Ajker Patrika

আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সুযোগ নিচ্ছে না সরকার

  • বিগত সরকারের অসম চুক্তি করার অভিযোগ থাকলেও বাতিলের পদক্ষেপ নেই
  • আদানি থেকে সর্বনিম্ন ৩৪% বিদ্যুৎ নিতে হবে। কম নিলেও এই দাম দিতে হবে
  • প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে পায়রার চেয়ে ৬১.৯৫ গ্রাম কয়লা বেশি লাগছে
আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

অনুমতির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, বিদ্যুতের বেশি দাম ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিযায়ী পাখির ক্ষতি হবে–এমন দাবির মুখে শ্রীলঙ্কা সরকার ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি বাতিল করেছিল। তবে এই আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার তা বাতিলের পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো আসন্ন গ্রীষ্মে লোডশেডিং ঠেকাতে আদানির কাছ থেকেই তার ক্ষমতার সব বিদ্যুৎ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে ২৫ বছরের চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। অভিযোগ রয়েছে, চুক্তিতে আদানিকে দেশের অন্য সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে বাড়তি কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই সুবিধার কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট হিসেবেই বছরে আদানি অন্তত ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে। ওই চুক্তি নিয়ে ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে।

জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সরকার পরিবর্তন হলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত চলছে আগের নিয়মে। আদানিকে দেওয়া সুবিধাগুলো আর কাউকে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগেই আদানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে পারে সরকার। তবে ওই চুক্তি বাতিলের বিষয়ে সরকারের ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে আদানির করা চুক্তির ৪.৩ দফা অনুযায়ী কিছু শর্ত লঙ্ঘন হলে ২৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি বাতিল করতে পারবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থতা, কয়লার দাম ও ওজনে কারচুপি করা ইত্যাদি। চুক্তির ক্ষেত্রে কোনো রকম ঘুষ বা আর্থিক লেনদেন প্রমাণ করতে পারলেও চুক্তি বাতিল করা যাবে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো অনিবার্য পরিস্থিতি থাকলেও বাংলাদেশ চুক্তি বাতিল করতে পারবে।

চুক্তি বাতিলের আরেকটি শর্তে রয়েছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে যদি কোনো আইনের পরিবর্তনের কারণে আদানির বিদ্যুতের দাম দিতে আইনি সংকট তৈরি হয়, তাহলে এই চুক্তি বাতিল হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তিতে আদানি অন্যায্য বাড়তি সুবিধা নিয়েছে। বিদ্যুতের দামও নিচ্ছে বেশি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার চাইলেই নতুন আইন তৈরি করে আদানির সঙ্গে চুক্তিটি বাতিল করতে পারে। এ জন্য জাতীয় সংসদের অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করে এটা করার সুযোগ রয়েছে। তবে বর্তমান সরকার এ নিয়ে ভাবছে না।

সূত্র জানায়, ঝাড়খন্ডের গোড্ডায় আদানির ওই কেন্দ্রটি ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার। চুক্তি অনুযায়ী, এই কেন্দ্র থেকে পিডিবি কখনোই ৩৪ শতাংশের কম বিদ্যুৎ নিতে পারবে না। এর কম নিলেও ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার দাম বাংলাদেশকে দিতে হবে। এর সঙ্গে কয়লা পরিবহনের জাহাজভাড়া, বন্দরে ব্যয় ও পরে কয়লা পরিবহনের অর্থও দিতে হবে।

পটুয়াখালীর পায়রায় সরকারি প্রতিষ্ঠান আরপিসিএল ও নরেনকোর স্থাপিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কেন্দ্র প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৯৩ দশমিক ৪৮ গ্রাম কয়লার দাম পাবে। অথচ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য আদানিকে দিতে হয় ৫৫৫ দশমিক ৪৩ গ্রাম কয়লার দাম। এতে বাড়তি কয়লার দাম বাবদ বছরে আদানি বেশি পাবে ৬ হাজার কোটি টাকা। আদানির সঙ্গে চুক্তিতে কয়লার সিস্টেম লস ধরা হয়েছে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১ লাখ টন কয়লা পরিবহনের সময় ১ হাজার ১০০ টন নষ্ট হওয়ার দাবি করে দাম নিতে পারবে আদানি। পায়রায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ও রামপাল কেন্দ্রে সিস্টেম লসের বিধানই রাখা হয়নি।

