নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী এটি বাংলাদেশে আঘাত করবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এ জন্য এখনই উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরাবে না সরকার।
কোনো কারণে ঘূর্ণিঝড়টি দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশের দিকে আসছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছেন তাঁরা।
গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পরিণত হয়। এরপর সচিবালয়ে প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে বসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পূর্বাভাসের চেয়ে এখন এটি মনিটরিং করা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এখনই মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরানোর প্রয়োজন নেই। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে।
সভায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি জানান, দুর্গত এলাকায় অপারেশন রুম অ্যাকটিভ করা হয়েছে। ছোট ছোট উদ্ধার টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ এখনো আমাদের অনেকটা টেনশনমুক্ত রেখেছেন। নিম্নচাপটি সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি এখনো অতটা শক্তিশালী হতে পারেনি।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওডিশা উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ উপকূল থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। উত্তর-পশ্চিম অংশে সরাসরি ওডিশার দিকে এর গতিপথ। যদি এই গতিপথ একই রকম থাকে তবে বাংলাদেশের উপকূলে ক্ষতির কোনো প্রভাব হবে না বলে আমরা আশা করছি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ সেইভাবে বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানবে না। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে হয়তো মেঘ ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’
ঘূর্ণিঝড়কে কঠিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে জানিয়ে এনামুর বলেন, ‘উপকূলে না উঠে আসা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখব। যদি কোনো কারণে এটা দিক পরিবর্তন করে তবে আমরা যেন মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক ও মাঠ প্রশাসন থেকে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বিপৎসংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারে। আমরা মনে করি ইনশা আল্লাহ যেভাবে আমাদের বাংলাদেশের প্রতি রহমত করেছেন, দয়া করেছেন, সেটা অব্যাহত থাকলে এবার হয়তো ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারব।’
এনামুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ প্রতি চার-ছয় ঘণ্টা পর পর মনিটরিং করা হবে, যদি গতিবেগ আরও বাড়ে তারপরে আমরা ঘণ্টায় ঘণ্টায় সংবাদ দেব, যাতে জনগণ কোনো রকম ভুল বা আলসেমি করার সুযোগ না পায়।’
ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ বর্তমান অবস্থায় থাকলে দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত বাংলাদেশের জন্য আর বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না বলে জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি এখন পশ্চিম দিকে আছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে। এটা যদি কোনো কারণে উত্তর দিকে বা উত্তরপূর্ব দিকে দিক পরিবর্তন করে, গতিবেগ যদি বাড়ে এবং বাংলাদেশের উপকূলের নিকটবর্তী হয় তখন মহাবিপৎসংকেত দেব। তখন দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়ে দেব। এখন পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের সরানো বা সতর্কসংকেত বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।’
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী এটি বাংলাদেশে আঘাত করবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এ জন্য এখনই উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরাবে না সরকার।
কোনো কারণে ঘূর্ণিঝড়টি দিক পরিবর্তন করে বাংলাদেশের দিকে আসছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি বলছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতিও নিয়েছেন তাঁরা।
গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সোমবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পরিণত হয়। এরপর সচিবালয়ে প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে বসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
বৈঠকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় নিয়ে পূর্বাভাসের চেয়ে এখন এটি মনিটরিং করা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এখনই মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরানোর প্রয়োজন নেই। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেওয়া হয়েছে।
সভায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি জানান, দুর্গত এলাকায় অপারেশন রুম অ্যাকটিভ করা হয়েছে। ছোট ছোট উদ্ধার টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ এখনো আমাদের অনেকটা টেনশনমুক্ত রেখেছেন। নিম্নচাপটি সকাল ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি এখনো অতটা শক্তিশালী হতে পারেনি।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওডিশা উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশ উপকূল থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। উত্তর-পশ্চিম অংশে সরাসরি ওডিশার দিকে এর গতিপথ। যদি এই গতিপথ একই রকম থাকে তবে বাংলাদেশের উপকূলে ক্ষতির কোনো প্রভাব হবে না বলে আমরা আশা করছি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ সেইভাবে বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানবে না। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে হয়তো মেঘ ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’
ঘূর্ণিঝড়কে কঠিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে জানিয়ে এনামুর বলেন, ‘উপকূলে না উঠে আসা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখব। যদি কোনো কারণে এটা দিক পরিবর্তন করে তবে আমরা যেন মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক ও মাঠ প্রশাসন থেকে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বিপৎসংকেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারে। আমরা মনে করি ইনশা আল্লাহ যেভাবে আমাদের বাংলাদেশের প্রতি রহমত করেছেন, দয়া করেছেন, সেটা অব্যাহত থাকলে এবার হয়তো ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারব।’
এনামুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ প্রতি চার-ছয় ঘণ্টা পর পর মনিটরিং করা হবে, যদি গতিবেগ আরও বাড়ে তারপরে আমরা ঘণ্টায় ঘণ্টায় সংবাদ দেব, যাতে জনগণ কোনো রকম ভুল বা আলসেমি করার সুযোগ না পায়।’
ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ বর্তমান অবস্থায় থাকলে দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত বাংলাদেশের জন্য আর বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না বলে জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি এখন পশ্চিম দিকে আছে। আর বাংলাদেশের অবস্থান উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে। এটা যদি কোনো কারণে উত্তর দিকে বা উত্তরপূর্ব দিকে দিক পরিবর্তন করে, গতিবেগ যদি বাড়ে এবং বাংলাদেশের উপকূলের নিকটবর্তী হয় তখন মহাবিপৎসংকেত দেব। তখন দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়ে দেব। এখন পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের সরানো বা সতর্কসংকেত বাড়ানোর প্রয়োজন নেই।’
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভুয়া প্রোফাইল খুলে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সতর্ক করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
৩১ মিনিট আগেদফায় দফায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নামা পাহাড়ি ঢলে ছয় জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কয়েকটি স্থানে ইতিমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে পানি। এতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও ফসলের খেত। বাধ্য হয়ে অনেকে কাঁচা ধান কেটে ঘরে তুলছে। অনেকেই পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে নিরাপদ স্থানে।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তিতে ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর সাত দিন পর গত মঙ্গলবার বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কার্যকলাপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
৩ ঘণ্টা আগেড্রোন শো পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে বাংলাদেশ থেকে চীনে যাচ্ছেন ১১ তরুণ গণমাধ্যমকর্মী। এক মাসের এ প্রশিক্ষণ চীনের সাংহাই ও গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার চীনা দূতাবাসে ড্রোন প্রশিক্ষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান ও প্রেস কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান
৩ ঘণ্টা আগে