Ajker Patrika

মিয়ানমারের লোক ঢুকছে টেকনাফ সীমান্ত দিয়েও

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও কক্সবাজার প্রতিনিধি
মিয়ানমারের লোক ঢুকছে টেকনাফ সীমান্ত দিয়েও

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের উখিয়ার পর টেকনাফের সঙ্গে লাগোয়া মিয়ানমারের সীমান্তে এবার সংঘাত ছড়িয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘাতের জেরে গতকাল বুধবার টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বিজিপির আরও ৬৫ সদস্য এসেছেন। এ নিয়ে ৩২৯ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাঁদের ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানো হবে তাঁদের।

এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে সংঘর্ষ শিন রাজ্যেও ছড়িয়েছে। সেখানে জান্তা সরকারের বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি (এএ)। মিয়ানমারের রাখাইনে এই সংঘাতময় পরিস্থিতিতে নিজ নাগরিকদের ফেরার আহ্বান জানিয়েছে ভারত। এ ছাড়া দেশটির সঙ্গে সীমান্তে বেড়া দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এক সপ্তাহ ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি, তমব্রু, ঘুমধুম, উখিয়ার পালংখালী, থাইংখালী, রহমতেরবিল সীমান্তে গোলাগুলি এবং মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল থেকে টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেখানকার হোয়াইক্যং মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, গোলাগুলি শব্দে বাসিন্দারা সীমান্ত এলাকার ঘরবাড়ি ছেড়ে ওপরের দিকে চলে আসে। এর কিছুক্ষণ পর উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে বিজিপির ৬৫ জন বাংলাদেশে ঢোকেন। বিজিবি তাঁদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যায়। বিজিবির সদর দপ্তর জানিয়েছে, এ নিয়ে বিজিপির ৩২৯ জন সদস্য বাংলাদেশে ঢুকেছে। 

সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবির প্রধান
এদিকে গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। সেখানে সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের খোঁজখবর নেন এবং তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিজিপির সদস্যদের ফেরত দেওয়ার জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পত্রালাপ চলছে। মানবিক কারণে তাঁদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল, যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে।

সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের বিষয়ে আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা কোস্ট গার্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের না যাওয়ার জন্য নিরুৎসাহিত করব। নৌযান চলাচলেও নিষেধ করা হয়েছে। আর কয়েকটি দিন গেলে আমরা বলতে পারব, আসলে কী ঘটছে।’ 

সীমান্তে এখনো আতঙ্ক
এদিকে গোলাগুলি কমে আসার পর সীমান্তে অল্প কয়েকটি পরিবার বাড়ি ফিরেছে। তবে আতঙ্ক এখনো আছে। উখিয়ার দক্ষিণ রহমতবিলের বাসিন্দা পারভিন আক্তার বলেন, ‘গোলাগুলি শুরুর পর, বালুখালী ভাইয়ের বাসায় গিয়েছিলাম। সেখানেই ছিলাম। এখনো কাপড়চোপড় গুছিয়ে রেখেছি। কোনো ঝামেলা হলে আবার চলে যাব।’

এদিকে ঘুমধুম, তমব্রুসহ নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের আতঙ্কগ্রস্ত ১৩ গ্রামের হাজারো মানুষ এখনো বাড়িছাড়া। মঙ্গলবার দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে তমব্রু, ঘুমধুম ও নাইক্ষ্যংছড়ির ২৭ পরিবারের ১৩০ জন বাসিন্দা আশ্রয় নিয়েছিলেন। গতকাল বিকেলে সেখানে গিয়ে জানা যায়, তাঁরা চলে গেছেন। তবে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ঘুমধুম সীমান্তে রবি ও সোমবারের রকেট লঞ্চার-মর্টারশেলের আঘাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর ঘুমধুম, তমব্রুসহ সীমান্তের লোকজন ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে যায়। কিছু মানুষ নিজেদের সম্পদ রক্ষায় বাড়ি ফিরে গেছেন।

তমব্রু পশ্চিমকুলে বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ভয়ে ভয়ে বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন। তাঁর গ্রামে অন্তত ২ হাজার মানুষের বসবাস। তাদের মধ্যে কয়েকজন বাড়ি ফিরেছে। বাকিরা আতঙ্কের কারণে আসছে না। 

বিজিপির সদস্যরা ফেরত যাচ্ছেন
এদিকে মিয়ানমারের রাখাইনে সংঘর্ষের সময় বিজিপির যেসব সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন, তাঁদের সমুদ্রপথে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। 
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, মিয়ানমার বাহিনীর সদস্যদের কীভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যায়, সেটি হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে ভালো হতো যদি তাঁদের আকাশপথে ফেরত পাঠানো যেত। তবে মিয়ানমার তাঁদের সমুদ্রপথে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভাবছে।

গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩২৯ জন অনুপ্রবেশ করেছেন, এমন তথ্য দিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আরও শ খানেক আসতে পারেন। তাঁদের সবাইকে নিরাপদে ও দ্রুততম সময়ে পাঠানোটাই সরকারের অগ্রাধিকার। 

শিনে হেলিকপ্টার ভূপাতিত
এদিকে মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতীর অনলাইন সংস্করণে গতকাল এক খবরে বলা হয়, আরাকান আর্মির সদস্যরা শিন রাজ্যের পালেতোয়া টাউনশিপে জান্তা বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার তথ্য নিশ্চিত করেছে। এই এলাকাও বাংলাদেশের সঙ্গে লাগোয়া। সেখানে গত বছর থেকে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে আরাকান আর্মি। 

নাগরিকদের সতর্ক করল ভারত
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার বলেছে, যেসব ভারতীয় এখনো রাখাইনে রয়েছেন, তাঁদের শিগগির ওই এলাকা ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে আপাতত রাখাইন ভ্রমণ না করার পরামর্শও দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

এ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধির জয়সোয়াল বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। এর প্রভাব সরাসরি আমাদের ওপর পড়ছে।’

এদিকে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার এক্সে (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় জানিয়েছেন, ভারত-মিয়ানমারের ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের পুরো অংশে এই বেড়া নির্মাণ করা হবে।

টুইটে অমিত শাহ বলেন, ‘মোদি সরকার দুর্ভেদ্য সীমান্ত নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার পুরো ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও ভালো নজরদারির সুবিধার্থে সীমান্তে একটি টহল ট্র্যাক তৈরি করা হবে।’

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইটে আরও বলেছেন, ‘মোট সীমান্ত দৈর্ঘ্যের মধ্যে মণিপুরের মোরেতে ১০ কিলোমিটার সীমান্তে এরই মধ্যে বেড়া দেওয়া হয়েছে। হাইব্রিড সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম (এইচএসএস) ব্যবহার করে বেড়া তৈরির দুটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চার প্রভাবশালী কূটনীতিক নিয়ে এয়ারবাসের ‘ঢাকা মিশন’

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৯
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ছবি: আজকের পত্রিকা
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাভিয়েশন খাতে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে এবার সরাসরি কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের শীর্ষ বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস।

আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ফ্রান্স–জার্মান দূতাবাসে ‘বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন গ্রোথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চার প্রভাবশালী ইউরোপীয় কূটনীতিক।

তাঁরা হলেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লটজ, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

অনুষ্ঠানের আয়োজনটি ছিল এয়ারবাসের। তবে কূটনৈতিক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে এটি রূপ নেয় একপ্রকার ‘ডিপ্লোমেটিক লবিং’-এ; যা বাংলাদেশের বিমানবহর সম্প্রসারণে এখনো সিদ্ধান্তহীন অবস্থায় থাকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রতি এয়ারবাসের আগ্রহের ইঙ্গিত বহন করে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস—দুই জায়ান্ট কোম্পানি প্রতিযোগিতায় নেমেছে।

বোয়িং এর মধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে আর এয়ারবাস দিয়েছে ১৪টি—যার মধ্যে রয়েছে ১০টি এ৩৫০ ও চারটি এ৩২০ নিও। উভয় প্রতিষ্ঠানই আকর্ষণীয় প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এবার এয়ারবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে চাইছে।

আজ আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওই চার ইউরোপীয় কূটনীতিক।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জ্যঁ-মার্ক সেরে-শার্লে বলেন, ফ্রান্স ও ইউরোপের বিমানশিল্পের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এয়ারবাস। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনের অনন্য সমন্বয়ই একে বিশ্বজুড়ে বিমান সংস্থাগুলোর এক বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বাংলাদেশের এই বিকাশপর্বে এয়ারবাস হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল সংযোগ ও ভৌগোলিক অবস্থান একে আঞ্চলিক অ্যাভিয়েশন হাব হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। বিমানের বহরে এয়ারবাস যুক্ত হলে এর নমনীয়তা, স্থিতিশীলতা ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা আরও বাড়বে।

জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লটজ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমানের এখন প্রয়োজন আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ, যেখানে এয়ারবাস শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক বিমান পরিবহন হাব হওয়ার লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য সব সময় পাশে থাকবে।

অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাণিজ্যিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে হবে। অ্যাভিয়েশন খাত এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এয়ারবাসের কমার্শিয়াল সেলস ডিরেক্টর (চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ, বাংলাদেশ) রাফায়েল গোমেজ নয়া।

