নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা।
মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
গত সোমবার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুলে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ, অস্থিরতা বিরাজ করছিল। মাইলস্টোন কলেজে প্রায় ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার।
এদিকে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র বিকেলে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ, আহত শিক্ষার্থীদের নির্ভুল তালিকা প্রকাশ, শিক্ষক নিগ্রহের জন্য সেনাসদস্যদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ বিমান সরিয়ে নিরাপদ বিমান প্রতিস্থাপনসহ নানা দাবি তুলে ধরেন। সেখানে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে।
এই পরিস্থিতিতে চারটি দলের নেতাদের নিয়ে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা।
বৈঠক সূত্রে বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থতা হয়েছে বলে সভায় অভিযোগ করে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা বলেছে, এ ক্ষেত্রে সরকার সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। যেমন এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা রাত ৩টায় দিয়েছে, যেটাকে সরকারের সমন্বয়ের অভাব বলেও মনে করেন নেতারা।
সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠনগুলোকে আজকে (বুধবার) মাঠে রাখার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
একটি দলের নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের ছাত্র সংগঠনকে কালকে (বুধবার) কর্মসূচি দিতে বলব। একই সঙ্গে আমরাও আজকের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দলীয় কর্মসূচি দেব।’
সূত্রমতে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিস্টদের ছাড় দেব না। সরকার যদি দ্রুত নির্বাচন দিতে পারে, তবে দেশের অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।’
বৈঠকে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি এখন সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। সম্প্রতি সংঘটিত অপরাধগুলোর জন্য যারা দায়ী, তাদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গোলাপগঞ্জে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দৃষ্টান্তমূলক ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
তিনি বলেন বলেন, আওয়ামী লীগ হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইবে, তবে যদি প্রশাসন সঠিকভাবে কাজ করে, তবে কেউই অপব্যবহার করতে পারবে না।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, দলগুলোর নেতারা সরকারকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনায় ‘কিছু ঘাটতি’র কথা সরকারও স্বীকার করে। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেন সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে যায়, সেটি নিশ্চিত করতে বিএনপি বিশেষভাবে বলেছে।
আইন উপদেষ্টা জানান, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য চারটি বড় দলকে আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ এবং ‘ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা’ মাঝে মাঝে মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বলে দলগুলো উদ্বেগ তুলে ধরেন। এ বিষয়ে তারা কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা দলগুলোর মধ্যে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার ওপর জোর দেন, বিশেষ করে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ কিংবা গঠনমূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে। আসিফ নজরুল বলেন, যদি দলগুলো একসঙ্গে দাঁড়ায় এবং জনগণ তা দেখে, তবে মানুষের মনে স্বস্তি ও আশাবাদ জন্মাবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, আগামীকাল (বুধবার) ছাত্রদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হবে। রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন হলে মাঠে কর্মসূচি দেব। সেই অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, ‘দেশে পরিকল্পিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চলছে এবং গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক কিছু দুর্বলতা রয়েছে। এসব দুর্বলতা চিহ্নিত করে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। সরকারের উচিত পরিস্থিতির আরও কঠোর ভাবে মোকাবিলা করা এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা। যাতে যেকোনো ঘটনা ঘটার আগেই সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে বিলম্ব হচ্ছে কিনা, আমরা মনে করি এমন ষড়যন্ত্র হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সংস্কারগুলো ওনারা মেনে নিয়ে তাড়াতাড়ি যড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে পারেন।’
সচিবালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাহীন থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ইসলামি আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, অতীতে এমন অবস্থা দেখা যেত না, কিন্তু বর্তমানে একাধিকবার সচিবালয় অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে কিনা, সেটি সরকারকে তদন্ত করে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা দেখা গেছে, যা অন্য জেলাগুলোতেও ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার কথাও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে গাজী আতাউর রহমান বলেন, শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা নয়, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান শুভ্র, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা।
মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
গত সোমবার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুলে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ, অস্থিরতা বিরাজ করছিল। মাইলস্টোন কলেজে প্রায় ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার।
এদিকে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র বিকেলে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ, আহত শিক্ষার্থীদের নির্ভুল তালিকা প্রকাশ, শিক্ষক নিগ্রহের জন্য সেনাসদস্যদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ বিমান সরিয়ে নিরাপদ বিমান প্রতিস্থাপনসহ নানা দাবি তুলে ধরেন। সেখানে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে।
