নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিন গতকাল রোববারও জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। বিএনপিও নিজ অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে। তবে দলটি বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করতে গতকাল রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদিন শুরুতে দলগুলোর উদ্দেশে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এখান থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। যে সমঝোতার রাস্তা শুরু করেছি, তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সমঝোতায় আসতেই হবে।’
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সরকার এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হবে। কমিশন আগামী বুধবার বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসবে। এ ক্ষেত্রে দলগুলো একমত না হলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকার ঠিক করে দেবে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় গতকাল সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একদম যেটা বাস্তবায়নযোগ্য সে রকম একটা প্রসেস (প্রক্রিয়া) বের করুন। আপনারা তো বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছেন। তাঁরা যা যা বলেছেন, তার মধ্যে যদি আপনি যথাযথ মনে করেন এই পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করব, সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। আমাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না। যদি আপনি উপযুক্ত মনে করেন যে বিচার বিভাগীয় মতামত নেব, সেটা করতে পারেন। তারপরও এটার একটা সমাধান করেন। অনিশ্চয়তাটা কেটে যাক।’
জুলাই সনদকে একটি ‘ঐতিহাসিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেই নেতা বলেন, ‘এটি এমনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটি কোনোভাবেই শর্তাধীন নয়। সংস্কার চলবে, বিচারপ্রক্রিয়া চলবে, তবে নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হতে হবে।’ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে তা শুধু জাতীয় নিরাপত্তাই নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ৮৪টি বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঐকমত্য হয়েছে। এখন আর আলোচনার বিষয় নয়, প্রশ্ন কেবল বাস্তবায়নের। এটি রাষ্ট্রীয় দলিল হিসেবে স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং আইনগত স্বীকৃতি পেতে হবে। সাংবিধানিক সংশোধনীর বদলে সাংবিধানিক আদেশ জারি করা হলে এটি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে, চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে অনেক আইন ও সাংবিধানিক সংশোধনীও আদালতে বাতিল হয়েছে। তাই আমরা চাই জুলাই সনদ এমন আইনি ভিত্তি পাক, যা টেকসই হবে। প্রয়োজনে পরে গণভোটের মাধ্যমে এটি আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে।’
এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতেই হবে। সনদের ৮৪ দফার মধ্যে ৪৩ দফাই সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এগুলো কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; বরং কার্যকর ও স্থায়ী করার জন্য গণপরিষদ গঠন করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাজনৈতিক ঐক্য ও সমর্থন চেয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই সনদটি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং কমিশনের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সনদটি একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে পরাজিত করার ধারাবাহিক ফলাফল। এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এ প্রক্রিয়াকে সফল করার দায় আমাদের শহীদদের কাছে রয়েছে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞরা অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশ ছাড়া সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহের বৈঠকে সে অবস্থান থেকে সরে বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয় কমিশন। গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কমিশন জানায়, তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে। তারপর গতকাল সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে সাংবিধানিক আদেশ-২০২৫ জারির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেটি যদি করা হয় তাহলে, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের সম্মতি নেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
গতকাঁল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে গণভোটে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এখন আবার সে পরামর্শ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞদের একজন বলেন, বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষ সংস্কারের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদের বিষয়ে নির্বাচনের দিন গণভোট হলে কোনো রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রচার করবে না। জুলাই সনদের বিপক্ষে ভোট দিতে কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করবে না। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ গণভোটে পাস হবে। এসব চিন্তা করেই এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মতভেদ ভুলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে বলে আশা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ জন্য কমিশন আলোচনা চালিয়ে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত দলগুলো মতৈক্যে আসতে না পারলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকারই ঠিক করে দেবে।
সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার দ্বিতীয় দিন গতকাল রোববারও জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) দলগুলো নিজ নিজ অবস্থানে অনড় রয়েছে। বিএনপিও নিজ অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে। তবে দলটি বাস্তবায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করতে গতকাল রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদিন শুরুতে দলগুলোর উদ্দেশে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এখান থেকে বের হওয়ার উপায় নেই। যে সমঝোতার রাস্তা শুরু করেছি, তা থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ সমঝোতায় আসতেই হবে।’