রাফায়েল গোমেজ বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত এয়ারবাস ২৫ হাজার ১২৯টি উড়োজাহাজ বিক্রি করেছে, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৪৭০টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পরিচালিত ফ্লাইটের ৭২ শতাংশেই এয়ারবাস ব্যবহৃত হচ্ছে।

রাফায়েল গোমেজ আরও যোগ করেন, ‘অন্য উড়োজাহাজগুলোর তুলনায় এয়ারবাস পরিচালন ব্যয়ে প্রায় ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী। বাংলাদেশেও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস সফলতার সঙ্গে তিনটি এয়ারবাস ব্যবহার করছে। আশা করছি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শাহজালাল বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে অস্ত্র চুরির অভিযোগ তদন্তাধীন, জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার সময় অস্ত্র চুরির অভিযোগটি তদন্তাধীন। আসলেই সেখান থেকে কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না, তা তদন্ত শেষে জানা যাবে।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অস্ত্র চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি তদন্তে এরই মধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র সচিব কমিটির প্রধান। তিনি কয়েকটি দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে দু-একটি দেশ থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে তদন্তে অংশ নিয়েছেন। তবে এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না—আসলেই কোনো অস্ত্র চুরি হয়েছে কি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি প্রমাণ হয় যে অস্ত্র চুরি হয়েছে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এখন পর্যন্ত কতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে বা আদৌ হয়েছে কি না—তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গত ১৮ অক্টোবর রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ আগুন লাগে। সেখানে থাকা বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি কিছু সরকারি সংস্থার মালামাল সংরক্ষিত ছিল।

পরে জানা যায়, সেখানে রক্ষিত একটি ভল্ট ভেঙে সাতটি অস্ত্র চুরি হয়েছে। বিমানবন্দর থানায় এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

২০ বছর সাজা ভোগ করা ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দিল সরকার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৫
২০ বছর সাজা ভোগ করা ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দিল সরকার

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন—এমন ৩৭ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিল।

কারা অধিদপ্তর জানায়, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই বন্দীদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। মুক্তি পেতে যাওয়া এই বন্দীরা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন।

কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, ‘৩০ বছর বা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাঁদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, কারাজীবনে আচরণ ও অন্যান্য বিবেচনায় সরকার তাঁদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চূড়ান্ত তালিকায় ৩৭ জন বন্দীর নাম রয়েছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’

কারা অধিদপ্তর আরও জানায়, যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয়কেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দী নেই। মুক্তি পেতে যাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং দেশের বিভিন্ন কারাগারে তাঁরা সাজা ভোগ করছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন কারাগারে আটক বন্দীদের মধ্যে যাঁরা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি কারাভোগ করেছেন, তাঁদের মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনে আচরণ, কারা অপরাধ, বয়স ইত্যাদি বিবেচনায় সদাশয় সরকার কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে আজ মুক্তির আদেশ দিয়েছেন। আদেশ পাওয়ার পরই তা কার্যকর করা হবে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ফাইল ছবি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ফাইল ছবি

বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা যখন নতুন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঠিক সে সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর প্রতি আস্থা পুনর্গঠন, আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার ও যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আজ মঙ্গলবার সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পলিসি ইনস্টিটিউটের (এসডিপিআই) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এই আহ্বান জানান।

উপদেষ্টা বলেন, বায়ুদূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের মতো যৌথ সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়াকে এখনই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়ন—এ দুটো একে অন্যের বিকল্প নয়।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া এরই মধ্যে ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, তাপপ্রবাহসহ আকস্মিক দুর্যোগের পাশাপাশি লবণাক্ততা বৃদ্ধি, মাটির উর্বরতা হ্রাস ও কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ার মতো ধীরগতির জলবায়ু বিপর্যয়ের মুখোমুখি। অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের একাই প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নের ঘাটতি স্পষ্ট করে। অর্থ যদি না-ও আসে, আমরা অপেক্ষা করে থাকব না। আমাদের জাতীয় ও আঞ্চলিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

সম্মেলনের বিষয়বস্তুকে ‘সময়সাপেক্ষ ও গভীরতাসম্পন্ন’ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শাসনব্যবস্থার নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক কাঠামো আজ সংকটে। বৈষম্য, ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যবস্থাকে নতুনভাবে গড়ছে।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, শ্রীলঙ্কা থেকে নেপাল পর্যন্ত জনগণের বিক্ষোভ প্রমাণ করে—বর্তমান শাসন মডেল জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ।

তবে রিজওয়ানা হাসান নতুন প্রজন্মের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, তাঁদের হাতেই তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্বব্যবস্থা।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, জাপানের আইজিইএস প্রেসিডেন্ট কাজুহিকো তাকেওচি, পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত