সৌগত বসু, ঢাকা

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে। রেলের তৎকালীন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উৎসাহে অগ্রাধিকার দেওয়া বিপুল ব্যয়ের এসব প্রকল্পে ট্রেন চলে মাত্র কয়েকটি। অথচ সম্ভাব্য লাভজনক প্রকল্পের কাজ চলেছে ধীরগতিতে। কোনোটি বন্ধও হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্র তথা জনস্বার্থ।
রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ‘এলাকাপ্রীতির জন্য’ উৎসাহের সঙ্গে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু থমকে গেছে অনেক ‘লাইফ লাইন’ (অতি প্রয়োজনীয়) প্রকল্প। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন (বিকল্প), বগুড়া-সিরাজগঞ্জ, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন প্রকল্প, ঢাকা-সিলেট ডাবল লাইন, ঢাকা-জামালপুর ডাবল লাইন প্রকল্প। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন সমীক্ষার পর বন্ধই হয়ে গেছে।
রেলসূত্র বলছে, যখন যিনি রেলে মন্ত্রী হয়ে আসেন, তখন তাঁর এলাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নূরুল ইসলাম সুজন মন্ত্রী থাকার সময় উত্তরবঙ্গ বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে। আবার সর্বশেষ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সময়ে অগ্রাধিকার ছিল দক্ষিণবঙ্গকেন্দ্রিক। অন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাও সুযোগ-সুবিধামতো নিজেদের এলাকাভিত্তিক প্রকল্প পাস করিয়ে নিয়েছেন। তবে এ রকম অনেক প্রকল্প চালু হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ট্রেন চলছে না।
রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ। তারপর যথাক্রমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, খুলনা-মোংলা ও আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প। এ প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকার বেশি। অথচ এগুলোতে ট্রেন চলছে মাত্র ৭টি। এগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে দেশের রেলকে যুক্ত করা আখাউড়া-আগরতলা রুটে একটি ট্রেনও চলছে না। ৩৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে ট্রেন চালু রয়েছে ৪টি এবং ১৮ হাজার কোটি টাকার দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে মাত্র দুটি। রেলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর, রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জ লাইনে প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী মেলেনি। মধুখালী-মাগুরা রেলপথের কাজ শেষ হলে একই অবস্থা হতে পারে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদীউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ঠিকাদারদের সুবিধায় রেলের অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখানে লাভ-লোকসান কিংবা জনগণের জন্য কতটা উপযোগী, সেটা ভাবা হয়নি। এতে রাজনৈতিক নেতা ও ঠিকাদারদের দুষ্টচক্রই কেবল লাভবান হয়েছে।’
২০২২-২৩ অর্থবছরে রেলের আয় ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, আর ব্যয় ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ লোকসান হয় ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। রেলের লোকসানের বোঝা বাড়ানোর পেছনে অযৌক্তিক প্রকল্পের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কথা আর কাজের ফারাকের নমুনা
রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং পুরোনো লাইন সংস্কার প্রকল্পের বিষয়ে বলা হয়েছিল, এই লাইন দিয়ে দিনে ১৪টি ট্রেন চলবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন হয়। এখন পর্যন্ত এই পথে ট্রেন চলছে মাত্র দুটি।
ঈশ্বরদী-ঢালারচর লাইনের প্রকল্প অনুমোদিত হয় ২০১০ সালে। ২০১৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্পন্ন হয় ২০১৮ সালে। শুরুতে ধরা ৯৮৩ কোটি টাকা ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭১৫ কোটিতে। এ পথের বিষয়ে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা হয়নি। উদ্বোধনের পর দুই বছর আদৌ কোনো ট্রেন চলেনি। ২০২০ সালে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে এক জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। চলার কথা ছিল ১০টি। রেলওয়ে সূত্র বলছে, প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী ও পাবনার বাসিন্দা প্রয়াত এ কে খোন্দকারের আগ্রহে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণ, করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরুই হয় ২০২১ সালের মে মাসে। প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় জানিয়েছে, এর কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের মধ্যে। তবে ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ২-৩টির বেশি আন্তনগর ট্রেন চলবে না। ফলে এটি হতে যাচ্ছে আরেকটি ‘সাদা হাতি’ প্রকল্প। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের একক আগ্রহে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।
ভারতের অর্থায়নে খুলনা থেকে মোংলা বন্দরে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ বসানো হয়। মোংলা বন্দর থেকে খুলনা ও যশোর হয়ে ভারতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজ করা এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল। তবে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর উদ্বোধনের দীর্ঘ সাত মাস পর গত ১ জুন থেকে পুরোনো ইঞ্জিন ও বগি দিয়ে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটিমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে এই লাইনে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর যা অবস্থা
দেশের রেল যোগাযোগের ‘লাইফ লাইন’ খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার কমিয়ে বিকল্প (কডলাইন) রেলরুট তৈরি করার প্রকল্প থমকে গেছে। ২৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লাইন হলে ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা। কয়েক দশক ধরে আলোচনা চলার পরে ২০১০ সালে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। রেলের সূত্র বলেছে, মন্ত্রণালয়ের ‘অদৃশ্য ইশারায়’ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রেল কর্তৃপক্ষ এর কারণ বলতে পারছে না। প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, গত ১২ মার্চ মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনাপত্র জারি করে কাজ স্থগিত করে।