অসম চুক্তির কারণে ক্যাপাসিটি পেমেন্টও বেশি দেওয়া হয়েছে আদানিকে। ক্যাপাসিটি পেমেন্টের মধ্যে চারটি অংশ রয়েছে। এগুলো হলো পরিবর্তনশীল কেন্দ্র ভাড়া, স্থির কেন্দ্র ভাড়া, ইউএস সিপি ইনডেক্স (যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতির হার) ও রক্ষণাবেক্ষণের অর্থ। আদানির বিদ্যুতে ইউনিটপ্রতি শুধু ক্যাপাসিটি পেমেন্টই পড়ে প্রায় ৬ সেন্ট (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ টাকা ২০ পয়সা)। এই হিসাবে বছরে আদানি শুধুকেন্দ্র ভাড়াই নেবে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। অথচ দেশের গ্যাসভিত্তিক ও তেলভিত্তিক বেসরকারি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গড় ইউনিটপ্রতি ক্যাপাসিটি চার্জ ৯০ পয়সা থেকে ১ টাকা ২০ পয়সা পর্যন্ত।

জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিগত সরকার ২০২৪ সালের মে মাসে দেশটির উত্তরাঞ্চলের মান্নার ও পুনেরিনে ৪৮২ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ কিনতে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয় নেওয়া দেড় কোটি পরিযায়ী পাখির জীবন বিপন্ন হবে এই বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাখার কারণে। মান্নার দ্বীপের ৭২ হাজার বাসিন্দাও কেন্দ্রটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। চুক্তিতে আদানি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ধরেছিল ০.০৮২৬ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০ টাকা ১৬ পয়সা)। ভারতে প্রতি ইউনিট বায়ু বিদ্যুতের দাম ০.০৪৩ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ টাকা ২৯ পয়সা)। বিদ্যুতের দাম বেশিসহ বিভিন্ন অভিযোগে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় চুক্তিটি বাতিল করে।

শ্রীলঙ্কার উদাহরণ উল্লেখ করে সাউথ এশিয়া জাস্ট ট্রানজিশন অ্যালায়েন্সের সদস্যসচিব হাসান মেহেদী বলেন, বাংলাদেশ সরকারেরও আদানির ওই কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ, পূর্ববর্তী সরকারের সই করা ওই চুক্তিতে অনেক ত্রুটি ছিল। ভারতে করছাড়ের তথ্য গোপন করে আদানি ইতিমধ্যে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

এদিকে ডলার-সংকটের কারণে দাম বকেয়া পড়ায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর গোড্ডার বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছিল আদানি। পিডিবির কাছে আদানির পাওনা ৭৭ কোটি মার্কিন ডলার। পাঁচ মাস ধরে অন্তর্বর্তী সরকার আদানিকে মাসে গড়ে সাড়ে ৮ কোটি ডলার পরিশোধ করছে, যা এ সময়ে আদানির কাছ থেকে কেনা বিদ্যুতের দামের চেয়ে বেশি। এখন গ্রীষ্মে আদানির কাছ থেকে সক্ষমতার পুরো বিদ্যুৎ নিতে চায় সরকার, তার পরও লোডশেডিং থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবীর খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে অমৃত মন্ডল নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয়: প্রেস উইং

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।

পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।

সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে: প্রেস সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’

তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বড়দিনে বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাষ্ট্রপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তারেক রহমান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর এখন দেশের মাটিতে। আজ বৃহস্পতিবার ১১টায় ৫৪ মিনিটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রথমেই তিনি বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জড়িয়ে ধরেন। পরে স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তারেক রহমানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এরপর তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কুশল-বিনিয়ম করেন। নিরাপত্তা ও বিভিন্ন ধরনের সহায়তার জন্য এ সময় তিনি সরকারপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কথোপকথনে তারেককে বলতে শোনা যায়, ‘জি জি...আমার জন্য আমার...জি জি...আপনার শরীর কেমন আছে?’

...

‘হ্যাঁ, দোয়া করবেন, দোয়া করবেন।’ ...

‘আমি আমার পক্ষ থেকে এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনি আপনার পক্ষ থেকে বিভিন্ন রকম আয়োজন করেছেন, বিশেষ করে আমার নিরাপত্তার জন্য। অ্যান্ড উই আর থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ...থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ। সব রকম আয়োজনের জন্য।’

...

‘নিশ্চয়ই, নিশ্চয়ই। জি নিশ্চয়ই...ইনশাল্লাহ...ইনশাল্লাহ।’

ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।

এরপরই তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ফুলের মালা পরিয়ে জামাতাকে বরণ করেন নেন। নাতনি জাইমাকেও আদর করতে দেখা যায়। তারেক রহমান এ সময় তাঁর পাশে কিছু সময় বসে থাকেন। এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তারেক রহমানে স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে সাদা রঙের একটি জিপ গাড়িতে উঠে বসেন।

দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে তারেক রহমান বেলা ১২টা মিনিটে ৩২ মিনিটে লাল সবুজ রঙে একটি বুলেটপ্রুফ বাসে উঠেন। ২ মিনিট পরে বাসটি বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে যেতে শুরু করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত