জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা

আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে।
ঘাত-প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত ছিল গত বছরটি। বাংলাদেশ ইতিহাসের এক তাৎপর্যময় সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছিল। স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ২০২৪ সালে ক্ষমতায় বসেছিল নতুন সরকার। নানা ধরনের সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে নতুন সরকার রচনা করেছিল তাদের যাত্রাপথ। কিন্তু ২০২৫ সালে পা রাখার মুহূর্তে অনেক ধরনের সংশয় এসে বাসা বেঁধেছে জনগণের মনে। কাঙ্ক্ষিত মুক্তির পথটিকে এখনো মনে হচ্ছে অনেক দূরের পথ। সবকিছুই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়ে পরিণত হবে কি না, সে সংশয় কাটছে না।
বাংলার জনগণ বারবার মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়, বারবার সে আকাঙ্ক্ষা মার খায়। ‘গোলামকে মুক্তি দিলেও সে খুঁজে নেয় আরেক মালিক’—এ কথা যেন সত্য না হয়, আপ্রাণ সে চেষ্টা থাকে মনে, কিন্তু ঘুরেফিরে যেন একই পরিণতি লেখা থাকে জনতার ললাটে।
বাংলার সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়। কিন্তু তারা জানে, সে মুক্তি কোনো তত্ত্বকথায় আসবে না। সংগ্রামের মাধ্যমেই খুলে যায় মুক্তির পথ। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সর্বোচ্চ প্রকাশ দেখা গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। ১৯৭১ সাল বাঙালির ইতিহাসে আর কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনীয় নয়। এ জাতি তাদের মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধ করেছিল এবং সে যুদ্ধে জয়ী হয়ে গড়ে তুলেছিল রাষ্ট্র।
৩০ লাখ শহীদের রক্তের অঙ্গীকারে রচিত হয়েছিল সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধান। অথচ সে সংবিধানের মর্যাদা রাখেনি শাসক দলগুলো। যে যখন ক্ষমতায় এসেছে, সংবিধানে বসিয়েছে কালো দাগ। নিজের মতো করে কাটাছেঁড়া করেছে। বুঝিয়েছে, এ পথেই মুক্তি মিলবে জনগণের। অথচ তা জনগণের মুক্তি আনেনি, বরং সংবিধানটাই হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। এ দেশ বারবার স্বৈরশাসক দেখেছে। বারবার তাদের হটিয়েছে, বারবার পড়েছে তাদেরই খপ্পরে।
তাই নতুন এ বছরে মুক্তির দরজা খোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে জনগণের। জনগণ যেন নতুন করে প্রতারিত না হয়, সেদিকে যেন দৃষ্টি থাকে তাদের। বাংলাদেশ মানে গ্রাম-শহর-বন্দর-পাহাড়-নদীঘেরা সীমানায় বসবাস করা মানুষ। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যে মানুষ ফসল ফলায়, ধান ভানে, সবজি চাষ করে, মাছ ধরে, খামার করে। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যারা কারখানায় পরিশ্রম করেন। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যাদের হৃদয়ে রয়েছে ভালোবাসা। হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসার স্থানে তারা ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরতে চায় একে অন্যকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এখনো হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসারই পদধ্বনি পাওয়া যায়। একে অন্যকে নিকেশ করে দেওয়ার শপথ নেয় এখনো চতুর রাজনীতিক। বাংলার মানুষ আশায় বুক বাঁধে, আশাহত হয়, আবার আশায় বুক বাঁধে। এ যেন এক অমোঘ চক্র, যার পরিবর্তন হয় না। অথচ এই পরিবর্তনটাই আমূল বদলে দিতে পারে দেশটাকে।
