নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং আলোচিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ৩৯ জনের নামে করা তিন মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত শেষে শিগগিরই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের নামে ৩৪ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়ায় ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা। ওই মামলায় রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ রিলায়েন্সের ১৩ কর্মকর্তাকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড কোং-এর নামে ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে ৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩৩ হাজার ২০৩ টাকা। এ মামলাতেও এস আলমসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোং নামে কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ঋণ হিসেবে ২৪ কোটি টাকা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়িয়েছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ১৭২ টাকা। তদন্তে এস আলমসহ ১৩ জনকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং আলোচিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ৩৯ জনের নামে করা তিন মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত শেষে শিগগিরই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের নামে ৩৪ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়ায় ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা। ওই মামলায় রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ রিলায়েন্সের ১৩ কর্মকর্তাকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড কোং-এর নামে ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে ৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩৩ হাজার ২০৩ টাকা। এ মামলাতেও এস আলমসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোং নামে কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ঋণ হিসেবে ২৪ কোটি টাকা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়িয়েছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ১৭২ টাকা। তদন্তে এস আলমসহ ১৩ জনকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং আলোচিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ৩৯ জনের নামে করা তিন মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত শেষে শিগগিরই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের নামে ৩৪ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়ায় ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা। ওই মামলায় রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ রিলায়েন্সের ১৩ কর্মকর্তাকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড কোং-এর নামে ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে ৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩৩ হাজার ২০৩ টাকা। এ মামলাতেও এস আলমসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোং নামে কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ঋণ হিসেবে ২৪ কোটি টাকা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়িয়েছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ১৭২ টাকা। তদন্তে এস আলমসহ ১৩ জনকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং আলোচিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ৩৯ জনের নামে করা তিন মামলায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত শেষে শিগগিরই চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের নামে ৩৪ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়ায় ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা। ওই মামলায় রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ রিলায়েন্সের ১৩ কর্মকর্তাকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড কোং-এর নামে ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে ৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩৩ হাজার ২০৩ টাকা। এ মামলাতেও এস আলমসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তৃতীয় মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোং নামে কাগুজে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ঋণ হিসেবে ২৪ কোটি টাকা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়িয়েছে ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ১৭২ টাকা। তদন্তে এস আলমসহ ১৩ জনকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে।
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই আগামী ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’
১ ঘণ্টা আগেতাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি ও তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের
২ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, গতকাল মঙ্গলবার ও আজকে কিছু তথ্য এদিক-সেদিক করে প্রচারিত হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমি জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আশাবাদী, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও
৩ ঘণ্টা আগেবিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই আগামী ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে তিনি এই সিদ্ধান্ত জানান।
জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও সরকারপ্রধান বলেন, ‘নির্বাচনের কথা এসেছে, আমি সবসময় বলি, আবারো বলছি, বারে বারেই বলি, যত জায়গায় যাই... এই যে সম্মেলন করলাম, সেখানেও বলে এসেছি, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। এই যে ঐকমত্য কমিশনের যে সনদ, এটা সনদেরই (ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন) অংশ। এটার সঙ্গে এটা জড়িত। এই যে ঘোষণা আমরা করলাম, এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এটা এমন না যে কথার কথা বলে ফেলেছি।... ওই রকম না। এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে এবং ওই যে বারবার বলেছি, এটা উৎসবমুখর নির্বাচন হবে।’
রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারা যেমন সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন, আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচনটা করে দেওয়া। তাহলেই আমাদের কাজ পরিণত হলো।’
