নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধি মুন্সিগঞ্জ, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে গতকাল গার্মেন্টসসহ রাজধানীতে সরকারি ও বেসরকারি কর্মস্থলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামে ফেরা লাখো মানুষে উপচে পড়েছিল মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট। এদিন সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, বাস, প্রাইভেট কারসহ মোটরসাইকেলে করে যে যেভাবে পেরেছেন, পদ্মা পাড়ি দিতে এসে জড়ো হয়েছেন ঘাট এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল মধ্যরাত থেকেই লঞ্চ ও ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই গাদাগাদি করেই উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন, পশুবাহী ট্রাক আর পণ্যবাহী যানবাহনের চাপে পুরো ঘাট এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
লঞ্চগুলোতে মানা হয়নি নির্দেশনা। ধারণক্ষমতার ৬০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচলের কথা থাকলেও কোনোভাবেই তা মানতে দেখা যায়নি লঞ্চচালক-মালিক কিংবা ঘাট কর্তৃপক্ষকে। কোনো কোনো লঞ্চে নেওয়া হয়েছে ধারণক্ষমতারও তিন গুণ বেশি যাত্রী। এতে স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব মানার মতো সুযোগ ছিল না কারও।
যাত্রীদের এমন ভিড়ে দাঁড়িয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ামুখী ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদিবা সুলতানা ও তাঁর বাবা ঢাকা বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাহেদ আলী জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পর করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন দুজনই।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদীবন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাত্রীদের চাপ গত এক সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণ। তাই ৮৪টি লঞ্চ সচল রেখে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। কোনো লঞ্চ যাতে ধারণক্ষমতার বেশি অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সেই চেষ্টা চলছে। কিন্তু যাত্রী চাপ বেশি থাকায় পরিস্থিতি কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে, যাত্রীসহ গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে হিমশিম খেতে দেখা গেছে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষকে।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন জানান, পুরো ঘাটজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের তিন শতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। তবে যাত্রীর চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি সিরাজুল কবির বলেন, এবার যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে বিশেষ লক্ষ রাখা হচ্ছে।
এদিকে, যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরি-লঞ্চঘাটেও। গতকাল সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ঘরমুখী যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকলেও বিকেল থেকে যাত্রীদের ঢল নামে উভয় ঘাটে। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কারও পক্ষেই সম্ভব হয়নি। অনেকের মুখে দেখা যায়নি মাস্কও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে মানুষ ঢাকা থেকে ঘাটে পৌঁছেছে। বাসে দাঁড় করিয়েও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। ঢাকায় গরু নিয়ে আসা ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান ফেরার পথে যাত্রী পরিবহন করেছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গতকাল কোরবানির পশুর হাটকেন্দ্রিক তীব্র যানজটও দেখা গেছে।
গাবতলী থেকে যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া যাচ্ছিল ভিলেজ লাইন নামে একটি পরিবহন। আমিনবাজার এলাকায় দেখা যায় বাসের প্রতিটি সিটে যাত্রী নেওয়ার পাশাপাশি আটজন যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা বাসের রড ধরে ঝুলে রয়েছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন। অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণ হিসাবেও বাসের কন্ডাক্টর আরিফ হোসেন বলেন, পাটুরিয়া থেকে ঢাকা ফেরার পথে অনেকটা খালিই আসতে হবে। তাই ভাড়াটা বেশি নিয়েছেন। দাঁড় করিয়ে যাত্রী নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দাবি, রাস্তায় গাড়ি না পেয়ে যাত্রীরা জোর করেই উঠছেন।
পশুবাহী ট্রাকের চালক ও ব্যবসায়ীরা জানান, অতীতের কোরবানির ঈদগুলোতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে যানজটে তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। এবার বড় ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ঘাট পার হচ্ছেন। তবে রাস্তায় পশুর হাটকেন্দ্রিক দীর্ঘ যানজটে তাঁদের বসে থাকতে হচ্ছে।
মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, পশুবাহী গাড়ি ও ঘরমুখী যাত্রীদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে ছয় শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কাজ করছেন। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতেও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ। যাত্রীদের মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে গতকাল গার্মেন্টসসহ রাজধানীতে সরকারি ও বেসরকারি কর্মস্থলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রামে ফেরা লাখো মানুষে উপচে পড়েছিল মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট। এদিন সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, বাস, প্রাইভেট কারসহ মোটরসাইকেলে করে যে যেভাবে পেরেছেন, পদ্মা পাড়ি দিতে এসে জড়ো হয়েছেন ঘাট এলাকায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল মধ্যরাত থেকেই লঞ্চ ও ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই গাদাগাদি করেই উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত ছোট যানবাহন, পশুবাহী ট্রাক আর পণ্যবাহী যানবাহনের চাপে পুরো ঘাট এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
