নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক মাত্রায় বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাকাণ্ডে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যাও। বেড়েছে ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২২: সংবাদপত্রের পাতা থেকে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। দেশের আটটি বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালে পানিতে ডুবে ৪০৫টি শিশু মারা গেছে। এক বছর পরে ২০২২ সালে এমন মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫২-তে। গত বছর পানিতে ডুবে প্রাণ হারানো শিশুদের মধ্যে ৫২০টি মেয়েশিশু ও ৬৩২টি ছেলেশিশু।
এদিকে শিশু যৌন নির্যাতনের সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় কমলেও গত বছর ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বেশি। গত বছর মোট ৯৬টি শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ছেলেশিশুর সংখ্যা ২০, যা ২০২১ সালে ছিল ৬।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ধর্ষণের ঘটনা কমেছে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর সারা দেশে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৫৬০টি। ৯৮টি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছে ১২টি মেয়েশিশু। ২০২১ সালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৮১৮টি।
এ বিষয়ে এমজেএফের পর্যবেক্ষণ হলো, অধিকাংশ শিশু ধর্ষণের ঘটনা পারিবারিক পরিবেশে পরিচিতদের দিয়েই ঘটে। এ ছাড়া গত বছর প্রতিবেশীদের হাতেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার অধিকাংশ শিশুর বয়স ২ বছর থেকে ১২ বছর। শিশুদের লোভ দেখিয়ে পরিচিতরা ধর্ষণ করেছে। কিশোরীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছে বন্ধুদের কাছে, কর্মক্ষেত্রে, স্কুলে যাওয়ার পথে ও পরিবারের ভেতরে।
গত বছর ৪৪টি শিশু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মেয়ে ২৭ ও ১৩টি ছেলে। মূলত পরীক্ষার ফল বিপর্যয়, পরিবারের ওপর অভিমান, প্রেমে ব্যর্থ, উত্ত্যক্ত হওয়ার পরে, ধর্ষণের শিকার হওয়ায় বা ধর্ষণচেষ্টা করায় কিংবা ধর্ষণের বিচার না পাওয়ায় এবং সাইবার হেনস্তা বা ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েও আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া গত বছর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। ৩১১টি শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৪২টি শিশুকে।
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিয়ে আলাদাভাবে একই সময়ে মোট ১১টি এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ১৫ এবং সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়। ১৫ জন গৃহকর্মী ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন নিহত, ৭ জন আহত ও ৩ জন আত্মহত্যা করেছে। নিহত গৃহকর্মীদের মধ্যে ৩ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার। দুজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায়ও বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৯৬টি শিশু। গত বছর মোট নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ২০। এর মধ্যে মেয়েশিশু ৬ ও ছেলেশিশু ১৪। শিশু অপরাধে মেয়ে শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ৩০টি শিশু অপহরণ হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামসহ অন্য অতিথিরা বলেন, এমজেএফের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শিশুরা নিজের বাসায় নিরাপদ নয়। শিশু ধর্ষণ ও শিশুকে যৌন হয়রানি বন্ধ করার জন্য সবাইকে এখনই জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, তা না হলে এই হার বাড়তেই থাকবে। শিশু সুরক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আরও বেশি হৃদয়বান হওয়ার পাশাপাশি শিশু অধিকার রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তাঁরা।
২০২১ সালের তুলনায় গত বছর বাল্যবিবাহের ঘটনা ৯৪ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, ২০২১ সালে দেশের ২৩টি জেলায় ৪১ হাজার ৯৫টি বাল্যবিবাহের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এসব পত্রিকায়। ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২ হাজার ৩০১টি। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০ ও ২১ সালে স্কুল বন্ধ থাকায় ও অভাব-অনটনের কারণে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০২২-এ এসে পরিস্থিতি বদলানোয় তা অনেক কমে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিশু ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক মাত্রায় বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাকাণ্ডে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যাও। বেড়েছে ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২২: সংবাদপত্রের পাতা থেকে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। দেশের আটটি বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালে পানিতে ডুবে ৪০৫টি শিশু মারা গেছে। এক বছর পরে ২০২২ সালে এমন মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫২-তে। গত বছর পানিতে ডুবে প্রাণ হারানো শিশুদের মধ্যে ৫২০টি মেয়েশিশু ও ৬৩২টি ছেলেশিশু।
এদিকে শিশু যৌন নির্যাতনের সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় কমলেও গত বছর ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বেশি। গত বছর মোট ৯৬টি শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ছেলেশিশুর সংখ্যা ২০, যা ২০২১ সালে ছিল ৬।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ধর্ষণের ঘটনা কমেছে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর সারা দেশে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৫৬০টি। ৯৮টি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছে ১২টি মেয়েশিশু। ২০২১ সালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৮১৮টি।
এ বিষয়ে এমজেএফের পর্যবেক্ষণ হলো, অধিকাংশ শিশু ধর্ষণের ঘটনা পারিবারিক পরিবেশে পরিচিতদের দিয়েই ঘটে। এ ছাড়া গত বছর প্রতিবেশীদের হাতেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার অধিকাংশ শিশুর বয়স ২ বছর থেকে ১২ বছর। শিশুদের লোভ দেখিয়ে পরিচিতরা ধর্ষণ করেছে। কিশোরীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছে বন্ধুদের কাছে, কর্মক্ষেত্রে, স্কুলে যাওয়ার পথে ও পরিবারের ভেতরে।
গত বছর ৪৪টি শিশু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মেয়ে ২৭ ও ১৩টি ছেলে। মূলত পরীক্ষার ফল বিপর্যয়, পরিবারের ওপর অভিমান, প্রেমে ব্যর্থ, উত্ত্যক্ত হওয়ার পরে, ধর্ষণের শিকার হওয়ায় বা ধর্ষণচেষ্টা করায় কিংবা ধর্ষণের বিচার না পাওয়ায় এবং সাইবার হেনস্তা বা ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েও আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া গত বছর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। ৩১১টি শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৪২টি শিশুকে।
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিয়ে আলাদাভাবে একই সময়ে মোট ১১টি এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ১৫ এবং সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়। ১৫ জন গৃহকর্মী ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন নিহত, ৭ জন আহত ও ৩ জন আত্মহত্যা করেছে। নিহত গৃহকর্মীদের মধ্যে ৩ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার। দুজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায়ও বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৯৬টি শিশু। গত বছর মোট নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ২০। এর মধ্যে মেয়েশিশু ৬ ও ছেলেশিশু ১৪। শিশু অপরাধে মেয়ে শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ৩০টি শিশু অপহরণ হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামসহ অন্য অতিথিরা বলেন, এমজেএফের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শিশুরা নিজের বাসায় নিরাপদ নয়। শিশু ধর্ষণ ও শিশুকে যৌন হয়রানি বন্ধ করার জন্য সবাইকে এখনই জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, তা না হলে এই হার বাড়তেই থাকবে। শিশু সুরক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আরও বেশি হৃদয়বান হওয়ার পাশাপাশি শিশু অধিকার রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তাঁরা।
২০২১ সালের তুলনায় গত বছর বাল্যবিবাহের ঘটনা ৯৪ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, ২০২১ সালে দেশের ২৩টি জেলায় ৪১ হাজার ৯৫টি বাল্যবিবাহের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এসব পত্রিকায়। ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২ হাজার ৩০১টি। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০ ও ২১ সালে স্কুল বন্ধ থাকায় ও অভাব-অনটনের কারণে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০২২-এ এসে পরিস্থিতি বদলানোয় তা অনেক কমে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিশু ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক মাত্রায় বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাকাণ্ডে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যাও। বেড়েছে ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২২: সংবাদপত্রের পাতা থেকে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। দেশের আটটি বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালে পানিতে ডুবে ৪০৫টি শিশু মারা গেছে। এক বছর পরে ২০২২ সালে এমন মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫২-তে। গত বছর পানিতে ডুবে প্রাণ হারানো শিশুদের মধ্যে ৫২০টি মেয়েশিশু ও ৬৩২টি ছেলেশিশু।
এদিকে শিশু যৌন নির্যাতনের সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় কমলেও গত বছর ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বেশি। গত বছর মোট ৯৬টি শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ছেলেশিশুর সংখ্যা ২০, যা ২০২১ সালে ছিল ৬।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ধর্ষণের ঘটনা কমেছে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর সারা দেশে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৫৬০টি। ৯৮টি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছে ১২টি মেয়েশিশু। ২০২১ সালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৮১৮টি।
এ বিষয়ে এমজেএফের পর্যবেক্ষণ হলো, অধিকাংশ শিশু ধর্ষণের ঘটনা পারিবারিক পরিবেশে পরিচিতদের দিয়েই ঘটে। এ ছাড়া গত বছর প্রতিবেশীদের হাতেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার অধিকাংশ শিশুর বয়স ২ বছর থেকে ১২ বছর। শিশুদের লোভ দেখিয়ে পরিচিতরা ধর্ষণ করেছে। কিশোরীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছে বন্ধুদের কাছে, কর্মক্ষেত্রে, স্কুলে যাওয়ার পথে ও পরিবারের ভেতরে।
গত বছর ৪৪টি শিশু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মেয়ে ২৭ ও ১৩টি ছেলে। মূলত পরীক্ষার ফল বিপর্যয়, পরিবারের ওপর অভিমান, প্রেমে ব্যর্থ, উত্ত্যক্ত হওয়ার পরে, ধর্ষণের শিকার হওয়ায় বা ধর্ষণচেষ্টা করায় কিংবা ধর্ষণের বিচার না পাওয়ায় এবং সাইবার হেনস্তা বা ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েও আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া গত বছর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। ৩১১টি শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৪২টি শিশুকে।
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিয়ে আলাদাভাবে একই সময়ে মোট ১১টি এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ১৫ এবং সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়। ১৫ জন গৃহকর্মী ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন নিহত, ৭ জন আহত ও ৩ জন আত্মহত্যা করেছে। নিহত গৃহকর্মীদের মধ্যে ৩ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার। দুজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায়ও বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৯৬টি শিশু। গত বছর মোট নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ২০। এর মধ্যে মেয়েশিশু ৬ ও ছেলেশিশু ১৪। শিশু অপরাধে মেয়ে শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ৩০টি শিশু অপহরণ হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামসহ অন্য অতিথিরা বলেন, এমজেএফের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শিশুরা নিজের বাসায় নিরাপদ নয়। শিশু ধর্ষণ ও শিশুকে যৌন হয়রানি বন্ধ করার জন্য সবাইকে এখনই জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, তা না হলে এই হার বাড়তেই থাকবে। শিশু সুরক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আরও বেশি হৃদয়বান হওয়ার পাশাপাশি শিশু অধিকার রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তাঁরা।
২০২১ সালের তুলনায় গত বছর বাল্যবিবাহের ঘটনা ৯৪ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, ২০২১ সালে দেশের ২৩টি জেলায় ৪১ হাজার ৯৫টি বাল্যবিবাহের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এসব পত্রিকায়। ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২ হাজার ৩০১টি। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০ ও ২১ সালে স্কুল বন্ধ থাকায় ও অভাব-অনটনের কারণে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০২২-এ এসে পরিস্থিতি বদলানোয় তা অনেক কমে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিশু ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক মাত্রায় বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাকাণ্ডে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যাও। বেড়েছে ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২২: সংবাদপত্রের পাতা থেকে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। দেশের আটটি বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালে পানিতে ডুবে ৪০৫টি শিশু মারা গেছে। এক বছর পরে ২০২২ সালে এমন মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫২-তে। গত বছর পানিতে ডুবে প্রাণ হারানো শিশুদের মধ্যে ৫২০টি মেয়েশিশু ও ৬৩২টি ছেলেশিশু।
এদিকে শিশু যৌন নির্যাতনের সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় কমলেও গত বছর ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বেশি। গত বছর মোট ৯৬টি শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ছেলেশিশুর সংখ্যা ২০, যা ২০২১ সালে ছিল ৬।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ধর্ষণের ঘটনা কমেছে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর সারা দেশে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৫৬০টি। ৯৮টি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছে ১২টি মেয়েশিশু। ২০২১ সালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৮১৮টি।
এ বিষয়ে এমজেএফের পর্যবেক্ষণ হলো, অধিকাংশ শিশু ধর্ষণের ঘটনা পারিবারিক পরিবেশে পরিচিতদের দিয়েই ঘটে। এ ছাড়া গত বছর প্রতিবেশীদের হাতেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার অধিকাংশ শিশুর বয়স ২ বছর থেকে ১২ বছর। শিশুদের লোভ দেখিয়ে পরিচিতরা ধর্ষণ করেছে। কিশোরীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছে বন্ধুদের কাছে, কর্মক্ষেত্রে, স্কুলে যাওয়ার পথে ও পরিবারের ভেতরে।
গত বছর ৪৪টি শিশু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মেয়ে ২৭ ও ১৩টি ছেলে। মূলত পরীক্ষার ফল বিপর্যয়, পরিবারের ওপর অভিমান, প্রেমে ব্যর্থ, উত্ত্যক্ত হওয়ার পরে, ধর্ষণের শিকার হওয়ায় বা ধর্ষণচেষ্টা করায় কিংবা ধর্ষণের বিচার না পাওয়ায় এবং সাইবার হেনস্তা বা ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েও আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া গত বছর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। ৩১১টি শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৪২টি শিশুকে।
