কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতনসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো সমস্যা সমাধানে কোনো ইচ্ছা আওয়ামী লীগ সরকারের নেই, যা তারা ২০২১ সালে পরিষ্কার করেছে। বাংলাদেশে করোনা মহামারি নিয়ে সরকারের সমালোচনার জন্য সাংবাদিক, সমালোচক এমনকি শিশুরাও কর্তৃপক্ষের দমনের শিকার হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) বৈশ্বিক প্রতিবেদন ২০২২-এ বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিষয়ে এভাবেই তুলে ধরা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতা, করোনা, নারী ও শিশুদের অধিকার, লিঙ্গবৈষম্য, শ্রম অধিকার, শরণার্থী, জলবায়ু পরিবর্তন নীতি ও কার্যক্রম এবং এগুলোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যবস্থা—এই ১০টি বিষয়ে বাংলাদেশ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহকে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা অপরাধী। এর পরপরই রোহিঙ্গা শিবিরে সাত শরণার্থীকে হত্যা করা হয়েছে, যেখানে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। অক্টোবরে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে ভাসানচরে কার্যক্রম পরিচালনা করা নিয়ে সমঝোতা সই করে। কিন্তু এ সইয়ের অনেক আগে থেকেই ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে নিরাপদ, টেকসই এবং সুরক্ষার মতো বিষয়গুলোতে কারিগরি সমীক্ষা ছাড়াই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
মে থেকে আগস্ট মাসে করোনার সবচেয়ে ভয়াবহ ঢেউ বাংলাদেশ দেখেছে উল্লেখ করে এইচআরডব্লিউর বৈশ্বিক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ে হাসপাতালগুলো পরিপূর্ণ ছিল। আর স্বাস্থ্যকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব ছিল। অক্টোবরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে নিয়ন্ত্রণে তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়, যাতে চারজন মারা যায়। আর সেই সঙ্গে কমপক্ষে আরও তিনজন এ ঘটনায় মারা যায়।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বলা হয়েছে, গত আগস্টে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে গুয়ের্নিকার ৩৭ চেম্বার্স ল অফিস। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বর্তমান ও সাবেক ১৫ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়। ২০২১ সালের মার্চে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ বেশ পুরোনো।
এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, আমি সেখানে দেখেছি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রকৃত প্রতিচ্ছবি। এটাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারের উচিত এই প্রতিবেদন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে মানবাধিকারের বিষয়ে যে ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে, সে বিষয়ে মনোনিবেশ করা। কোনো মানবাধিকার সংগঠন বা বিদেশিরা যাতে অঙ্গুলিনির্দেশ না করতে পারে।’
এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় পাঁচ আসামির খালাস পাওয়া, গুম, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদন, ইসরায়েল থেকে আড়িপাতার যন্ত্র কেনা, র্যাবের দ্বারা ইসরায়েলের মাধ্যমে নজরদারির প্রযুক্তি ব্যবহার করা, কারা হেফাজতে লেখক মোশতাক আহমেদের মৃত্যু, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানায় আগুন ও শ্রম অধিকারের মতো বিষয়গুলোর উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা করোনাকালে বেড়েছে। নির্বাচনকালীন সহিংসতায় যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে আমরা একটা স্টাডি করছি। বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয় আমরা সমর্থন করি না, এটা আমরা আগেও বলেছি। আইনের যে বিধিবিধান রয়েছে, তা যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুসরণ করে।’
বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতনসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো সমস্যা সমাধানে কোনো ইচ্ছা আওয়ামী লীগ সরকারের নেই, যা তারা ২০২১ সালে পরিষ্কার করেছে। বাংলাদেশে করোনা মহামারি নিয়ে সরকারের সমালোচনার জন্য সাংবাদিক, সমালোচক এমনকি শিশুরাও কর্তৃপক্ষের দমনের শিকার হয়েছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) বৈশ্বিক প্রতিবেদন ২০২২-এ বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিষয়ে এভাবেই তুলে ধরা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতা, করোনা, নারী ও শিশুদের অধিকার, লিঙ্গবৈষম্য, শ্রম অধিকার, শরণার্থী, জলবায়ু পরিবর্তন নীতি ও কার্যক্রম এবং