আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

অনুমতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, বিদ্যুতের বেশি দাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিযায়ী পাখির ক্ষতি হবে–এমন দাবির মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছিল। তবে এই আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার তা বাতিলের পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো আসন্ন গ্রীষ্মে লোডশেডিং ঠেকাতে আদানির কাছ থেকেই তার ক্ষমতার সব বিদ্যুৎ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে ২৫ বছরের চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। অভিযোগ রয়েছে, চুক্তিতে আদানিকে দেশের অন্য সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে বাড়তি কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সুবিধার কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট হিসেবেই বছরে আদানি অন্তত ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে। ওই চুক্তি নিয়ে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত চলছে আগের নিয়মে। আদানিকে দেওয়া সুবিধাগুলো আর কাউকে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগেই আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারে সরকার। তবে ওই চুক্তি বাতিলের বিষয়ে সরকারের ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে আদানির করা চুক্তির ৪.৩ দফা অনুযায়ী কিছু শর্ত লঙ্ঘন হলে ২৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি বাতিল করতে পারবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থতা, কয়লার দাম ও ওজনে কারচুপি করা ইত্যাদি। চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো রকম ঘুষ বা আর্থিক লেনদেন প্রমাণ করতে পারলেও চুক্তি বাতিল করা যাবে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো অনিবার্য পরিস্থিতি থাকলেও বাংলাদেশ চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
চুক্তি বাতিলের আরেকটি শর্তে রয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যদি কোনো আইনের পরিবর্তনের কারণে আদানির বিদ্যুতের দাম দিতে আইনি সংকট তৈরি হয়, তাহলে এই চুক্তি বাতিল হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তিতে আদানি অন্যায্য বাড়তি সুবিধা নিয়েছে। বিদ্যুতের দামও নিচ্ছে বেশি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চাইলেই নতুন আইন তৈরি করে আদানির সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করতে পারে। এ জন্য জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করে এটা করার সুযোগ রয়েছে। তবে বর্তমান সরকার এ নিয়ে ভাবছে না।
সূত্র জানায়, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানির ওই কেন্দ্রটি ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার। চুক্তি অনুযায়ী, এই কেন্দ্র থেকে পিডিবি কখনোই ৩৪ শতাংশের কম বিদ্যুৎ নিতে পারবে না। এর কম নিলেও ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার দাম বাংলাদেশকে দিতে হবে। এর সঙ্গে কয়লা পরিবহনের জাহাজভাড়া, বন্দরে ব্যয় ও পরে কয়লা পরিবহনের অর্থও দিতে হবে।
পটুয়াখালীর পায়রায় সরকারি প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল ও নরেনকোর স্থাপিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৯৩ দশমিক ৪৮ গ্রাম কয়লার দাম পাবে। অথচ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য আদানিকে দিতে হয় ৫৫৫ দশমিক ৪৩ গ্রাম কয়লার দাম। এতে বাড়তি কয়লার দাম বাবদ বছরে আদানি বেশি পাবে ৬ হাজার কোটি টাকা। আদানির সঙ্গে চুক্তিতে কয়লার সিস্টেম লস ধরা হয়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ টন কয়লা পরিবহনের সময় ১ হাজার ১০০ টন নষ্ট হওয়ার দাবি করে দাম নিতে পারবে আদানি। পায়রায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ও রামপাল কেন্দ্রে সিস্টেম লসের বিধানই রাখা হয়নি।
অসম চুক্তির কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্টও বেশি দেওয়া হয়েছে আদানিকে। ক্যাপাসিটি পেমেন্টের মধ্যে চারটি অংশ রয়েছে। এগুলো হলো পরিবর্তনশীল কেন্দ্র ভাড়া, স্থির কেন্দ্র ভাড়া, ইউএস সিপি ইনডেক্স (যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার) ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ। আদানির বিদ্যুতে ইউনিটপ্রতি শুধু ক্যাপাসিটি পেমেন্টই পড়ে প্রায় ৬ সেন্ট (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ টাকা ২০ পয়সা)। এই হিসাবে বছরে আদানি শুধুকেন্দ্র ভাড়াই নেবে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। অথচ দেশের গ্যাসভিত্তিক ও তেলভিত্তিক বেসরকারি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গড় ইউনিটপ্রতি ক্যাপাসিটি চার্জ ৯০ পয়সা থেকে ১ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত।
জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিগত সরকার ২০২৪ সালের মে মাসে দেশটির উত্তরাঞ্চলের মান্নার ও পুনেরিনে ৪৮২ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কিনতে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া দেড় কোটি পরিযায়ী পাখির জীবন বিপন্ন হবে এই বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাখার কারণে। মান্নার দ্বীপের ৭২ হাজার বাসিন্দাও কেন্দ্রটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চুক্তিতে আদানি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরেছিল ০.০৮২৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ টাকা ১৬ পয়সা)। ভারতে প্রতি ইউনিট বায়ু বিদ্যুতের দাম ০.০৪৩ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ টাকা ২৯ পয়সা)। বিদ্যুতের দাম বেশিসহ বিভিন্ন অভিযোগে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় চুক্তিটি বাতিল করে।
শ্রীলঙ্কার উদাহরণ উল্লেখ করে সাউথ এশিয়া জাস্ট ট্রানজিশন অ্যালায়েন্সের সদস্যসচিব হাসান মেহেদী বলেন, বাংলাদেশ সরকারেরও আদানির ওই কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ, পূর্ববর্তী সরকারের সই করা ওই চুক্তিতে অনেক ত্রুটি ছিল। ভারতে করছাড়ের তথ্য গোপন করে আদানি ইতিমধ্যে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে ডলার-সংকটের কারণে দাম বকেয়া পড়ায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর গোড্ডার বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছিল আদানি। পিডিবির কাছে আদানির পাওনা ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। পাঁচ মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকার আদানিকে মাসে গড়ে সাড়ে ৮ কোটি ডলার পরিশোধ করছে, যা এ সময়ে আদানির কাছ থেকে কেনা বিদ্যুতের দামের চেয়ে বেশি। এখন গ্রীষ্মে আদানির কাছ থেকে সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ নিতে চায় সরকার, তার পরও লোডশেডিং থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবীর খান।

অনুমতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, বিদ্যুতের বেশি দাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিযায়ী পাখির ক্ষতি হবে–এমন দাবির মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছিল। তবে এই আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার তা বাতিলের পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো আসন্ন গ্রীষ্মে লোডশেডিং ঠেকাতে আদানির কাছ থেকেই তার ক্ষমতার সব বিদ্যুৎ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে ২৫ বছরের চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। অভিযোগ রয়েছে, চুক্তিতে আদানিকে দেশের অন্য সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে বাড়তি কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সুবিধার কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট হিসেবেই বছরে আদানি অন্তত ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে। ওই চুক্তি নিয়ে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত চলছে আগের নিয়মে। আদানিকে দেওয়া সুবিধাগুলো আর কাউকে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগেই আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারে সরকার। তবে ওই চুক্তি বাতিলের বিষয়ে সরকারের ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে আদানির করা চুক্তির ৪.৩ দফা অনুযায়ী কিছু শর্ত লঙ্ঘন হলে ২৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি বাতিল করতে পারবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থতা, কয়লার দাম ও ওজনে কারচুপি করা ইত্যাদি। চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো রকম ঘুষ বা আর্থিক লেনদেন প্রমাণ করতে পারলেও চুক্তি বাতিল করা যাবে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো অনিবার্য পরিস্থিতি থাকলেও বাংলাদেশ চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
চুক্তি বাতিলের আরেকটি শর্তে রয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যদি কোনো আইনের পরিবর্তনের কারণে আদানির বিদ্যুতের দাম দিতে আইনি সংকট তৈরি হয়, তাহলে এই চুক্তি বাতিল হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তিতে আদানি অন্যায্য বাড়তি সুবিধা নিয়েছে। বিদ্যুতের দামও নিচ্ছে বেশি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চাইলেই নতুন আইন তৈরি করে আদানির সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করতে পারে। এ জন্য জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করে এটা করার সুযোগ রয়েছে। তবে বর্তমান সরকার এ নিয়ে ভাবছে না।
