ঢাবি প্রতিনিধি

দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন আর মোটা চাল খেতে চায় না। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ সরু চাল খেয়ে অভ্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শনিবার বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে (কারাস) ‘ভলান্টারি কনজুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা) ’ আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় প্রত্যাশা ও অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকেরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন প্রকার ধান উৎপাদন করতে সফল হয়েছে বলেই ৭ কোটি মানুষের দেশে যে পরিমাণ মঙ্গা ছিল বর্তমানে ১৮ কোটি মানুষের দেশে এখন মঙ্গা নেই। একই সঙ্গে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন মোট চাল খায় না। ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরু চাল খায়। মিনিকেট নামে কোনো ধান না থাকা সত্ত্বেও এই নামে অনেক ধরনের চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলো প্যাকেটজাত চাল বিক্রি করায় সরু চালের দাম বেড়েছে।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষকদের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা না দিলে তাঁরা ধান উৎপাদন করবেন না। ২০১৮ সালের দিকে কৃষকেরা ধান উৎপাদন প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। কেননা তখন আমদানি উন্মুক্ত ছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চাল আমদানিতে কোনো ধরনের ট্যাক্স দিতে হতো না। এ কারণে ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকেরা ধান উৎপাদনে বিমুখ হয়ে পড়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আমদানি বন্ধ করতে হয়। এরপর কৃষকেরা ধানের দাম পাওয়া শুরু করেন। তাঁরা ধানের দাম পাওয়া শুরু করেছেন বলেই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদনে সফল হয়েছে। ফলে জনসংখ্যা সাত কোটি থাকাকালীন এ দেশের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গা হলেও আজ জনসংখ্যা ১৮ কোটি হওয়ার পরও এ দেশে মঙ্গা নেই বলে আমি মনে করি।’
বাজার মনিটরিংয়ের প্রধান ভূমিকা পালন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ও মনিটরিং করে থাকে এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মূল ভূমিকা সরকারিভাবে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা এবং খাদ্য সরবরাহ সচল রাখা, বিশেষত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ক্ষেত্রে।’
দেশে অন্তত ২৪ হাজার রাইস মিল রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ২৪ হাজার রাইস মিলের মালিকদের একসঙ্গে হয়ে সিন্ডিকেট করা সম্ভব নয়। তবে এদের মধ্যে যাদের ব্যাপক পুঁজি রয়েছে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে মজুত করে ৷ এই মজুতদারি ব্যবস্থাকে ভাঙতে হবে। যারা চাঁদাবাজি করে তারাও তো কোনো না কোনো ভোক্তার সন্তান। যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তারাও তো কোনো না কোনো পর্যায়ের ভোক্তা!’ এ সময় মন্ত্রী চাঁদাবাজি, মজুতদারি ও খাদ্য ভেজাল থেকে দূরে থেকে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার জন্য সবাইকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
ভোক্তা’র সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বিজ্ঞানী ড. লতিফুল বারী, খ্যাতনামা লিগ্যাল ইকোনোমিস্ট, কলামিস্ট ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এস সিদ্দিকী। মূল নিবন্ধ উপস্থাপনা করেন ভোক্তা'র পরিচালক মহসীনুল করিম লেবু।
মহসীনুল করিম লেবু তাঁর নিবন্ধে উল্লেখ করেন, দেশে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান ও আইন থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতা ৫০ বছরে আমরা ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষার ক্ষেত্রে ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। অনেক ক্ষেত্রে ভোক্তা স্বার্থ বিষয়টিই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। আমাদের বাজার এখনো ব্যবসায়ীবান্ধব। ভোক্তারাই হচ্ছেন অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাই বাজার ব্যবস্থা হওয়া উচিত ভোক্তা বান্ধব। নানা অজুহাতে ভোক্তার স্বার্থকে উপেক্ষা করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী দিনের পর দিন অতি মুনাফা অর্জন করে চলেছে। এর মূল কারণ হলো—প্রচলিত আইনের ফাঁক, সীমাবদ্ধতা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আইন প্রয়োগে অনীহা এবং দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শাস্তির অনুপস্থিতি। ভোক্তারা প্রায়ই প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে পণ্য বা সেবা ক্রয় করে ঠকছেন। এসব মনোলোভা চটকদার বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে কার্যত তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আটটি সুপারিশ করেন মহসীনুল করিম লেবু। সুপারিশগুলো হলো:
(১) ভোক্তাদের স্বীকৃত অধিকার সুরক্ষায় দেশের প্রচলিত আইনগুলোর সুষ্ঠু ও কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে প্রচলিত আইনগুলোর সংশোধনী এনে যুগোপযোগী করা
(২) ভোক্তা স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপের জন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শাস্তি নিশ্চিত করা
(৩) ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে নিবেদিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন
(৪) ভোক্তারা যেন প্রচলিত আইনের আওতায় যথাযথ প্রতিকার পেতে পারেন, সে ব্যাপারে তাদের সঠিক তথ্য প্রদান করা এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত করা
(৫) ভোক্তা স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফোরাম ও কমিটিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা
(৬) দেশের প্রচলিত আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমে ভোক্তা বা ক্রেতা শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা
(৭) ডিজিটাল আর্থিক সেবা বা ই-কমার্স সেবা গ্রহণে প্রতারণা রোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠন
(৮) সুষ্ঠু বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন সম্প্রচার প্রতিহত করা।

দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন আর মোটা চাল খেতে চায় না। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ সরু চাল খেয়ে অভ্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শনিবার বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে (কারাস) ‘ভলান্টারি কনজুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা) ’ আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় প্রত্যাশা ও অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকেরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন প্রকার ধান উৎপাদন করতে সফল হয়েছে বলেই ৭ কোটি মানুষের দেশে যে পরিমাণ মঙ্গা ছিল বর্তমানে ১৮ কোটি মানুষের দেশে এখন মঙ্গা নেই। একই সঙ্গে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন মোট চাল খায় না। ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরু চাল খায়। মিনিকেট নামে কোনো ধান না থাকা সত্ত্বেও এই নামে অনেক ধরনের চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলো প্যাকেটজাত চাল বিক্রি করায় সরু চালের দাম বেড়েছে।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষকদের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা না দিলে তাঁরা ধান উৎপাদন করবেন না। ২০১৮ সালের দিকে কৃষকেরা ধান উৎপাদন প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। কেননা তখন আমদানি উন্মুক্ত ছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চাল আমদানিতে কোনো ধরনের ট্যাক্স দিতে হতো না। এ কারণে ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকেরা ধান উৎপাদনে বিমুখ হয়ে পড়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আমদানি বন্ধ করতে হয়। এরপর কৃষকেরা ধানের দাম পাওয়া শুরু করেন। তাঁরা ধানের দাম পাওয়া শুরু করেছেন বলেই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদনে সফল হয়েছে। ফলে জনসংখ্যা সাত কোটি থাকাকালীন এ দেশের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গা হলেও আজ জনসংখ্যা ১৮ কোটি হওয়ার পরও এ দেশে মঙ্গা নেই বলে আমি মনে করি।’
বাজার মনিটরিংয়ের প্রধান ভূমিকা পালন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ও মনিটরিং করে থাকে এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মূল ভূমিকা সরকারিভাবে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা এবং খাদ্য সরবরাহ সচল রাখা, বিশেষত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ক্ষেত্রে।’
দেশে অন্তত ২৪ হাজার রাইস মিল রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ২৪ হাজার রাইস মিলের মালিকদের একসঙ্গে হয়ে সিন্ডিকেট করা সম্ভব নয়। তবে এদের মধ্যে যাদের ব্যাপক পুঁজি রয়েছে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে মজুত করে ৷ এই মজুতদারি ব্যবস্থাকে ভাঙতে হবে। যারা চাঁদাবাজি করে তারাও তো কোনো না কোনো ভোক্তার সন্তান। যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তারাও তো কোনো না কোনো পর্যায়ের ভোক্তা!’ এ সময় মন্ত্রী চাঁদাবাজি, মজুতদারি ও খাদ্য ভেজাল থেকে দূরে থেকে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার জন্য সবাইকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
ভোক্তা’র সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বিজ্ঞানী ড. লতিফুল বারী, খ্যাতনামা লিগ্যাল ইকোনোমিস্ট, কলামিস্ট ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এস সিদ্দিকী। মূল নিবন্ধ উপস্থাপনা করেন ভোক্তা'র পরিচালক মহসীনুল করিম লেবু।
মহসীনুল করিম লেবু তাঁর নিবন্ধে উল্লেখ করেন, দেশে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান ও আইন থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতা ৫০ বছরে আমরা ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষার ক্ষেত্রে ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। অনেক ক্ষেত্রে ভোক্তা স্বার্থ বিষয়টিই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। আমাদের বাজার এখনো ব্যবসায়ীবান্ধব। ভোক্তারাই হচ্ছেন অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাই বাজার ব্যবস্থা হওয়া উচিত ভোক্তা বান্ধব। নানা অজুহাতে ভোক্তার স্বার্থকে উপেক্ষা করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী দিনের পর দিন অতি মুনাফা অর্জন করে চলেছে। এর মূল কারণ হলো—প্রচলিত আইনের ফাঁক, সীমাবদ্ধতা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আইন প্রয়োগে অনীহা এবং দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শাস্তির অনুপস্থিতি। ভোক্তারা প্রায়ই প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে পণ্য বা সেবা ক্রয় করে ঠকছেন। এসব মনোলোভা চটকদার বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে কার্যত তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আটটি সুপারিশ করেন মহসীনুল করিম লেবু। সুপারিশগুলো হলো:
(১) ভোক্তাদের স্বীকৃত অধিকার সুরক্ষায় দেশের প্রচলিত আইনগুলোর সুষ্ঠু ও কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে প্রচলিত আইনগুলোর সংশোধনী এনে যুগোপযোগী করা
(২) ভোক্তা স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপের জন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শাস্তি নিশ্চিত করা
(৩) ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে নিবেদিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন
(৪) ভোক্তারা যেন প্রচলিত আইনের আওতায় যথাযথ প্রতিকার পেতে পারেন, সে ব্যাপারে তাদের সঠিক তথ্য প্রদান করা এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত করা
(৫) ভোক্তা স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফোরাম ও কমিটিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা
(৬) দেশের প্রচলিত আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমে ভোক্তা বা ক্রেতা শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা
(৭) ডিজিটাল আর্থিক সেবা বা ই-কমার্স সেবা গ্রহণে প্রতারণা রোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠন
(৮) সুষ্ঠু বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন সম্প্রচার প্রতিহত করা।
ঢাবি প্রতিনিধি

দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন আর মোটা চাল খেতে চায় না। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ সরু চাল খেয়ে অভ্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শনিবার বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে (কারাস) ‘ভলান্টারি কনজুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা) ’ আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় প্রত্যাশা ও অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকেরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন প্রকার ধান উৎপাদন করতে সফল হয়েছে বলেই ৭ কোটি মানুষের দেশে যে পরিমাণ মঙ্গা ছিল বর্তমানে ১৮ কোটি মানুষের দেশে এখন মঙ্গা নেই। একই সঙ্গে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন মোট চাল খায় না। ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরু চাল খায়। মিনিকেট নামে কোনো ধান না থাকা সত্ত্বেও এই নামে অনেক ধরনের চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলো প্যাকেটজাত চাল বিক্রি করায় সরু চালের দাম বেড়েছে।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষকদের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা না দিলে তাঁরা ধান উৎপাদন করবেন না। ২০১৮ সালের দিকে কৃষকেরা ধান উৎপাদন প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। কেননা তখন আমদানি উন্মুক্ত ছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চাল আমদানিতে কোনো ধরনের ট্যাক্স দিতে হতো না। এ কারণে ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকেরা ধান উৎপাদনে বিমুখ হয়ে পড়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আমদানি বন্ধ করতে হয়। এরপর কৃষকেরা ধানের দাম পাওয়া শুরু করেন। তাঁরা ধানের দাম পাওয়া শুরু করেছেন বলেই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদনে সফল হয়েছে। ফলে জনসংখ্যা সাত কোটি থাকাকালীন এ দেশের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গা হলেও আজ জনসংখ্যা ১৮ কোটি হওয়ার পরও এ দেশে মঙ্গা নেই বলে আমি মনে করি।’
বাজার মনিটরিংয়ের প্রধান ভূমিকা পালন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ও মনিটরিং করে থাকে এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মূল ভূমিকা সরকারিভাবে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা এবং খাদ্য সরবরাহ সচল রাখা, বিশেষত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ক্ষেত্রে।’
দেশে অন্তত ২৪ হাজার রাইস মিল রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ২৪ হাজার রাইস মিলের মালিকদের একসঙ্গে হয়ে সিন্ডিকেট করা সম্ভব নয়। তবে এদের মধ্যে যাদের ব্যাপক পুঁজি রয়েছে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে মজুত করে ৷ এই মজুতদারি ব্যবস্থাকে ভাঙতে হবে। যারা চাঁদাবাজি করে তারাও তো কোনো না কোনো ভোক্তার সন্তান। যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তারাও তো কোনো না কোনো পর্যায়ের ভোক্তা!’ এ সময় মন্ত্রী চাঁদাবাজি, মজুতদারি ও খাদ্য ভেজাল থেকে দূরে থেকে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার জন্য সবাইকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
ভোক্তা’র সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বিজ্ঞানী ড. লতিফুল বারী, খ্যাতনামা লিগ্যাল ইকোনোমিস্ট, কলামিস্ট ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এস সিদ্দিকী। মূল নিবন্ধ উপস্থাপনা করেন ভোক্তা'র পরিচালক মহসীনুল করিম লেবু।