বাংলার জনগণ চায় অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র। বাংলার জনগণ চায় সুস্থ রাজনীতি। নির্বাচনের পথ ধরে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন না দিয়ে পেশিশক্তি অথবা টাকাওয়ালা ভুঁইফোড়দের মনোনয়ন দেয়। আমলাতন্ত্রে দেদার চলে ঘুষের লেনদেন। সুস্থ রাজনীতির পথ কণ্টকমুক্ত করা হলে এ দেশের মানুষ নিতে পারত স্বস্তির নিশ্বাস। সে পথটি বাংলার মানুষ খোঁজে। বাংলার জনগণ নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্বের সঙ্গে মেলাতে চায় নিজেকে। অথচ পুঁজির মালিকেরা সে সংস্কৃতিকে কলুষিত করে, বিকৃত করে। বিজাতীয় সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিতে চায়। সাধারণ জনগণ সে ঘেরাটোপ থেকে বের হতে চায়। বাংলার মানুষ চায় অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা ও শিক্ষার অধিকার। অথচ বেশির ভাগ মানুষের নাগালের বাইরেই এই অধিকারগুলো থেকে যায়। এ থেকে মুক্তিই তো সত্যিকারের স্বাধীনতা আনে।
খ্রিষ্টীয় ২০২৫ সাল বাংলাদেশকে পৌঁছে দিক মুক্তির ঠিকানায়। যারাই জনগণের সঙ্গে বেইমানি করবে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত হোক এ বছর। ফ্যাসিবাদের বদলে আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ যেন রাজনীতিতে জায়গা করে না নেয়। মব জাস্টিস যেন নির্বাসিত হয়। ২০২৫ সাল হোক জনগণের, ২০২৫ সাল হোক মুক্তির।

আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে।
ঘাত-প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত ছিল গত বছরটি। বাংলাদেশ ইতিহাসের এক তাৎপর্যময় সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছিল। স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ২০২৪ সালে ক্ষমতায় বসেছিল নতুন সরকার। নানা ধরনের সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে নতুন সরকার রচনা করেছিল তাদের যাত্রাপথ। কিন্তু ২০২৫ সালে পা রাখার মুহূর্তে অনেক ধরনের সংশয় এসে বাসা বেঁধেছে জনগণের মনে। কাঙ্ক্ষিত মুক্তির পথটিকে এখনো মনে হচ্ছে অনেক দূরের পথ। সবকিছুই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়ে পরিণত হবে কি না, সে সংশয় কাটছে না।
বাংলার জনগণ বারবার মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়, বারবার সে আকাঙ্ক্ষা মার খায়। ‘গোলামকে মুক্তি দিলেও সে খুঁজে নেয় আরেক মালিক’—এ কথা যেন সত্য না হয়, আপ্রাণ সে চেষ্টা থাকে মনে, কিন্তু ঘুরেফিরে যেন একই পরিণতি লেখা থাকে জনতার ললাটে।
বাংলার সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়। কিন্তু তারা জানে, সে মুক্তি কোনো তত্ত্বকথায় আসবে না। সংগ্রামের মাধ্যমেই খুলে যায় মুক্তির পথ। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সর্বোচ্চ প্রকাশ দেখা গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। ১৯৭১ সাল বাঙালির ইতিহাসে আর কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনীয় নয়। এ জাতি তাদের মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধ করেছিল এবং সে যুদ্ধে জয়ী হয়ে গড়ে তুলেছিল রাষ্ট্র।
৩০ লাখ শহীদের রক্তের অঙ্গীকারে রচিত হয়েছিল সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধান। অথচ সে সংবিধানের মর্যাদা রাখেনি শাসক দলগুলো। যে যখন ক্ষমতায় এসেছে, সংবিধানে বসিয়েছে কালো দাগ। নিজের মতো করে কাটাছেঁড়া করেছে। বুঝিয়েছে, এ পথেই মুক্তি মিলবে জনগণের। অথচ তা জনগণের মুক্তি আনেনি, বরং সংবিধানটাই হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। এ দেশ বারবার স্বৈরশাসক দেখেছে। বারবার তাদের হটিয়েছে, বারবার পড়েছে তাদেরই খপ্পরে।
তাই নতুন এ বছরে মুক্তির দরজা খোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে জনগণের। জনগণ যেন নতুন করে প্রতারিত না হয়, সেদিকে যেন দৃষ্টি থাকে তাদের। বাংলাদেশ মানে গ্রাম-শহর-বন্দর-পাহাড়-নদীঘেরা সীমানায় বসবাস করা মানুষ। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যে মানুষ ফসল ফলায়, ধান ভানে, সবজি চাষ করে, মাছ ধরে, খামার করে। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যারা কারখানায় পরিশ্রম করেন। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যাদের হৃদয়ে রয়েছে ভালোবাসা। হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসার স্থানে তারা ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরতে চায় একে অন্যকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এখনো হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসারই পদধ্বনি পাওয়া যায়। একে অন্যকে নিকেশ করে দেওয়ার শপথ নেয় এখনো চতুর রাজনীতিক। বাংলার মানুষ আশায় বুক বাঁধে, আশাহত হয়, আবার আশায় বুক বাঁধে। এ যেন এক অমোঘ চক্র, যার পরিবর্তন হয় না। অথচ এই পরিবর্তনটাই আমূল বদলে দিতে পারে দেশটাকে।
বাংলার জনগণ চায় অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র। বাংলার জনগণ চায় সুস্থ রাজনীতি। নির্বাচনের পথ ধরে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন না দিয়ে পেশিশক্তি অথবা টাকাওয়ালা ভুঁইফোড়দের মনোনয়ন দেয়। আমলাতন্ত্রে দেদার চলে ঘুষের লেনদেন। সুস্থ রাজনীতির পথ কণ্টকমুক্ত করা হলে এ দেশের মানুষ নিতে পারত স্বস্তির নিশ্বাস। সে পথটি বাংলার মানুষ খোঁজে। বাংলার জনগণ নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্বের সঙ্গে মেলাতে চায় নিজেকে। অথচ পুঁজির মালিকেরা সে সংস্কৃতিকে কলুষিত করে, বিকৃত করে। বিজাতীয় সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিতে চায়। সাধারণ জনগণ সে ঘেরাটোপ থেকে বের হতে চায়। বাংলার মানুষ চায় অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা ও শিক্ষার অধিকার। অথচ বেশির ভাগ মানুষের নাগালের বাইরেই এই অধিকারগুলো থেকে যায়। এ থেকে মুক্তিই তো সত্যিকারের স্বাধীনতা আনে।
খ্রিষ্টীয় ২০২৫ সাল বাংলাদেশকে পৌঁছে দিক মুক্তির ঠিকানায়। যারাই জনগণের সঙ্গে বেইমানি করবে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত হোক এ বছর। ফ্যাসিবাদের বদলে আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ যেন রাজনীতিতে জায়গা করে না নেয়। মব জাস্টিস যেন নির্বাসিত হয়। ২০২৫ সাল হোক জনগণের, ২০২৫ সাল হোক মুক্তির।
জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা

আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে।
ঘাত-প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত ছিল গত বছরটি। বাংলাদেশ ইতিহাসের এক তাৎপর্যময় সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছিল। স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ২০২৪ সালে ক্ষমতায় বসেছিল নতুন সরকার। নানা ধরনের সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে নতুন সরকার রচনা করেছিল তাদের যাত্রাপথ। কিন্তু ২০২৫ সালে পা রাখার মুহূর্তে অনেক ধরনের সংশয় এসে বাসা বেঁধেছে জনগণের মনে। কাঙ্ক্ষিত মুক্তির পথটিকে এখনো মনে হচ্ছে অনেক দূরের পথ। সবকিছুই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়ে পরিণত হবে কি না, সে সংশয় কাটছে না।
বাংলার জনগণ বারবার মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়, বারবার সে আকাঙ্ক্ষা মার খায়। ‘গোলামকে মুক্তি দিলেও সে খুঁজে নেয় আরেক মালিক’—এ কথা যেন সত্য না হয়, আপ্রাণ সে চেষ্টা থাকে মনে, কিন্তু ঘুরেফিরে যেন একই পরিণতি লেখা থাকে জনতার ললাটে।
বাংলার সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়। কিন্তু তারা জানে, সে মুক্তি কোনো তত্ত্বকথায় আসবে না। সংগ্রামের মাধ্যমেই খুলে যায় মুক্তির পথ। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সর্বোচ্চ প্রকাশ দেখা গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। ১৯৭১ সাল বাঙালির ইতিহাসে আর কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনীয় নয়। এ জাতি তাদের মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধ করেছিল এবং সে যুদ্ধে জয়ী হয়ে গড়ে তুলেছিল রাষ্ট্র।
৩০ লাখ শহীদের রক্তের অঙ্গীকারে রচিত হয়েছিল সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধান। অথচ সে সংবিধানের মর্যাদা রাখেনি শাসক দলগুলো। যে যখন ক্ষমতায় এসেছে, সংবিধানে বসিয়েছে কালো দাগ। নিজের মতো করে কাটাছেঁড়া করেছে। বুঝিয়েছে, এ পথেই মুক্তি মিলবে জনগণের। অথচ তা জনগণের মুক্তি আনেনি, বরং সংবিধানটাই হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। এ দেশ বারবার স্বৈরশাসক দেখেছে। বারবার তাদের হটিয়েছে, বারবার পড়েছে তাদেরই খপ্পরে।
তাই নতুন এ বছরে মুক্তির দরজা খোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে জনগণের। জনগণ যেন নতুন করে প্রতারিত না হয়, সেদিকে যেন দৃষ্টি থাকে তাদের। বাংলাদেশ মানে গ্রাম-শহর-বন্দর-পাহাড়-নদীঘেরা সীমানায় বসবাস করা মানুষ। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যে মানুষ ফসল ফলায়, ধান ভানে, সবজি চাষ করে, মাছ ধরে, খামার করে। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যারা কারখানায় পরিশ্রম করেন। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যাদের হৃদয়ে রয়েছে ভালোবাসা। হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসার স্থানে তারা ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরতে চায় একে অন্যকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এখনো হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসারই পদধ্বনি পাওয়া যায়। একে অন্যকে নিকেশ করে দেওয়ার শপথ নেয় এখনো চতুর রাজনীতিক। বাংলার মানুষ আশায় বুক বাঁধে, আশাহত হয়, আবার আশায় বুক বাঁধে। এ যেন এক অমোঘ চক্র, যার পরিবর্তন হয় না। অথচ এই পরিবর্তনটাই আমূল বদলে দিতে পারে দেশটাকে।
বাংলার জনগণ চায় অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র। বাংলার জনগণ চায় সুস্থ রাজনীতি। নির্বাচনের পথ ধরে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন না দিয়ে পেশিশক্তি অথবা টাকাওয়ালা ভুঁইফোড়দের মনোনয়ন দেয়। আমলাতন্ত্রে দেদার চলে ঘুষের লেনদেন। সুস্থ রাজনীতির পথ কণ্টকমুক্ত করা হলে এ দেশের মানুষ নিতে পারত স্বস্তির নিশ্বাস। সে পথটি বাংলার মানুষ খোঁজে। বাংলার জনগণ নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্বের সঙ্গে মেলাতে চায় নিজেকে। অথচ পুঁজির মালিকেরা সে সংস্কৃতিকে কলুষিত করে, বিকৃত করে। বিজাতীয় সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিতে চায়। সাধারণ জনগণ সে ঘেরাটোপ থেকে বের হতে চায়। বাংলার মানুষ চায় অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা ও শিক্ষার অধিকার। অথচ বেশির ভাগ মানুষের নাগালের বাইরেই এই অধিকারগুলো থেকে যায়। এ থেকে মুক্তিই তো সত্যিকারের স্বাধীনতা আনে।
খ্রিষ্টীয় ২০২৫ সাল বাংলাদেশকে পৌঁছে দিক মুক্তির ঠিকানায়। যারাই জনগণের সঙ্গে বেইমানি করবে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত হোক এ বছর। ফ্যাসিবাদের বদলে আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ যেন রাজনীতিতে জায়গা করে না নেয়। মব জাস্টিস যেন নির্বাসিত হয়। ২০২৫ সাল হোক জনগণের, ২০২৫ সাল হোক মুক্তির।

আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে।
ঘাত-প্রতিঘাতে বিপর্যস্ত ছিল গত বছরটি। বাংলাদেশ ইতিহাসের এক তাৎপর্যময় সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছিল। স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়ে দিয়ে ২০২৪ সালে ক্ষমতায় বসেছিল নতুন সরকার। নানা ধরনের সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে নতুন সরকার রচনা করেছিল তাদের যাত্রাপথ। কিন্তু ২০২৫ সালে পা রাখার মুহূর্তে অনেক ধরনের সংশয় এসে বাসা বেঁধেছে জনগণের মনে। কাঙ্ক্ষিত মুক্তির পথটিকে এখনো মনে হচ্ছে অনেক দূরের পথ। সবকিছুই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়ে পরিণত হবে কি না, সে সংশয় কাটছে না।
বাংলার জনগণ বারবার মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়, বারবার সে আকাঙ্ক্ষা মার খায়। ‘গোলামকে মুক্তি দিলেও সে খুঁজে নেয় আরেক মালিক’—এ কথা যেন সত্য না হয়, আপ্রাণ সে চেষ্টা থাকে মনে, কিন্তু ঘুরেফিরে যেন একই পরিণতি লেখা থাকে জনতার ললাটে।
বাংলার সাধারণ মানুষ মুক্তি চায়। কিন্তু তারা জানে, সে মুক্তি কোনো তত্ত্বকথায় আসবে না। সংগ্রামের মাধ্যমেই খুলে যায় মুক্তির পথ। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সর্বোচ্চ প্রকাশ দেখা গিয়েছিল ১৯৭১ সালে। ১৯৭১ সাল বাঙালির ইতিহাসে আর কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনীয় নয়। এ জাতি তাদের মুক্তির লক্ষ্যে যুদ্ধ করেছিল এবং সে যুদ্ধে জয়ী হয়ে গড়ে তুলেছিল রাষ্ট্র।
