জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা
আজ বাইশে শ্রাবণ। ৮০তম রবীন্দ্রপ্রয়াণ দিবস। বাংলা সাহিত্যকে নানা বর্ণে-গন্ধে-গীতিতে ছন্দে সাজিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর দীর্ঘ ৮০ বছরের জীবনের পুরোটাই ছিল সৃজনশীল, কর্মময়।
রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষ দিনগুলোর কথা ভাবলে বেদনায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মন। তিনি কখনোই চাননি, তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার হোক। বিখ্যাত চিকিৎসক ডা. নীলরতন সরকার রবীন্দ্রনাথকে দেখে আসছিলেন ১৯১৬ সাল থেকে। তিনি কখনোই গুরুদেবের শরীরে অস্ত্রোপচারের পক্ষে ছিলেন না। দার্জিলিংয়ের কালিম্পংয়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কবি। সেখানে ১৯৪০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর গুরুতর অসুস্থ হন তিনি। দার্জিলিংয়ের সিভিল সার্জন অস্ত্রোপচারের পক্ষে মত দেন। কিন্তু সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয়নি।
কবি এরপর কলকাতা হয়ে ফিরে আসেন শান্তিনিকেতনে। সেখানে তাঁর ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালনের পর ১৯৪১ সালের ২৫ জুলাই বিশেষ ট্রেনে করে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সেখানে জোড়াসাঁকোর বাড়ির বারান্দায় গড়ে তোলা হয় অপারেশন থিয়েটার। ৩০ জুলাই অপারেশনের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। এ সময় গিরিডি থেকে ডা. নীলরতন সরকারকে খবর দিয়ে আনা হয়। শরীরের অবস্থা দেখে তিনি বুঝতে পারেন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর শেষ দিনগুলো কাটাচ্ছেন। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে থেমে যায় কবির হৃৎস্পন্দন। সেদিন ছিল বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে বাইশে শ্রাবণ।
শেষ সময়েও রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতা থেমে ছিল না। ‘রূপনারানের কুলে’, ‘প্রথম দিনের সূর্য’ কিংবা ‘তোমার সৃষ্টির পথ’ কবিতাগুলো তাঁর সে সময়ের ভাবনাকে মূর্ত করে তোলে।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর বহুমাত্রিক সৃষ্টিশীলতা দিয়ে ঋদ্ধ করেছেন বাঙালিকে। শুধু সাহিত্য নয়, বিজ্ঞান, সমবায়, কৃষি, শিল্প, ব্যাংক ইত্যাদিসহ নানা বিষয়ের দিকে বাড়িয়েছেন হাত। সমাজচেতনাও ছিল প্রখর। বলশেভিকদের দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নে গেছেন, নতুন ধরনের সমাজব্যবস্থার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করার পাশাপাশি ব্যাস্টিক ও সামস্টিক জীবনের দ্বন্দ্ব তাঁর মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল। ইতালিতে গিয়ে ফ্যাসিজম চেনার চেষ্টা করেছেন। তা নিয়েও তাঁর মনে ছিল দ্বিধা। তিনি তাঁর জীবনের বিচিত্র পথপরিক্রমার পর পৌঁছেছিলেন মানবধর্মে।
রবীন্দ্র সাহিত্যে বিশ্বপ্রেম ও মানবপ্রেমের পাশাপাশি প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার রয়েছে বিরাট জায়গা। তিনি রোমান্টিক সৌন্দর্যচেতনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
তাঁর বহুমাত্রিক প্রবন্ধসম্ভারে সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রচিন্তার দেখা পাওয়া যায়। শান্তিনিকেতনের পাশাপাশি শ্রীনিকেতন নামে পল্লি উন্নয়নকেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন তিনি, যা ছিল গ্রামসমাজ সম্পর্কে তাঁর ভাবনার প্রকাশ। ছবি আঁকা ছিল তাঁর শেষ বয়সের প্রেমিকা। আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তিনি এঁকেছেন।
তাঁর সৃষ্টির সমগ্রতায় আনন্দ রয়েছে ডানা মেলে। এ কারণেই রবীন্দ্রনাথ এখনো প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়ে গেছেন মৃত্যুর পর অনেকগুলো বছর পার হওয়ার পরও।
আজ বাইশে শ্রাবণ। ৮০তম রবীন্দ্রপ্রয়াণ দিবস। বাংলা সাহিত্যকে নানা বর্ণে-গন্ধে-গীতিতে ছন্দে সাজিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর দীর্ঘ ৮০ বছরের জীবনের পুরোটাই ছিল সৃজনশীল, কর্মময়।
রবীন্দ্রনাথের জীবনের শেষ দিনগুলোর কথা ভাবলে বেদনায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মন। তিনি কখনোই চাননি, তাঁর শরীরে অস্ত্রোপচার হোক। বিখ্যাত চিকিৎসক ডা. নীলরতন সরকার রবীন্দ্রনাথকে দেখে আসছিলেন ১৯১৬ সাল থেকে। তিনি কখনোই গুরুদেবের শরীরে অস্ত্রোপচারের পক্ষে ছিলেন না। দার্জিলিংয়ের কালিম্পংয়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন কবি। সেখানে ১৯৪০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর গুরুতর অসুস্থ হন তিনি। দার্জিলিংয়ের সিভিল সার্জন অস্ত্রোপচারের পক্ষে মত দেন। কিন্তু সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয়নি।
কবি এরপর কলকাতা হয়ে ফিরে আসেন শান্তিনিকেতনে। সেখানে তাঁর ৮০তম জন্মবার্ষিকী পালনের পর ১৯৪১ সালের ২৫ জুলাই বিশেষ ট্রেনে করে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। সেখানে জোড়াসাঁকোর বাড়ির বারান্দায় গড়ে তোলা হয় অপারেশন থিয়েটার। ৩০ জুলাই অপারেশনের পর তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। এ সময় গিরিডি থেকে ডা. নীলরতন সরকারকে খবর দিয়ে আনা হয়। শরীরের অবস্থা দেখে তিনি বুঝতে পারেন, রবীন্দ্রনাথ তাঁর শেষ দিনগুলো কাটাচ্ছেন। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে থেমে যায় কবির হৃৎস্পন্দন। সেদিন ছিল বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে বাইশে শ্রাবণ।
শেষ সময়েও রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতা থেমে ছিল না। ‘রূপনারানের কুলে’, ‘প্রথম দিনের সূর্য’ কিংবা ‘তোমার সৃষ্টির পথ’ কবিতাগুলো তাঁর সে সময়ের ভাবনাকে মূর্ত করে তোলে।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর বহুমাত্রিক সৃষ্টিশীলতা দিয়ে ঋদ্ধ করেছেন বাঙালিকে। শুধু সাহিত্য নয়, বিজ্ঞান, সমবায়, কৃষি, শিল্প, ব্যাংক ইত্যাদিসহ নানা বিষয়ের দিকে বাড়িয়েছেন হাত। সমাজচেতনাও ছিল প্রখর। বলশেভিকদের দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নে গেছেন, নতুন ধরনের সমাজব্যবস্থার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করার পাশাপাশি ব্যাস্টিক ও সামস্টিক জীবনের দ্বন্দ্ব তাঁর মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল। ইতালিতে গিয়ে ফ্যাসিজম চেনার চেষ্টা করেছেন। তা নিয়েও তাঁর মনে ছিল দ্বিধা। তিনি তাঁর জীবনের বিচিত্র পথপরিক্রমার পর পৌঁছেছিলেন মানবধর্মে।
রবীন্দ্র সাহিত্যে বিশ্বপ্রেম ও মানবপ্রেমের পাশাপাশি প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার রয়েছে বিরাট জায়গা। তিনি রোমান্টিক সৌন্দর্যচেতনার প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
তাঁর বহুমাত্রিক প্রবন্ধসম্ভারে সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রচিন্তার দেখা পাওয়া যায়। শান্তিনিকেতনের পাশাপাশি শ্রীনিকেতন নামে পল্লি উন্নয়নকেন্দ্র গড়ে তুলেছিলেন তিনি, যা ছিল গ্রামসমাজ সম্পর্কে তাঁর ভাবনার প্রকাশ। ছবি আঁকা ছিল তাঁর শেষ বয়সের প্রেমিকা। আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তিনি এঁকেছেন।
তাঁর সৃষ্টির সমগ্রতায় আনন্দ রয়েছে ডানা মেলে। এ কারণেই রবীন্দ্রনাথ এখনো প্রাসঙ্গিক হয়ে রয়ে গেছেন মৃত্যুর পর অনেকগুলো বছর পার হওয়ার পরও।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ক্ষমতা সরকারের হাতে রয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর প্রণীত ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯ ধারায় দল নিষিদ্ধ করার মতো উপাদান রয়েছে। এখন সরকার চাইলে তা বিবেচনা করতে পারে।
১৫ মিনিট আগেশিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলির তদবির করতে ঢাকায় আসতে নিষেধ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার জারি করা এক অফিস আদেশে এ নিষেধ করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগেভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস তাদের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের রুট ও সময়সূচিতে পরিবর্তন এনেছে। পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে নিরাপদ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে টরন্টো, রোম ও লন্ডনগামী ফ্লাইটের সময়সূচিতে এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্টে সারা দেশে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামী সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।
৭ ঘণ্টা আগে