ইসির প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদে
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা, ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য এবং যোগাযোগ সুবিধা দেখে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ওয়ার্ডকে কোনোভাবেই ভাগ করা হবে না।
জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইনের ৪, ৬ ও ৮ ধারায় অস্পষ্টতা ও সীমাবদ্ধতা থাকার কথা জানিয়ে ওই ধারাগুলো সংশোধনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে সংশোধনী আইনের খসড়া পাঠিয়েছে কমিশন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২১ সালে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত আগের অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন জারি করে আওয়ামী লীগ সরকার। এই আইন সংশোধনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি সংশোধিত খসড়াটি পর্যালোচনা করবে। এরপর সংযোজন-বিয়োজন শেষে তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিলে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো প্রস্তাবে ইসি বলছে, বর্তমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ ধারায় অস্পষ্টতা ও সীমাবদ্ধতা থাকায় জনগণ এবং রাজনৈতিক দল ও নেতাদের মনে সংশয় ও আপত্তি রয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এই সংশয় ও আপত্তি দৃশ্যমান হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জাতীয় সংসদের বিদ্যমান সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আসতে থাকে।
ইসি সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৬৩টি নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের জন্য ৪০২টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়েছে। আইন সংশোধন হওয়ার পর এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। ৬০টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হলে ১০০-এর বেশি আসনের সীমানা বদলে যাবে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যমান আইনে সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না বলে আমরা আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছি। ৬২টি থেকে ৬৫টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন পাওয়া গেছে। আইন সংশোধন হওয়ার পর এগুলো নিষ্পত্তি করা হবে।’
কী সংশোধন চায় ইসি
বর্তমান আইনের ৪ ধারায় বলা আছে—এই আইনের অধীন কমিশন তার দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা কোনো নির্বাচন কমিশনার বা তাঁর কোনো কর্মকর্তাকে ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবে।
এই ধারা বদলে ইসি প্রস্তাব করেছে, এই আইনের অধীন কমিশন তার দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা অন্য কোনো নির্বাচন কমিশনারকে প্রধান করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করবে। কমিটি প্রয়োজনবোধে কোনো ভূগোলবিদ, মানচিত্রকার, পরিসংখ্যানবিদ, জনসংখ্যাবিদ ও নগরপরিকল্পনাবিদকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
ইসি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, বর্তমান আইনের ৬ ধারার বিধানমতে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসংখ্যাকে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়ায় দেশব্যাপী নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ফলে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এলাকায় সংসদীয় আসনসংখ্যা বেড়েছে এবং গ্রাম এলাকায় আসনসংখ্যা কমেছে। এতে জনমনে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। ফলে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা এবং ভৌগোলিক অবস্থা ও অবস্থানকেও বিবেচনায় রাখতে হবে।
বর্তমান আইনের ৬(২) ধারায় বলা আছে, কমিশন প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনা করে প্রতিটি আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করবে, যাতে প্রতিটি আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় থাকে এবং এরূপ সীমানা নির্ধারণ সর্বশেষ আদমশুমারি প্রতিবেদনে উল্লিখিত জনসংখ্যার যত দূর সম্ভব বাস্তব বণ্টনের ভিত্তিতে করতে হবে।
আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে ৬(২) ধারা পাল্টে দিয়ে সেখানে নতুন চারটি ক্লাস্টার যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ইসি।
সেখানে বলা হয়েছে—(ক) প্রশাসনিক সুবিধা ও সীমানার অখণ্ডতা; নদী, পাহাড়ের অবস্থানসহ অন্যান্য ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য এবং যোগাযোগ সুবিধা যত দূর সম্ভব বজায় রাখবে। (খ) যথাসম্ভব সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদন এবং সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ভোটার সংখ্যা অনুসরণ করবে। (গ) পল্লি এলাকার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কোনোভাবেই বিভক্ত করবে না। (ঘ) পার্বত্য এলাকার তিন জেলাকে তিনটি আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকা হিসেবে বিবেচনা করবে।