সনদ ও নির্বাচন বিচ্ছিন্ন কোনো জিনিস নয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উত্তরণটা কীভাবে হবে, এটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সেটার উত্তরও জুলাই সনদে দেওয়া আছে। এই উত্তর নিয়ে যেন সন্তোষভাবে উত্তরণটা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবে রূপান্তরটি হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিপূর্ণ প্রচেষ্টা হবে, আপনারা যত কষ্ট করে এগুলো রচনা করছেন, সেটা যেন আমরা বাস্তবে রূপান্তর করতে পারি। নির্বাচনের মাধ্যমে এবং আমাদের দৈনন্দিন রাজনৈতিক মাধ্যমে যেন আমরা সেটাকে রূপান্তর করতে পারি। এই হলো আমাদের আশা। আগামী শুক্রবারে আমরা সেই আশাকে সারা জাতির সামনে নিয়ে আসব।’
১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা উৎসবমুখরভাবে সেখানে যাব এবং এই দলিলে সই করব এবং উৎসব করব। সবাই, সারা জাতি এটায় শরিক হবে। আপনারা তাদের সামনের সারির মানুষ, যাঁরা প্রকৃত সই করছেন। সারা দেশের মানুষ চিন্তার মধ্যে, তাদের ভাবনার মধ্যে আপনাদের সঙ্গে সই করছে।...জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে ‘রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনকে একান্তভাবে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য তিনি আজ এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে, কঠিন কঠিন বিষয়ে আলোচনা করা এবং সন্তোষজনকভাবে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন মিলে এর সমাপ্তি আনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ধন্যবাদ জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যে অসম্ভবকে আপনারা সম্ভব করেছেন, এটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর পলিটিক্যাল সিস্টেমের (রাজনৈতিক ব্যবস্থার) ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে।’
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই আগামী ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’ বৈঠকে তিনি এই সিদ্ধান্ত জানান।
জুলাই জাতীয় সনদ প্রণয়নের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও সরকারপ্রধান বলেন, ‘নির্বাচনের কথা এসেছে, আমি সবসময় বলি, আবারো বলছি, বারে বারেই বলি, যত জায়গায় যাই... এই যে সম্মেলন করলাম, সেখানেও বলে এসেছি, ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবেই। এই যে ঐকমত্য কমিশনের যে সনদ, এটা সনদেরই (ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন) অংশ। এটার সঙ্গে এটা জড়িত। এই যে ঘোষণা আমরা করলাম, এটা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এটা এমন না যে কথার কথা বলে ফেলেছি।... ওই রকম না। এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে এবং ওই যে বারবার বলেছি, এটা উৎসবমুখর নির্বাচন হবে।’
রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনারা যেমন সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন, আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচনটা করে দেওয়া। তাহলেই আমাদের কাজ পরিণত হলো।’
সনদ ও নির্বাচন বিচ্ছিন্ন কোনো জিনিস নয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, উত্তরণটা কীভাবে হবে, এটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সেটার উত্তরও জুলাই সনদে দেওয়া আছে। এই উত্তর নিয়ে যেন সন্তোষভাবে উত্তরণটা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবে রূপান্তরটি হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিপূর্ণ প্রচেষ্টা হবে, আপনারা যত কষ্ট করে এগুলো রচনা করছেন, সেটা যেন আমরা বাস্তবে রূপান্তর করতে পারি। নির্বাচনের মাধ্যমে এবং আমাদের দৈনন্দিন রাজনৈতিক মাধ্যমে যেন আমরা সেটাকে রূপান্তর করতে পারি। এই হলো আমাদের আশা। আগামী শুক্রবারে আমরা সেই আশাকে সারা জাতির সামনে নিয়ে আসব।’
১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা উৎসবমুখরভাবে সেখানে যাব এবং এই দলিলে সই করব এবং উৎসব করব। সবাই, সারা জাতি এটায় শরিক হবে। আপনারা তাদের সামনের সারির মানুষ, যাঁরা প্রকৃত সই করছেন। সারা দেশের মানুষ চিন্তার মধ্যে, তাদের ভাবনার মধ্যে আপনাদের সঙ্গে সই করছে।...জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে ‘রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনকে একান্তভাবে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য তিনি আজ এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে, কঠিন কঠিন বিষয়ে আলোচনা করা এবং সন্তোষজনকভাবে রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন মিলে এর সমাপ্তি আনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের ধন্যবাদ জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যে অসম্ভবকে আপনারা সম্ভব করেছেন, এটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, পৃথিবীর পলিটিক্যাল সিস্টেমের (রাজনৈতিক ব্যবস্থার) ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের নামে ৩৪ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়ায় ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা।
২ ঘণ্টা আগেতাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি ও তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের
২ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, গতকাল মঙ্গলবার ও আজকে কিছু তথ্য এদিক-সেদিক করে প্রচারিত হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমি জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আশাবাদী, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও
৩ ঘণ্টা আগেবিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নারী ও শিশুদের টার্গেট করে আক্রমণ করা হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার শুনানিতে আজ বুধবার তিনি এ কথা জানান।
এই মামলায় আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ চতুর্থ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর।
শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা চৌধুরী মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় ইতিমধ্যে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শুনানির সময় তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি এবং তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছেও। এই অপরাধীদের নির্দেশে প্রতিটি জায়গায় মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যাতে নিহত হন ১ হাজার ৪০০ জন এবং আহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার। অনেককে জানাজা ও লাশ দাফনে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক লাশ স্বজনদের দেওয়া হয়নি, যা বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে চিফ প্রসিকিউটর জাতিসংঘের প্রতিবেদন তুলে ধরেন, যেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের নির্দেশনার কথা উল্লেখ রয়েছে। তিনি তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি, বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বুলেট-পিলেট উদ্ধারের তথ্য, জুলাই শহীদদের নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশিত ১০ খণ্ডের বই, জুলাই যোদ্ধাদের তালিকার তথ্য, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিবেদন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন, আমার দেশ পত্রিকার ৫৪টি প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সংবাদ সম্মেলন, যাত্রাবাড়ীতে বর্বর হত্যাকাণ্ড, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ভিডিও দেখানো হয় ট্রাইব্যুনালে। এ ছাড়া আন্দোলনে আহত ও নিহতদের শরীর থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন প্রকার গুলিও ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর।
কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনের তারিখ ৮ ডিসেম্বর
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলার ৪৫ আসামির মধ্যে ১৭ জন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জনকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে হাজির করা ১৬ জন হলেন আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, আমির হোসেন আমু, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার, সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলামকে ৩০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি চান্দগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরের পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুরে মো. ওয়াসিম আকরাম, ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও মো. ফারুক হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং জুলাই আন্দোলনে নিরীহ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ২৫ টির বেশি মিথ্যা মামলা করে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নারী ও শিশুদের টার্গেট করে আক্রমণ করা হয়েছে বলে ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার শুনানিতে আজ বুধবার তিনি এ কথা জানান।
এই মামলায় আজ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ চতুর্থ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর।
শেখ হাসিনা ছাড়া এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা চৌধুরী মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় ইতিমধ্যে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শুনানির সময় তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বিটিভির মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি এবং তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছেও। এই অপরাধীদের নির্দেশে প্রতিটি জায়গায় মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যাতে নিহত হন ১ হাজার ৪০০ জন এবং আহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার। অনেককে জানাজা ও লাশ দাফনে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক লাশ স্বজনদের দেওয়া হয়নি, যা বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে চিফ প্রসিকিউটর জাতিসংঘের প্রতিবেদন তুলে ধরেন, যেখানে হেলিকপ্টার ব্যবহারের নির্দেশনার কথা উল্লেখ রয়েছে। তিনি তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি, বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বুলেট-পিলেট উদ্ধারের তথ্য, জুলাই শহীদদের নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশিত ১০ খণ্ডের বই, জুলাই যোদ্ধাদের তালিকার তথ্য, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিবেদন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদন, আমার দেশ পত্রিকার ৫৪টি প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
হেলিকপ্টার থেকে গুলি, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সংবাদ সম্মেলন, যাত্রাবাড়ীতে বর্বর হত্যাকাণ্ড, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ভিডিও দেখানো হয় ট্রাইব্যুনালে। এ ছাড়া আন্দোলনে আহত ও নিহতদের শরীর থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন প্রকার গুলিও ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর।
কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনের তারিখ ৮ ডিসেম্বর
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলার ৪৫ আসামির মধ্যে ১৭ জন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁদের মধ্যে ১৬ জনকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
ট্রাইব্যুনালে হাজির করা ১৬ জন হলেন আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, আমির হোসেন আমু, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি, গোলাম দস্তগীর গাজী, শাজাহান খান, জুনাইদ আহমেদ পলক, কামাল আহমেদ মজুমদার, সোলায়মান মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক সচিব মো. জাহাংগীর আলম ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলামকে ৩০ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি চান্দগাঁও থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরের পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুরে মো. ওয়াসিম আকরাম, ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও মো. ফারুক হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততা এবং জুলাই আন্দোলনে নিরীহ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ২৫ টির বেশি মিথ্যা মামলা করে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের নামে ৩৪ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়ায় ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা।
২ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই আগামী ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’
১ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, গতকাল মঙ্গলবার ও আজকে কিছু তথ্য এদিক-সেদিক করে প্রচারিত হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমি জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আশাবাদী, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও
৩ ঘণ্টা আগেবিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, জাতীয় সনদের কপি শুধু স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নয়, পরবর্তীতেও যেন প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এ বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ জানানো হবে, সনদ যেন সবার কাছে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। নাগরিকেরা যাতে বুঝতে পারেন, রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কী ঐকমত্যে পৌঁছেছে, রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা কী এবং অগ্রগতি কত দূর হয়েছে। এসব যেন তাঁরা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।’
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘অতি জরুরি বৈঠকে’র সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত আছেন কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে আপনারা যে সহায়তা করেছেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। স্থায়ী অনুষ্ঠানে আমরা চাই, জাতীয় নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত অতিথিরাও উপস্থিত থাকুন। সেই বিবেচনা থেকে আপনাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, যেন আপনাদের দলের অধিকাংশ অতিথির তালিকা আমরা পাই। এখন অধিকাংশ দলের কাছ থেকে তালিকা পেয়েছি এবং আগামীকাল থেকেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।’
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, ‘অনুষ্ঠানের একটি বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আমরা এমনভাবে আয়োজন করব, যাতে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন। জাতীয় সনদ সব তথ্য মিলিয়ে ৪০ পৃষ্ঠার মতো হয়েছে। তবে স্বাক্ষরের জন্য আমরা কেবল অঙ্গীকারনামার পাতাটি রাখব, যাতে আপনারা সবাই স্বাক্ষর করতে পারেন। স্বাক্ষর সম্পন্ন হলে সেটি সংরক্ষিত হবে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, গতকাল মঙ্গলবার ও আজকে কিছু তথ্য এদিক-সেদিক করে প্রচারিত হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমি জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আশাবাদী, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে এই প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর যে সংস্কার কমিশনগুলো গঠিত হয়েছিল, তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ প্রণয়ন করে। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা ৮৪টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কিছু বিষয়ে সামান্য ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে, যা জাতীয় সনদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। এতে বোঝা যাবে, কোন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, কোথায় ভিন্নমত ছিল এবং ভবিষ্যতে কোন প্রস্তাব বা সুপারিশ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘এই পুরো প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে, বিশেষ করে আপনাদের পক্ষ থেকে, জাতীয় ঐকমত্য পরিষদ যে আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা যে পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি, তা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে অভূতপূর্ব, সম্ভবত পৃথিবীরও বিরল দৃষ্টান্ত। এর মধ্য দিয়ে আপনারা যে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ধারা তৈরি করেছেন, তা অব্যাহত থাকবে—এ বিশ্বাস কমিশনের রয়েছে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা আশা করি, আপনারা এই ঐক্যের ধারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সর্বোপরি, জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবেই। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের শক্তিকে আমরা একত্রে বজায় রাখব—এই বিশ্বাসেই আমরা দাঁড়িয়ে আছি এবং সেটি অব্যাহত রাখব।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি, জাতীয় সনদের কপি শুধু স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নয়, পরবর্তীতেও যেন প্রত্যেক নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এ বিষয়ে সরকারকে অনুরোধ জানানো হবে, সনদ যেন সবার কাছে বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। নাগরিকেরা যাতে বুঝতে পারেন, রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো কী ঐকমত্যে পৌঁছেছে, রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা কী এবং অগ্রগতি কত দূর হয়েছে। এসব যেন তাঁরা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।’
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বুধবার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে ‘অতি জরুরি বৈঠকে’র সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে উপস্থিত আছেন কমিশনের সভাপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে আপনারা যে সহায়তা করেছেন, তার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। স্থায়ী অনুষ্ঠানে আমরা চাই, জাতীয় নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত অতিথিরাও উপস্থিত থাকুন। সেই বিবেচনা থেকে আপনাদের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, যেন আপনাদের দলের অধিকাংশ অতিথির তালিকা আমরা পাই। এখন অধিকাংশ দলের কাছ থেকে তালিকা পেয়েছি এবং আগামীকাল থেকেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।’
কমিশনের সহসভাপতি আরও বলেন, ‘অনুষ্ঠানের একটি বিষয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আমরা এমনভাবে আয়োজন করব, যাতে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নিতে পারেন। জাতীয় সনদ সব তথ্য মিলিয়ে ৪০ পৃষ্ঠার মতো হয়েছে। তবে স্বাক্ষরের জন্য আমরা কেবল অঙ্গীকারনামার পাতাটি রাখব, যাতে আপনারা সবাই স্বাক্ষর করতে পারেন। স্বাক্ষর সম্পন্ন হলে সেটি সংরক্ষিত হবে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, গতকাল মঙ্গলবার ও আজকে কিছু তথ্য এদিক-সেদিক করে প্রচারিত হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমি জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আশাবাদী, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন হবে।’
আলী রীয়াজ আরও বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে এই প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর যে সংস্কার কমিশনগুলো গঠিত হয়েছিল, তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ প্রণয়ন করে। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা ৮৪টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কিছু বিষয়ে সামান্য ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে, যা জাতীয় সনদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। এতে বোঝা যাবে, কোন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, কোথায় ভিন্নমত ছিল এবং ভবিষ্যতে কোন প্রস্তাব বা সুপারিশ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে।’
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি বলেন, ‘এই পুরো প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে, বিশেষ করে আপনাদের পক্ষ থেকে, জাতীয় ঐকমত্য পরিষদ যে আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা যে পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি, তা দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসে অভূতপূর্ব, সম্ভবত পৃথিবীরও বিরল দৃষ্টান্ত। এর মধ্য দিয়ে আপনারা যে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের ধারা তৈরি করেছেন, তা অব্যাহত থাকবে—এ বিশ্বাস কমিশনের রয়েছে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা আশা করি, আপনারা এই ঐক্যের ধারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সর্বোপরি, জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক ভিন্নতা থাকবেই। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কারের শক্তিকে আমরা একত্রে বজায় রাখব—এই বিশ্বাসেই আমরা দাঁড়িয়ে আছি এবং সেটি অব্যাহত রাখব।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের নামে ৩৪ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়ায় ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা।
২ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই আগামী ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’
১ ঘণ্টা আগেতাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি ও তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের
২ ঘণ্টা আগেবিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের অন্যতম প্রস্তাব ছিল। প্রধান বিচারপতির সংস্কার ভাবনার মধ্যেও এটা আছে। আমরা এ লক্ষ্যে অনেক দূর কাজ করেছি। কিছু বিষয়ে এখনো কিছু মতভিন্নতা আছে। সেটা নিয়ে আরেকটু আলাপের প্রয়োজন রয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অধ্যাদেশটা (খসড়া) উপদেষ্টা পরিষদে পেশ করা হবে।’
অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করলে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন করা যাবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা আগের সরকারের আমলে দেখতাম, সরকারি দলের লোকেরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লোকজনকে হুমকি দিত। আর এখন উপদেষ্টা পরিষদে থাকা লোকজনকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পক্ষ থেকে ইচ্ছামতো যা মুখে আসে, সমালোচনা করা হচ্ছে। এটা ভালো গণতান্ত্রিক উত্তরণ বলা যায়। তবে যাঁরা রাজনৈতিক দলে আছেন, তাঁদেরও বলে রাখি, একই ধরনের কথাবার্তা কেউ আপনাদের উদ্দেশে বললে, সেটা শোনার মানসিকতাও আপনাদের থাকতে হবে।’
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আমরা জাতীয় নির্বাচন করার ব্যাপার বদ্ধপরিকর। এটা নিয়ে কোনো রকম দ্বিতীয় চিন্তা আমরা কথা প্রসঙ্গেও আলোচনা করি না।’
বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের প্রস্তাব কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের অন্যতম প্রস্তাব ছিল। প্রধান বিচারপতির সংস্কার ভাবনার মধ্যেও এটা আছে। আমরা এ লক্ষ্যে অনেক দূর কাজ করেছি। কিছু বিষয়ে এখনো কিছু মতভিন্নতা আছে। সেটা নিয়ে আরেকটু আলাপের প্রয়োজন রয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অধ্যাদেশটা (খসড়া) উপদেষ্টা পরিষদে পেশ করা হবে।’
অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন করলে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন করা যাবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা আগের সরকারের আমলে দেখতাম, সরকারি দলের লোকেরা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লোকজনকে হুমকি দিত। আর এখন উপদেষ্টা পরিষদে থাকা লোকজনকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পক্ষ থেকে ইচ্ছামতো যা মুখে আসে, সমালোচনা করা হচ্ছে। এটা ভালো গণতান্ত্রিক উত্তরণ বলা যায়। তবে যাঁরা রাজনৈতিক দলে আছেন, তাঁদেরও বলে রাখি, একই ধরনের কথাবার্তা কেউ আপনাদের উদ্দেশে বললে, সেটা শোনার মানসিকতাও আপনাদের থাকতে হবে।’
নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আমরা জাতীয় নির্বাচন করার ব্যাপার বদ্ধপরিকর। এটা নিয়ে কোনো রকম দ্বিতীয় চিন্তা আমরা কথা প্রসঙ্গেও আলোচনা করি না।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের নামে জাল কাগজপত্র তৈরি করে ঋণের নামে ৩৪ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন, যা সুদে-আসলে দাঁড়ায় ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৮ টাকা।
২ ঘণ্টা আগে২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই আগামী ১৭ অক্টোবর জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে আজ বুধবার রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ‘অতি জরুরি’
১ ঘণ্টা আগেতাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে বলেন, সাক্ষীরা বলেছেন, গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা, যা আসাদুজ্জামান খান কামাল থেকে আইজিপি ও তাঁর থেকে প্রলয় কুমার জোয়ার্দারের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনারের কাছে পৌঁছায়। ডিএমপি কমিশনার অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার কাছে পৌঁছান, যা পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগের
২ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, গতকাল মঙ্গলবার ও আজকে কিছু তথ্য এদিক-সেদিক করে প্রচারিত হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে আমি জাতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা আশাবাদী, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও
৩ ঘণ্টা আগে