এই পরিস্থিতিতে চারটি দলের নেতাদের নিয়ে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা।
বৈঠক সূত্রে বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থতা হয়েছে বলে সভায় অভিযোগ করে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা বলেছে, এ ক্ষেত্রে সরকার সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। যেমন এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা রাত ৩টায় দিয়েছে, যেটাকে সরকারের সমন্বয়ের অভাব বলেও মনে করেন নেতারা।
সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠনগুলোকে আজকে (বুধবার) মাঠে রাখার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
একটি দলের নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের ছাত্র সংগঠনকে কালকে (বুধবার) কর্মসূচি দিতে বলব। একই সঙ্গে আমরাও আজকের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দলীয় কর্মসূচি দেব।’
সূত্রমতে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিস্টদের ছাড় দেব না। সরকার যদি দ্রুত নির্বাচন দিতে পারে, তবে দেশের অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।’
বৈঠকে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি এখন সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। সম্প্রতি সংঘটিত অপরাধগুলোর জন্য যারা দায়ী, তাদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গোলাপগঞ্জে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দৃষ্টান্তমূলক ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
তিনি বলেন বলেন, আওয়ামী লীগ হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইবে, তবে যদি প্রশাসন সঠিকভাবে কাজ করে, তবে কেউই অপব্যবহার করতে পারবে না।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, দলগুলোর নেতারা সরকারকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনায় ‘কিছু ঘাটতি’র কথা সরকারও স্বীকার করে। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেন সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে যায়, সেটি নিশ্চিত করতে বিএনপি বিশেষভাবে বলেছে।
আইন উপদেষ্টা জানান, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য চারটি বড় দলকে আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ এবং ‘ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা’ মাঝে মাঝে মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বলে দলগুলো উদ্বেগ তুলে ধরেন। এ বিষয়ে তারা কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা দলগুলোর মধ্যে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার ওপর জোর দেন, বিশেষ করে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ কিংবা গঠনমূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে। আসিফ নজরুল বলেন, যদি দলগুলো একসঙ্গে দাঁড়ায় এবং জনগণ তা দেখে, তবে মানুষের মনে স্বস্তি ও আশাবাদ জন্মাবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, আগামীকাল (বুধবার) ছাত্রদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হবে। রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন হলে মাঠে কর্মসূচি দেব। সেই অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, ‘দেশে পরিকল্পিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চলছে এবং গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক কিছু দুর্বলতা রয়েছে। এসব দুর্বলতা চিহ্নিত করে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। সরকারের উচিত পরিস্থিতির আরও কঠোর ভাবে মোকাবিলা করা এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা। যাতে যেকোনো ঘটনা ঘটার আগেই সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে বিলম্ব হচ্ছে কিনা, আমরা মনে করি এমন ষড়যন্ত্র হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সংস্কারগুলো ওনারা মেনে নিয়ে তাড়াতাড়ি যড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে পারেন।’
সচিবালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাহীন থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ইসলামি আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, অতীতে এমন অবস্থা দেখা যেত না, কিন্তু বর্তমানে একাধিকবার সচিবালয় অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে কিনা, সেটি সরকারকে তদন্ত করে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা দেখা গেছে, যা অন্য জেলাগুলোতেও ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার কথাও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে গাজী আতাউর রহমান বলেন, শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা নয়, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান শুভ্র, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা।
মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
গত সোমবার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুলে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ, অস্থিরতা বিরাজ করছিল। মাইলস্টোন কলেজে প্রায় ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার।
এদিকে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র বিকেলে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ, আহত শিক্ষার্থীদের নির্ভুল তালিকা প্রকাশ, শিক্ষক নিগ্রহের জন্য সেনাসদস্যদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ বিমান সরিয়ে নিরাপদ বিমান প্রতিস্থাপনসহ নানা দাবি তুলে ধরেন। সেখানে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে।
এই পরিস্থিতিতে চারটি দলের নেতাদের নিয়ে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা।
বৈঠক সূত্রে বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থতা হয়েছে বলে সভায় অভিযোগ করে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা বলেছে, এ ক্ষেত্রে সরকার সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। যেমন এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা রাত ৩টায় দিয়েছে, যেটাকে সরকারের সমন্বয়ের অভাব বলেও মনে করেন নেতারা।
সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠনগুলোকে আজকে (বুধবার) মাঠে রাখার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
একটি দলের নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের ছাত্র সংগঠনকে কালকে (বুধবার) কর্মসূচি দিতে বলব। একই সঙ্গে আমরাও আজকের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দলীয় কর্মসূচি দেব।’
সূত্রমতে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিস্টদের ছাড় দেব না। সরকার যদি দ্রুত নির্বাচন দিতে পারে, তবে দেশের অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।’
বৈঠকে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি এখন সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। সম্প্রতি সংঘটিত অপরাধগুলোর জন্য যারা দায়ী, তাদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গোলাপগঞ্জে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দৃষ্টান্তমূলক ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
তিনি বলেন বলেন, আওয়ামী লীগ হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইবে, তবে যদি প্রশাসন সঠিকভাবে কাজ করে, তবে কেউই অপব্যবহার করতে পারবে না।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, দলগুলোর নেতারা সরকারকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনায় ‘কিছু ঘাটতি’র কথা সরকারও স্বীকার করে। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেন সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে যায়, সেটি নিশ্চিত করতে বিএনপি বিশেষভাবে বলেছে।
আইন উপদেষ্টা জানান, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য চারটি বড় দলকে আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ এবং ‘ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা’ মাঝে মাঝে মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বলে দলগুলো উদ্বেগ তুলে ধরেন। এ বিষয়ে তারা কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা দলগুলোর মধ্যে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার ওপর জোর দেন, বিশেষ করে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ কিংবা গঠনমূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে। আসিফ নজরুল বলেন, যদি দলগুলো একসঙ্গে দাঁড়ায় এবং জনগণ তা দেখে, তবে মানুষের মনে স্বস্তি ও আশাবাদ জন্মাবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, আগামীকাল (বুধবার) ছাত্রদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হবে। রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন হলে মাঠে কর্মসূচি দেব। সেই অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, ‘দেশে পরিকল্পিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চলছে এবং গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক কিছু দুর্বলতা রয়েছে। এসব দুর্বলতা চিহ্নিত করে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। সরকারের উচিত পরিস্থিতির আরও কঠোর ভাবে মোকাবিলা করা এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা। যাতে যেকোনো ঘটনা ঘটার আগেই সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে বিলম্ব হচ্ছে কিনা, আমরা মনে করি এমন ষড়যন্ত্র হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সংস্কারগুলো ওনারা মেনে নিয়ে তাড়াতাড়ি যড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে পারেন।’
সচিবালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাহীন থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ইসলামি আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, অতীতে এমন অবস্থা দেখা যেত না, কিন্তু বর্তমানে একাধিকবার সচিবালয় অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে কিনা, সেটি সরকারকে তদন্ত করে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা দেখা গেছে, যা অন্য জেলাগুলোতেও ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার কথাও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে গাজী আতাউর রহমান বলেন, শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা নয়, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান শুভ্র, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা।
মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতারা এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।
গত সোমবার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্কুলে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ, অস্থিরতা বিরাজ করছিল। মাইলস্টোন কলেজে প্রায় ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার।
এদিকে একদল বিক্ষুব্ধ ছাত্র বিকেলে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ, আহত শিক্ষার্থীদের নির্ভুল তালিকা প্রকাশ, শিক্ষক নিগ্রহের জন্য সেনাসদস্যদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ বিমান সরিয়ে নিরাপদ বিমান প্রতিস্থাপনসহ নানা দাবি তুলে ধরেন। সেখানে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে।
এই পরিস্থিতিতে চারটি দলের নেতাদের নিয়ে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা।
বৈঠক সূত্রে বলছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থতা হয়েছে বলে সভায় অভিযোগ করে রাজনৈতিক দলগুলো। তারা বলেছে, এ ক্ষেত্রে সরকার সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। যেমন এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা রাত ৩টায় দিয়েছে, যেটাকে সরকারের সমন্বয়ের অভাব বলেও মনে করেন নেতারা।
সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠনগুলোকে আজকে (বুধবার) মাঠে রাখার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
একটি দলের নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের ছাত্র সংগঠনকে কালকে (বুধবার) কর্মসূচি দিতে বলব। একই সঙ্গে আমরাও আজকের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দলীয় কর্মসূচি দেব।’
সূত্রমতে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিস্টদের ছাড় দেব না। সরকার যদি দ্রুত নির্বাচন দিতে পারে, তবে দেশের অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যাবে।’
বৈঠকে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি এখন সুস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। সম্প্রতি সংঘটিত অপরাধগুলোর জন্য যারা দায়ী, তাদের শনাক্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বৈঠকে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গোলাপগঞ্জে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দৃষ্টান্তমূলক ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
তিনি বলেন বলেন, আওয়ামী লীগ হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইবে, তবে যদি প্রশাসন সঠিকভাবে কাজ করে, তবে কেউই অপব্যবহার করতে পারবে না।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, দলগুলোর নেতারা সরকারকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আরও কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এই ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনায় ‘কিছু ঘাটতি’র কথা সরকারও স্বীকার করে। এছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেন সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে যায়, সেটি নিশ্চিত করতে বিএনপি বিশেষভাবে বলেছে।
আইন উপদেষ্টা জানান, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য চারটি বড় দলকে আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ এবং ‘ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা’ মাঝে মাঝে মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বলে দলগুলো উদ্বেগ তুলে ধরেন। এ বিষয়ে তারা কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা দলগুলোর মধ্যে ঐক্য আরও দৃশ্যমান করার ওপর জোর দেন, বিশেষ করে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ কিংবা গঠনমূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে। আসিফ নজরুল বলেন, যদি দলগুলো একসঙ্গে দাঁড়ায় এবং জনগণ তা দেখে, তবে মানুষের মনে স্বস্তি ও আশাবাদ জন্মাবে।
জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, আগামীকাল (বুধবার) ছাত্রদের পক্ষ থেকে কর্মসূচি নেওয়া হবে। রাজনৈতিক দলগুলো পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজন হলে মাঠে কর্মসূচি দেব। সেই অনুযায়ী পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, ‘দেশে পরিকল্পিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চলছে এবং গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক কিছু দুর্বলতা রয়েছে। এসব দুর্বলতা চিহ্নিত করে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। সরকারের উচিত পরিস্থিতির আরও কঠোর ভাবে মোকাবিলা করা এবং নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা। যাতে যেকোনো ঘটনা ঘটার আগেই সঠিক তথ্য পাওয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো মহল থেকে বলা হচ্ছে, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে বিলম্ব হচ্ছে কিনা, আমরা মনে করি এমন ষড়যন্ত্র হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সংস্কারগুলো ওনারা মেনে নিয়ে তাড়াতাড়ি যড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে পারেন।’
সচিবালয়সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাহীন থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ইসলামি আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, অতীতে এমন অবস্থা দেখা যেত না, কিন্তু বর্তমানে একাধিকবার সচিবালয় অরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে গোয়েন্দা এবং প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে কিনা, সেটি সরকারকে তদন্ত করে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জে গোয়েন্দা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা দেখা গেছে, যা অন্য জেলাগুলোতেও ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার কথাও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে গাজী আতাউর রহমান বলেন, শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা নয়, নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ণ উপদেষ্টা আদিলুর রহমান শুভ্র, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৮ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
১৫ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দলগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারের অনুরোধের এক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্য দলগুলোর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল মুখে মুখে। কিন্তু এ আহ্বান বাস্তবায়নে গতকাল পর্যন্ত কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
জামায়াত তবু আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নিজের দিক থেকে কোনো কথা বলেনি, উদ্যোগও নেয়নি। বরং সরকারের আহ্বানে দলটি সাড়া দিতে চাইছে না বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। আর সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতন্ত্র মঞ্চ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সংকট কাটাতে গত সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতায় আসুক। এ জন্য দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে।
জুলাই সনদ ইস্যুতে গত মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করছে। সেখানে অনেক ইস্যুতে একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বিএনপিসহ বেশ কিছু দলের আপত্তি ছিল। ৩১ আগস্ট শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপত্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে দলগুলো। তবে সে সময় গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। বাস্তবায়ন প্রশ্নে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে দলগুলো। সেখানে গণভোটের বিষয়ে একমত হয় তারা। তবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে জানানো হয়, দলগুলোর মত ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সরকারের কাছে কমিশন বাস্তবায়নের উপায় জমা দেবে; যেখানে বিশেষজ্ঞরা গণভোটে আপত্তি না রাখার বিষয়ে মত দেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সেখানে আপত্তির বিধান রাখা যুক্তিযুক্ত না। ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। এরপর শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ছয় মাসে যেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি, সেখানে এক সপ্তাহে দলগুলো আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আলোচনার উদ্যোগ নেবে না বিএনপি
আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে সরকারের অনুরোধে বিএনপি কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে দলটির একাধিক সূত্র গতকাল জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলছেন, বাস্তবায়ন আদেশে তাদের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন আলোচনার নামে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকারের এমন অনুরোধে তাদের দল সাড়া দেবে না। এ জন্য আলোচনায় বসার জন্য কোনো দলকে ডাকবে না বিএনপি। কেউ আলোচনার জন্য দাওয়াত দিলে বিবেচনা করা হবে কি না, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসার বিষয়ে যে অনুরোধ করেছে, এ ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনা করতে পারিনি। সোমবার দলের প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রেস ব্রিফিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আলোচনার সুযোগ হয়নি। আলোচনা করে তারপর জানানো হবে।’
আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী। যদিও সরকারের আহ্বানের আগেই আলোচনার জন্য অন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে দলটির অনুরোধে গতকাল পর্যন্ত কোনো দল সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ গতকাল বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে একসঙ্গে বসার। সরকারের আগেই আমরা আহ্বান করেছি। এখনো কারও সাড়া পাইনি আমরা, হয়তো সামনে পাব।’
এর আগে গত রোববার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আর গতকাল মঙ্গলবার বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো। আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ ও জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে এনসিপি
রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে বল ঠেলে না দিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারির উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে এনসিপি। তবে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনায় যেতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। যদিও এখন পর্যন্ত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি বলে জানা গেছে। আবার এনসিপিকেও কেউ প্রস্তাব দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ চলছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির জন্য সরকারের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ প্রয়োগ করছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনকে রেফারি করেছে অনেকে। কিন্তু আমরা দেখি, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে রেফারি না। তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সংস্কারের পক্ষে। যদি তারা সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা তাদের ম্যান্ডেট থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। সরকারের এখন দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই প্রস্তাবে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই সনদের বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ভাবনা
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারই দায়ী বলে জানিয়েছে ৬টি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এই সংকট সমাধানের দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সংকট সমাধানের জন্য সরকারের যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল, তা না নিয়ে সরকার অনেকটা মান-অভিমানের মতো অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এমন মনোভাব মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংস্কার কি হবে না? সংস্কার না হলে নির্বাচন কি হবে? যাদের আমরা পরাজিত করেছি, তারা আবার ফিরে আসবে?’
আর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমদুর রহমান মান্না এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
দলগুলোর পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আলোচনার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সরকারের অনুরোধের এক দিন আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে অন্য দলগুলোর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল মুখে মুখে। কিন্তু এ আহ্বান বাস্তবায়নে গতকাল পর্যন্ত কার্যত কোনো উদ্যোগ নেয়নি দলটি।
জামায়াত তবু আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি নিজের দিক থেকে কোনো কথা বলেনি, উদ্যোগও নেয়নি। বরং সরকারের আহ্বানে দলটি সাড়া দিতে চাইছে না বলে দলটির সূত্র জানিয়েছে। আর সংকট সমাধানে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণতন্ত্র মঞ্চ।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সংকট কাটাতে গত সোমবার জরুরি বৈঠকে বসে উপদেষ্টা পরিষদ। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, এ নিয়ে সরকারের দিক থেকে আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। এখন রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সমঝোতায় আসুক। এ জন্য দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত দেবে।
জুলাই সনদ ইস্যুতে গত মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করছে। সেখানে অনেক ইস্যুতে একমত হলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে বিএনপিসহ বেশ কিছু দলের আপত্তি ছিল। ৩১ আগস্ট শেষ হওয়া দ্বিতীয় ধাপের সংলাপে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নির্বাচনে বিজয়ী হলে আপত্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে দলগুলো। তবে সে সময় গণভোট নিয়ে আলোচনা হয়নি। বাস্তবায়ন প্রশ্নে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে দলগুলো। সেখানে গণভোটের বিষয়ে একমত হয় তারা। তবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
গত ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সংলাপে জানানো হয়, দলগুলোর মত ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে সরকারের কাছে কমিশন বাস্তবায়নের উপায় জমা দেবে; যেখানে বিশেষজ্ঞরা গণভোটে আপত্তি না রাখার বিষয়ে মত দেন। তাঁদের যুক্তি ছিল, জনগণ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, সেখানে আপত্তির বিধান রাখা যুক্তিযুক্ত না। ২৭ অক্টোবর সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেয় কমিশন। এরপর শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ছয় মাসে যেখানে দলগুলো একমত হতে পারেনি, সেখানে এক সপ্তাহে দলগুলো আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ হবে, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আলোচনার উদ্যোগ নেবে না বিএনপি