এগুলোর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যবস্থা—এই ১০টি বিষয়ে বাংলাদেশ-সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহকে হত্যা করেছে অজ্ঞাতনামা অপরাধী। এর পরপরই রোহিঙ্গা শিবিরে সাত শরণার্থীকে হত্যা করা হয়েছে, যেখানে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। অক্টোবরে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে ভাসানচরে কার্যক্রম পরিচালনা করা নিয়ে সমঝোতা সই করে। কিন্তু এ সইয়ের অনেক আগে থেকেই ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সেখানে নিরাপদ, টেকসই এবং সুরক্ষার মতো বিষয়গুলোতে কারিগরি সমীক্ষা ছাড়াই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
মে থেকে আগস্ট মাসে করোনার সবচেয়ে ভয়াবহ ঢেউ বাংলাদেশ দেখেছে উল্লেখ করে এইচআরডব্লিউর বৈশ্বিক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সময়ে হাসপাতালগুলো পরিপূর্ণ ছিল। আর স্বাস্থ্যকর্মীদের তথ্য অনুযায়ী পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব ছিল। অক্টোবরে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার কারণে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে নিয়ন্ত্রণে তাদের ওপর গুলি ছোড়া হয়, যাতে চারজন মারা যায়। আর সেই সঙ্গে কমপক্ষে আরও তিনজন এ ঘটনায় মারা যায়।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া নিয়ে বলা হয়েছে, গত আগস্টে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছে গুয়ের্নিকার ৩৭ চেম্বার্স ল অফিস। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বর্তমান ও সাবেক ১৫ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়। ২০২১ সালের মার্চে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ বেশ পুরোনো।
এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, আমি সেখানে দেখেছি বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রকৃত প্রতিচ্ছবি। এটাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারের উচিত এই প্রতিবেদন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে মানবাধিকারের বিষয়ে যে ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে, সে বিষয়ে মনোনিবেশ করা। কোনো মানবাধিকার সংগঠন বা বিদেশিরা যাতে অঙ্গুলিনির্দেশ না করতে পারে।’
এইচআরডব্লিউর প্রতিবেদনে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় পাঁচ আসামির খালাস পাওয়া, গুম, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদন, ইসরায়েল থেকে আড়িপাতার যন্ত্র কেনা, র্যাবের দ্বারা ইসরায়েলের মাধ্যমে নজরদারির প্রযুক্তি ব্যবহার করা, কারা হেফাজতে লেখক মোশতাক আহমেদের মৃত্যু, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানায় আগুন ও শ্রম অধিকারের মতো বিষয়গুলোর উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা করোনাকালে বেড়েছে। নির্বাচনকালীন সহিংসতায় যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে আমরা একটা স্টাডি করছি। বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয় আমরা সমর্থন করি না, এটা আমরা আগেও বলেছি। আইনের যে বিধিবিধান রয়েছে, তা যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনুসরণ করে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই হামলার পরিণতিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ইতিমধ্যেই নাজুক একটি অঞ্চলের স্থিতিশীলতা আরও বিঘ্নিত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে এবং আঞ্চলিক উত্তেজনা
২ ঘণ্টা আগেদূতাবাস বলছে, তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন স্থানে বৈধ ও অবৈধভাবে অবস্থান করছেন প্রায় আড়াই হাজার বাংলাদেশি। তাঁদের মধ্যে ২০০ শিক্ষার্থী, দূতাবাসের কূটনীতিক কর্মী, তাঁদের পরিবারসহ প্রায় ৪০ জন, চিকিৎসার জন্য সেখানে যাওয়া কিছু রোগীসহ প্রায় ৩০০ জনের নিরাপত্তা ও অন্যান্য ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিইসি ও ইসি সচিবের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছি। আমরা জানি, বর্তমান কমিশন এ অভিযোগের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আগের কমিশন যেহেতু সংবিধান লঙ্ঘন করে ফৌজদারি অপরাধ করেছে, এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা থানায় মামলা করা হয়েছে।’
২ ঘণ্টা আগেপ্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল ১০ বছরের বিষয়ে জামায়াত, এনসিপিসহ অধিকাংশ দল একমত হলেও বিএনপিসহ তিনটি দল দ্বিমত পোষণ করেছ বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আজ রোববার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের পঞ্চম দিনের মুলতবি শেষে
৪ ঘণ্টা আগে