নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঈদযাত্রার পঞ্চম দিনে চলছে। আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের অনেক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এই সুযোগে জাল টিকিট নিয়ে স্টেশনে এসেছেন অনেক যাত্রী। স্টেশনের গেটে টিকিট চেকিংয়ে জাল টিকিট নিয়ে ধরা পড়ছেন তারা। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট না পেয়ে দোকান ও ফেসবুক পেজ থেকে এসব জাল টিকিট সংগ্রহ করছেন বলে জানান এই যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীর চাপ বাড়লেও টিকিট ছাড়া বা টিকিট চেকিং না করে কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। জাল টিকিট পাওয়ার পর টিকিট চেকিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অনলাইনে করা টিকিটের প্রিন্ট কপি নিয়ে যাত্রীরা স্টেশনের গেট দিয়ে ঢোকার সময় চেকিংয়ের মুখে পড়ছেন। সেখানে দেখা যায়, টিকিট চেকিংয়ের মেশিনে স্ক্যানিংয়ের পর মেশিনে থাকা টিকিটের তথ্যের সঙ্গে যাত্রীর নিয়ে আসা টিকিটের মিল নেই।
স্টেশনে থাকা টিকিট চেকাররা জানান, বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও কম্পিউটার দোকানগুলোতে জাল টিকিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। কেউ অনলাইনে বাচ্চাদের একটা টিকিট কেটে সেই টিকিটকে ফটোশপে এডিট করে যাত্রীদের যার যেমন প্রয়োজন, সেখানে সিট সংখ্যা বসিয়ে পিডিএফ ফাইল আকারে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে যাত্রীরা এসব টিকিট কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।
স্টেশনে জাল টিকিট এনে ধরা পড়া মমতাজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট পাইনি বলে একটা দোকান থেকে টিকিট কেটেছি। আমি তো জানি না টিকিট জাল কিনা। বাড়ি যেতে হবে টিকিটের প্রয়োজন ছিল, টিকিট কেটে নিয়ে এসেছি। স্টেশনে এসে বুঝলাম টিকিটটা জাল। এখন কীভাবে যাব বুঝতেছি না। আমি ঢাকা থেকে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে সান্তাহার যাব গ্রামের বাড়ি ঈদ করতে।’
জাল টিকিট নিয়ে আসা আরেক যাত্রী সোহেল রানা বলেন, ‘অনলাইনে অনেক চেষ্টা করে টিকিট কাটতে পারিনি। ফলে ফেসবুকের একটা গ্রুপ থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে সেখান থেকে সৈয়দপুরে যাওয়ার জন্য একতা এক্সপ্রেসে ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম। স্টেশনে টিকিট চেকিং করে বলে টিকিটটি জাল। আমরা তো সাধারণ যাত্রী বোঝার উপায় নাই কোনটা জাল কোনটা সঠিক ফলে, এক প্রকার বিপদে পড়ে গেছি বাড়ি যেতে এসে। এখন আবার স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে যেতে হচ্ছে। এতে প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি অর্থদণ্ড হলো।’
তবে যাদের এ ধরনের জাল টিকিট থাকছে, তাদের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই টিকিটে যেতে দিচ্ছে না। কেউ যদি যেতে চান, তাকে নির্দিষ্ট ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে যেতে হচ্ছে।
এই সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ঢাকা) মোহাম্মদ আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের সময় অনেক চাপ ফলে যাত্রীদেরও একটু সচেতন হতে হবে তার নিজের টিকিট নিয়ে। যার তার দেওয়া টিকিটে ভ্রমণ করা যাবে না। নিজের এনআইডি দিয়ে কাটা টিকিট দিয়ে যাত্রা করতে হবে। তাহলে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হবেন না যাত্রীরা। সকাল থেকে এ ধরনের বেশ কিছু জাল টিকিটের যাত্রী আমরা পেয়েছি। কোনো জাল টিকিটের যাত্রীকে যেতে দেওয়া হবে না। জাল টিকিট বিক্রেতাদের খুঁজে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২০টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা গেছে।
ঈদযাত্রার পঞ্চম দিনে চলছে। আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের অনেক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এই সুযোগে জাল টিকিট নিয়ে স্টেশনে এসেছেন অনেক যাত্রী। স্টেশনের গেটে টিকিট চেকিংয়ে জাল টিকিট নিয়ে ধরা পড়ছেন তারা। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট না পেয়ে দোকান ও ফেসবুক পেজ থেকে এসব জাল টিকিট সংগ্রহ করছেন বলে জানান এই যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, যাত্রীর চাপ বাড়লেও টিকিট ছাড়া বা টিকিট চেকিং না করে কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। জাল টিকিট পাওয়ার পর টিকিট চেকিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অনলাইনে করা টিকিটের প্রিন্ট কপি নিয়ে যাত্রীরা স্টেশনের গেট দিয়ে ঢোকার সময় চেকিংয়ের মুখে পড়ছেন। সেখানে দেখা যায়, টিকিট চেকিংয়ের মেশিনে স্ক্যানিংয়ের পর মেশিনে থাকা টিকিটের তথ্যের সঙ্গে যাত্রীর নিয়ে আসা টিকিটের মিল নেই।
স্টেশনে থাকা টিকিট চেকাররা জানান, বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও কম্পিউটার দোকানগুলোতে জাল টিকিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। কেউ অনলাইনে বাচ্চাদের একটা টিকিট কেটে সেই টিকিটকে ফটোশপে এডিট করে যাত্রীদের যার যেমন প্রয়োজন, সেখানে সিট সংখ্যা বসিয়ে পিডিএফ ফাইল আকারে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করছেন। এতে যাত্রীরা এসব টিকিট কিনে প্রতারিত হচ্ছেন।
স্টেশনে জাল টিকিট এনে ধরা পড়া মমতাজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট পাইনি বলে একটা দোকান থেকে টিকিট কেটেছি। আমি তো জানি না টিকিট জাল কিনা। বাড়ি যেতে হবে টিকিটের প্রয়োজন ছিল, টিকিট কেটে নিয়ে এসেছি। স্টেশনে এসে বুঝলাম টিকিটটা জাল। এখন কীভাবে যাব বুঝতেছি না। আমি ঢাকা থেকে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে সান্তাহার যাব গ্রামের বাড়ি ঈদ করতে।’
জাল টিকিট নিয়ে আসা আরেক যাত্রী সোহেল রানা বলেন, ‘অনলাইনে অনেক চেষ্টা করে টিকিট কাটতে পারিনি। ফলে ফেসবুকের একটা গ্রুপ থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখে সেখান থেকে সৈয়দপুরে যাওয়ার জন্য একতা এক্সপ্রেসে ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম। স্টেশনে টিকিট চেকিং করে বলে টিকিটটি জাল। আমরা তো সাধারণ যাত্রী বোঝার উপায় নাই কোনটা জাল কোনটা সঠিক ফলে, এক প্রকার বিপদে পড়ে গেছি বাড়ি যেতে এসে। এখন আবার স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে যেতে হচ্ছে। এতে প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি অর্থদণ্ড হলো।’
তবে যাদের এ ধরনের জাল টিকিট থাকছে, তাদের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ওই টিকিটে যেতে দিচ্ছে না। কেউ যদি যেতে চান, তাকে নির্দিষ্ট ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে যেতে হচ্ছে।
এই সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ঢাকা) মোহাম্মদ আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদের সময় অনেক চাপ ফলে যাত্রীদেরও একটু সচেতন হতে হবে তার নিজের টিকিট নিয়ে। যার তার দেওয়া টিকিটে ভ্রমণ করা যাবে না। নিজের এনআইডি দিয়ে কাটা টিকিট দিয়ে যাত্রা করতে হবে। তাহলে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হবেন না যাত্রীরা। সকাল থেকে এ ধরনের বেশ কিছু জাল টিকিটের যাত্রী আমরা পেয়েছি। কোনো জাল টিকিটের যাত্রীকে যেতে দেওয়া হবে না। জাল টিকিট বিক্রেতাদের খুঁজে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২০টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের বেশ ভিড় দেখা গেছে।
দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান হয়েছিল গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সমাজে আর মানুষের মনে জেগেছিল পাহাড়সম প্রত্যাশা। সেই সরকারের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। মানুষ হিসাব করছে—কী চেয়েছিলাম
৬ ঘণ্টা আগেজুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে ৬৯টি অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এই সময়ে নতুন করা হয়েছে ৯টি অধ্যাদেশ।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপর্যায়ে অনুমোদিত পদের চেয়ে অতিরিক্ত ৩১৮ জন কর্মকর্তা কর্মরত। অতিরিক্ত এসব কর্মকর্তা রয়েছেন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি), অতিরিক্ত ডিআইজি এবং পুলিশ সুপার (এসপি) পদে। তাঁদের অনেকে পদোন্নতি পেলেও দায়িত্ব পাচ্ছেন না। আবার অতিরিক্ত পদোন্নতির কারণে বেতন-ভাতায় সরকারের খরচ বেড়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেরাতের ট্রেনযাত্রায় কেবিনে যাত্রীদের ঘুমানোর জন্য দেওয়া হয় বেডিং (চাদর, বালিশ, কম্বল)। এ জন্য টাকা টিকিটের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই বেডিং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে এবং মান উন্নয়নের জন্য চার্জ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এই বেডিং চার্জ বাড়ালে কেবিনের টিকিটের দাম, অর্থাৎ ভাড়াও বাড়বে।
৬ ঘণ্টা আগে