সূত্র জানায়, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানির ওই কেন্দ্রটি ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার। চুক্তি অনুযায়ী, এই কেন্দ্র থেকে পিডিবি কখনোই ৩৪ শতাংশের কম বিদ্যুৎ নিতে পারবে না। এর কম নিলেও ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার দাম বাংলাদেশকে দিতে হবে। এর সঙ্গে কয়লা পরিবহনের জাহাজভাড়া, বন্দরে ব্যয় ও পরে কয়লা পরিবহনের অর্থও দিতে হবে।
পটুয়াখালীর পায়রায় সরকারি প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল ও নরেনকোর স্থাপিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৯৩ দশমিক ৪৮ গ্রাম কয়লার দাম পাবে। অথচ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য আদানিকে দিতে হয় ৫৫৫ দশমিক ৪৩ গ্রাম কয়লার দাম। এতে বাড়তি কয়লার দাম বাবদ বছরে আদানি বেশি পাবে ৬ হাজার কোটি টাকা। আদানির সঙ্গে চুক্তিতে কয়লার সিস্টেম লস ধরা হয়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ টন কয়লা পরিবহনের সময় ১ হাজার ১০০ টন নষ্ট হওয়ার দাবি করে দাম নিতে পারবে আদানি। পায়রায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ও রামপাল কেন্দ্রে সিস্টেম লসের বিধানই রাখা হয়নি।
অসম চুক্তির কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্টও বেশি দেওয়া হয়েছে আদানিকে। ক্যাপাসিটি পেমেন্টের মধ্যে চারটি অংশ রয়েছে। এগুলো হলো পরিবর্তনশীল কেন্দ্র ভাড়া, স্থির কেন্দ্র ভাড়া, ইউএস সিপি ইনডেক্স (যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার) ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ। আদানির বিদ্যুতে ইউনিটপ্রতি শুধু ক্যাপাসিটি পেমেন্টই পড়ে প্রায় ৬ সেন্ট (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ টাকা ২০ পয়সা)। এই হিসাবে বছরে আদানি শুধুকেন্দ্র ভাড়াই নেবে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। অথচ দেশের গ্যাসভিত্তিক ও তেলভিত্তিক বেসরকারি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গড় ইউনিটপ্রতি ক্যাপাসিটি চার্জ ৯০ পয়সা থেকে ১ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত।
জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিগত সরকার ২০২৪ সালের মে মাসে দেশটির উত্তরাঞ্চলের মান্নার ও পুনেরিনে ৪৮২ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কিনতে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া দেড় কোটি পরিযায়ী পাখির জীবন বিপন্ন হবে এই বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাখার কারণে। মান্নার দ্বীপের ৭২ হাজার বাসিন্দাও কেন্দ্রটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চুক্তিতে আদানি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরেছিল ০.০৮২৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ টাকা ১৬ পয়সা)। ভারতে প্রতি ইউনিট বায়ু বিদ্যুতের দাম ০.০৪৩ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ টাকা ২৯ পয়সা)। বিদ্যুতের দাম বেশিসহ বিভিন্ন অভিযোগে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় চুক্তিটি বাতিল করে।
শ্রীলঙ্কার উদাহরণ উল্লেখ করে সাউথ এশিয়া জাস্ট ট্রানজিশন অ্যালায়েন্সের সদস্যসচিব হাসান মেহেদী বলেন, বাংলাদেশ সরকারেরও আদানির ওই কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ, পূর্ববর্তী সরকারের সই করা ওই চুক্তিতে অনেক ত্রুটি ছিল। ভারতে করছাড়ের তথ্য গোপন করে আদানি ইতিমধ্যে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে ডলার-সংকটের কারণে দাম বকেয়া পড়ায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর গোড্ডার বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছিল আদানি। পিডিবির কাছে আদানির পাওনা ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। পাঁচ মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকার আদানিকে মাসে গড়ে সাড়ে ৮ কোটি ডলার পরিশোধ করছে, যা এ সময়ে আদানির কাছ থেকে কেনা বিদ্যুতের দামের চেয়ে বেশি। এখন গ্রীষ্মে আদানির কাছ থেকে সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ নিতে চায় সরকার, তার পরও লোডশেডিং থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবীর খান।
আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

অনুমতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, বিদ্যুতের বেশি দাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিযায়ী পাখির ক্ষতি হবে–এমন দাবির মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছিল। তবে এই আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার তা বাতিলের পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো আসন্ন গ্রীষ্মে লোডশেডিং ঠেকাতে আদানির কাছ থেকেই তার ক্ষমতার সব বিদ্যুৎ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে ২৫ বছরের চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। অভিযোগ রয়েছে, চুক্তিতে আদানিকে দেশের অন্য সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে বাড়তি কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সুবিধার কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট হিসেবেই বছরে আদানি অন্তত ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে। ওই চুক্তি নিয়ে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত চলছে আগের নিয়মে। আদানিকে দেওয়া সুবিধাগুলো আর কাউকে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগেই আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারে সরকার। তবে ওই চুক্তি বাতিলের বিষয়ে সরকারের ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে আদানির করা চুক্তির ৪.৩ দফা অনুযায়ী কিছু শর্ত লঙ্ঘন হলে ২৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি বাতিল করতে পারবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থতা, কয়লার দাম ও ওজনে কারচুপি করা ইত্যাদি। চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো রকম ঘুষ বা আর্থিক লেনদেন প্রমাণ করতে পারলেও চুক্তি বাতিল করা যাবে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো অনিবার্য পরিস্থিতি থাকলেও বাংলাদেশ চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
চুক্তি বাতিলের আরেকটি শর্তে রয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যদি কোনো আইনের পরিবর্তনের কারণে আদানির বিদ্যুতের দাম দিতে আইনি সংকট তৈরি হয়, তাহলে এই চুক্তি বাতিল হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তিতে আদানি অন্যায্য বাড়তি সুবিধা নিয়েছে। বিদ্যুতের দামও নিচ্ছে বেশি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চাইলেই নতুন আইন তৈরি করে আদানির সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করতে পারে। এ জন্য জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করে এটা করার সুযোগ রয়েছে। তবে বর্তমান সরকার এ নিয়ে ভাবছে না।
সূত্র জানায়, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানির ওই কেন্দ্রটি ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার। চুক্তি অনুযায়ী, এই কেন্দ্র থেকে পিডিবি কখনোই ৩৪ শতাংশের কম বিদ্যুৎ নিতে পারবে না। এর কম নিলেও ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার দাম বাংলাদেশকে দিতে হবে। এর সঙ্গে কয়লা পরিবহনের জাহাজভাড়া, বন্দরে ব্যয় ও পরে কয়লা পরিবহনের অর্থও দিতে হবে।
পটুয়াখালীর পায়রায় সরকারি প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল ও নরেনকোর স্থাপিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৯৩ দশমিক ৪৮ গ্রাম কয়লার দাম পাবে। অথচ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য আদানিকে দিতে হয় ৫৫৫ দশমিক ৪৩ গ্রাম কয়লার দাম। এতে বাড়তি কয়লার দাম বাবদ বছরে আদানি বেশি পাবে ৬ হাজার কোটি টাকা। আদানির সঙ্গে চুক্তিতে কয়লার সিস্টেম লস ধরা হয়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ টন কয়লা পরিবহনের সময় ১ হাজার ১০০ টন নষ্ট হওয়ার দাবি করে দাম নিতে পারবে আদানি। পায়রায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ও রামপাল কেন্দ্রে সিস্টেম লসের বিধানই রাখা হয়নি।
অসম চুক্তির কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্টও বেশি দেওয়া হয়েছে আদানিকে। ক্যাপাসিটি পেমেন্টের মধ্যে চারটি অংশ রয়েছে। এগুলো হলো পরিবর্তনশীল কেন্দ্র ভাড়া, স্থির কেন্দ্র ভাড়া, ইউএস সিপি ইনডেক্স (যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার) ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ। আদানির বিদ্যুতে ইউনিটপ্রতি শুধু ক্যাপাসিটি পেমেন্টই পড়ে প্রায় ৬ সেন্ট (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ টাকা ২০ পয়সা)। এই হিসাবে বছরে আদানি শুধুকেন্দ্র ভাড়াই নেবে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। অথচ দেশের গ্যাসভিত্তিক ও তেলভিত্তিক বেসরকারি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গড় ইউনিটপ্রতি ক্যাপাসিটি চার্জ ৯০ পয়সা থেকে ১ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত।
জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিগত সরকার ২০২৪ সালের মে মাসে দেশটির উত্তরাঞ্চলের মান্নার ও পুনেরিনে ৪৮২ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কিনতে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া দেড় কোটি পরিযায়ী পাখির জীবন বিপন্ন হবে এই বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাখার কারণে। মান্নার দ্বীপের ৭২ হাজার বাসিন্দাও কেন্দ্রটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চুক্তিতে আদানি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরেছিল ০.০৮২৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ টাকা ১৬ পয়সা)। ভারতে প্রতি ইউনিট বায়ু বিদ্যুতের দাম ০.০৪৩ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ টাকা ২৯ পয়সা)। বিদ্যুতের দাম বেশিসহ বিভিন্ন অভিযোগে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় চুক্তিটি বাতিল করে।
শ্রীলঙ্কার উদাহরণ উল্লেখ করে সাউথ এশিয়া জাস্ট ট্রানজিশন অ্যালায়েন্সের সদস্যসচিব হাসান মেহেদী বলেন, বাংলাদেশ সরকারেরও আদানির ওই কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ, পূর্ববর্তী সরকারের সই করা ওই চুক্তিতে অনেক ত্রুটি ছিল। ভারতে করছাড়ের তথ্য গোপন করে আদানি ইতিমধ্যে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে ডলার-সংকটের কারণে দাম বকেয়া পড়ায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর গোড্ডার বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছিল আদানি। পিডিবির কাছে আদানির পাওনা ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। পাঁচ মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকার আদানিকে মাসে গড়ে সাড়ে ৮ কোটি ডলার পরিশোধ করছে, যা এ সময়ে আদানির কাছ থেকে কেনা বিদ্যুতের দামের চেয়ে বেশি। এখন গ্রীষ্মে আদানির কাছ থেকে সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ নিতে চায় সরকার, তার পরও লোডশেডিং থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবীর খান।

অনুমতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, বিদ্যুতের বেশি দাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিযায়ী পাখির ক্ষতি হবে–এমন দাবির মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছিল। তবে এই আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার তা বাতিলের পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো আসন্ন গ্রীষ্মে লোডশেডিং ঠেকাতে আদানির কাছ থেকেই তার ক্ষমতার সব বিদ্যুৎ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে ২৫ বছরের চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। অভিযোগ রয়েছে, চুক্তিতে আদানিকে দেশের অন্য সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে বাড়তি কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সুবিধার কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট হিসেবেই বছরে আদানি অন্তত ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে। ওই চুক্তি নিয়ে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।
জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত চলছে আগের নিয়মে। আদানিকে দেওয়া সুবিধাগুলো আর কাউকে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগেই আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারে সরকার। তবে ওই চুক্তি বাতিলের বিষয়ে সরকারের ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে আদানির করা চুক্তির ৪.৩ দফা অনুযায়ী কিছু শর্ত লঙ্ঘন হলে ২৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি বাতিল করতে পারবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থতা, কয়লার দাম ও ওজনে কারচুপি করা ইত্যাদি। চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো রকম ঘুষ বা আর্থিক লেনদেন প্রমাণ করতে পারলেও চুক্তি বাতিল করা যাবে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো অনিবার্য পরিস্থিতি থাকলেও বাংলাদেশ চুক্তি বাতিল করতে পারবে।
চুক্তি বাতিলের আরেকটি শর্তে রয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যদি কোনো আইনের পরিবর্তনের কারণে আদানির বিদ্যুতের দাম দিতে আইনি সংকট তৈরি হয়, তাহলে এই চুক্তি বাতিল হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তিতে আদানি অন্যায্য বাড়তি সুবিধা নিয়েছে। বিদ্যুতের দামও নিচ্ছে বেশি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চাইলেই নতুন আইন তৈরি করে আদানির সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করতে পারে। এ জন্য জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করে এটা করার সুযোগ রয়েছে। তবে বর্তমান সরকার এ নিয়ে ভাবছে না।
সূত্র জানায়, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানির ওই কেন্দ্রটি ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার। চুক্তি অনুযায়ী, এই কেন্দ্র থেকে পিডিবি কখনোই ৩৪ শতাংশের কম বিদ্যুৎ নিতে পারবে না। এর কম নিলেও ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার দাম বাংলাদেশকে দিতে হবে। এর সঙ্গে কয়লা পরিবহনের জাহাজভাড়া, বন্দরে ব্যয় ও পরে কয়লা পরিবহনের অর্থও দিতে হবে।
পটুয়াখালীর পায়রায় সরকারি প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল ও নরেনকোর স্থাপিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৯৩ দশমিক ৪৮ গ্রাম কয়লার দাম পাবে। অথচ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য আদানিকে দিতে হয় ৫৫৫ দশমিক ৪৩ গ্রাম কয়লার দাম। এতে বাড়তি কয়লার দাম বাবদ বছরে আদানি বেশি পাবে ৬ হাজার কোটি টাকা। আদানির সঙ্গে চুক্তিতে কয়লার সিস্টেম লস ধরা হয়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ টন কয়লা পরিবহনের সময় ১ হাজার ১০০ টন নষ্ট হওয়ার দাবি করে দাম নিতে পারবে আদানি। পায়রায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ও রামপাল কেন্দ্রে সিস্টেম লসের বিধানই রাখা হয়নি।
অসম চুক্তির কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্টও বেশি দেওয়া হয়েছে আদানিকে। ক্যাপাসিটি পেমেন্টের মধ্যে চারটি অংশ রয়েছে। এগুলো হলো পরিবর্তনশীল কেন্দ্র ভাড়া, স্থির কেন্দ্র ভাড়া, ইউএস সিপি ইনডেক্স (যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার) ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ। আদানির বিদ্যুতে ইউনিটপ্রতি শুধু ক্যাপাসিটি পেমেন্টই পড়ে প্রায় ৬ সেন্ট (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ টাকা ২০ পয়সা)। এই হিসাবে বছরে আদানি শুধুকেন্দ্র ভাড়াই নেবে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। অথচ দেশের গ্যাসভিত্তিক ও তেলভিত্তিক বেসরকারি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গড় ইউনিটপ্রতি ক্যাপাসিটি চার্জ ৯০ পয়সা থেকে ১ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত।
জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিগত সরকার ২০২৪ সালের মে মাসে দেশটির উত্তরাঞ্চলের মান্নার ও পুনেরিনে ৪৮২ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কিনতে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া দেড় কোটি পরিযায়ী পাখির জীবন বিপন্ন হবে এই বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাখার কারণে। মান্নার দ্বীপের ৭২ হাজার বাসিন্দাও কেন্দ্রটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চুক্তিতে আদানি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরেছিল ০.০৮২৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ টাকা ১৬ পয়সা)। ভারতে প্রতি ইউনিট বায়ু বিদ্যুতের দাম ০.০৪৩ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ টাকা ২৯ পয়সা)। বিদ্যুতের দাম বেশিসহ বিভিন্ন অভিযোগে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় চুক্তিটি বাতিল করে।
শ্রীলঙ্কার উদাহরণ উল্লেখ করে সাউথ এশিয়া জাস্ট ট্রানজিশন অ্যালায়েন্সের সদস্যসচিব হাসান মেহেদী বলেন, বাংলাদেশ সরকারেরও আদানির ওই কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ, পূর্ববর্তী সরকারের সই করা ওই চুক্তিতে অনেক ত্রুটি ছিল। ভারতে করছাড়ের তথ্য গোপন করে আদানি ইতিমধ্যে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে ডলার-সংকটের কারণে দাম বকেয়া পড়ায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর গোড্ডার বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছিল আদানি। পিডিবির কাছে আদানির পাওনা ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। পাঁচ মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকার আদানিকে মাসে গড়ে সাড়ে ৮ কোটি ডলার পরিশোধ করছে, যা এ সময়ে আদানির কাছ থেকে কেনা বিদ্যুতের দামের চেয়ে বেশি। এখন গ্রীষ্মে আদানির কাছ থেকে সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ নিতে চায় সরকার, তার পরও লোডশেডিং থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবীর খান।

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৪ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেখানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মরহুমের এক নিকটাত্মীয় আজকের পত্রিকাকে জানান, মাহমুদ আলী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ১৩ দিন ধরে তিনি বারডেম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসার সামনে জানাজা শেষে মরহুমকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী ১৯৪৩ সালের ২ জুন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ডাক্তারপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর) আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৬৩ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি ওই বছরের মে মাসে মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত হন।
১৯৬৬ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল, জার্মানিতে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল ও ভুটানে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অনুমতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, বিদ্যুতের বেশি দাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিযায়ী পাখির ক্ষতি হবে–এমন দাবির মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছিল। তবে এই আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে অনেক...