আলোচনা করে সমঝোতায় আসতে সরকারের অনুরোধে বিএনপি কোনো উদ্যোগ নেবে না বলে দলটির একাধিক সূত্র গতকাল জানিয়েছে। দলটির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলছেন, বাস্তবায়ন আদেশে তাদের ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এখন আলোচনার নামে দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সরকারের এমন অনুরোধে তাদের দল সাড়া দেবে না। এ জন্য আলোচনায় বসার জন্য কোনো দলকে ডাকবে না বিএনপি। কেউ আলোচনার জন্য দাওয়াত দিলে বিবেচনা করা হবে কি না, দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে বসার বিষয়ে যে অনুরোধ করেছে, এ ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনা করতে পারিনি। সোমবার দলের প্রার্থী মনোনয়ন এবং প্রেস ব্রিফিং নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আলোচনার সুযোগ হয়নি। আলোচনা করে তারপর জানানো হবে।’
আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত জামায়াতে ইসলামী। যদিও সরকারের আহ্বানের আগেই আলোচনার জন্য অন্য দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে দলটির অনুরোধে গতকাল পর্যন্ত কোনো দল সাড়া দেয়নি বলে জানা গেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ গতকাল বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছে একসঙ্গে বসার। সরকারের আগেই আমরা আহ্বান করেছি। এখনো কারও সাড়া পাইনি আমরা, হয়তো সামনে পাব।’
এর আগে গত রোববার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন, আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আর গতকাল মঙ্গলবার বিদেশ সফর শেষে ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার অনুরোধ করেছে, এক সপ্তাহ সময়ের ভেতরে রাজনৈতিক দলগুলো বসে যদি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে, সরকারের জন্য এটা ভালো। আমরাই সবার আগে আমাদের নায়েবে আমিরের মাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছি যে আসুন, আমরা খোলামেলা আলোচনা করে একটা সমাধানে পৌঁছাই দেশ ও জাতির স্বার্থে। আমরা আশা করি, অন্যরা আমাদের এই আহ্বানে সাড়া দেবেন।’
সরকারের কোর্টে বল ঠেলছে এনসিপি
রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে বল ঠেলে না দিয়ে সরকারকেই জুলাই সনদ আদেশ জারির উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করে এনসিপি। তবে প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনায় যেতে তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। যদিও এখন পর্যন্ত এনসিপি কোনো রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি বলে জানা গেছে। আবার এনসিপিকেও কেউ প্রস্তাব দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনসিপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলাপ চলছে। বাস্তবায়ন আদেশ জারির জন্য সরকারের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপ প্রয়োগ করছে এনসিপি।
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে সরকার বা ঐকমত্য কমিশনকে রেফারি করেছে অনেকে। কিন্তু আমরা দেখি, সরকার ও ঐকমত্য কমিশন সংস্কার বাস্তবায়নের ব্যাপারে রেফারি না। তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সংস্কারের পক্ষে। যদি তারা সংস্কারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা তাদের ম্যান্ডেট থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবে। সরকারের এখন দায়িত্ব হলো ঐকমত্য কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই প্রস্তাবে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘জুলাই সনদের বিষয়ে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। তবে প্রয়োজনে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।’
গণতন্ত্র মঞ্চের ভাবনা
জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থার জন্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারই দায়ী বলে জানিয়েছে ৬টি রাজনৈতিক দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের নেতারা বলেছেন, এই সংকট সমাধানের দায়িত্বও সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চ দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায় ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘এই সংকট সমাধানের জন্য সরকারের যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল, তা না নিয়ে সরকার অনেকটা মান-অভিমানের মতো অবস্থান নিয়েছে। সরকারের এমন মনোভাব মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। সংস্কার কি হবে না? সংস্কার না হলে নির্বাচন কি হবে? যাদের আমরা পরাজিত করেছি, তারা আবার ফিরে আসবে?’
আর নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমদুর রহমান মান্না এক বিবৃতিতে বলেছেন, সরকার কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারকে রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা করে সমাধানের পথ তৈরি করতে হবে।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ ছিল।
২৩ জুলাই ২০২৫
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
১৫ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ ছিল।
২৩ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৮ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
১৫ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ ছিল।
২৩ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৮ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বড় ধরনের ব্যর্থতা দেখিয়েছে বলে মনে করে রাজনৈতিক দলের নেতারা। মাইলস্টোন স্কুলে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীতে বিক্ষোভ ছিল।
২৩ জুলাই ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ নিয়ে নিজেদের অনৈক্য-বিভেদ দূর করে সমঝোতার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে আজ বুধবার কেটে যাচ্ছে দুই দিন। কিন্তু এ সংকট নিরসনে দলগুলোর মধ্যে কোনো হেলদোল আছে বলে মনে হচ্ছে না।
৮ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
১৫ ঘণ্টা আগে