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিয়ে আলাদাভাবে একই সময়ে মোট ১১টি এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ১৫ এবং সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়। ১৫ জন গৃহকর্মী ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন নিহত, ৭ জন আহত ও ৩ জন আত্মহত্যা করেছে। নিহত গৃহকর্মীদের মধ্যে ৩ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার। দুজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায়ও বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৯৬টি শিশু। গত বছর মোট নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ২০। এর মধ্যে মেয়েশিশু ৬ ও ছেলেশিশু ১৪। শিশু অপরাধে মেয়ে শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ৩০টি শিশু অপহরণ হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামসহ অন্য অতিথিরা বলেন, এমজেএফের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শিশুরা নিজের বাসায় নিরাপদ নয়। শিশু ধর্ষণ ও শিশুকে যৌন হয়রানি বন্ধ করার জন্য সবাইকে এখনই জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, তা না হলে এই হার বাড়তেই থাকবে। শিশু সুরক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আরও বেশি হৃদয়বান হওয়ার পাশাপাশি শিশু অধিকার রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তাঁরা।
২০২১ সালের তুলনায় গত বছর বাল্যবিবাহের ঘটনা ৯৪ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, ২০২১ সালে দেশের ২৩টি জেলায় ৪১ হাজার ৯৫টি বাল্যবিবাহের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এসব পত্রিকায়। ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২ হাজার ৩০১টি। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০ ও ২১ সালে স্কুল বন্ধ থাকায় ও অভাব-অনটনের কারণে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০২২-এ এসে পরিস্থিতি বদলানোয় তা অনেক কমে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিশু ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটি জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে।
সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি সচিব কমিটির সুপারিশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না এবং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশেই প্রস্তাবিত নিয়োগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলে একই শিক্ষককে ২০টির বেশি বিদ্যালয়ে যুগপৎভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এর ফলে তাঁর পক্ষে কর্মঘণ্টা ম্যানেজ করা সম্ভব হবে না বলে সচিব কমিটি মনে করে।
পরে অর্থের সংস্থান সাপেক্ষে সব স্কুলে এ রকম নতুন বিষয়ের শিক্ষকের পদ সৃজন ও সেসব পদে নিয়োগদানের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে কমিটি অভিমত ব্যক্ত করেছে।

সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাকাণ্ডে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যাও। বেড়েছে ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
২৪ জানুয়ারি ২০২৩
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় তাঁদের পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদোন্নতির জন্য প্যানেলে ছিলেন– অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদের জন্য ৩৪৫ জন, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পদে ২০৭ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ পদে ৫৫১ জন। সব মিলিয়ে পদোন্নতির প্যানেলে ১ হাজার ১০৩ জন বিচারিক কর্মকর্তার নাম থাকলেও নানা কারণে বেশ কয়েকজনের নাম অনুমোদন হয়নি।
২০২৬ সালের সুপ্রিম কোর্টের ক্যালেন্ডারও ফুল কোর্ট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে সরকারি ক্যালেন্ডার এখনো প্রকাশিত না হওয়ায় তা অনুমোদিত হয়নি।
সম্প্রতি ১ হাজার ১০৩ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পদোন্নতির প্যানেলে ছিল কয়েকজন বিতর্কিত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার নাম, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান চলমান।
বিচারকদের পদোন্নতি যেভাবে হয়
সব মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতির জন্য ডিপিসি (বিভাগীয় পদোন্নতি কমিটি) থাকে। ওই কমিটি পদোন্নতির প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে এক দিনেই প্যানেলের সবার পদোন্নতির জিও জারি করা হয়।
তবে বিচারকদের ক্ষেত্রে প্যানেল চূড়ান্ত করার পর তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। বাছাই কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় ওঠে। সভায় অনুমোদন পাওয়ার পর তা আবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে যায়। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে ওই প্যানেল আইন মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত থাকে এবং পদ খালি হওয়ার পর সময়ে সময়ে জিও জারি করা হয়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস বিধিমালা ২০০৭ অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতির জন্য সহকারী জজদের এই পদে চার বছর দায়িত্ব পালনের শর্ত পূরণ করতে হয়। সিনিয়র সহকারী জজদের যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছর এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির জন্য দুই বছরের শর্ত পূরণ করতে হয়। তবে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয় না। অনেকেই বছরের পর বছর প্যানেলভুক্ত হয়ে থাকেন।

সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাকাণ্ডে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যাও। বেড়েছে ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
২৪ জানুয়ারি ২০২৩
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৫ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন হাজারীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে ৪৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ৪৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ মঙ্গলবার দুদকের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, অভিযুক্ত নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দিয়েছে।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত নুরজাহান বেগমের ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি হিসাবে ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৮০৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক।
এ তথ্য আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই করা হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে এর আগেও অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফেনী ও ঢাকায় নামে-বেনামে জমি ও ভবন ক্রয় এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক তদন্ত চলছে।
সূত্রটি আরও জানায়, দুদকে পাঠানো সম্পদ বিবরণীতে ঘোষিত তথ্য ও বাস্তব সম্পদের মধ্যে বিশাল অমিল পাওয়া যায়। এর ধারাবাহিকতায় নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ফেনী-২ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দখলদারত্বের অভিযোগ রয়েছে।

সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাকাণ্ডে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যাও। বেড়েছে ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
২৪ জানুয়ারি ২০২৩
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। সব মিলিয়ে এ বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৯২৩ জনে। তাদের মধ্যে ২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এ রোগে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেঙ্গুবিষয়ক হালনাগাদ করা তথ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে তিনজন।
এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন মারা গেছে। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে সর্বোচ্চ ২৪১ জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭৫ জন, রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে ২০৮, বরিশালে ১৫১, খুলনায় ৫৯, চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ৪৫, ময়মনসিংহে ৭৫, রংপুরে ১৯ ও সিলেটে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৫২০ জন, যা এই বছরের এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে ৮০ জন মারা গেছে, যা এ বছরে একক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১৫ হাজার ৮৬৬ জন ভর্তি হয়েছিল এবং ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিন, এপ্রিলে সাত, মে মাসে তিন, জুনে ১৯, জুলাইয়ে ৪১ ও আগস্টে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি।
চলতি মাসের চার দিনে ৪ হাজার ৬১ জন রোগী ভর্তি হয়েছে আর মারা গেছে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রোগী।
দেশে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর মারা গেছে ১ হাজার ৭০৫ জন।
২০২৪ সালে ১ লাখ ১ হাজার ২১১ জন, ২০২২ সালে ৬২ হাজার ৩৮২, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪০৫ এবং ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাকাণ্ডে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যাও। বেড়েছে ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
২৪ জানুয়ারি ২০২৩
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে কার্যকর কোনো সুফল বয়ে আনবে না বিধায় এটি বাতিল করা হয়েছে মর্মে জানানো হয়।
৩ ঘণ্টা আগে
সারা দেশের অধস্তন আদালতের হাজারের বেশি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা পদোন্নতির জন্য প্যানেলভুক্ত হয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের একটি সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির অংশগ্রহণে...
৪ ঘণ্টা আগে
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, নুরজাহান বেগম দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সম্পদের ঘোষণা দেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দেখা যায়, তাঁর আয় ও পারিবারিক ব্যয়ের তুলনায় ৪৫ কোটি ৩৪ লাখ ১৩ হাজার ৮৫১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মেলে।
৫ ঘণ্টা আগে