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। অগ্রগতি না হওয়ায় দুই দফা সময় বাড়িয়ে তা ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন থেকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রানীরহাট পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কথা। অর্থায়নের জটিলতায় ভারতীয় ঋণের এ প্রকল্পের অগ্রগতি নেই। ভারতের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের টানাপোড়েনে দৃশ্যত তা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
২০১৬ সালে চীনের ঋণে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন তৈরির বিষয়ে সমঝোতা হয়। শর্ত অনুযায়ী কাজ পায় চীনের ঠিকাদার সিসিইসিসি। কিন্তু চীন ২০২০ সালে প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাকে (জাইকা) বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়। ২০২১ সালে জাইকা কাজ শুরু করলেও প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি নেই। কারণ, জাইকা আবার সমীক্ষা করতে বলছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী প্রকল্প আগামী পাঁচ বছরেও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা নেই। অগ্রগতি নেই টঙ্গী-জামালপুর ডাবল রেললাইন ও ঢাকা-সিলেট ডাবল রেললাইন প্রকল্পেরও।
এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত করার পরিকল্পনা থাকলেও এডিবি, বিশ্বব্যাংক, জাইকার মতো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর অর্থায়ন সঠিক সময়ে না হওয়ায় করতে পারি না। অনেক কিছু তো আমাদের হাতে নেই। তাদের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হয়।’
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের চেয়ে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দিকে নজর বেশি কেন—এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন মন্ত্রণালয় হঠাৎ চিঠি দিয়ে বন্ধ করে দেয়। বগুড়া-সিরাজগঞ্জসহ ভারতীয় ঋণের প্রকল্পে অর্থায়ন চেয়ে বারবার চিঠি দিলেও দাতার কোনো সাড়া নেই। একটা চিঠি দিলে জবাব পেতে ৬ মাস সময় লাগে।’

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে। রেলের তৎকালীন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উৎসাহে অগ্রাধিকার দেওয়া বিপুল ব্যয়ের এসব প্রকল্পে ট্রেন চলে মাত্র কয়েকটি। অথচ সম্ভাব্য লাভজনক প্রকল্পের কাজ চলেছে ধীরগতিতে। কোনোটি বন্ধও হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্র তথা জনস্বার্থ।
রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ‘এলাকাপ্রীতির জন্য’ উৎসাহের সঙ্গে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু থমকে গেছে অনেক ‘লাইফ লাইন’ (অতি প্রয়োজনীয়) প্রকল্প। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন (বিকল্প), বগুড়া-সিরাজগঞ্জ, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন প্রকল্প, ঢাকা-সিলেট ডাবল লাইন, ঢাকা-জামালপুর ডাবল লাইন প্রকল্প। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন সমীক্ষার পর বন্ধই হয়ে গেছে।
রেলসূত্র বলছে, যখন যিনি রেলে মন্ত্রী হয়ে আসেন, তখন তাঁর এলাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নূরুল ইসলাম সুজন মন্ত্রী থাকার সময় উত্তরবঙ্গ বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে। আবার সর্বশেষ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সময়ে অগ্রাধিকার ছিল দক্ষিণবঙ্গকেন্দ্রিক। অন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাও সুযোগ-সুবিধামতো নিজেদের এলাকাভিত্তিক প্রকল্প পাস করিয়ে নিয়েছেন। তবে এ রকম অনেক প্রকল্প চালু হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ট্রেন চলছে না।
রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ। তারপর যথাক্রমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, খুলনা-মোংলা ও আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প। এ প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকার বেশি। অথচ এগুলোতে ট্রেন চলছে মাত্র ৭টি। এগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে দেশের রেলকে যুক্ত করা আখাউড়া-আগরতলা রুটে একটি ট্রেনও চলছে না। ৩৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে ট্রেন চালু রয়েছে ৪টি এবং ১৮ হাজার কোটি টাকার দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে মাত্র দুটি। রেলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর, রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জ লাইনে প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী মেলেনি। মধুখালী-মাগুরা রেলপথের কাজ শেষ হলে একই অবস্থা হতে পারে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদীউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ঠিকাদারদের সুবিধায় রেলের অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখানে লাভ-লোকসান কিংবা জনগণের জন্য কতটা উপযোগী, সেটা ভাবা হয়নি। এতে রাজনৈতিক নেতা ও ঠিকাদারদের দুষ্টচক্রই কেবল লাভবান হয়েছে।’
২০২২-২৩ অর্থবছরে রেলের আয় ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, আর ব্যয় ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ লোকসান হয় ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। রেলের লোকসানের বোঝা বাড়ানোর পেছনে অযৌক্তিক প্রকল্পের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কথা আর কাজের ফারাকের নমুনা
রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং পুরোনো লাইন সংস্কার প্রকল্পের বিষয়ে বলা হয়েছিল, এই লাইন দিয়ে দিনে ১৪টি ট্রেন চলবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন হয়। এখন পর্যন্ত এই পথে ট্রেন চলছে মাত্র দুটি।
ঈশ্বরদী-ঢালারচর লাইনের প্রকল্প অনুমোদিত হয় ২০১০ সালে। ২০১৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্পন্ন হয় ২০১৮ সালে। শুরুতে ধরা ৯৮৩ কোটি টাকা ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭১৫ কোটিতে। এ পথের বিষয়ে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা হয়নি। উদ্বোধনের পর দুই বছর আদৌ কোনো ট্রেন চলেনি। ২০২০ সালে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে এক জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। চলার কথা ছিল ১০টি। রেলওয়ে সূত্র বলছে, প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী ও পাবনার বাসিন্দা প্রয়াত এ কে খোন্দকারের আগ্রহে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণ, করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরুই হয় ২০২১ সালের মে মাসে। প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় জানিয়েছে, এর কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের মধ্যে। তবে ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ২-৩টির বেশি আন্তনগর ট্রেন চলবে না। ফলে এটি হতে যাচ্ছে আরেকটি ‘সাদা হাতি’ প্রকল্প। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের একক আগ্রহে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।
ভারতের অর্থায়নে খুলনা থেকে মোংলা বন্দরে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ বসানো হয়। মোংলা বন্দর থেকে খুলনা ও যশোর হয়ে ভারতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজ করা এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল। তবে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর উদ্বোধনের দীর্ঘ সাত মাস পর গত ১ জুন থেকে পুরোনো ইঞ্জিন ও বগি দিয়ে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটিমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে এই লাইনে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর যা অবস্থা
দেশের রেল যোগাযোগের ‘লাইফ লাইন’ খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার কমিয়ে বিকল্প (কডলাইন) রেলরুট তৈরি করার প্রকল্প থমকে গেছে। ২৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লাইন হলে ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা। কয়েক দশক ধরে আলোচনা চলার পরে ২০১০ সালে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। রেলের সূত্র বলেছে, মন্ত্রণালয়ের ‘অদৃশ্য ইশারায়’ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রেল কর্তৃপক্ষ এর কারণ বলতে পারছে না। প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, গত ১২ মার্চ মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনাপত্র জারি করে কাজ স্থগিত করে।
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। অগ্রগতি না হওয়ায় দুই দফা সময় বাড়িয়ে তা ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন থেকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রানীরহাট পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কথা। অর্থায়নের জটিলতায় ভারতীয় ঋণের এ প্রকল্পের অগ্রগতি নেই। ভারতের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের টানাপোড়েনে দৃশ্যত তা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
২০১৬ সালে চীনের ঋণে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন তৈরির বিষয়ে সমঝোতা হয়। শর্ত অনুযায়ী কাজ পায় চীনের ঠিকাদার সিসিইসিসি। কিন্তু চীন ২০২০ সালে প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাকে (জাইকা) বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়। ২০২১ সালে জাইকা কাজ শুরু করলেও প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি নেই। কারণ, জাইকা আবার সমীক্ষা করতে বলছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী প্রকল্প আগামী পাঁচ বছরেও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা নেই। অগ্রগতি নেই টঙ্গী-জামালপুর ডাবল রেললাইন ও ঢাকা-সিলেট ডাবল রেললাইন প্রকল্পেরও।
এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত করার পরিকল্পনা থাকলেও এডিবি, বিশ্বব্যাংক, জাইকার মতো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর অর্থায়ন সঠিক সময়ে না হওয়ায় করতে পারি না। অনেক কিছু তো আমাদের হাতে নেই। তাদের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হয়।’
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের চেয়ে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দিকে নজর বেশি কেন—এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন মন্ত্রণালয় হঠাৎ চিঠি দিয়ে বন্ধ করে দেয়। বগুড়া-সিরাজগঞ্জসহ ভারতীয় ঋণের প্রকল্পে অর্থায়ন চেয়ে বারবার চিঠি দিলেও দাতার কোনো সাড়া নেই। একটা চিঠি দিলে জবাব পেতে ৬ মাস সময় লাগে।’
সৌগত বসু, ঢাকা

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে। রেলের তৎকালীন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উৎসাহে অগ্রাধিকার দেওয়া বিপুল ব্যয়ের এসব প্রকল্পে ট্রেন চলে মাত্র কয়েকটি। অথচ সম্ভাব্য লাভজনক প্রকল্পের কাজ চলেছে ধীরগতিতে। কোনোটি বন্ধও হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্র তথা জনস্বার্থ।
রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ‘এলাকাপ্রীতির জন্য’ উৎসাহের সঙ্গে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু থমকে গেছে অনেক ‘লাইফ লাইন’ (অতি প্রয়োজনীয়) প্রকল্প। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন (বিকল্প), বগুড়া-সিরাজগঞ্জ, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন প্রকল্প, ঢাকা-সিলেট ডাবল লাইন, ঢাকা-জামালপুর ডাবল লাইন প্রকল্প। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন সমীক্ষার পর বন্ধই হয়ে গেছে।
রেলসূত্র বলছে, যখন যিনি রেলে মন্ত্রী হয়ে আসেন, তখন তাঁর এলাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নূরুল ইসলাম সুজন মন্ত্রী থাকার সময় উত্তরবঙ্গ বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে। আবার সর্বশেষ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সময়ে অগ্রাধিকার ছিল দক্ষিণবঙ্গকেন্দ্রিক। অন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাও সুযোগ-সুবিধামতো নিজেদের এলাকাভিত্তিক প্রকল্প পাস করিয়ে নিয়েছেন। তবে এ রকম অনেক প্রকল্প চালু হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ট্রেন চলছে না।
রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ। তারপর যথাক্রমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, খুলনা-মোংলা ও আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প। এ প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকার বেশি। অথচ এগুলোতে ট্রেন চলছে মাত্র ৭টি। এগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে দেশের রেলকে যুক্ত করা আখাউড়া-আগরতলা রুটে একটি ট্রেনও চলছে না। ৩৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে ট্রেন চালু রয়েছে ৪টি এবং ১৮ হাজার কোটি টাকার দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে মাত্র দুটি। রেলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর, রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জ লাইনে প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী মেলেনি। মধুখালী-মাগুরা রেলপথের কাজ শেষ হলে একই অবস্থা হতে পারে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদীউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ঠিকাদারদের সুবিধায় রেলের অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখানে লাভ-লোকসান কিংবা জনগণের জন্য কতটা উপযোগী, সেটা ভাবা হয়নি। এতে রাজনৈতিক নেতা ও ঠিকাদারদের দুষ্টচক্রই কেবল লাভবান হয়েছে।’
২০২২-২৩ অর্থবছরে রেলের আয় ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, আর ব্যয় ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ লোকসান হয় ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। রেলের লোকসানের বোঝা বাড়ানোর পেছনে অযৌক্তিক প্রকল্পের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কথা আর কাজের ফারাকের নমুনা
রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং পুরোনো লাইন সংস্কার প্রকল্পের বিষয়ে বলা হয়েছিল, এই লাইন দিয়ে দিনে ১৪টি ট্রেন চলবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন হয়। এখন পর্যন্ত এই পথে ট্রেন চলছে মাত্র দুটি।
ঈশ্বরদী-ঢালারচর লাইনের প্রকল্প অনুমোদিত হয় ২০১০ সালে। ২০১৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্পন্ন হয় ২০১৮ সালে। শুরুতে ধরা ৯৮৩ কোটি টাকা ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭১৫ কোটিতে। এ পথের বিষয়ে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা হয়নি। উদ্বোধনের পর দুই বছর আদৌ কোনো ট্রেন চলেনি। ২০২০ সালে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে এক জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। চলার কথা ছিল ১০টি। রেলওয়ে সূত্র বলছে, প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী ও পাবনার বাসিন্দা প্রয়াত এ কে খোন্দকারের আগ্রহে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণ, করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরুই হয় ২০২১ সালের মে মাসে। প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় জানিয়েছে, এর কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের মধ্যে। তবে ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ২-৩টির বেশি আন্তনগর ট্রেন চলবে না। ফলে এটি হতে যাচ্ছে আরেকটি ‘সাদা হাতি’ প্রকল্প। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের একক আগ্রহে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।
ভারতের অর্থায়নে খুলনা থেকে মোংলা বন্দরে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ বসানো হয়। মোংলা বন্দর থেকে খুলনা ও যশোর হয়ে ভারতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজ করা এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল। তবে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর উদ্বোধনের দীর্ঘ সাত মাস পর গত ১ জুন থেকে পুরোনো ইঞ্জিন ও বগি দিয়ে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটিমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে এই লাইনে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর যা অবস্থা
দেশের রেল যোগাযোগের ‘লাইফ লাইন’ খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার কমিয়ে বিকল্প (কডলাইন) রেলরুট তৈরি করার প্রকল্প থমকে গেছে। ২৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লাইন হলে ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা। কয়েক দশক ধরে আলোচনা চলার পরে ২০১০ সালে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। রেলের সূত্র বলেছে, মন্ত্রণালয়ের ‘অদৃশ্য ইশারায়’ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রেল কর্তৃপক্ষ এর কারণ বলতে পারছে না। প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, গত ১২ মার্চ মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনাপত্র জারি করে কাজ স্থগিত করে।
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। অগ্রগতি না হওয়ায় দুই দফা সময় বাড়িয়ে তা ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন থেকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রানীরহাট পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কথা। অর্থায়নের জটিলতায় ভারতীয় ঋণের এ প্রকল্পের অগ্রগতি নেই। ভারতের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের টানাপোড়েনে দৃশ্যত তা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
২০১৬ সালে চীনের ঋণে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন তৈরির বিষয়ে সমঝোতা হয়। শর্ত অনুযায়ী কাজ পায় চীনের ঠিকাদার সিসিইসিসি। কিন্তু চীন ২০২০ সালে প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাকে (জাইকা) বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়। ২০২১ সালে জাইকা কাজ শুরু করলেও প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি নেই। কারণ, জাইকা আবার সমীক্ষা করতে বলছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী প্রকল্প আগামী পাঁচ বছরেও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা নেই। অগ্রগতি নেই টঙ্গী-জামালপুর ডাবল রেললাইন ও ঢাকা-সিলেট ডাবল রেললাইন প্রকল্পেরও।
এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত করার পরিকল্পনা থাকলেও এডিবি, বিশ্বব্যাংক, জাইকার মতো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর অর্থায়ন সঠিক সময়ে না হওয়ায় করতে পারি না। অনেক কিছু তো আমাদের হাতে নেই। তাদের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হয়।’
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের চেয়ে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দিকে নজর বেশি কেন—এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন মন্ত্রণালয় হঠাৎ চিঠি দিয়ে বন্ধ করে দেয়। বগুড়া-সিরাজগঞ্জসহ ভারতীয় ঋণের প্রকল্পে অর্থায়ন চেয়ে বারবার চিঠি দিলেও দাতার কোনো সাড়া নেই। একটা চিঠি দিলে জবাব পেতে ৬ মাস সময় লাগে।’

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে। রেলের তৎকালীন মন্ত্রী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উৎসাহে অগ্রাধিকার দেওয়া বিপুল ব্যয়ের এসব প্রকল্পে ট্রেন চলে মাত্র কয়েকটি। অথচ সম্ভাব্য লাভজনক প্রকল্পের কাজ চলেছে ধীরগতিতে। কোনোটি বন্ধও হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাষ্ট্র তথা জনস্বার্থ।
রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ‘এলাকাপ্রীতির জন্য’ উৎসাহের সঙ্গে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু থমকে গেছে অনেক ‘লাইফ লাইন’ (অতি প্রয়োজনীয়) প্রকল্প। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন (বিকল্প), বগুড়া-সিরাজগঞ্জ, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন প্রকল্প, ঢাকা-সিলেট ডাবল লাইন, ঢাকা-জামালপুর ডাবল লাইন প্রকল্প। চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এসব প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন সমীক্ষার পর বন্ধই হয়ে গেছে।
রেলসূত্র বলছে, যখন যিনি রেলে মন্ত্রী হয়ে আসেন, তখন তাঁর এলাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নূরুল ইসলাম সুজন মন্ত্রী থাকার সময় উত্তরবঙ্গ বেশি অগ্রাধিকার পেয়েছে। আবার সর্বশেষ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের সময়ে অগ্রাধিকার ছিল দক্ষিণবঙ্গকেন্দ্রিক। অন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাও সুযোগ-সুবিধামতো নিজেদের এলাকাভিত্তিক প্রকল্প পাস করিয়ে নিয়েছেন। তবে এ রকম অনেক প্রকল্প চালু হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী ট্রেন চলছে না।
রেলওয়ের সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ। তারপর যথাক্রমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, খুলনা-মোংলা ও আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প। এ প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকার বেশি। অথচ এগুলোতে ট্রেন চলছে মাত্র ৭টি। এগুলোর মধ্যে ভারতের সঙ্গে দেশের রেলকে যুক্ত করা আখাউড়া-আগরতলা রুটে একটি ট্রেনও চলছে না। ৩৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে ট্রেন চালু রয়েছে ৪টি এবং ১৮ হাজার কোটি টাকার দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে মাত্র দুটি। রেলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পাবনার ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর, রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জ লাইনে প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী মেলেনি। মধুখালী-মাগুরা রেলপথের কাজ শেষ হলে একই অবস্থা হতে পারে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদীউজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ঠিকাদারদের সুবিধায় রেলের অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখানে লাভ-লোকসান কিংবা জনগণের জন্য কতটা উপযোগী, সেটা ভাবা হয়নি। এতে রাজনৈতিক নেতা ও ঠিকাদারদের দুষ্টচক্রই কেবল লাভবান হয়েছে।’
২০২২-২৩ অর্থবছরে রেলের আয় ছিল ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, আর ব্যয় ৩ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ লোকসান হয় ১ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা। রেলের লোকসানের বোঝা বাড়ানোর পেছনে অযৌক্তিক প্রকল্পের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কথা আর কাজের ফারাকের নমুনা
রাজবাড়ী থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং পুরোনো লাইন সংস্কার প্রকল্পের বিষয়ে বলা হয়েছিল, এই লাইন দিয়ে দিনে ১৪টি ট্রেন চলবে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন হয়। এখন পর্যন্ত এই পথে ট্রেন চলছে মাত্র দুটি।
ঈশ্বরদী-ঢালারচর লাইনের প্রকল্প অনুমোদিত হয় ২০১০ সালে। ২০১৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্পন্ন হয় ২০১৮ সালে। শুরুতে ধরা ৯৮৩ কোটি টাকা ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৭১৫ কোটিতে। এ পথের বিষয়ে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা হয়নি। উদ্বোধনের পর দুই বছর আদৌ কোনো ট্রেন চলেনি। ২০২০ সালে ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে এক জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। চলার কথা ছিল ১০টি। রেলওয়ে সূত্র বলছে, প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী ও পাবনার বাসিন্দা প্রয়াত এ কে খোন্দকারের আগ্রহে।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুরের মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত চার বছর মেয়াদি ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণ, করোনা মহামারিসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরুই হয় ২০২১ সালের মে মাসে। প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় জানিয়েছে, এর কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের মধ্যে। তবে ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ২-৩টির বেশি আন্তনগর ট্রেন চলবে না। ফলে এটি হতে যাচ্ছে আরেকটি ‘সাদা হাতি’ প্রকল্প। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস ও সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের একক আগ্রহে এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।
ভারতের অর্থায়নে খুলনা থেকে মোংলা বন্দরে ট্রেনে পণ্য পরিবহনের লক্ষ্যে ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথ বসানো হয়। মোংলা বন্দর থেকে খুলনা ও যশোর হয়ে ভারতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি সহজ করা এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল। তবে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর উদ্বোধনের দীর্ঘ সাত মাস পর গত ১ জুন থেকে পুরোনো ইঞ্জিন ও বগি দিয়ে ‘মোংলা কমিউটার’ নামে একটিমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে এই লাইনে।
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর যা অবস্থা
দেশের রেল যোগাযোগের ‘লাইফ লাইন’ খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব ৯০ কিলোমিটার কমিয়ে বিকল্প (কডলাইন) রেলরুট তৈরি করার প্রকল্প থমকে গেছে। ২৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ লাইন হলে ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা। কয়েক দশক ধরে আলোচনা চলার পরে ২০১০ সালে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। রেলের সূত্র বলেছে, মন্ত্রণালয়ের ‘অদৃশ্য ইশারায়’ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। রেল কর্তৃপক্ষ এর কারণ বলতে পারছে না। প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, গত ১২ মার্চ মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশনাপত্র জারি করে কাজ স্থগিত করে।
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। অগ্রগতি না হওয়ায় দুই দফা সময় বাড়িয়ে তা ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। এ প্রকল্পে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন থেকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রানীরহাট পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কথা। অর্থায়নের জটিলতায় ভারতীয় ঋণের এ প্রকল্পের অগ্রগতি নেই। ভারতের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কের টানাপোড়েনে দৃশ্যত তা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
২০১৬ সালে চীনের ঋণে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে ডুয়েলগেজ লাইন তৈরির বিষয়ে সমঝোতা হয়। শর্ত অনুযায়ী কাজ পায় চীনের ঠিকাদার সিসিইসিসি। কিন্তু চীন ২০২০ সালে প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থাকে (জাইকা) বিনিয়োগের প্রস্তাব দেয়। ২০২১ সালে জাইকা কাজ শুরু করলেও প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি নেই। কারণ, জাইকা আবার সমীক্ষা করতে বলছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী প্রকল্প আগামী পাঁচ বছরেও বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা নেই। অগ্রগতি নেই টঙ্গী-জামালপুর ডাবল রেললাইন ও ঢাকা-সিলেট ডাবল রেললাইন প্রকল্পেরও।
এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত করার পরিকল্পনা থাকলেও এডিবি, বিশ্বব্যাংক, জাইকার মতো উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর অর্থায়ন সঠিক সময়ে না হওয়ায় করতে পারি না। অনেক কিছু তো আমাদের হাতে নেই। তাদের ওপর আমাদের নির্ভর করতে হয়।’
গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের চেয়ে অগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের দিকে নজর বেশি কেন—এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম কডলাইন মন্ত্রণালয় হঠাৎ চিঠি দিয়ে বন্ধ করে দেয়। বগুড়া-সিরাজগঞ্জসহ ভারতীয় ঋণের প্রকল্পে অর্থায়ন চেয়ে বারবার চিঠি দিলেও দাতার কোনো সাড়া নেই। একটা চিঠি দিলে জবাব পেতে ৬ মাস সময় লাগে।’

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এমনটা কখনো দেয়নি। তাই আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করব। শহীদ মিনারে গিয়ে নেতারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। আগামীকাল থেকে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’
গত শনিবার থেকে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকেরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তাঁরা গতকাল রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা।
তৃতীয় দিনের অবস্থান ও দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি শেষে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।
শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগে একটি প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে গতকাল রোববার সারা দেশে কর্মবিরতি ও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে আশানুরূপ সমাধান না এলেও প্রথমে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা। তবে গভীর রাতে ফের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
এ ঘোষণার পর আজ দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কোটালীপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি করছেন শিক্ষকেরা। তবে তাঁরা বিদ্যালয়েই আছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ময়নুর রহমান মিলন জানান, প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় শিক্ষক সংগঠনগুলোর ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য গাইবান্ধায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই তাঁরা পুনরায় ক্লাসে ফিরবেন।
এই তিন দফা দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষকদের। এ সময় দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতারা। এরপর ওই দিন রাতেই শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি দেশজুড়ে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
সভা শেষে আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের একাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, এমনটা কখনো দেয়নি। তাই আমরা আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করব। শহীদ মিনারে গিয়ে নেতারা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। আগামীকাল থেকে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’
গত শনিবার থেকে দশম গ্রেডের দাবিতে শিক্ষকেরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে তাঁরা গতকাল রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। দশম গ্রেডে বেতন, চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড পাওয়া নিয়ে জটিলতা নিরসন এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তাঁরা।
তৃতীয় দিনের অবস্থান ও দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতি শেষে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষে তাঁরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন।
শিক্ষকদের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে অর্থসচিব বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে অর্থ বিভাগে একটি প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ বিষয়টি পর্যালোচনা করবে। শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতির বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিদ্যমান বিধিমালার আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে।
