নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে আগামীকাল রোববার পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরছে দেশের সবচেয়ে বড় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র এত দিন বন্ধ ছিল।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র ৫ জুন বন্ধ হয়। কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুনরায় উৎপাদনে ফেরাতে গতকাল শুক্রবার ৪০ হাজার টন কয়লা আমদানি করেছে।
আগামীকাল থেকে উৎপাদন শুরু হলেও এই বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনই পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে যাচ্ছে না। প্রথমে উৎপাদনে আসবে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রথম ইউনিট থেকে আংশিক সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গতকাল শুক্রবার থেকে যন্ত্রপাতির কিছু আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কাল সকাল বা বিকেলের দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় শুরু করতে পারব। আশা করি সামনের দিনগুলোতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারব।’
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন করে আমদানি করা কয়লা দিয়ে প্রথম ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট আংশিক সক্ষমতায় চালালে সাত-আট দিন যেতে পারে।
শুক্রবার আনা কয়লা দিয়ে কত দিন চলবে জানতে চাইলে এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, ‘এখন আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেশ কমে গেছে। সামনে কোরবানির সময় ছুটি থাকায় শিল্প-কারখানায় বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে কম। এই জন্য আমার প্রথম ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় চালাব না। আগামী ২৯ তারিখে কয়লার আরেকটি জাহাজ আসবে এবং এইভাবে আসতে থাকবে। প্রয়োজন হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করা হবে।’
এর আগে ১১ জুন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পুনরায় শুরু করতে ৪০ হাজার টন কয়লা আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির চীনা অংশীদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি) এই কয়লা আমদানির ঋণপত্র খোলে।
১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট আছে। প্রতিটির উৎপাদন সক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানান, ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় চালালে প্রতিদিন সাড়ে ৬ হাজার টনের মতো কয়লা লাগে। সেই হিসাবে নতুন আমদানি করা এই কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় ছয় দিনের একটু বেশি চালানো যাবে।
কয়লা সরবরাহকারীর বকেয়া সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বাকি থাকায় তাঁরা কয়লা সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানান। যার ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
অনেক দেন-দরবারের পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কয়লা সরবরাহকারী সিএমসিকে ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে। এরপর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অন্যতম অংশীদার সিএমসি কয়লা আমদানির জন্য ঋণপত্র করলে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র।
বাংলাদেশ ও চীনের অর্থায়নে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানির ৫০ শতাংশ শেয়ার আছে। বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ গত ২৭ এপ্রিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে জানায়, চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমএস) কয়লার আমদানির বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত আর কয়লা সরবরাহ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
দীর্ঘ ২০ দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে আগামীকাল রোববার পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরছে দেশের সবচেয়ে বড় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। ডলার সংকটে কয়লা আমদানি করতে না পারায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র এত দিন বন্ধ ছিল।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র ৫ জুন বন্ধ হয়। কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুনরায় উৎপাদনে ফেরাতে গতকাল শুক্রবার ৪০ হাজার টন কয়লা আমদানি করেছে।
আগামীকাল থেকে উৎপাদন শুরু হলেও এই বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনই পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে যাচ্ছে না। প্রথমে উৎপাদনে আসবে ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রথম ইউনিট থেকে আংশিক সক্ষমতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একাধিক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গতকাল শুক্রবার থেকে যন্ত্রপাতির কিছু আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা কাল সকাল বা বিকেলের দিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় শুরু করতে পারব। আশা করি সামনের দিনগুলোতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারব।’
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন করে আমদানি করা কয়লা দিয়ে প্রথম ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট আংশিক সক্ষমতায় চালালে সাত-আট দিন যেতে পারে।
শুক্রবার আনা কয়লা দিয়ে কত দিন চলবে জানতে চাইলে এ এম খোরশেদুল আলম বলেন, ‘এখন আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেশ কমে গেছে। সামনে কোরবানির সময় ছুটি থাকায় শিল্প-কারখানায় বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে কম। এই জন্য আমার প্রথম ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় চালাব না। আগামী ২৯ তারিখে কয়লার আরেকটি জাহাজ আসবে এবং এইভাবে আসতে থাকবে। প্রয়োজন হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করা হবে।’
এর আগে ১১ জুন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পুনরায় শুরু করতে ৪০ হাজার টন কয়লা আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়।
বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির চীনা অংশীদার চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমসি) এই কয়লা আমদানির ঋণপত্র খোলে।
১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট আছে। প্রতিটির উৎপাদন সক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে জানান, ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় চালালে প্রতিদিন সাড়ে ৬ হাজার টনের মতো কয়লা লাগে। সেই হিসাবে নতুন আমদানি করা এই কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট পূর্ণ সক্ষমতায় ছয় দিনের একটু বেশি চালানো যাবে।
কয়লা সরবরাহকারীর বকেয়া সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বাকি থাকায় তাঁরা কয়লা সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানান। যার ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
অনেক দেন-দরবারের পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কয়লা সরবরাহকারী সিএমসিকে ১০০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে। এরপর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অন্যতম অংশীদার সিএমসি কয়লা আমদানির জন্য ঋণপত্র করলে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাচ্ছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র।
বাংলাদেশ ও চীনের অর্থায়নে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানির ৫০ শতাংশ শেয়ার আছে। বাকি ৫০ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ গত ২৭ এপ্রিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে জানায়, চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কোম্পানি (সিএমএস) কয়লার আমদানির বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত আর কয়লা সরবরাহ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
রেলযাত্রা নিয়ে মানুষের ভোগান্তির গল্পের শেষ নেই। সময়মতো ট্রেন না ছাড়া, দরকারি টিকিট না পাওয়া, অপরিচ্ছন্ন আসন, নোংরা প্ল্যাটফর্ম— এমন অভিযোগের দীর্ঘ তালিকা রয়েছে যাত্রী-মনে। ট্রেনে ও স্টেশনে সেসব অভিযোগ জানানোর জন্য রয়েছে বড় আকারের রুলটানা খাতা, যার সরকারি নাম ‘কমপ্লেইন রেজিস্ট্রার বুক’।
২২ মিনিট আগেঅবশেষে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড কেনার জট খুলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের (সেপ্টেম্বর) প্রথম সপ্তাহ থেকে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড হাতে পাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ৩৬ লাখ ৩৪ হাজার কার্ড কিনছে...
২ ঘণ্টা আগেবিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের নজরে এসেছে, যেখানে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুস সাত্তার নাম উল্লেখ না করে কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমরা এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। প্রমাণ উপস্থাপন বা ব্যক্তিদের...
৯ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থাতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের শুরুতে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে জানিয়েছে
১ দিন আগে