মহসীনুল করিম লেবু তাঁর নিবন্ধে উল্লেখ করেন, দেশে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান ও আইন থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতা ৫০ বছরে আমরা ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষার ক্ষেত্রে ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। অনেক ক্ষেত্রে ভোক্তা স্বার্থ বিষয়টিই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। আমাদের বাজার এখনো ব্যবসায়ীবান্ধব। ভোক্তারাই হচ্ছেন অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাই বাজার ব্যবস্থা হওয়া উচিত ভোক্তা বান্ধব। নানা অজুহাতে ভোক্তার স্বার্থকে উপেক্ষা করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী দিনের পর দিন অতি মুনাফা অর্জন করে চলেছে। এর মূল কারণ হলো—প্রচলিত আইনের ফাঁক, সীমাবদ্ধতা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আইন প্রয়োগে অনীহা এবং দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শাস্তির অনুপস্থিতি। ভোক্তারা প্রায়ই প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে পণ্য বা সেবা ক্রয় করে ঠকছেন। এসব মনোলোভা চটকদার বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে কার্যত তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আটটি সুপারিশ করেন মহসীনুল করিম লেবু। সুপারিশগুলো হলো:
(১) ভোক্তাদের স্বীকৃত অধিকার সুরক্ষায় দেশের প্রচলিত আইনগুলোর সুষ্ঠু ও কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে প্রচলিত আইনগুলোর সংশোধনী এনে যুগোপযোগী করা
(২) ভোক্তা স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপের জন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শাস্তি নিশ্চিত করা
(৩) ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে নিবেদিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন
(৪) ভোক্তারা যেন প্রচলিত আইনের আওতায় যথাযথ প্রতিকার পেতে পারেন, সে ব্যাপারে তাদের সঠিক তথ্য প্রদান করা এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত করা
(৫) ভোক্তা স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফোরাম ও কমিটিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা
(৬) দেশের প্রচলিত আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমে ভোক্তা বা ক্রেতা শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা
(৭) ডিজিটাল আর্থিক সেবা বা ই-কমার্স সেবা গ্রহণে প্রতারণা রোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠন
(৮) সুষ্ঠু বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন সম্প্রচার প্রতিহত করা।

দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন আর মোটা চাল খেতে চায় না। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ সরু চাল খেয়ে অভ্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শনিবার বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে (কারাস) ‘ভলান্টারি কনজুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটি (ভোক্তা) ’ আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: খাদ্য নিরাপত্তা ও ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় প্রত্যাশা ও অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকেরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন প্রকার ধান উৎপাদন করতে সফল হয়েছে বলেই ৭ কোটি মানুষের দেশে যে পরিমাণ মঙ্গা ছিল বর্তমানে ১৮ কোটি মানুষের দেশে এখন মঙ্গা নেই। একই সঙ্গে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন মোট চাল খায় না। ৮০ শতাংশ মানুষ বর্তমান সরু চাল খায়। মিনিকেট নামে কোনো ধান না থাকা সত্ত্বেও এই নামে অনেক ধরনের চাল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি দেশের বড় বড় কোম্পানিগুলো প্যাকেটজাত চাল বিক্রি করায় সরু চালের দাম বেড়েছে।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষকদের সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা না দিলে তাঁরা ধান উৎপাদন করবেন না। ২০১৮ সালের দিকে কৃষকেরা ধান উৎপাদন প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। কেননা তখন আমদানি উন্মুক্ত ছিল। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চাল আমদানিতে কোনো ধরনের ট্যাক্স দিতে হতো না। এ কারণে ধানের দাম কমে যাওয়ায় কৃষকেরা ধান উৎপাদনে বিমুখ হয়ে পড়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আমদানি বন্ধ করতে হয়। এরপর কৃষকেরা ধানের দাম পাওয়া শুরু করেন। তাঁরা ধানের দাম পাওয়া শুরু করেছেন বলেই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদনে সফল হয়েছে। ফলে জনসংখ্যা সাত কোটি থাকাকালীন এ দেশের বিভিন্ন স্থানে মঙ্গা হলেও আজ জনসংখ্যা ১৮ কোটি হওয়ার পরও এ দেশে মঙ্গা নেই বলে আমি মনে করি।’
বাজার মনিটরিংয়ের প্রধান ভূমিকা পালন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ও মনিটরিং করে থাকে এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মূল ভূমিকা সরকারিভাবে কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা এবং খাদ্য সরবরাহ সচল রাখা, বিশেষত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ক্ষেত্রে।’
দেশে অন্তত ২৪ হাজার রাইস মিল রয়েছে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ২৪ হাজার রাইস মিলের মালিকদের একসঙ্গে হয়ে সিন্ডিকেট করা সম্ভব নয়। তবে এদের মধ্যে যাদের ব্যাপক পুঁজি রয়েছে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে মজুত করে ৷ এই মজুতদারি ব্যবস্থাকে ভাঙতে হবে। যারা চাঁদাবাজি করে তারাও তো কোনো না কোনো ভোক্তার সন্তান। যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় তারাও তো কোনো না কোনো পর্যায়ের ভোক্তা!’ এ সময় মন্ত্রী চাঁদাবাজি, মজুতদারি ও খাদ্য ভেজাল থেকে দূরে থেকে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তার জন্য সবাইকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান।
ভোক্তা’র সভাপতি অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, গ্লোবাল টেলিভিশনের সিইও সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বিজ্ঞানী ড. লতিফুল বারী, খ্যাতনামা লিগ্যাল ইকোনোমিস্ট, কলামিস্ট ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এস সিদ্দিকী। মূল নিবন্ধ উপস্থাপনা করেন ভোক্তা'র পরিচালক মহসীনুল করিম লেবু।
মহসীনুল করিম লেবু তাঁর নিবন্ধে উল্লেখ করেন, দেশে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান ও আইন থাকা সত্ত্বেও স্বাধীনতা ৫০ বছরে আমরা ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষার ক্ষেত্রে ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। অনেক ক্ষেত্রে ভোক্তা স্বার্থ বিষয়টিই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। আমাদের বাজার এখনো ব্যবসায়ীবান্ধব। ভোক্তারাই হচ্ছেন অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাই বাজার ব্যবস্থা হওয়া উচিত ভোক্তা বান্ধব। নানা অজুহাতে ভোক্তার স্বার্থকে উপেক্ষা করে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী দিনের পর দিন অতি মুনাফা অর্জন করে চলেছে। এর মূল কারণ হলো—প্রচলিত আইনের ফাঁক, সীমাবদ্ধতা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আইন প্রয়োগে অনীহা এবং দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শাস্তির অনুপস্থিতি। ভোক্তারা প্রায়ই প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে পণ্য বা সেবা ক্রয় করে ঠকছেন। এসব মনোলোভা চটকদার বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে কার্যত তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে আটটি সুপারিশ করেন মহসীনুল করিম লেবু। সুপারিশগুলো হলো:
(১) ভোক্তাদের স্বীকৃত অধিকার সুরক্ষায় দেশের প্রচলিত আইনগুলোর সুষ্ঠু ও কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং প্রয়োজনে প্রচলিত আইনগুলোর সংশোধনী এনে যুগোপযোগী করা
(২) ভোক্তা স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপের জন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী শাস্তি নিশ্চিত করা
(৩) ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে নিবেদিত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন
(৪) ভোক্তারা যেন প্রচলিত আইনের আওতায় যথাযথ প্রতিকার পেতে পারেন, সে ব্যাপারে তাদের সঠিক তথ্য প্রদান করা এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান নিশ্চিত করা
(৫) ভোক্তা স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফোরাম ও কমিটিতে ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা
(৬) দেশের প্রচলিত আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পাঠ্যক্রমে ভোক্তা বা ক্রেতা শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা
(৭) ডিজিটাল আর্থিক সেবা বা ই-কমার্স সেবা গ্রহণে প্রতারণা রোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ও কমিশন গঠন
(৮) সুষ্ঠু বিজ্ঞাপন নীতিমালা প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন সম্প্রচার প্রতিহত করা।

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৩৪ মিনিট আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৭ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৮ ঘণ্টা আগেখানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন আর মোটা চাল খেতে চায় না। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ সরু চাল খেয়ে অভ্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শনিবার বেলা...
১৬ এপ্রিল ২০২২
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৭ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৮ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন আর মোটা চাল খেতে চায় না। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ সরু চাল খেয়ে অভ্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শনিবার বেলা...
১৬ এপ্রিল ২০২২
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৩৪ মিনিট আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৭ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন আর মোটা চাল খেতে চায় না। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ সরু চাল খেয়ে অভ্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শনিবার বেলা...
১৬ এপ্রিল ২০২২
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৩৪ মিনিট আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৩ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
১৮ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

দেশের মানুষের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এসেছে। মানুষ এখন আর মোটা চাল খেতে চায় না। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ সরু চাল খেয়ে অভ্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শনিবার বেলা...
১৬ এপ্রিল ২০২২
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
৩৪ মিনিট আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৩ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৭ ঘণ্টা আগে