সূত্র জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য সরকার এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপরই বেশি জোর দিচ্ছে। এ জন্য কমিশনকে দলগুলোর সঙ্গে আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ সোমবার কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নেওয়া হবে। কমিশন আগামী বুধবার বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসবে। এ ক্ষেত্রে দলগুলো একমত না হলে বাস্তবায়ন পদ্ধতি সরকার ঠিক করে দেবে।
কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় গতকাল সংলাপে বক্তব্য দেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একদম যেটা বাস্তবায়নযোগ্য সে রকম একটা প্রসেস (প্রক্রিয়া) বের করুন। আপনারা তো বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছেন। তাঁরা যা যা বলেছেন, তার মধ্যে যদি আপনি যথাযথ মনে করেন এই পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করব, সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। আমাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না। যদি আপনি উপযুক্ত মনে করেন যে বিচার বিভাগীয় মতামত নেব, সেটা করতে পারেন। তারপরও এটার একটা সমাধান করেন। অনিশ্চয়তাটা কেটে যাক।’
জুলাই সনদকে একটি ‘ঐতিহাসিক ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিল’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির নেই নেতা বলেন, ‘এটি এমনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো আদালতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এটি কোনোভাবেই শর্তাধীন নয়। সংস্কার চলবে, বিচারপ্রক্রিয়া চলবে, তবে নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হতে হবে।’ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে তা শুধু জাতীয় নিরাপত্তাই নয়, আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘জুলাই সনদের ৮৪টি বিষয়ে ইতিমধ্যেই ঐকমত্য হয়েছে। এখন আর আলোচনার বিষয় নয়, প্রশ্ন কেবল বাস্তবায়নের। এটি রাষ্ট্রীয় দলিল হিসেবে স্বাক্ষরিত হতে হবে এবং আইনগত স্বীকৃতি পেতে হবে। সাংবিধানিক সংশোধনীর বদলে সাংবিধানিক আদেশ জারি করা হলে এটি অনেক বেশি শক্তিশালী হবে, চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।’
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা গেছে অনেক আইন ও সাংবিধানিক সংশোধনীও আদালতে বাতিল হয়েছে। তাই আমরা চাই জুলাই সনদ এমন আইনি ভিত্তি পাক, যা টেকসই হবে। প্রয়োজনে পরে গণভোটের মাধ্যমে এটি আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে।’
এনসিপির আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদের সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করতেই হবে। সনদের ৮৪ দফার মধ্যে ৪৩ দফাই সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এগুলো কেবল প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না; বরং কার্যকর ও স্থায়ী করার জন্য গণপরিষদ গঠন করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রাজনৈতিক ঐক্য ও সমর্থন চেয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘জুলাই সনদটি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং কমিশনের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সনদটি একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে পরাজিত করার ধারাবাহিক ফলাফল। এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এ প্রক্রিয়াকে সফল করার দায় আমাদের শহীদদের কাছে রয়েছে।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিশেষজ্ঞরা অধ্যাদেশ ও নির্বাহী আদেশ ছাড়া সংবিধান-সংক্রান্ত বিষয়গুলো গণভোট, বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে করার প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু গত সপ্তাহের বৈঠকে সে অবস্থান থেকে সরে বিশেষ সংবিধান বা সাংবিধানিক সংস্কার আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেয় কমিশন। গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে কমিশন জানায়, তারা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে। তারপর গতকাল সকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সেখানে সাংবিধানিক আদেশ-২০২৫ জারির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেটি যদি করা হয় তাহলে, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের মাধ্যমে এ বিষয়ে জনগণের সম্মতি নেওয়ার কথা বলেন তাঁরা।
গতকাঁল বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. শরিফ ভূইয়া, ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওন ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণে গণভোটে নেতিবাচক ফলাফলের আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এখন আবার সে পরামর্শ দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞদের একজন বলেন, বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশের মানুষ সংস্কারের পক্ষে। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদের বিষয়ে নির্বাচনের দিন গণভোট হলে কোনো রাজনৈতিক দলই এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রচার করবে না। জুলাই সনদের বিপক্ষে ভোট দিতে কর্মী-সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করবে না। সে ক্ষেত্রে জুলাই সনদ গণভোটে পাস হবে। এসব চিন্তা করেই এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশের দুই সদস্যসহ তিনজন। তাঁদের মধ্যে কনস্টেবল অজয় ঘোষ জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করতে না চাইলে রমনা জোনের সাবেক এডিসি আক্তারুল ইসলাম
১১ ঘণ্টা আগেনির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতনকাঠামো চূড়ান্ত হবে বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আশ্বস্ত করেছেন জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান। আজ রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রতিনিধিদল নিয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ১ আগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেড় মাসে ৮৯ লাখের বেশি শিশু নিবন্ধন করেছে। এই টিকা সাধারণ টাইফয়েড প্রতিরোধের পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী টাইফয়েডের বিস্তার রোধেও কার্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদিত এ টিকা নিরাপদ ও কার্যকর।
১৩ ঘণ্টা আগেদুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত ওভারসিজ কোম্পানিগুলো সরকারের নীতিমালা ও মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে শ্রমিক পাঠানোর চুক্তি লঙ্ঘন করে শ্রমিকদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির পাঁচ গুণ বেশি অর্থ আদায় করেছে। পরে বিভিন্ন সময়ে এসব অর্থ ছদ্মাবরণে স্থানান্তরের মাধ্যমে পাচার করেছে। শ্রমিক পাঠাতে চুক্তির শর্ত ভঙ্গ,
১৩ ঘণ্টা আগে