০৯ মার্চ ২০২৫
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৪ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদসমৃদ্ধ একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জাপান আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণার্থী ও দক্ষ কর্মী সহযোগিতা সংস্থা জিটকোর সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনার ও পরবর্তী ম্যাচিং ইভেন্টে দুই দেশের প্রায় ২৫০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক ও নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
স্বাগত বক্তব্যে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী বলেন, জাপানে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে দূতাবাস সব ধরনের সহায়তা দেবে।
সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, ২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ বিদেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে, অন্যদিকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ২ কোটি ৫০ লাখ কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী রয়েছে—এ প্রবণতা ২০৪০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
নেয়ামত উল্যা বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাপানের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মী সরবরাহে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে এবং এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ড. নেয়ামত আরও জানান, জাপানের শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশে ৩৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি) নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একটি ‘জাপান সেল’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা জাপানি শ্রমবাজারের সঙ্গে সমন্বয় ও যোগাযোগের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
সেমিনারে জিটকোর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিগেও মাতসুতোমি আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা ও জাপানের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
পরে বাংলাদেশি জনশক্তি প্রেরণকারী ও জাপানি নিয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সেমিনারে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুমতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, বিদ্যুতের বেশি দাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিযায়ী পাখির ক্ষতি হবে–এমন দাবির মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছিল। তবে এই আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে অনেক...
০৯ মার্চ ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা রোধে বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিক দাবি পে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে।
বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর রাতে নাইট শিফটে (রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) দায়িত্ব পালনকালে অভিযুক্ত অঙ্গীভূত আনসার সদস্য জেনারুল ইসলাম লোভের বশবর্তী হয়ে একটি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন। তিনি ব্যক্তিগত প্রয়োজনের কথা বলে পোড়া ভবনের ভেতরে ভস্মীভূত দ্রব্যাদি থেকে কিছু বাটন ফোন লুকিয়ে বের করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে এবং বাহিনীর জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখতে, সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যকে সঙ্গে সঙ্গে চাকরি থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হয়েছে। উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশিকউজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এত দ্রুততম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের দীর্ঘদিনের অনৈতিক চর্চার ক্ষেত্রগুলো হ্রাস করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহিনী মনে করে, রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে স্বল্প বেতনের মাধ্যমে দিবারাত্রি ডিউটি শেষে জীবিকার মৌলিক প্রয়োজনগুলো মেটানো অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের মনস্তাত্ত্বিক প্রেষণার অন্যতম নিয়ামক। এ কারণেই বাহিনীর পক্ষ থেকে সদস্যদের নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে মনস্তাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাহিনীর প্রধান পে কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের যৌক্তিক বেতন বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। বাহিনীর প্রত্যাশা, বেতন বৃদ্ধি হলে সংবেদনশীল ও ঝুঁকিপূর্ণ ডিউটির ক্ষেত্রে সদস্যরা আরও বেশি নিবেদিত ও নৈতিক অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে অনুপ্রাণিত হবেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআই এলাকায় দক্ষতা, সততা ও পেশাদারির সঙ্গে দীর্ঘকাল ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্রুততর শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি সদস্যদের জন্য সার্বিক কল্যাণধর্মী কার্যক্রমের মাধ্যমে এ ধরনের বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে সদস্যদের সম্পৃক্ততা ধীরে ধীরে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুনেও অক্ষত স্ট্রংরুমের ভল্ট থেকে চুরি হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র। ওই কমপ্লেক্সের স্ট্রংরুম গত রোববার দুপুরে নিয়মিত পরিদর্শনের সময় ভল্ট থেকে অস্ত্রগুলো খোয়া যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।

অনুমতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, বিদ্যুতের বেশি দাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিযায়ী পাখির ক্ষতি হবে–এমন দাবির মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছিল। তবে এই আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে অনেক...
০৯ মার্চ ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৪ ঘণ্টা আগে
রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
২০ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

রাইড শেয়ারিংয়ের কার, মাইক্রোবাস/ জিপ, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার জন্য নতুন ভাড়ার হার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। রাইডশেয়ারিংয়ের প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালায় অটোরিকশা যুক্ত করা হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স।
রাইডশেয়ারিং সেবার নীতিমালা-২০১৭ সংশোধন করে বিআরটিএ ২ নভেম্বর প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। আগে ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস গাইডলাইন-২০১০ অনুযায়ী রাইড শেয়ারিংয়ের ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও তা নতুনভাবে নির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত আগস্টে গঠিত বিআরটিএর কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিআরটিএর প্রস্তাবিত ভাড়ার কাঠামো অনুযায়ী মাইক্রোবাস, মোটরকার/জিপ, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের জন্য সর্বনিম্ন ভাড়া ২ কিলোমিটারের মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের ২ কিলোমিটারের সর্বনিম্ন ভাড়া হবে ১১০ টাকা, মোটরকার ও জিপের ১১০ টাকা, অটোরিকশার ৭০ টাকা এবং মোটরসাইকেলের ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি যানের প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়ার সঙ্গে ২০ টাকা বুকিং ফি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাইক্রোবাসের ক্ষেত্রে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৮ টাকা। ভ্রমণ চলাকালে প্রতি মিনিটের ভাড়া ২ টাকা। মোটরকার ও জিপে প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ৩৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। অটোরিকশার প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারে ১৮ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ২ টাকা। মোটরসাইকেলের প্রথম ২ কিলোমিটারের পর পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৬ টাকা এবং ভ্রমণ চলাকালীন প্রতি মিনিটে ভাড়া ১ টাকা। মোটরসাইকেলের আগে প্রথম ২ কিলোমিটারের ভাড়া ছিল ৮৫ টাকা।
রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর কমিশনের হারও কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিআরটিএ। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা ভাড়ার সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ কমিশন নিতে পারবে। আগে এই হার ছিল ৩০ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাইড শেয়ারিংয়ের নানা বিষয়ে একটি আবেদন করেছিলেন রাইডরা। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। পরে এটা নিয়ে আমাদের একটি কমিটি হয়েছিল। ওই কমিটি রাইডশেয়ারিংয়ের নানা বিষয় পর্যালোচনা করেছে।’
বিআরটিএ সূত্র জানায়, রাইডশেয়ারিং সেবার প্রস্তাবিত সংশোধিত নীতিমালা অনুযায়ী যাত্রী বা চালক কেউ ট্রিপ বাতিল করলে নির্দিষ্ট সময়ের পর বাতিল চার্জ প্রযোজ্য হবে। যাত্রী অনুরোধ পাঠানোর পর চালক গ্রহণ করে যাত্রীর অভিমুখে রওনা হওয়ার পর ৩ মিনিটের মধ্যে ট্রিপ বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। তবে ওই সময়ের পর বাতিল করলে সম্ভাব্য ভাড়ার ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৩০ টাকা (যেটি কম) ক্যানসেলেশন চার্জ হিসেবে নেওয়া হবে, যা চালক ও রাইডশেয়ারিং কোম্পানি সমানভাবে ভাগ করবে।
চালকও অনুরোধ গ্রহণের পর ৩ মিনিটের মধ্যে বাতিল করলে কোনো চার্জ লাগবে না। কিন্তু এর পর বাতিল করলে তাঁর কাছ থেকেও একই হারে চার্জ কাটা হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ও কমিশন কমানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে। তবে বাস্তবায়ন ও তদারকি নিশ্চিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ। এসব নিয়ম শুধু কাগজে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে।

অনুমতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, বিদ্যুতের বেশি দাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিযায়ী পাখির ক্ষতি হবে–এমন দাবির মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছিল। তবে এই আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে অনেক...
০৯ মার্চ ২০২৫
সাবেক পররাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী (৮৩) আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্রসন্তান রেখে গেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের শ্রমবাজারে সৃষ্ট ১ কোটি ১০ লাখ জনশক্তির ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাপানের নাগোয়া শহরে টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ‘বাংলাদেশ জাপানের
৪ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপনা, বিমানবন্দরে দায়িত্বরত এক অঙ্গীভূত আনসার সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাৎক্ষণিক ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। বাহিনীর মহাপরিচালকের নির্দেশে শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত অপরাধে ওই সদস্যকে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা
৯ ঘণ্টা আগে