৩০ লাখ শহীদের রক্তের অঙ্গীকারে রচিত হয়েছিল সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধান। অথচ সে সংবিধানের মর্যাদা রাখেনি শাসক দলগুলো। যে যখন ক্ষমতায় এসেছে, সংবিধানে বসিয়েছে কালো দাগ। নিজের মতো করে কাটাছেঁড়া করেছে। বুঝিয়েছে, এ পথেই মুক্তি মিলবে জনগণের। অথচ তা জনগণের মুক্তি আনেনি, বরং সংবিধানটাই হয়েছে ক্ষতবিক্ষত। এ দেশ বারবার স্বৈরশাসক দেখেছে। বারবার তাদের হটিয়েছে, বারবার পড়েছে তাদেরই খপ্পরে।
তাই নতুন এ বছরে মুক্তির দরজা খোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে জনগণের। জনগণ যেন নতুন করে প্রতারিত না হয়, সেদিকে যেন দৃষ্টি থাকে তাদের। বাংলাদেশ মানে গ্রাম-শহর-বন্দর-পাহাড়-নদীঘেরা সীমানায় বসবাস করা মানুষ। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যে মানুষ ফসল ফলায়, ধান ভানে, সবজি চাষ করে, মাছ ধরে, খামার করে। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যারা কারখানায় পরিশ্রম করেন। আমরা সেই মানুষের কথা বলছি, যাদের হৃদয়ে রয়েছে ভালোবাসা। হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসার স্থানে তারা ভালোবাসা দিয়ে জড়িয়ে ধরতে চায় একে অন্যকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, এখনো হিংসা-ঘৃণা-ঈর্ষা-প্রতিহিংসারই পদধ্বনি পাওয়া যায়। একে অন্যকে নিকেশ করে দেওয়ার শপথ নেয় এখনো চতুর রাজনীতিক। বাংলার মানুষ আশায় বুক বাঁধে, আশাহত হয়, আবার আশায় বুক বাঁধে। এ যেন এক অমোঘ চক্র, যার পরিবর্তন হয় না। অথচ এই পরিবর্তনটাই আমূল বদলে দিতে পারে দেশটাকে।
বাংলার জনগণ চায় অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্র। বাংলার জনগণ চায় সুস্থ রাজনীতি। নির্বাচনের পথ ধরে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। অথচ রাজনৈতিক দলগুলো ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন না দিয়ে পেশিশক্তি অথবা টাকাওয়ালা ভুঁইফোড়দের মনোনয়ন দেয়। আমলাতন্ত্রে দেদার চলে ঘুষের লেনদেন। সুস্থ রাজনীতির পথ কণ্টকমুক্ত করা হলে এ দেশের মানুষ নিতে পারত স্বস্তির নিশ্বাস। সে পথটি বাংলার মানুষ খোঁজে। বাংলার জনগণ নিজের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্বের সঙ্গে মেলাতে চায় নিজেকে। অথচ পুঁজির মালিকেরা সে সংস্কৃতিকে কলুষিত করে, বিকৃত করে। বিজাতীয় সংস্কৃতিকে নিজের সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দিতে চায়। সাধারণ জনগণ সে ঘেরাটোপ থেকে বের হতে চায়। বাংলার মানুষ চায় অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা ও শিক্ষার অধিকার। অথচ বেশির ভাগ মানুষের নাগালের বাইরেই এই অধিকারগুলো থেকে যায়। এ থেকে মুক্তিই তো সত্যিকারের স্বাধীনতা আনে।
খ্রিষ্টীয় ২০২৫ সাল বাংলাদেশকে পৌঁছে দিক মুক্তির ঠিকানায়। যারাই জনগণের সঙ্গে বেইমানি করবে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত হোক এ বছর। ফ্যাসিবাদের বদলে আবার নতুন করে ফ্যাসিবাদ যেন রাজনীতিতে জায়গা করে না নেয়। মব জাস্টিস যেন নির্বাসিত হয়। ২০২৫ সাল হোক জনগণের, ২০২৫ সাল হোক মুক্তির।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে।
০১ জানুয়ারি ২০২৫
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে।
০১ জানুয়ারি ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে।
০১ জানুয়ারি ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

আজকের সূর্যটা উদিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসবে নতুন বছর। স্বাগত ২০২৫। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে বিশ্ববাসীর প্রতি রইল অনন্ত ভালোবাসা। বাংলাদেশ পরিপূর্ণ হয়ে উঠুক এই বছরে।
০১ জানুয়ারি ২০২৫
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
১৪ ঘণ্টা আগে