লঞ্চগুলোতে মানা হয়নি নির্দেশনা। ধারণক্ষমতার ৬০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচলের কথা থাকলেও কোনোভাবেই তা মানতে দেখা যায়নি লঞ্চচালক-মালিক কিংবা ঘাট কর্তৃপক্ষকে। কোনো কোনো লঞ্চে নেওয়া হয়েছে ধারণক্ষমতারও তিন গুণ বেশি যাত্রী। এতে স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব মানার মতো সুযোগ ছিল না কারও।
যাত্রীদের এমন ভিড়ে দাঁড়িয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ামুখী ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আদিবা সুলতানা ও তাঁর বাবা ঢাকা বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জাহেদ আলী জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পর করোনা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন দুজনই।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদীবন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাত্রীদের চাপ গত এক সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণ। তাই ৮৪টি লঞ্চ সচল রেখে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। কোনো লঞ্চ যাতে ধারণক্ষমতার বেশি অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সেই চেষ্টা চলছে। কিন্তু যাত্রী চাপ বেশি থাকায় পরিস্থিতি কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে, যাত্রীসহ গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে হিমশিম খেতে দেখা গেছে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষকে।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন জানান, পুরো ঘাটজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের তিন শতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। তবে যাত্রীর চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি সিরাজুল কবির বলেন, এবার যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে বিশেষ লক্ষ রাখা হচ্ছে।
এদিকে, যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরি-লঞ্চঘাটেও। গতকাল সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ঘরমুখী যাত্রীদের তেমন চাপ না থাকলেও বিকেল থেকে যাত্রীদের ঢল নামে উভয় ঘাটে। এতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কারও পক্ষেই সম্ভব হয়নি। অনেকের মুখে দেখা যায়নি মাস্কও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে মানুষ ঢাকা থেকে ঘাটে পৌঁছেছে। বাসে দাঁড় করিয়েও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। ঢাকায় গরু নিয়ে আসা ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান ফেরার পথে যাত্রী পরিবহন করেছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গতকাল কোরবানির পশুর হাটকেন্দ্রিক তীব্র যানজটও দেখা গেছে।
গাবতলী থেকে যাত্রী নিয়ে পাটুরিয়া যাচ্ছিল ভিলেজ লাইন নামে একটি পরিবহন। আমিনবাজার এলাকায় দেখা যায় বাসের প্রতিটি সিটে যাত্রী নেওয়ার পাশাপাশি আটজন যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা বাসের রড ধরে ঝুলে রয়েছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলেও তাঁরা অভিযোগ করেন। অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণ হিসাবেও বাসের কন্ডাক্টর আরিফ হোসেন বলেন, পাটুরিয়া থেকে ঢাকা ফেরার পথে অনেকটা খালিই আসতে হবে। তাই ভাড়াটা বেশি নিয়েছেন। দাঁড় করিয়ে যাত্রী নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দাবি, রাস্তায় গাড়ি না পেয়ে যাত্রীরা জোর করেই উঠছেন।
পশুবাহী ট্রাকের চালক ও ব্যবসায়ীরা জানান, অতীতের কোরবানির ঈদগুলোতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে যানজটে তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। এবার বড় ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই ঘাট পার হচ্ছেন। তবে রাস্তায় পশুর হাটকেন্দ্রিক দীর্ঘ যানজটে তাঁদের বসে থাকতে হচ্ছে।
মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার ওসি ফিরোজ কবির জানান, পশুবাহী গাড়ি ও ঘরমুখী যাত্রীদের নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে ছয় শতাধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কাজ করছেন। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতেও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে পুলিশ। যাত্রীদের মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এক বছরেরও বেশি সময় আগে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে প্রথম নির্বাচন।
৬ ঘণ্টা আগেশীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের জন্য সরকার কোনো ভাড়া নির্ধারণ করেনি। এসব যানের ভাড়া ঠিক করছেন পরিবহনের মালিকেরা। দূরপাল্লার এসি বাসে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের। পণ্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ। এ অবস্থায় এসি বাস ও পণ্যবাহী যানের ভাড়া নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জাতীয় সনদকে বিশেষ মর্যাদা ও আইনি ভিত্তি দেওয়ার কথা আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতামত গ্রহণ এবং কিছু শব্দ ও ভাষাগত সংযোজন-বিয়োজন শেষে দু-এক দিনের মধ্যে সনদের চূড়ান্ত...
১৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের ১৪ জন উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীর সহকারী একান্ত সচিবদের (এপিএস) বেতন একলাফে ৩১ হাজার টাকার বেশি বেড়েছে। এটিকে আর্থিক অনিয়ম হিসেবেই দেখছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
১৪ ঘণ্টা আগে