মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা, দুর্নীতি দমন ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত পেতে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি এই কথা জানান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘আমরা ভালো অংশীদার হতে চাই। আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজগুলো দ্রুত করতে সহায়তা করব।’ এ সময় ড. ইউনূস জাতির ক্রান্তিকালে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাঁর প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যাপক’ শ্রদ্ধা আছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তিনি দেশের অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করার জন্য বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং ইউএসএআইডি—এর মতো বহুপক্ষীয় সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি (সংস্কার) খুব দ্রুত করতে হবে।’ কারণ, দেশের জনগণ তাঁর সরকারকে সমর্থন করছে এবং যত দ্রুত সম্ভব দেশ পুনর্গঠনে উন্মুখ সবাই।
ড. ইউনূসের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ, বিদেশে পাচার করা বাংলাদেশের অর্থ ফেরত, শ্রম সমস্যা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং আইনশৃঙ্খলার মতো বিষয় স্থান পেয়েছে। এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘দুর্নীতি দমন এবং আইনশৃঙ্খলার উন্নতি সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগের সরকারের শাসনামলে দেশ দুর্নীতির সাগরে তলিয়ে গিয়েছিল। এটা (দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই) আমার এক নম্বর সমস্যা।’
বৈঠকে ড. ইউনূস দেশ থেকে চুরি করা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ফেরত পেতে মার্কিন সমর্থন চেয়েছেন। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিশাল পরিমাণ অর্থ। অবিশ্বাস্য!!’
এ সময় ব্লিঙ্কেন পাচারকৃত অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়ে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘আমরা সহায়তা করতে পারলে খুশি হব।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় দুর্নীতি মোকাবিলায় আমাদের অনেক দক্ষতা আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শ্রমের মান উন্নয়ন সরকারের শীর্ষ লক্ষ্যগুলোর একটি। কারণ, এর ফলে দেশে আরও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হবে। জবাবে সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস যুক্তরাষ্ট্র এবং আগামী বছরগুলোতে তা বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে এই দুই নেতা জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নৃশংসতার তদন্তকারী জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন নিয়েও আলোচনা করেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে। তিনি বলেন, তিনি গণমাধ্যমকে ‘যতটা বেশি সম্ভব’ সরকারের সমালোচনা করতে বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশ একটি বড় পরিবার। আমাদের মতভেদ আছে। কিন্তু আমরা শত্রু নই।’
দুই নেতা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে বেড়ে ওঠা লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শিশু-তরুণের জন্য সমর্থন কামনা করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা, দুর্নীতি দমন ও পাচার হওয়া অর্থ ফেরত পেতে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি এই কথা জানান।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘আমরা ভালো অংশীদার হতে চাই। আমরা বাংলাদেশের জন্য কাজগুলো দ্রুত করতে সহায়তা করব।’ এ সময় ড. ইউনূস জাতির ক্রান্তিকালে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাঁর প্রশংসা করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাঁর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যাপক’ শ্রদ্ধা আছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তিনি দেশের অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করার জন্য বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং ইউএসএআইডি—এর মতো বহুপক্ষীয় সংস্থার সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি (সংস্কার) খুব দ্রুত করতে হবে।’ কারণ, দেশের জনগণ তাঁর সরকারকে সমর্থন করছে এবং যত দ্রুত সম্ভব দেশ পুনর্গঠনে উন্মুখ সবাই।
ড. ইউনূসের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ, বিদেশে পাচার করা বাংলাদেশের অর্থ ফেরত, শ্রম সমস্যা, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং আইনশৃঙ্খলার মতো বিষয় স্থান পেয়েছে। এ বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘দুর্নীতি দমন এবং আইনশৃঙ্খলার উন্নতি সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগের সরকারের শাসনামলে দেশ দুর্নীতির সাগরে তলিয়ে গিয়েছিল। এটা (দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই) আমার এক নম্বর সমস্যা।’
বৈঠকে ড. ইউনূস দেশ থেকে চুরি করা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ফেরত পেতে মার্কিন সমর্থন চেয়েছেন। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি একটি বিশাল পরিমাণ অর্থ। অবিশ্বাস্য!!’
এ সময় ব্লিঙ্কেন পাচারকৃত অর্থ বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়ে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘আমরা সহায়তা করতে পারলে খুশি হব।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় দুর্নীতি মোকাবিলায় আমাদের অনেক দক্ষতা আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শ্রমের মান উন্নয়ন সরকারের শীর্ষ লক্ষ্যগুলোর একটি। কারণ, এর ফলে দেশে আরও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত হবে। জবাবে সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় উৎস যুক্তরাষ্ট্র এবং আগামী বছরগুলোতে তা বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে এই দুই নেতা জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের সময়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নৃশংসতার তদন্তকারী জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন নিয়েও আলোচনা করেন। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে। তিনি বলেন, তিনি গণমাধ্যমকে ‘যতটা বেশি সম্ভব’ সরকারের সমালোচনা করতে বলেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকার দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশ একটি বড় পরিবার। আমাদের মতভেদ আছে। কিন্তু আমরা শত্রু নই।’
দুই নেতা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে বেড়ে ওঠা লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শিশু-তরুণের জন্য সমর্থন কামনা করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
৩৬ মিনিট আগেসব ঠিক থাকলে মাস ছয়েক পরে জাতীয় নির্বাচন। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর জোরেশোরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচনের কাজে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা। পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব পালনে। এ জন্য ভোটের মাঠে যেসব উপপরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দায়িত্ব পালন করবেন,
১ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
৬ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গণমাধ্যমে স্বচ্ছতা, সুরক্ষা ও স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একই সঙ্গে এই মূল্যবোধ সংরক্ষণ ও বৃদ্ধির জন্য সব অংশীজনের একসঙ্গে কাজ করা দরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো গণমাধ্যমে সম্পাদকীয়, পরিচালনাগত বা ব্যবসায়িক দিকগুলোতে হস্তক্ষেপ করেনি।
৭ ঘণ্টা আগে