আগের অধ্যাদেশ বদলে নতুন আইন করে আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার আয়তন, অবস্থান হুবহু ঠিক রেখে শুধু প্রশাসনিক পরিবর্তনগুলো অন্তর্ভুক্ত করে আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার তালিকা গেজেটে প্রকাশের ক্ষমতা ইসির হাতে রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
এই নিয়ম সংশোধন করে দৈবদুর্বিপাক বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ না করে নির্বাচন করতে হলে, সেই নির্বাচন সর্বশেষ নির্ধারিত সীমানার ভিত্তিতে করতে হলে নির্বাচনী এলাকার আয়তন ও অবস্থান হুবহু ঠিক রেখে শুধু প্রশাসনিক পরিবর্তনগুলো অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের নিয়ম করা হচ্ছে। এই নিয়ম করা হলে ইসি নিজেদের মতো করে নির্বাচনী এলাকার আয়তন ও অবস্থান পাল্টে দিয়ে নিজেদের মতো করে সীমানা নির্ধারণ করতে পারবে।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের জন্য এ টি এম শামসুল হুদার কমিশন শতাধিক নির্বাচনী এলাকার সীমানায় পরিবর্তন আনে। এরপর কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ কমিশন দশম সংসদ নির্বাচনে ৫০টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন আনে। কে এম নূরুল হুদা কমিশন ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২৫টি আসনে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কাজী হাবিবুল আউয়ালের কমিশন ১২টি আসনের সীমানায় সামান্য পরিবর্তন আনে। তার আগে ১৯৮৪ ও ১৯৯১ সালে ৩৩টি নির্বাচনী এলাকার সীমানায় পরিবর্তন করা হয়।

জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা, ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য এবং যোগাযোগ সুবিধা দেখে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ওয়ার্ডকে কোনোভাবেই ভাগ করা হবে না।
জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইনের ৪, ৬ ও ৮ ধারায় অস্পষ্টতা ও সীমাবদ্ধতা থাকার কথা জানিয়ে ওই ধারাগুলো সংশোধনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে সংশোধনী আইনের খসড়া পাঠিয়েছে কমিশন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২১ সালে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত আগের অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন জারি করে আওয়ামী লীগ সরকার। এই আইন সংশোধনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি সংশোধিত খসড়াটি পর্যালোচনা করবে। এরপর সংযোজন-বিয়োজন শেষে তা পাসের জন্য উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিলে জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো প্রস্তাবে ইসি বলছে, বর্তমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ ধারায় অস্পষ্টতা ও সীমাবদ্ধতা থাকায় জনগণ এবং রাজনৈতিক দল ও নেতাদের মনে সংশয় ও আপত্তি রয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এই সংশয় ও আপত্তি দৃশ্যমান হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জাতীয় সংসদের বিদ্যমান সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আসতে থাকে।
ইসি সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৬৩টি নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের জন্য ৪০২টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়েছে। আইন সংশোধন হওয়ার পর এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। ৬০টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হলে ১০০-এর বেশি আসনের সীমানা বদলে যাবে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যমান আইনে সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না বলে আমরা আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেছি। ৬২টি থেকে ৬৫টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের আবেদন পাওয়া গেছে। আইন সংশোধন হওয়ার পর এগুলো নিষ্পত্তি করা হবে।’
কী সংশোধন চায় ইসি
বর্তমান আইনের ৪ ধারায় বলা আছে—এই আইনের অধীন কমিশন তার দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা কোনো নির্বাচন কমিশনার বা তাঁর কোনো কর্মকর্তাকে ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবে।
এই ধারা বদলে ইসি প্রস্তাব করেছে, এই আইনের অধীন কমিশন তার দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা অন্য কোনো নির্বাচন কমিশনারকে প্রধান করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করবে। কমিটি প্রয়োজনবোধে কোনো ভূগোলবিদ, মানচিত্রকার, পরিসংখ্যানবিদ, জনসংখ্যাবিদ ও নগরপরিকল্পনাবিদকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।
ইসি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, বর্তমান আইনের ৬ ধারার বিধানমতে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসংখ্যাকে অত্যধিক গুরুত্ব দেওয়ায় দেশব্যাপী নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ফলে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এলাকায় সংসদীয় আসনসংখ্যা বেড়েছে এবং গ্রাম এলাকায় আসনসংখ্যা কমেছে। এতে জনমনে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। ফলে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা এবং ভৌগোলিক অবস্থা ও অবস্থানকেও বিবেচনায় রাখতে হবে।
বর্তমান আইনের ৬(২) ধারায় বলা আছে, কমিশন প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনা করে প্রতিটি আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ করবে, যাতে প্রতিটি আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় থাকে এবং এরূপ সীমানা নির্ধারণ সর্বশেষ আদমশুমারি প্রতিবেদনে উল্লিখিত জনসংখ্যার যত দূর সম্ভব বাস্তব বণ্টনের ভিত্তিতে করতে হবে।
আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে ৬(২) ধারা পাল্টে দিয়ে সেখানে নতুন চারটি ক্লাস্টার যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ইসি।
সেখানে বলা হয়েছে—(ক) প্রশাসনিক সুবিধা ও সীমানার অখণ্ডতা; নদী, পাহাড়ের অবস্থানসহ অন্যান্য ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য এবং যোগাযোগ সুবিধা যত দূর সম্ভব বজায় রাখবে। (খ) যথাসম্ভব সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদন এবং সর্বশেষ হালনাগাদকৃত ভোটার সংখ্যা অনুসরণ করবে। (গ) পল্লি এলাকার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কোনোভাবেই বিভক্ত করবে না। (ঘ) পার্বত্য এলাকার তিন জেলাকে তিনটি আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকা হিসেবে বিবেচনা করবে।
আগের অধ্যাদেশ বদলে নতুন আইন করে আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার আয়তন, অবস্থান হুবহু ঠিক রেখে শুধু প্রশাসনিক পরিবর্তনগুলো অন্তর্ভুক্ত করে আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার তালিকা গেজেটে প্রকাশের ক্ষমতা ইসির হাতে রেখেছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
এই নিয়ম সংশোধন করে দৈবদুর্বিপাক বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ না করে নির্বাচন করতে হলে, সেই নির্বাচন সর্বশেষ নির্ধারিত সীমানার ভিত্তিতে করতে হলে নির্বাচনী এলাকার আয়তন ও অবস্থান হুবহু ঠিক রেখে শুধু প্রশাসনিক পরিবর্তনগুলো অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশের নিয়ম করা হচ্ছে। এই নিয়ম করা হলে ইসি নিজেদের মতো করে নির্বাচনী এলাকার আয়তন ও অবস্থান পাল্টে দিয়ে নিজেদের মতো করে সীমানা নির্ধারণ করতে পারবে।
২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের জন্য এ টি এম শামসুল হুদার কমিশন শতাধিক নির্বাচনী এলাকার সীমানায় পরিবর্তন আনে। এরপর কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ কমিশন দশম সংসদ নির্বাচনে ৫০টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন আনে। কে এম নূরুল হুদা কমিশন ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২৫টি আসনে এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কাজী হাবিবুল আউয়ালের কমিশন ১২টি আসনের সীমানায় সামান্য পরিবর্তন আনে। তার আগে ১৯৮৪ ও ১৯৯১ সালে ৩৩টি নির্বাচনী এলাকার সীমানায় পরিবর্তন করা হয়।

প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মামলার বিষয়টি জানান কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধান শেষে গত বৃহস্পতিবার মামলা করার আবেদন করলে কমিশন তা অনুমোদন করে।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মামলাগুলো করা হয়।
এই পাঁচ মামলার বাদী হলেন দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন রহমান ও সাজ্জাদ হোসেন, উপসহকারী পরিচালক রোমান উদ্দিন ও এলমান আহম্মদ অনি।
মামলাগুলোতে সালমান এফ রহমান ছাড়াও তাঁর ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, সালমানের ভাই এ এস এফ রহমান, তাঁর ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানসহ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৮ জন ও রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ১২ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালক ইকবাল আহমেদ, এ বি সিদ্দিকুর রহমান, মাসুদ ইকরামুল্লাহ খান, শাহ মঞ্জুরুল হক, রীম এইচ শামসুদ্দোহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওসমান কাওসার চৌধুরী, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি আনোয়ারুল বাশার, পরিচালক নাসরিন আহমেদ, ক্রিসেন্ট অ্যাকসেসরিজ লিমিটেডের এমডি আবু নাঈম মাহমুদ সালেহিন, পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তানভীর, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ আলিফ ইবনে জুলফিকার, মোসা. নুসরাত হায়দার, নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান মজলিস, পরিচালক আব্দুর রউফ, কাঁচপুর অ্যাপারেলসের এমডি মাহফুজুর রহমান খান, পরিচালক সৈয়দ তানভীর এলাহী, পিয়ারলেস গার্মেন্টসের এমডি ওয়াসীউর রহমান, পরিচালক রিজিয়া আক্তার।
জনতা ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন ব্যাংকটির সাবেক এমডি ও সিইও আবদুস ছালাম আজাদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক (অব.) মো. আব্দুর রহিম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম, ডিজিএম (অব.) মো. মমতাজুল ইসলাম, সিনিয়র অফিসার রফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক মো. সালেহ আহমেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অব.) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক এজিএম মোহাম্মদ শাজাহান, ব্যবস্থাপক মো. হুমায়ুন কবির ঢালী ও ব্যবস্থাপক শ ম মাহাতাব হোসাইন বাদশা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পিয়ারলেস গার্মেন্টস ৫ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার, প্লাটিনাম গার্মেন্টস ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৯ ডলার, কাঁচপুর অ্যাপারেলস ৮ কোটি ৪০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৭ দশমিক ৪৪ ডলার, স্কাইনেট অ্যাপারেলস ১ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৪০ ডলার এবং নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ ৪ কোটি ৭৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪৬ ডলারসহ মোট ২১ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার ৮০১ ডলার বা (প্রতি ডলার ৯০ টাকা হারে) ১ হাজার ৯৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৪ টাকা জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিস থেকে ঋণের নামে আত্মসাৎ করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
সালমানের বিরুদ্ধে আরও ২০ মামলা হচ্ছে
জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সালমান এফ রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আরও ২০টি মামলা করা হবে বলে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন।
দুদকের ওই কর্মকর্তা জানান, এসব মামলায় জনতা ব্যাংক থেকে এলসি সুবিধা নেওয়ার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হবে।
মামলাগুলোতে সায়ান ফজলুর রহমান, সোহেল ফশিউর রহমানের (এ এস এফ রহমান), আহমেদ শাহরিয়ার রহমান ও জনতা ব্যাংকের সাবেক এমডি আবদুস ছালামসহ প্রায় ৬০০ জনকে আসামি করা হতে পারে।

প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মামলার বিষয়টি জানান কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম অনুসন্ধান শেষে গত বৃহস্পতিবার মামলা করার আবেদন করলে কমিশন তা অনুমোদন করে।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে জালিয়াতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডারদের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট, অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎসহ হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মামলাগুলো করা হয়।
এই পাঁচ মামলার বাদী হলেন দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন রহমান ও সাজ্জাদ হোসেন, উপসহকারী পরিচালক রোমান উদ্দিন ও এলমান আহম্মদ অনি।
মামলাগুলোতে সালমান এফ রহমান ছাড়াও তাঁর ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, সালমানের ভাই এ এস এফ রহমান, তাঁর ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানসহ তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ১৮ জন ও রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের ১২ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন বেক্সিমকো লিমিটেডের পরিচালক ইকবাল আহমেদ, এ বি সিদ্দিকুর রহমান, মাসুদ ইকরামুল্লাহ খান, শাহ মঞ্জুরুল হক, রীম এইচ শামসুদ্দোহা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ওসমান কাওসার চৌধুরী, স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেডের এমডি আনোয়ারুল বাশার, পরিচালক নাসরিন আহমেদ, ক্রিসেন্ট অ্যাকসেসরিজ লিমিটেডের এমডি আবু নাঈম মাহমুদ সালেহিন, পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান তানভীর, প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ আলিফ ইবনে জুলফিকার, মোসা. নুসরাত হায়দার, নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান মজলিস, পরিচালক আব্দুর রউফ, কাঁচপুর অ্যাপারেলসের এমডি মাহফুজুর রহমান খান, পরিচালক সৈয়দ তানভীর এলাহী, পিয়ারলেস গার্মেন্টসের এমডি ওয়াসীউর রহমান, পরিচালক রিজিয়া আক্তার।
জনতা ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে তাঁরা হলেন ব্যাংকটির সাবেক এমডি ও সিইও আবদুস ছালাম আজাদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক (অব.) মো. আব্দুর রহিম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. শহিদুল ইসলাম, ডিজিএম (অব.) মো. মমতাজুল ইসলাম, সিনিয়র অফিসার রফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক মো. সালেহ আহমেদ, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অব.) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক এজিএম মোহাম্মদ শাজাহান, ব্যবস্থাপক মো. হুমায়ুন কবির ঢালী ও ব্যবস্থাপক শ ম মাহাতাব হোসাইন বাদশা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পিয়ারলেস গার্মেন্টস ৫ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার ৭৭২ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার, প্লাটিনাম গার্মেন্টস ১ কোটি ৮৯ লাখ ৩ হাজার ৬৫৮ দশমিক ৯ ডলার, কাঁচপুর অ্যাপারেলস ৮ কোটি ৪০ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৭ দশমিক ৪৪ ডলার, স্কাইনেট অ্যাপারেলস ১ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৪০ ডলার এবং নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ ৪ কোটি ৭৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৮২ দশমিক ৪৬ ডলারসহ মোট ২১ কোটি ৫৫ লাখ ২৮ হাজার ৮০১ ডলার বা (প্রতি ডলার ৯০ টাকা হারে) ১ হাজার ৯৩৯ কোটি ৭৫ লাখ ৯২ হাজার ৯৪ টাকা জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিস থেকে ঋণের নামে আত্মসাৎ করে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
সালমানের বিরুদ্ধে আরও ২০ মামলা হচ্ছে
জনতা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সালমান এফ রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে আরও ২০টি মামলা করা হবে বলে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন।
দুদকের ওই কর্মকর্তা জানান, এসব মামলায় জনতা ব্যাংক থেকে এলসি সুবিধা নেওয়ার নামে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হবে।
মামলাগুলোতে সায়ান ফজলুর রহমান, সোহেল ফশিউর রহমানের (এ এস এফ রহমান), আহমেদ শাহরিয়ার রহমান ও জনতা ব্যাংকের সাবেক এমডি আবদুস ছালামসহ প্রায় ৬০০ জনকে আসামি করা হতে পারে।

জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা, ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য এবং যোগাযোগ সুবিধা দেখে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ওয়ার্ডকে কোনোভাবেই ভাগ করা হবে না।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রাক-প্রস্তুতি সভা আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ইসির সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এর মধ্যে এ নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে প্রাক-প্রস্তুতি সভা করেছে ইসি।
এর ধারাবাহিকতায় মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভোটের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা জানাতে তাঁদের সঙ্গেও নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক সভায় বসবে ইসি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রাক-প্রস্তুতি সভা আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ সোমবার ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের সই করা এ-সংক্রান্ত চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ইসির সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের এর মধ্যে এ নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারের ৩১টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে প্রাক-প্রস্তুতি সভা করেছে ইসি।
এর ধারাবাহিকতায় মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভোটের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা জানাতে তাঁদের সঙ্গেও নির্বাচনী প্রস্তুতিমূলক সভায় বসবে ইসি।

জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা, ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য এবং যোগাযোগ সুবিধা দেখে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ওয়ার্ডকে কোনোভাবেই ভাগ করা হবে না।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব।
আব্দুল ওয়াহাব বলেন, রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন লিয়াকত আলী নামের এক ব্যক্তি।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব।
আব্দুল ওয়াহাব বলেন, রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে তিন বছর মেয়াদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরে প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন লিয়াকত আলী নামের এক ব্যক্তি।

জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা, ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য এবং যোগাযোগ সুবিধা দেখে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ওয়ার্ডকে কোনোভাবেই ভাগ করা হবে না।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারার আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সিইসি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে এক ‘সংকটময় অবস্থায়’ দাঁড়িয়ে আছে এবং আগামী সংসদ নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ ও গণতন্ত্রের পথচলা নির্ধারণ করবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তিনি তাঁর দায়িত্বকে গতানুগতিক ‘রুটিন কাজ’ বা ‘চাকরি’ হিসেবে না দেখে এটিকে ‘মিশন’ এবং ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নিয়ে কাজ করছেন।
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে চলবে না, বরং ‘দায়িত্বসীমার বাইরে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করে সিইসি বলেন, ‘ভোটার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সবাই মিলে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেব।’
সিইসি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে প্রায় ১০ লাখ লোক যুক্ত থাকবে। তাঁদের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন এবার একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সাধারণত যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তারা নিজেরা ভোট দিতে পারেন না। কিন্তু এবার সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যেন সবাই ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘আইনি হেফাজতে যাঁরা কারাগারে রয়েছেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিক। তাঁরাও যাতে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ ছাড়া প্রবাসীরা এবার ভোট দিতে পারবেন।’
ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি তাঁদের ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ওপর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব এসে পড়েছে।’
আনসার প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণকে ‘স্বস্তির’ উল্লেখ করে সিইসি দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশাল নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এআইসহ যেকোনো অপপ্রচার রোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব জানান, নির্বাচনে প্রায় পাঁচ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে গত এক বছরে বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে ১ লাখ ৪৫ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু দেখলেই তা বিশ্বাস করবেন না, শেয়ার করবেন না। আগে সেই তথ্যের সঠিকতা যাচাই করবেন। তথ্য সঠিক হলে তারপর তা শেয়ার করবেন।’
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারার আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সিইসি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে এক ‘সংকটময় অবস্থায়’ দাঁড়িয়ে আছে এবং আগামী সংসদ নির্বাচন দেশের ভবিষ্যৎ গতিপথ ও গণতন্ত্রের পথচলা নির্ধারণ করবে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, তিনি তাঁর দায়িত্বকে গতানুগতিক ‘রুটিন কাজ’ বা ‘চাকরি’ হিসেবে না দেখে এটিকে ‘মিশন’ এবং ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে নিয়ে কাজ করছেন।
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যতের জন্য কী বাংলাদেশ রেখে যাব, কোন ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাব, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাব কি না, কীভাবে রেখে যাব—সেই চিন্তা আমাকে সারাক্ষণ ভাবায়।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে চলবে না, বরং ‘দায়িত্বসীমার বাইরে গিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করে সিইসি বলেন, ‘ভোটার, রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সবাই মিলে আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেব।’
সিইসি জানান, এবারের নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে প্রায় ১০ লাখ লোক যুক্ত থাকবে। তাঁদের সুবিধার্থে নির্বাচন কমিশন এবার একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। সাধারণত যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, তারা নিজেরা ভোট দিতে পারেন না। কিন্তু এবার সেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যেন সবাই ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘আইনি হেফাজতে যাঁরা কারাগারে রয়েছেন, তাঁরা এ দেশের নাগরিক। তাঁরাও যাতে ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ ছাড়া প্রবাসীরা এবার ভোট দিতে পারবেন।’
ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে আনসার সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে সিইসি তাঁদের ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল শক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে যারা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের ওপর আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের দায়িত্ব এসে পড়েছে।’
আনসার প্লাটুন সদস্যদের প্রশিক্ষণকে ‘স্বস্তির’ উল্লেখ করে সিইসি দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশাল নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে এআইসহ যেকোনো অপপ্রচার রোধে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব জানান, নির্বাচনে প্রায় পাঁচ লাখ সদস্য মোতায়েন থাকবে। সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি হিসেবে গত এক বছরে বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে ১ লাখ ৪৫ হাজার নতুন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। জনসংখ্যার পাশাপাশি ভোটার সংখ্যা, ভৌগোলিক ও জাতিগত বৈশিষ্ট্য এবং যোগাযোগ সুবিধা দেখে সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ওয়ার্ডকে কোনোভাবেই ভাগ করা হবে না।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের নামে পৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১ ঘণ্টা আগে
চিঠিতে বলা হয়, ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৬ অক্টোবর মাসিক সমন্বয় সভায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগে