আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সরকারনির্ধারিত মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভের মধ্যে ঢাকা ও গাজীপুরের যেসব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ভাঙচুর না হওয়া কারখানাও রয়েছে। মোট ১৪৭টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার কথা জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
শিল্প পুলিশ কারখানা ভাঙচুর ও বন্ধের যে হিসাব দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ভাঙচুর হওয়া ১২৭টির বাইরেও ২০টি কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যে গতকাল শনিবার পর্যন্ত অন্তত ১২৭টি কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরেই রয়েছে ১২৩টি। এসব ঘটনায় মোট মামলা হয়েছে ২৭টি। পুলিশ ইতিমধ্যে ৯২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে শিল্প পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) জাকির হোসেন খান বলেছেন, শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে একটা গ্রুপের উসকানি রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করা হবে।
সাভারে ১৩০ কারখানা বন্ধ
সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে ১৩০টি পোশাক কারখানা গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, যেসব কারখানার শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ করেন না, শ্রম আইন অনুযায়ী ওই সব কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর ও কাঠগড়া এলাকার এআর জিন্স প্রোডিউসার লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রসওয়্যার লিমিটেড, ছেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটাউন লিমিটেড, অরনেট নিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ শতাধিক পোশাক কারখানার গেটে বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে। নোটিশে বন্ধের কারণ হিসেবে শ্রমিকদের কাজ না করে বসে থাকা ও ভাঙচুর করাসহ বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
কাঠগড়া এলাকার আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকেরা কারখানায় এসে ফেস পাঞ্চ করেন। তাঁরা কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পর কারখানা ত্যাগ করে বাইরে চলে যান। নিরুপায় হয়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৫ নভেম্বর কাজে যোগ দিয়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকেরা কাজ করেন। ৭ নভেম্বর বেতন দেওয়া হলে ৮ নভেম্বর থেকে তাঁরা আবারও কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নামেন। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলো।’
এসপি সারোয়ার আলম বলেন, ‘ওই সব কারখানার নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং থাকবে।’
পুলিশ জানায়, কারখানা ভাঙচুর, বিক্ষোভ, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে।
উসকানিদাতাদের খুঁজে বের করা হবে
গাজীপুর নগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় শ্রমিকদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত তুসুকা কারখানা পরিদর্শনে যান শিল্প পুলিশের ডিআইজি জাকির হোসেন খান। এ সময় তিনি জানান, গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভে ১২৩টি কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা করা হয়েছে ২২ টি। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৮ জনকে। মোট ১৭টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ডিআইজি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে একটা গ্রুপের উসকানি রয়েছে। তারা উসকানি দিচ্ছে আন্দোলন করার জন্য। যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তাদের খুঁজে বের করা হবে।’
সাধারণ শ্রমিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা এ ধ্বংসাত্মক কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যেসব শ্রমিক এবং ওই শ্রমিকদের সঙ্গে যেসব বহিরাগত যুক্ত ছিল, তারাই আতঙ্কিত হবে এবং তাদের আমরা গ্রেপ্তার করব।’
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার এবং গাজীপুর ও সাভার প্রতিনিধি]
সরকারনির্ধারিত মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভের মধ্যে ঢাকা ও গাজীপুরের যেসব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ভাঙচুর না হওয়া কারখানাও রয়েছে। মোট ১৪৭টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার কথা জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
শিল্প পুলিশ কারখানা ভাঙচুর ও বন্ধের যে হিসাব দিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, ভাঙচুর হওয়া ১২৭টির বাইরেও ২০টি কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া শ্রমিক বিক্ষোভের মধ্যে গতকাল শনিবার পর্যন্ত অন্তত ১২৭টি কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে গাজীপুরেই রয়েছে ১২৩টি। এসব ঘটনায় মোট মামলা হয়েছে ২৭টি। পুলিশ ইতিমধ্যে ৯২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে শিল্প পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) জাকির হোসেন খান বলেছেন, শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে একটা গ্রুপের উসকানি রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করা হবে।
সাভারে ১৩০ কারখানা বন্ধ
সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে ১৩০টি পোশাক কারখানা গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, যেসব কারখানার শ্রমিকেরা কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে কাজ করেন না, শ্রম আইন অনুযায়ী ওই সব কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর ও কাঠগড়া এলাকার এআর জিন্স প্রোডিউসার লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড, ক্রসওয়্যার লিমিটেড, ছেইন অ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটাউন লিমিটেড, অরনেট নিট গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ শতাধিক পোশাক কারখানার গেটে বন্ধের নোটিশ দেখা গেছে। নোটিশে বন্ধের কারণ হিসেবে শ্রমিকদের কাজ না করে বসে থাকা ও ভাঙচুর করাসহ বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
কাঠগড়া এলাকার আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকেরা কারখানায় এসে ফেস পাঞ্চ করেন। তাঁরা কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রেখে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পর কারখানা ত্যাগ করে বাইরে চলে যান। নিরুপায় হয়ে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ৫ নভেম্বর কাজে যোগ দিয়ে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকেরা কাজ করেন। ৭ নভেম্বর বেতন দেওয়া হলে ৮ নভেম্বর থেকে তাঁরা আবারও কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নামেন। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলো।’
এসপি সারোয়ার আলম বলেন, ‘ওই সব কারখানার নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং থাকবে।’
পুলিশ জানায়, কারখানা ভাঙচুর, বিক্ষোভ, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মোট পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে।
উসকানিদাতাদের খুঁজে বের করা হবে
গাজীপুর নগরীর কোনাবাড়ী এলাকায় শ্রমিকদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত তুসুকা কারখানা পরিদর্শনে যান শিল্প পুলিশের ডিআইজি জাকির হোসেন খান। এ সময় তিনি জানান, গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভে ১২৩টি কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা করা হয়েছে ২২ টি। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮৮ জনকে। মোট ১৭টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ডিআইজি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে একটা গ্রুপের উসকানি রয়েছে। তারা উসকানি দিচ্ছে আন্দোলন করার জন্য। যারা উসকানি দিচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তাদের খুঁজে বের করা হবে।’
সাধারণ শ্রমিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা এ ধ্বংসাত্মক কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যেসব শ্রমিক এবং ওই শ্রমিকদের সঙ্গে যেসব বহিরাগত যুক্ত ছিল, তারাই আতঙ্কিত হবে এবং তাদের আমরা গ্রেপ্তার করব।’
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার এবং গাজীপুর ও সাভার প্রতিনিধি]
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভুয়া প্রোফাইল খুলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সতর্ক করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
২২ মিনিট আগেদফায় দফায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে ছয় জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কয়েকটি স্থানে ইতিমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে পানি। এতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও ফসলের খেত। বাধ্য হয়ে অনেকে কাঁচা ধান কেটে ঘরে তুলছে। অনেকেই পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে নিরাপদ স্থানে।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তিতে ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর সাত দিন পর গত মঙ্গলবার বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কার্যকলাপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
২ ঘণ্টা আগেড্রোন শো পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশ থেকে চীনে যাচ্ছেন ১১ তরুণ গণমাধ্যমকর্মী। এক মাসের এ প্রশিক্ষণ চীনের সাংহাই ও গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার চীনা দূতাবাসে ড্রোন প্রশিক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও প্রেস কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান
৩ ঘণ্টা আগে