিপ্লবকে সংবিধানে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাই জুলাই ঘোষণাপত্রের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতেই থাকতে চায় বিএনপি। বিএনপি থেকে বলা হয়েছে, তারা জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে যুক্ত করার পক্ষে। তবে পুরো ঘোষণাপত্র নয়, অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি হিসেবে একটি অনুচ্ছেদে ঘোষণাপত্রের উল্লেখ থাকবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘোষণাপত্রের কোনো প্রয়োজনীয়তাই ছিল না। আর খসড়া ঘোষণাপত্রের বিষয়ে আমাদের মতামত যদি চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে না থাকে, তখনই প্রতিক্রিয়া দেব। তা ছাড়া আমরা তো বলেছি, সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে এর বর্ণনা রাখব, বৈধতা দেব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব শক্তি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা বলায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। গতকাল দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ঘোষণাপত্রের অবশ্যই সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে। আমরা আশা করছি সরকারের জায়গা থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে সমর্থন এবং প্রতিশ্রুতি দেবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব দলের অবদানের কথা ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকার দাবি জানান এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘোষণাপত্রের কোনো অংশে যেন দলীয়করণ করা না হয়। গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে শামিল নয়, এমন কোনো বয়ানের স্বীকৃতি যেন দেওয়া না হয়। আমরা চাইব গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মানুষের যে সার্বিক আকাঙ্ক্ষার উত্তরণ ঘটেছে, সেটির উল্লেখ করা হয়, সেটি উঠে আসে।’
জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘ঘোষণাপত্রের বিষয়ে (খসড়া ঘোষণাপত্র) আমাদের পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শ (সাজেশন) দিয়েছি। বাস্তবায়ন করবে সরকার। চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রটা তো আমরা দেখিনি। এটা নিয়ে আগাম কোনো মন্তব্য করব না।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গতকাল এক বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় গণ-অভ্যুত্থানের সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা বা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে। সেখানে জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও আহত এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। যে সব দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়েছে, থাকবেন তাঁদের প্রতিনিধিরাও।
গতকাল রাতে নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ আগস্টের মধ্যেই ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণ-আকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটি বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’
যা থাকছে ঘোষণাপত্রে
জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি এবং ভবিষ্যৎ সাংবিধানিক সংস্কারের দিকনির্দেশনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্র। যেটি কেবল একটি রাজনৈতিক দলিল নয়; বরং এটি সংস্কারকৃত সংবিধানের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
ঘোষণাপত্রের খসড়ায় ২৬টি দফা রয়েছে। প্রথম ২১ দফায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের মানুষের অতীতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থানের পটভূমি বর্ণনা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে অংশে। শেষের ৫টি দফায় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম, খুন, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
ঘোষণাপত্রে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপির মতামতে পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের সিপাহী বিপ্লব, ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের করা সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
জনগণের দাবি অনুযায়ী ‘অবৈধ’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়ে সাংবিধানিকভাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে বলে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা আছে। বিদ্যমান সংবিধান এবং সব রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কার, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের সংঘটিত গুম, খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সব ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচার। যুক্তিসংগত সময়ে অনুষ্ঠেয় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রতিশ্রুত প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা আছে ঘোষণাপত্রে।
অনিশ্চয়তা-সংশয় কাটিয়ে নির্ধারিত সময়েই ঘোষিত হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র। সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবার জানানো হয়েছে, স্বৈরাচার পতনের বর্ষপূর্তির দিন ৫ আগস্ট মঙ্গলবার সব পক্ষের উপস্থিতিতেই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।
তবে ঘোষণাপত্রের সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিষয়টি এখনো খোলাসা হয়নি। সাংবিধানিক স্বীকৃতির কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও কোন ধারায় তা যুক্ত হবে, সেটি পরিষ্কার করা হয়নি। এ নিয়ে সরকারের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
জুলাই আন্দোলনের ছাত্রনেতাদের গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পক্ষ থেকে সংবিধানের প্রস্তাবনায় জুলাই ঘোষণাপত্র রাখার দাবি করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলছে না। আর বিএনপি এটি সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করার পক্ষে।
মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমান সংবিধানের সপ্তম তফসিলে যুক্ত করা হয়। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করা আছে, যার শুনানি এখনো শেষ হয়নি।
জুলাই ঘোষণাপত্রের সাংবিধানিক স্বীকৃতি অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করে বিএনপি। তারা এটিকে রাজনৈতিক দলিল হিসেবে রাষ্ট্রের আর্কাইভে ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র সংরক্ষণের পক্ষে। দলটির নেতারা বলছেন, একটি বিপ্লবকে সংবিধানে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাই জুলাই ঘোষণাপত্রের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিতেই থাকতে চায় বিএনপি। বিএনপি থেকে বলা হয়েছে, তারা জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে যুক্ত করার পক্ষে। তবে পুরো ঘোষণাপত্র নয়, অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি হিসেবে একটি অনুচ্ছেদে ঘোষণাপত্রের উল্লেখ থাকবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গতকাল একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘোষণাপত্রের কোনো প্রয়োজনীয়তাই ছিল না। আর খসড়া ঘোষণাপত্রের বিষয়ে আমাদের মতামত যদি চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে না থাকে, তখনই প্রতিক্রিয়া দেব। তা ছাড়া আমরা তো বলেছি, সংবিধানের চতুর্থ তফসিলে এর বর্ণনা রাখব, বৈধতা দেব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব শক্তি ও রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা বলায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এনসিপি আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। গতকাল দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ঘোষণাপত্রের অবশ্যই সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকতে হবে। আমরা আশা করছি সরকারের জায়গা থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সব রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে সমর্থন এবং প্রতিশ্রুতি দেবে।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সব দলের অবদানের কথা ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকার দাবি জানান এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘোষণাপত্রের কোনো অংশে যেন দলীয়করণ করা না হয়। গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে শামিল নয়, এমন কোনো বয়ানের স্বীকৃতি যেন দেওয়া না হয়। আমরা চাইব গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মানুষের যে সার্বিক আকাঙ্ক্ষার উত্তরণ ঘটেছে, সেটির উল্লেখ করা হয়, সেটি উঠে আসে।’
জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘ঘোষণাপত্রের বিষয়ে (খসড়া ঘোষণাপত্র) আমাদের পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শ (সাজেশন) দিয়েছি। বাস্তবায়ন করবে সরকার। চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রটা তো আমরা দেখিনি। এটা নিয়ে আগাম কোনো মন্তব্য করব না।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গতকাল এক বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় গণ-অভ্যুত্থানের সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা বা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে। সেখানে জুলাই আন্দোলনের সম্মুখসারির যোদ্ধা, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও আহত এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। যে সব দল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অংশ নিয়েছে, থাকবেন তাঁদের প্রতিনিধিরাও।
গতকাল রাতে নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ আগস্টের মধ্যেই ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণ-আকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটি বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’
যা থাকছে ঘোষণাপত্রে
জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, গণ-অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি এবং ভবিষ্যৎ সাংবিধানিক সংস্কারের দিকনির্দেশনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে জুলাই ঘোষণাপত্র। যেটি কেবল একটি রাজনৈতিক দলিল নয়; বরং এটি সংস্কারকৃত সংবিধানের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে।
ঘোষণাপত্রের খসড়ায় ২৬টি দফা রয়েছে। প্রথম ২১ দফায় মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের মানুষের অতীতের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থানের পটভূমি বর্ণনা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে অংশে। শেষের ৫টি দফায় রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা, আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম, খুন, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সব ধরনের নির্যাতন-নিপীড়ন ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে।
ঘোষণাপত্রে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপির মতামতে পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের সিপাহী বিপ্লব, ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের করা সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
জনগণের দাবি অনুযায়ী ‘অবৈধ’ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়ে সাংবিধানিকভাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে বলে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা আছে। বিদ্যমান সংবিধান এবং সব রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কার, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের সংঘটিত গুম, খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সব ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধের দ্রুত উপযুক্ত বিচার। যুক্তিসংগত সময়ে অনুষ্ঠেয় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রতিশ্রুত প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা আছে ঘোষণাপত্রে।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপ কামনা করেছেন কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। আজ রোববার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অফিশিয়াল প্যাডে তাঁর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টাকে পাঠানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম সাক্ষী আন্দোলনে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ। জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশ পাখির মতো গুলি করেছে।
২ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মাধ্যমে তৈরি করার প্রস্তাব বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞদেরও সঙ্গে আলোচনা চলবে। আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগেজ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী এবং বান্দরবানের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং তাঁর স্ত্রী মে হ্লা প্রুর নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
৩ ঘণ্টা আগে