এর আগে গতকাল রোববার সারা দেশে কর্মবিরতি ও শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পর সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে আশানুরূপ সমাধান না এলেও প্রথমে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন শিক্ষকেরা। তবে গভীর রাতে ফের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
এ ঘোষণার পর আজ দেশের প্রায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।’ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত বলেন, ঢাকার আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কোটালীপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি করছেন শিক্ষকেরা। তবে তাঁরা বিদ্যালয়েই আছেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ময়নুর রহমান মিলন জানান, প্রাথমিকের কেন্দ্রীয় শিক্ষক সংগঠনগুলোর ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য গাইবান্ধায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি চলছে। তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন হলেই তাঁরা পুনরায় ক্লাসে ফিরবেন।
এই তিন দফা দাবিতে গত শনিবার সকাল থেকে শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ওই দিন বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা ‘কলমবিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেন। বিকেল ৪টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসে কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায় শিক্ষকদের। এ সময় দেড় শতাধিক শিক্ষক আহত হওয়ার পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন শিক্ষক নেতারা। এরপর ওই দিন রাতেই শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি দেশজুড়ে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায়’ সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে ২ নভেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে সংশোধিত ওই বিধিমালার গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। রিটের পক্ষে শুক্লা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল। এর দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায়’ সংশোধন আনা হয়। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়। সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে ২ নভেম্বর প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরে সংশোধিত ওই বিধিমালার গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। রিটের পক্ষে শুক্লা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান।

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ নভেম্বর বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিটি এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। একই চিঠি অর্থসচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিটিআরসির এমন পদক্ষেপের তথ্য সামনে এল। এনইআইআর কার্যকর হলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া প্রতিটি হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হতে হবে। না হলে সেগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। চাইলেই একজনের সিম কার্ড আরেকজনের হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা যাবে না। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত নেটওয়ার্কে ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হবে। বিটিআরসি চাইছে, ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলোর পাশাপাশি যেগুলো ইতিমধ্যে দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে, সেগুলোকেও বৈধ করা হোক।
বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্মার্টফোন হ্যান্ডসেট অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই খাতের সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে যে সংখ্যক অননুমোদিত হ্যান্ডসেট রয়েছে, তার একটি বিশাল অংশ আগামী ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে অবিক্রীত থেকে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্কে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। বিশাল আর্থিক লোকসান থেকে রক্ষা পেতে এই খাতের ব্যবসায়ীরা বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। কারিগরি দিক বিবেচনায় অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই (ইউনিক কোড, যা প্রতিটি মোবাইল ফোনকে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়) বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর তথ্য বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামতসহ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
চিঠিতে মোবাইল ফোন ও ফোন উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বেশি। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যকরী ভূমিকার মাধ্যমে শুল্কহার যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের আমদানি শুল্ক প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশে অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আনা বন্ধ হবে। ফলে দেশে মোবাইলের উৎপাদন বাড়বে। একই সঙ্গে যেসব ব্র্যান্ডের বা মডেলের মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশে উৎপাদন হয় না, সেগুলোর বৈধভাবে আমদানির পরিমাণ বাড়বে। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য উচ্চ আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।
চিঠিতে বিটিআরসি বলেছে, ‘বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন কর কমানোর জন্য যদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তবে তা এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে যাতে দেশের অভ্যন্তরে স্থাপিত মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্প এবং এ খাতে কর্মরত সকলের স্বার্থ রক্ষা হয়।’
সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনটি বিষয়ে এনবিআরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। এগুলো হলো ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলো বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করা হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, দেশের অভ্যন্তরে কারখানায় মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর ব্যবস্থা এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা ও দেশের অভ্যন্তরে তৈরি মোবাইল সেটের শুল্কের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
বিটিআরসির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. জাকির হোসেন খান এনবিআরের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে এর বেশি কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৪ নভেম্বর বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিটি এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়। একই চিঠি অর্থসচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে বিটিআরসির এমন পদক্ষেপের তথ্য সামনে এল। এনইআইআর কার্যকর হলে ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হওয়া প্রতিটি হ্যান্ডসেট নিবন্ধিত হতে হবে। না হলে সেগুলো নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। চাইলেই একজনের সিম কার্ড আরেকজনের হ্যান্ডসেটে ব্যবহার করা যাবে না। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগপর্যন্ত নেটওয়ার্কে ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধন হবে। বিটিআরসি চাইছে, ব্যবহার হতে থাকা ফোনগুলোর পাশাপাশি যেগুলো ইতিমধ্যে দেশের বাজারে প্রবেশ করেছে, সেগুলোকেও বৈধ করা হোক।
বিটিআরসির চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে একটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক স্মার্টফোন হ্যান্ডসেট অবৈধ পথে অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এই খাতের সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে যে সংখ্যক অননুমোদিত হ্যান্ডসেট রয়েছে, তার একটি বিশাল অংশ আগামী ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে অবিক্রীত থেকে যাবে। পরবর্তী সময়ে এই হ্যান্ডসেটগুলো নেটওয়ার্কে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে না। বিশাল আর্থিক লোকসান থেকে রক্ষা পেতে এই খাতের ব্যবসায়ীরা বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে। কারিগরি দিক বিবেচনায় অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই (ইউনিক কোড, যা প্রতিটি মোবাইল ফোনকে শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়) বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলোর তথ্য বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামতসহ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
চিঠিতে মোবাইল ফোন ও ফোন উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর বিষয়ে বলা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বেশি। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেটের দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তাই এ ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যকরী ভূমিকার মাধ্যমে শুল্কহার যৌক্তিকভাবে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে।
চিঠিতে জানানো হয়, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানি করা মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের আমদানি শুল্ক প্রায় ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এনইআইআর সিস্টেম চালু হলে দেশে অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আনা বন্ধ হবে। ফলে দেশে মোবাইলের উৎপাদন বাড়বে। একই সঙ্গে যেসব ব্র্যান্ডের বা মডেলের মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশে উৎপাদন হয় না, সেগুলোর বৈধভাবে আমদানির পরিমাণ বাড়বে। তাই মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযোজ্য উচ্চ আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনা প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন।
চিঠিতে বিটিআরসি বলেছে, ‘বাংলাদেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন কর কমানোর জন্য যদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তবে তা এমনভাবে সমন্বয় করতে হবে যাতে দেশের অভ্যন্তরে স্থাপিত মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্প এবং এ খাতে কর্মরত সকলের স্বার্থ রক্ষা হয়।’
সার্বিক দিক বিবেচনায় তিনটি বিষয়ে এনবিআরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। এগুলো হলো ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা অননুমোদিত হ্যান্ডসেটগুলো বিটিআরসির ডেটাবেইসে সংযুক্ত করা হলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্কায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত, দেশের অভ্যন্তরে কারখানায় মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর ব্যবস্থা এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা ও দেশের অভ্যন্তরে তৈরি মোবাইল সেটের শুল্কের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
বিটিআরসির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. জাকির হোসেন খান এনবিআরের চেয়ারম্যানকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে এর বেশি কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তবে কী বিষয় নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
আজ সোমবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তবে কী বিষয় নিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

সেবার আওতা এবং আয় বাড়ানোকে লক্ষ্য দেখিয়ে রেলওয়ের জন্য গত এক যুগে কয়েক ডজন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আয় বাড়ানোর লক্ষ্যের কথা বলা হলেও এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ প্রকল্প বরং রেলের ব্যয়ের বোঝা বাড়িয়েছে।
১৯ অক্টোবর ২০২৪
একাদশ গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা দেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া-সংক্রান্ত বিধান কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ-সংক্রান্ত করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি...
২ ঘণ্টা আগে
বাজারে থাকা অননুমোদিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটের বৈধতা দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে মোবাইল ফোন সেট ও ফোন সেট উৎপাদনের যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক এবং দেশে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের ভ্যাট কমানোর কথাও বলা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে