রজত কান্তি রায়

রাজশাহী ও লাল ছেলেবেলা
তাঁর ফেসবুক পেজ দেখলে বোঝার কোনো উপায় নেই তিনি এই মুহূর্তে ঠিক কোন দেশে বা কোন শহরে আছেন। শত মানুষের মাঝেও তাঁকে চেনা যায় তাঁর ঝলমলে রঙিন পোশাক আর লম্বা চুলের জন্য। হাসিখুশি ভ্রমণপ্রিয় অপুর জন্ম পদ্মাপারের রাজশাহী শহরের দরগাপাড়ায়, ১৯৮০ সালে। পুরো নাম তানভীর অপু। বাবা ইব্রাহিম আলী দেওয়ান ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর। মা মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে অবসরে গেছেন ৪০ বছর চাকরি করার পর।
রাজশাহী শহর, পদ্মা নদী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসেই কাটে অপুর ছেলেবেলা। কীভাবে যেন সেই ছেলেবেলাতেই ভ্রমণের বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল তাঁর মধ্যে। বড় বেলায় এসে সে অঙ্কুর মহিরুহে পরিণত হয়েছে মাত্র।
পাখি দেখা ও ইনাম আল হক
পদ্মার চরে প্রচুর পাখি আসে প্রতিবছর। সেসব পাখি দেখতে গিয়েছিলেন পাখিবিশারদ ইনাম আল হক। সেটা ১৯৯৯ সাল। সে বছরই তাঁর সঙ্গে অপুর দেখা ও পরিচয় হয়। তারপর তাঁর সংসর্গে আসেন অপু। ভ্রমণের পৃথিবীতে নতুন জোয়ার আসে। ‘ফুলটাইম ট্রাভেলার’ হওয়ার নেশা পেয়ে বসে তখনই।
প্রথম বিদেশ ভ্রমণ
স্কুলের পাঠ চুকিয়ে বিকেএসপিতে কিছু সময় লেখাপড়া করেন তানভির। তারপর পাড়ি জমান ফিনল্যান্ড। একেবারে স্বাধীন মানুষ হিসেবে ভ্রমণ করার পুরো সুবিধা পেতে শুরু করেন সেখান থেকে। সেটা ২০০৫ সাল। এর পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৬ সালে ফিনল্যান্ডে তাঁর স্কুল থেকে পাশের দেশ এস্তোনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সূত্রে এস্তোনিয়ার রাজধানী তালিন তাঁর দ্বিতীয় বিদেশ ভ্রমণ।
ভালো লাগার শহর
৮১টি দেশের ৮৮০টি শহর থেকে ভালো লাগার শহর বেছে নেওয়া খুব সহজ কাজ নয়। কোন শহর প্রিয়, সে প্রশ্নের উত্তরে খানিক ভাবতে হলো তানভির অপুকে। অবশেষে জানালেন, ‘এ পর্যন্ত যত শহর ঘুরে বেড়িয়েছি তার ভেতর ভালো লেগেছে ভেনিস, ইতিহাসবিজড়িত রোম, পৃথিবীর উত্তরের শেষ শহর হেমারফেস্ট এবং কিউবার রাজধানী হাভানা।’
কারণ কী? অপু জানালেন, প্রকৃতির পর ইতিহাস তাঁকে টানে বেশি। সে জন্য যেখানেই যান না কেন, হাতে সময় নিয়ে যান। কোনো শহরে গিয়ে একটু ঘুরেই চলে আসেন না। এভাবে ঘুরতে গিয়েই ভেনিস, রোম, হেমারফেস্ট ও হাভানাকে ভালো লেগে যায় তাঁর। ভ্রমণের সঙ্গে যোগ হয়েছে কিশোরকালের পড়া ওই সব দেশ কিংবা শহরের রোমাঞ্চকর ইতিহাস। গত মাসে ঘুরে এসেছেন লন্ডন, ওয়েলস ও মাল্টা।
স্মরণীয় ভ্রমণ
‘লাতিন আমেরিকা ভ্রমণ ছিল আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ভ্রমণ। এ অঞ্চলের প্রতিটি দেশের মানুষ চমৎকার হাসিখুশি, প্রাণবন্ত এবং অনেক অতিথিপরায়ণ। এখানকার মায়া সভ্যতার ইতিহাস আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। বিশেষ করে হন্ডুরাসের কোপান নামে একটি নগরীর কথা মনে গেঁথে আছে। আর আছে গুয়াতেমালার আতিক লান লেকের পাশে গড়ে ওঠা সেন্ট পেট্রো নামের শহরটির কথা, যে শহরে বসবাস করে মায়ানরা।’ কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই গড়গড় করে বলে গেলেন অপু।
লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ একটানা দীর্ঘ সময় ধরে ভ্রমণ করেছিলেন অপু। সে ভ্রমণটি তাঁকে যে চমৎকার অভিজ্ঞতা দিয়েছিল, সেটা তাঁর কথায় বোঝা যায়। ভ্রমণের একটি ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে বেলিজের এক মায়ান গ্রামে। সে গ্রামের নাম সেন্ড মৃগেল। ছোট্ট চমৎকার সেই গ্রামে এখনো বসবাস করে মায়ান মানুষেরা। ১০ থেকে ১৫টি মায়ান পরিবারকে তাঁর ভীষণ সুখী পরিবার মনে হয়েছে।
‘পৃথিবীতে আমার দেখা সুখী দেশ কিউবা ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও খুব ভালো ছিল। সে দেশে রংবেরঙের বাড়ি আর আছে হাসিখুশি মানুষ। গান-বাজনা, আড্ডা তাদের সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় অংশ। সেই সঙ্গে মেক্সিকোর মান সভ্যতার পিরামিডে উঠেছি। আর মেক্সিকোর খাবার খুবই ভালো লেগেছে আমার।’ বোঝা গেল, দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরের ভ্রমণে দারুণ সব অভিজ্ঞতা আছে তাঁর ঝুলিতে।
এবং ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ড নিয়ে অপুর দুর্বলতার কথা সর্বজনবিদিত। সম্ভবত তাঁর প্রিয় বাক্য, ‘ফিনল্যান্ড হলো আমার কাছে একটি স্বর্গ।’ ছয়বার পৃথিবীর সুখী দেশের মুকুট ছিনিয়ে নেওয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়। এ ছাড়া পৃথিবীর দুর্নীতিমুক্ত দেশগুলোর সেরাদের তালিকায় ২০ বছর ধরে আছে ফিনল্যান্ডের নাম। সেই দেশ সম্পর্কে দুর্বলতা থাকাটা তাই অস্বাভাবিক নয়।
অপুর বক্তব্য খুব সাধারণ, ‘পৃথিবীর যে দেশে থাকি না কেন, ফিনল্যান্ডে গেলে আমি সবচেয়ে শান্তিবোধ করি। এ দেশে ১৭ বছর ধরে আছি কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়া। শুধু একটাই সমস্যা, দেশটিতে তীব্র ঠান্ডা! এখানকার মানুষ খুবই শান্তশিষ্ট। তারা অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না। গ্রীষ্মে সেখানকার আবহাওয়া চমৎকার। পড়ালেখা, চিকিৎসা, যোগাযোগব্যবস্থা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা খুবই ভালো।’
তারুণ্যের সময় পার হয়ে এলেও ভ্রমণের বেলায় তিনি তরুণস্য তরুণ। অপু জানান, তরুণদের ভ্রমণ করা উচিত বেশি বেশি। ভ্রমণের অর্থনৈতিক সামর্থ্য না হলে অন্তত নিজের জেলাটিকে ভালো মতো দেখা ও চেনা উচিত প্রতিটি মানুষের।
সন্ধ্যা গাঢ় হয়ে গেলে আমাদের সংবিৎ ফেরে। জ্যামের শহর পাড়ি দিয়ে আমাদের পৌঁছাতে হবে বাসায়। ফলে উঠে পড়তে হয় আমাদের।

রাজশাহী ও লাল ছেলেবেলা
তাঁর ফেসবুক পেজ দেখলে বোঝার কোনো উপায় নেই তিনি এই মুহূর্তে ঠিক কোন দেশে বা কোন শহরে আছেন। শত মানুষের মাঝেও তাঁকে চেনা যায় তাঁর ঝলমলে রঙিন পোশাক আর লম্বা চুলের জন্য। হাসিখুশি ভ্রমণপ্রিয় অপুর জন্ম পদ্মাপারের রাজশাহী শহরের দরগাপাড়ায়, ১৯৮০ সালে। পুরো নাম তানভীর অপু। বাবা ইব্রাহিম আলী দেওয়ান ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর। মা মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে অবসরে গেছেন ৪০ বছর চাকরি করার পর।
রাজশাহী শহর, পদ্মা নদী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসেই কাটে অপুর ছেলেবেলা। কীভাবে যেন সেই ছেলেবেলাতেই ভ্রমণের বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল তাঁর মধ্যে। বড় বেলায় এসে সে অঙ্কুর মহিরুহে পরিণত হয়েছে মাত্র।
পাখি দেখা ও ইনাম আল হক
পদ্মার চরে প্রচুর পাখি আসে প্রতিবছর। সেসব পাখি দেখতে গিয়েছিলেন পাখিবিশারদ ইনাম আল হক। সেটা ১৯৯৯ সাল। সে বছরই তাঁর সঙ্গে অপুর দেখা ও পরিচয় হয়। তারপর তাঁর সংসর্গে আসেন অপু। ভ্রমণের পৃথিবীতে নতুন জোয়ার আসে। ‘ফুলটাইম ট্রাভেলার’ হওয়ার নেশা পেয়ে বসে তখনই।
প্রথম বিদেশ ভ্রমণ
স্কুলের পাঠ চুকিয়ে বিকেএসপিতে কিছু সময় লেখাপড়া করেন তানভির। তারপর পাড়ি জমান ফিনল্যান্ড। একেবারে স্বাধীন মানুষ হিসেবে ভ্রমণ করার পুরো সুবিধা পেতে শুরু করেন সেখান থেকে। সেটা ২০০৫ সাল। এর পরের বছর, অর্থাৎ ২০০৬ সালে ফিনল্যান্ডে তাঁর স্কুল থেকে পাশের দেশ এস্তোনিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সূত্রে এস্তোনিয়ার রাজধানী তালিন তাঁর দ্বিতীয় বিদেশ ভ্রমণ।
ভালো লাগার শহর
৮১টি দেশের ৮৮০টি শহর থেকে ভালো লাগার শহর বেছে নেওয়া খুব সহজ কাজ নয়। কোন শহর প্রিয়, সে প্রশ্নের উত্তরে খানিক ভাবতে হলো তানভির অপুকে। অবশেষে জানালেন, ‘এ পর্যন্ত যত শহর ঘুরে বেড়িয়েছি তার ভেতর ভালো লেগেছে ভেনিস, ইতিহাসবিজড়িত রোম, পৃথিবীর উত্তরের শেষ শহর হেমারফেস্ট এবং কিউবার রাজধানী হাভানা।’
কারণ কী? অপু জানালেন, প্রকৃতির পর ইতিহাস তাঁকে টানে বেশি। সে জন্য যেখানেই যান না কেন, হাতে সময় নিয়ে যান। কোনো শহরে গিয়ে একটু ঘুরেই চলে আসেন না। এভাবে ঘুরতে গিয়েই ভেনিস, রোম, হেমারফেস্ট ও হাভানাকে ভালো লেগে যায় তাঁর। ভ্রমণের সঙ্গে যোগ হয়েছে কিশোরকালের পড়া ওই সব দেশ কিংবা শহরের রোমাঞ্চকর ইতিহাস। গত মাসে ঘুরে এসেছেন লন্ডন, ওয়েলস ও মাল্টা।
স্মরণীয় ভ্রমণ
‘লাতিন আমেরিকা ভ্রমণ ছিল আমার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ভ্রমণ। এ অঞ্চলের প্রতিটি দেশের মানুষ চমৎকার হাসিখুশি, প্রাণবন্ত এবং অনেক অতিথিপরায়ণ। এখানকার মায়া সভ্যতার ইতিহাস আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। বিশেষ করে হন্ডুরাসের কোপান নামে একটি নগরীর কথা মনে গেঁথে আছে। আর আছে গুয়াতেমালার আতিক লান লেকের পাশে গড়ে ওঠা সেন্ট পেট্রো নামের শহরটির কথা, যে শহরে বসবাস করে মায়ানরা।’ কোনো রকম দ্বিধা ছাড়াই গড়গড় করে বলে গেলেন অপু।
লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশ একটানা দীর্ঘ সময় ধরে ভ্রমণ করেছিলেন অপু। সে ভ্রমণটি তাঁকে যে চমৎকার অভিজ্ঞতা দিয়েছিল, সেটা তাঁর কথায় বোঝা যায়। ভ্রমণের একটি ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে বেলিজের এক মায়ান গ্রামে। সে গ্রামের নাম সেন্ড মৃগেল। ছোট্ট চমৎকার সেই গ্রামে এখনো বসবাস করে মায়ান মানুষেরা। ১০ থেকে ১৫টি মায়ান পরিবারকে তাঁর ভীষণ সুখী পরিবার মনে হয়েছে।
‘পৃথিবীতে আমার দেখা সুখী দেশ কিউবা ভ্রমণের অভিজ্ঞতাও খুব ভালো ছিল। সে দেশে রংবেরঙের বাড়ি আর আছে হাসিখুশি মানুষ। গান-বাজনা, আড্ডা তাদের সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় অংশ। সেই সঙ্গে মেক্সিকোর মান সভ্যতার পিরামিডে উঠেছি। আর মেক্সিকোর খাবার খুবই ভালো লেগেছে আমার।’ বোঝা গেল, দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরের ভ্রমণে দারুণ সব অভিজ্ঞতা আছে তাঁর ঝুলিতে।
এবং ফিনল্যান্ড
ফিনল্যান্ড নিয়ে অপুর দুর্বলতার কথা সর্বজনবিদিত। সম্ভবত তাঁর প্রিয় বাক্য, ‘ফিনল্যান্ড হলো আমার কাছে একটি স্বর্গ।’ ছয়বার পৃথিবীর সুখী দেশের মুকুট ছিনিয়ে নেওয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়। এ ছাড়া পৃথিবীর দুর্নীতিমুক্ত দেশগুলোর সেরাদের তালিকায় ২০ বছর ধরে আছে ফিনল্যান্ডের নাম। সেই দেশ সম্পর্কে দুর্বলতা থাকাটা তাই অস্বাভাবিক নয়।
অপুর বক্তব্য খুব সাধারণ, ‘পৃথিবীর যে দেশে থাকি না কেন, ফিনল্যান্ডে গেলে আমি সবচেয়ে শান্তিবোধ করি। এ দেশে ১৭ বছর ধরে আছি কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়া। শুধু একটাই সমস্যা, দেশটিতে তীব্র ঠান্ডা! এখানকার মানুষ খুবই শান্তশিষ্ট। তারা অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না। গ্রীষ্মে সেখানকার আবহাওয়া চমৎকার। পড়ালেখা, চিকিৎসা, যোগাযোগব্যবস্থা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা খুবই ভালো।’
তারুণ্যের সময় পার হয়ে এলেও ভ্রমণের বেলায় তিনি তরুণস্য তরুণ। অপু জানান, তরুণদের ভ্রমণ করা উচিত বেশি বেশি। ভ্রমণের অর্থনৈতিক সামর্থ্য না হলে অন্তত নিজের জেলাটিকে ভালো মতো দেখা ও চেনা উচিত প্রতিটি মানুষের।
সন্ধ্যা গাঢ় হয়ে গেলে আমাদের সংবিৎ ফেরে। জ্যামের শহর পাড়ি দিয়ে আমাদের পৌঁছাতে হবে বাসায়। ফলে উঠে পড়তে হয় আমাদের।

আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে এখনই শিখে নিন। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
৫ ঘণ্টা আগে
ঋতুর বেদিতে এখন হেমন্ত বাস করছে। আবহাওয়ার কারণেই এই মৌসুমে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত অনেকেই অসুখে পড়ছেন। বাড়ির সবাই একসঙ্গে অসুখে পড়ার ঘটনাও যে ঘটছে না, তা কিন্তু নয়। আর এমন হলে বাড়ির সবগুলো ঘর একসঙ্গে যেমন অগোছালো হয়ে যায়, তেমনি বাড়ির উৎফুল্ল ও তরতাজাভাবটাও কেমন উবে যায়।
৬ ঘণ্টা আগে
ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে এখনই শিখে নিন। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই এক কেজি, চিনি এক কাপ, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া এক টেবিল চামচ।
প্রণালি
জলপাই ভালো করে কেচে ধুয়ে নিন। এবার জলপাই আর চিনি মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘণ্টা। জলপাই থেকে চিনির পানি বের হলে চুলায় কম তাপে বসিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, পাঁচফোড়ন, লবণ ও বিট লবণ দিয়ে রান্না করে হালকা শিরার মতো হয়ে এলে ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।

আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে এখনই শিখে নিন। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই এক কেজি, চিনি এক কাপ, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া এক টেবিল চামচ।
প্রণালি
জলপাই ভালো করে কেচে ধুয়ে নিন। এবার জলপাই আর চিনি মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘণ্টা। জলপাই থেকে চিনির পানি বের হলে চুলায় কম তাপে বসিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, পাঁচফোড়ন, লবণ ও বিট লবণ দিয়ে রান্না করে হালকা শিরার মতো হয়ে এলে ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।

এ পর্যন্ত ৮১টি দেশের 8৮০টি শহরে গেছেন, থেকেছেন, খেয়েছেন তানভীর অপু। তাঁর এ ভ্রমণের তালিকায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন আছে, তেমনি আছে ইউরোপ, উত্তর-দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের অনেক দেশ। তাঁর শেষ ভ্রমণ ছিল মাল্টার গজো
৩০ মার্চ ২০২৩
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
৫ ঘণ্টা আগে
ঋতুর বেদিতে এখন হেমন্ত বাস করছে। আবহাওয়ার কারণেই এই মৌসুমে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত অনেকেই অসুখে পড়ছেন। বাড়ির সবাই একসঙ্গে অসুখে পড়ার ঘটনাও যে ঘটছে না, তা কিন্তু নয়। আর এমন হলে বাড়ির সবগুলো ঘর একসঙ্গে যেমন অগোছালো হয়ে যায়, তেমনি বাড়ির উৎফুল্ল ও তরতাজাভাবটাও কেমন উবে যায়।
৬ ঘণ্টা আগে
ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে বন্ধুদের এমন একটি সমস্যার সমাধান করে দেবেন, যা আদতে তাদের সমস্যাই ছিল না, ছিল স্রেফ তাদের আলস্য। সাবধান! আজ অনলাইনে কিছু অর্ডার করার আগে দুবার ভাবুন। না হলে হয়তো দেখবেন, শাড়ি কিনতে গিয়ে ভুল করে একটা সাইকেল পাম্প কিনে ফেলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলার সময় পকেটে হাত দিয়ে খুঁজে দেখবেন, চশমাটা কি মাথায় আছে? (অবশ্যই আছে!)
বৃষ
আজ সারা দিন মন আর পেট—এই দুইয়ের মধ্যে একটি মহাযুদ্ধ চলবে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন যে ডায়েট করবেন, কিন্তু প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ফ্রিজের দরজা আপনাআপনি খুলে যাবে। অফিসের ক্যানটিনে কেউ মিষ্টি আনলে চোখ হবে শিকারি বাজের মতো। অর্থভাগ্য মোটামুটি, তবে শখের বশে এমন একটি জিনিস কিনবেন, যা পরে দেখে মনে হবে, এই টাকা দিয়ে অন্তত ১০টা রসগোল্লা খাওয়া যেত। কাউকে ধার দেওয়ার আগে সতর্ক হন। নাহলে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হয়তো আপনাকে মঙ্গল গ্রহের টিকিট বুক করতে হবে। ডায়েটের জন্য শুধু এক চামচ ভাত মুখে নিয়ে বাকিটা প্লেটে এমনভাবে সাজিয়ে রাখবেন, যেন সেটা আর্ট গ্যালারির বস্তু!
মিথুন
আজ আপনি এক নন, যেন দুটি মানুষ! আপনার মন একটি জিনিস ভাববে, মুখ দিয়ে বেরোবে অন্যটা। ফলে বন্ধু বা প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগে মারাত্মক ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে। হয়তো বলতে চাইবেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, কিন্তু মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, ‘তোমার জুতোটা খুব পছন্দ হয়েছে।’ কেউ আজ আপনার কাছে গোপন কথা ফাঁস করতে এলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, কিন্তু তারপর অজান্তেই সেই গোপন কথা অন্য এক বন্ধুর কাছে বলে ফেলবেন—‘আচ্ছা, তুই কি জানিস, কী হইছে?’ একই সময়ে দুটি ভিন্ন প্ল্যান করার চেষ্টা করবেন—যার একটি থাকবে পাহাড়ে চড়ার, অন্যটি সোফায় শুয়ে সিনেমা দেখার।
কর্কট
আজ সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। সামান্য মশারি টানানো নিয়েও আবেগে চোখ ভিজে আসতে পারে। দুপুরে বস ফোন করে ‘হ্যালো’ বললেই মনে হবে, তিনি নিশ্চয় আপনাকে বরখাস্ত করতে চলেছেন। সারা দিন ধরে নিজের অতীত নিয়ে একটি করুণ সিনেমা বানাবেন মনে মনে, যার প্রধান চরিত্রে থাকবেন নিজেই। সন্ধ্যায় মায়ের কাছে ফোন করে একটু বেশিই ন্যাকামো করবেন। তবে সাবধানে থাকুন, শ্বশুরবাড়ির কেউ আজ আপনার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হতে পারে। তাদের জন্য বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। চায়ে চিনি না দিয়ে ভুলে লবণ দিয়ে ফেলবেন এবং ভাববেন, ‘আজকের দিনটা কেন এত তিতকুটে লাগছে!’
সিংহ
আজ আপনার প্রয়োজন হবে ‘স্পটলাইট’। আপনি যেখানেই যাবেন, সেখানেই চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক। অফিসে নিজের কাজ শেষ করে অন্যের ফাইল নিয়ে বসবেন এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন যে আপনিই আসল বস। সন্ধ্যায় কোনো পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে এমন একটি পোশাক পরবেন, যা একটু বেশিই ঝলমলে। সবাই আপনার প্রশংসা করবে ঠিকই, কিন্তু আড়ালে ফিসফিস করবে আপনার ‘অতি-নাটুকে’ ফ্যাশন সেন্স নিয়ে। কেউ আপনার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানালে, বাঘের মতো গর্জন করবেন—তবে মনে মনে। কফির কাপ হাতে নিয়ে এমনভাবে হেঁটে যাবেন, যেন কোনো ফ্যাশন র্যাম্পে ক্যাটওয়াক করছেন।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী জেগে উঠবে। অন্যের টেবিলের এলোমেলো কাগজ দেখে রক্তচাপ বেড়ে যাবে। আজ আপনি এমন একটি সূক্ষ্ম ভুল ধরবেন, যা বস বা সহকর্মী তো দূরের কথা, গুগলও খুঁজে বের করতে পারবে না। বাড়িতে কেউ সামান্য ন্যাপকিন ভাঁজ করতে ভুল করলেও আপনি এক ঘণ্টার একটি ‘কেন এই ভুল’ লেকচার দিতে পারেন। তবে এই অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আজ পিছিয়ে যেতে পারে। একটু ঢিলে দিন, জীবন এতটা পারফেক্ট হতে পারে না! ফ্রিজের ভেতরে কোন সবজিটা আগে পচে যেতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালাবেন।
তুলা
আজ আপনি হবেন ন্যায়ের প্রতীক—কিন্তু দুটি সমান গুরুত্বের জিনিসের মধ্যে কোনটা বেশি ন্যায্য, তা বুঝতে সারা দিন কেটে যাবে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একবার মনে হবে, এটাই সঠিক, পরক্ষণেই মনে হবে, উল্টোটাই ঠিক ছিল। বন্ধুদের আড্ডায় দুটি পক্ষের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করবেন, যা শেষমেশ আপনাকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আরও বড় বিপদে ফেলবে। সন্ধ্যায় শপিং করতে গেলে একই রঙের দুটি জামার মধ্যে কোনটি ভালো, তা নিয়ে দোকানেই একটি মিনি-জরিপ চালু করে দেবেন। দুপুরে কী খাবেন—বিরিয়ানি না ভাত? এই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার লঞ্চ আওয়ার শেষ হয়ে যাবে।
বৃশ্চিক
আজ চারপাশের সবাই মনে করবে আপনি কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। আপনার সামান্য নীরবতা বা একটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিও অন্যের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করবে। অফিসে সহকর্মীর দিকে একবার তাকালেই সে ঘাবড়ে গিয়ে ভাববে, তার গোপন ফাইল নিশ্চয় আপনি হ্যাক করে ফেলেছেন। ব্যক্তিগত জীবনকে এতটাই রহস্যময় করে রাখবেন যে, আপনার মাও আপনার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করতে শুরু করতে পারেন। তবে সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত রহস্যময়তা আজ আপনাকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। লিফটে কারোর দিকে না তাকিয়ে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত এমনভাবে তাকাবেন, যেন আপনি তার শরীরের এক্স-রে করছেন। এই বোকামিটা করবেন না।
ধনু
আজ সবকিছুর মধ্যেই মজা খুঁজে নিতে চাইবেন। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে এমন কিছু কথা বলিয়ে দেবে, যা শুনে অন্যরা হতবাক হয়ে যাবে। অফিসের ফরমাল মিটিংয়ে হয়তো বলে বসবেন, ‘চলুন, কাজ ফেলে আমরা সবাই মিলে একবার কফি খেতে যাই, কাজ তো আর বয়ে যাচ্ছে না!’ ভ্রমণের জন্য মন ছটফট করবে, আর যদি কোনো কারণে সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়, তবে আপনার সব দুঃখ ট্রাভেল ব্লগে লিখে নিজের ওপর নিজেই হাসবেন। এই সরলতা এবং হাসিখুশি মনোভাবই আজ আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।
কোনো বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দরজা খোলা পেতেই আপনি ভাবতে শুরু করবেন, নিশ্চয় সে আপনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য দরজা খোলা রেখেছে! কিন্তু তা নয়।
মকর
আজ সকাল থেকেই নিজেকে একজন রোবট হিসেবে কল্পনা করবেন। মাথায় শুধু কাজ আর টাকা। আবেগের জন্য আজ কোনো স্পেস নেই। বসের সামনে এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে বস মজা করেও কিছু বলতে সাহস পাবেন না। খরচ করার সময় আপনার হাত কাঁপবে, মনে হবে প্রতিটি পয়সা যেন জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কেনার সময়ও ক্যালকুলেটরে হিসাব করবেন, কত টাকা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ফেরত দিতে পারে। একটু আরাম করুন! কাজের বাইরেও একটি জগৎ আছে। স্বপ্ন দেখবেন যে অফিসের প্রমোশন লেটার খাচ্ছেন। কারণ, তাতে ল্যাভেন্ডার ফুলের গন্ধ!
কুম্ভ
আজ মস্তিষ্ক হবে অদ্ভুত সব ধারণার একটি আশ্চর্য ল্যাবরেটরি। এমন সব সমাধান নিয়ে আসবেন, যা অন্যরা বুঝতেই পারবে না। বন্ধুকে একটি সহজ সমস্যা সমাধানের জন্য এমনভাবে পরামর্শ দেবেন যে, সে আরও বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। আপনার মনে হবে, আপনি একজন মহান সমাজসংস্কারক, কিন্তু দিনের শেষে হয়তো দেখবেন, আপনি শুধু আপনার বাড়ির পোষা বিড়ালটির জন্য নতুন ধরনের খাবার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সন্ধ্যায় আপনার এই অদ্ভুত মেজাজের কারণে জীবনসঙ্গী বা বন্ধুরা একটু বিরক্ত হতে পারে। গাধার আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসবে—পুরোনো ছেঁড়া মোজা দিয়ে কীভাবে একটি সোলার পাওয়ারড রোবট বানানো যায়, সেই তত্ত্ব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবেন।
মীন
আজ দিনের অনেকটা সময় স্বপ্নের জগতে ভেসে বেড়াবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেবেন গভীর মনোযোগের সঙ্গে, কিন্তু সেই উত্তর হবে আপনার কল্পনার রাজ্যের কোনো বিষয় নিয়ে। ক্লায়েন্টকে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় হয়তো হঠাৎ মনে পড়ে যাবে, কী দারুণ একটি গল্প লিখতে পারতেন! ফলে প্রেজেন্টেশনে মনোযোগ থাকবে ৪০ শতাংশ, বাকি ৬০ শতাংশ থাকবে কল্পনার রাজ্যে। সন্ধ্যায় নিজের চাবি, মোবাইল বা মানিব্যাগ এমন জায়গায় রাখবেন, যা কল্পনাও করতে পারেননি; যেমন ফ্রিজের ডিমের ট্রেতে। সিনেমা দেখতে গিয়ে কাহিনির এমন একটি অংশে আবেগে ভেসে যাবেন, যা আদতে বিজ্ঞাপন বিরতি ছিল!

মেষ
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে বন্ধুদের এমন একটি সমস্যার সমাধান করে দেবেন, যা আদতে তাদের সমস্যাই ছিল না, ছিল স্রেফ তাদের আলস্য। সাবধান! আজ অনলাইনে কিছু অর্ডার করার আগে দুবার ভাবুন। না হলে হয়তো দেখবেন, শাড়ি কিনতে গিয়ে ভুল করে একটা সাইকেল পাম্প কিনে ফেলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলার সময় পকেটে হাত দিয়ে খুঁজে দেখবেন, চশমাটা কি মাথায় আছে? (অবশ্যই আছে!)
বৃষ
আজ সারা দিন মন আর পেট—এই দুইয়ের মধ্যে একটি মহাযুদ্ধ চলবে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন যে ডায়েট করবেন, কিন্তু প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ফ্রিজের দরজা আপনাআপনি খুলে যাবে। অফিসের ক্যানটিনে কেউ মিষ্টি আনলে চোখ হবে শিকারি বাজের মতো। অর্থভাগ্য মোটামুটি, তবে শখের বশে এমন একটি জিনিস কিনবেন, যা পরে দেখে মনে হবে, এই টাকা দিয়ে অন্তত ১০টা রসগোল্লা খাওয়া যেত। কাউকে ধার দেওয়ার আগে সতর্ক হন। নাহলে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হয়তো আপনাকে মঙ্গল গ্রহের টিকিট বুক করতে হবে। ডায়েটের জন্য শুধু এক চামচ ভাত মুখে নিয়ে বাকিটা প্লেটে এমনভাবে সাজিয়ে রাখবেন, যেন সেটা আর্ট গ্যালারির বস্তু!
মিথুন
আজ আপনি এক নন, যেন দুটি মানুষ! আপনার মন একটি জিনিস ভাববে, মুখ দিয়ে বেরোবে অন্যটা। ফলে বন্ধু বা প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগে মারাত্মক ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে। হয়তো বলতে চাইবেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, কিন্তু মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, ‘তোমার জুতোটা খুব পছন্দ হয়েছে।’ কেউ আজ আপনার কাছে গোপন কথা ফাঁস করতে এলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, কিন্তু তারপর অজান্তেই সেই গোপন কথা অন্য এক বন্ধুর কাছে বলে ফেলবেন—‘আচ্ছা, তুই কি জানিস, কী হইছে?’ একই সময়ে দুটি ভিন্ন প্ল্যান করার চেষ্টা করবেন—যার একটি থাকবে পাহাড়ে চড়ার, অন্যটি সোফায় শুয়ে সিনেমা দেখার।
কর্কট
আজ সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। সামান্য মশারি টানানো নিয়েও আবেগে চোখ ভিজে আসতে পারে। দুপুরে বস ফোন করে ‘হ্যালো’ বললেই মনে হবে, তিনি নিশ্চয় আপনাকে বরখাস্ত করতে চলেছেন। সারা দিন ধরে নিজের অতীত নিয়ে একটি করুণ সিনেমা বানাবেন মনে মনে, যার প্রধান চরিত্রে থাকবেন নিজেই। সন্ধ্যায় মায়ের কাছে ফোন করে একটু বেশিই ন্যাকামো করবেন। তবে সাবধানে থাকুন, শ্বশুরবাড়ির কেউ আজ আপনার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হতে পারে। তাদের জন্য বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। চায়ে চিনি না দিয়ে ভুলে লবণ দিয়ে ফেলবেন এবং ভাববেন, ‘আজকের দিনটা কেন এত তিতকুটে লাগছে!’
সিংহ
আজ আপনার প্রয়োজন হবে ‘স্পটলাইট’। আপনি যেখানেই যাবেন, সেখানেই চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক। অফিসে নিজের কাজ শেষ করে অন্যের ফাইল নিয়ে বসবেন এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন যে আপনিই আসল বস। সন্ধ্যায় কোনো পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে এমন একটি পোশাক পরবেন, যা একটু বেশিই ঝলমলে। সবাই আপনার প্রশংসা করবে ঠিকই, কিন্তু আড়ালে ফিসফিস করবে আপনার ‘অতি-নাটুকে’ ফ্যাশন সেন্স নিয়ে। কেউ আপনার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানালে, বাঘের মতো গর্জন করবেন—তবে মনে মনে। কফির কাপ হাতে নিয়ে এমনভাবে হেঁটে যাবেন, যেন কোনো ফ্যাশন র্যাম্পে ক্যাটওয়াক করছেন।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী জেগে উঠবে। অন্যের টেবিলের এলোমেলো কাগজ দেখে রক্তচাপ বেড়ে যাবে। আজ আপনি এমন একটি সূক্ষ্ম ভুল ধরবেন, যা বস বা সহকর্মী তো দূরের কথা, গুগলও খুঁজে বের করতে পারবে না। বাড়িতে কেউ সামান্য ন্যাপকিন ভাঁজ করতে ভুল করলেও আপনি এক ঘণ্টার একটি ‘কেন এই ভুল’ লেকচার দিতে পারেন। তবে এই অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আজ পিছিয়ে যেতে পারে। একটু ঢিলে দিন, জীবন এতটা পারফেক্ট হতে পারে না! ফ্রিজের ভেতরে কোন সবজিটা আগে পচে যেতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালাবেন।
তুলা
আজ আপনি হবেন ন্যায়ের প্রতীক—কিন্তু দুটি সমান গুরুত্বের জিনিসের মধ্যে কোনটা বেশি ন্যায্য, তা বুঝতে সারা দিন কেটে যাবে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একবার মনে হবে, এটাই সঠিক, পরক্ষণেই মনে হবে, উল্টোটাই ঠিক ছিল। বন্ধুদের আড্ডায় দুটি পক্ষের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করবেন, যা শেষমেশ আপনাকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আরও বড় বিপদে ফেলবে। সন্ধ্যায় শপিং করতে গেলে একই রঙের দুটি জামার মধ্যে কোনটি ভালো, তা নিয়ে দোকানেই একটি মিনি-জরিপ চালু করে দেবেন। দুপুরে কী খাবেন—বিরিয়ানি না ভাত? এই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার লঞ্চ আওয়ার শেষ হয়ে যাবে।
বৃশ্চিক
আজ চারপাশের সবাই মনে করবে আপনি কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। আপনার সামান্য নীরবতা বা একটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিও অন্যের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করবে। অফিসে সহকর্মীর দিকে একবার তাকালেই সে ঘাবড়ে গিয়ে ভাববে, তার গোপন ফাইল নিশ্চয় আপনি হ্যাক করে ফেলেছেন। ব্যক্তিগত জীবনকে এতটাই রহস্যময় করে রাখবেন যে, আপনার মাও আপনার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করতে শুরু করতে পারেন। তবে সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত রহস্যময়তা আজ আপনাকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। লিফটে কারোর দিকে না তাকিয়ে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত এমনভাবে তাকাবেন, যেন আপনি তার শরীরের এক্স-রে করছেন। এই বোকামিটা করবেন না।
ধনু
আজ সবকিছুর মধ্যেই মজা খুঁজে নিতে চাইবেন। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে এমন কিছু কথা বলিয়ে দেবে, যা শুনে অন্যরা হতবাক হয়ে যাবে। অফিসের ফরমাল মিটিংয়ে হয়তো বলে বসবেন, ‘চলুন, কাজ ফেলে আমরা সবাই মিলে একবার কফি খেতে যাই, কাজ তো আর বয়ে যাচ্ছে না!’ ভ্রমণের জন্য মন ছটফট করবে, আর যদি কোনো কারণে সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়, তবে আপনার সব দুঃখ ট্রাভেল ব্লগে লিখে নিজের ওপর নিজেই হাসবেন। এই সরলতা এবং হাসিখুশি মনোভাবই আজ আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।
কোনো বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দরজা খোলা পেতেই আপনি ভাবতে শুরু করবেন, নিশ্চয় সে আপনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য দরজা খোলা রেখেছে! কিন্তু তা নয়।
মকর
আজ সকাল থেকেই নিজেকে একজন রোবট হিসেবে কল্পনা করবেন। মাথায় শুধু কাজ আর টাকা। আবেগের জন্য আজ কোনো স্পেস নেই। বসের সামনে এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে বস মজা করেও কিছু বলতে সাহস পাবেন না। খরচ করার সময় আপনার হাত কাঁপবে, মনে হবে প্রতিটি পয়সা যেন জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কেনার সময়ও ক্যালকুলেটরে হিসাব করবেন, কত টাকা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ফেরত দিতে পারে। একটু আরাম করুন! কাজের বাইরেও একটি জগৎ আছে। স্বপ্ন দেখবেন যে অফিসের প্রমোশন লেটার খাচ্ছেন। কারণ, তাতে ল্যাভেন্ডার ফুলের গন্ধ!
কুম্ভ
আজ মস্তিষ্ক হবে অদ্ভুত সব ধারণার একটি আশ্চর্য ল্যাবরেটরি। এমন সব সমাধান নিয়ে আসবেন, যা অন্যরা বুঝতেই পারবে না। বন্ধুকে একটি সহজ সমস্যা সমাধানের জন্য এমনভাবে পরামর্শ দেবেন যে, সে আরও বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। আপনার মনে হবে, আপনি একজন মহান সমাজসংস্কারক, কিন্তু দিনের শেষে হয়তো দেখবেন, আপনি শুধু আপনার বাড়ির পোষা বিড়ালটির জন্য নতুন ধরনের খাবার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সন্ধ্যায় আপনার এই অদ্ভুত মেজাজের কারণে জীবনসঙ্গী বা বন্ধুরা একটু বিরক্ত হতে পারে। গাধার আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসবে—পুরোনো ছেঁড়া মোজা দিয়ে কীভাবে একটি সোলার পাওয়ারড রোবট বানানো যায়, সেই তত্ত্ব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবেন।
মীন
আজ দিনের অনেকটা সময় স্বপ্নের জগতে ভেসে বেড়াবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেবেন গভীর মনোযোগের সঙ্গে, কিন্তু সেই উত্তর হবে আপনার কল্পনার রাজ্যের কোনো বিষয় নিয়ে। ক্লায়েন্টকে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় হয়তো হঠাৎ মনে পড়ে যাবে, কী দারুণ একটি গল্প লিখতে পারতেন! ফলে প্রেজেন্টেশনে মনোযোগ থাকবে ৪০ শতাংশ, বাকি ৬০ শতাংশ থাকবে কল্পনার রাজ্যে। সন্ধ্যায় নিজের চাবি, মোবাইল বা মানিব্যাগ এমন জায়গায় রাখবেন, যা কল্পনাও করতে পারেননি; যেমন ফ্রিজের ডিমের ট্রেতে। সিনেমা দেখতে গিয়ে কাহিনির এমন একটি অংশে আবেগে ভেসে যাবেন, যা আদতে বিজ্ঞাপন বিরতি ছিল!

এ পর্যন্ত ৮১টি দেশের 8৮০টি শহরে গেছেন, থেকেছেন, খেয়েছেন তানভীর অপু। তাঁর এ ভ্রমণের তালিকায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন আছে, তেমনি আছে ইউরোপ, উত্তর-দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের অনেক দেশ। তাঁর শেষ ভ্রমণ ছিল মাল্টার গজো
৩০ মার্চ ২০২৩
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে এখনই শিখে নিন। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
ঋতুর বেদিতে এখন হেমন্ত বাস করছে। আবহাওয়ার কারণেই এই মৌসুমে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত অনেকেই অসুখে পড়ছেন। বাড়ির সবাই একসঙ্গে অসুখে পড়ার ঘটনাও যে ঘটছে না, তা কিন্তু নয়। আর এমন হলে বাড়ির সবগুলো ঘর একসঙ্গে যেমন অগোছালো হয়ে যায়, তেমনি বাড়ির উৎফুল্ল ও তরতাজাভাবটাও কেমন উবে যায়।
৬ ঘণ্টা আগে
ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

ঋতুর বেদিতে এখন হেমন্ত বাস করছে। আবহাওয়ার কারণেই এই মৌসুমে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত অনেকেই অসুখে পড়ছেন। বাড়ির সবাই একসঙ্গে অসুখে পড়ার ঘটনাও যে ঘটছে না, তা কিন্তু নয়। আর এমন হলে বাড়ির সবগুলো ঘর একসঙ্গে যেমন অগোছালো হয়ে যায়, তেমনি বাড়ির উৎফুল্ল ও তরতাজাভাবটাও কেমন উবে যায়। ঘরের যেদিকেই চোখ পড়ে, সেদিকেই অগোছালোভাব। ঘরদোর পরিপাটি না থাকলে বা নোংরা হলে অনেকেই আবার তীব্র অ্যাংজাইটিতে ভোগেন। তখন কোনো কাজেই ঠিকঠাক মন বসানো যায় না। তাই অসুখ সেরে ওঠার পর ঘরে ইতিবাচক শক্তি ফিরিয়ে আনতে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী এই কাজগুলো করতে পারেন, যা ঘরকে তো পরিপাটি করে তুলবেই; আপনিও প্রাণশক্তি ফিরে পাবেন। বাস্তুশাস্ত্র সম্পর্কে তো নতুন করে বলার কিছু নেই। তা-ও বলে রাখি, এটি মূলত প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্য এবং নকশাব্যবস্থা; যা মেনে সাজালে ঘরে সুখ, আয়, সুস্বাস্থ্য ও ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
ঘরের অস্বাস্থ্যকর বাতাস বের হতে দিন
ঘরের অস্বাস্থ্যকর বাতাস দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, বাতাস চলাচলের জন্য জানালা খুলে রাখা। এতে ঘরের গুমোটভাবটা কেটে যাবে। ঘর হয়ে উঠবে ফুরফুরে।

দেয়ালে একাধিক আয়না লাগান
ঘরের উৎফুল্লভাব ফিরিয়ে আনতে দেয়ালে আয়না সেটে দিতে পারেন। এতে জানালা দিয়ে আলো প্রবেশ করে তা আয়নার মধ্য় দিয়ে প্রতিফলিত হয়ে পুরো ঘরে ছড়িয়ে যাবে। বাস্তুমতে, বাড়িতে দেয়ালে আয়না লাগানো হলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। তবে শোয়ার ঘরে আয়না রাখার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকা চাই। বিছানার অপর পাশে আয়না না রাখার নির্দেশ রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। রাখলেও তা পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা চাই।
অদ্ভুত পেইন্টিং সরিয়ে ফেলুন
মানসিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন পেইন্টিং বাড়িতে থেকে থাকলে, তা সরিয়ে ফেলুন। বাড়িতে যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা শোক প্রকাশ পায়—এমন কোনো পেইন্টিং থাকে তাহলে অ্যাংজাইটি আরও বাড়তে পারে।
ঘর মোছার পানিতে লবণ ব্যবহার করুন
লবণকে বলা হয় প্রাকৃতিক পরিষ্কারক। রোগ থেকে সেরে ওঠার পর ঘর মোছার পানিতে এক টেবিল চামচ লবণ ফেলে পুরো বাড়ির মেঝে মুছে নিন। এতে জীবাণু তো দূর হবেই, মেঝেও হবে ঝকঝকে। ঘরে দুর্গন্ধ থাকলে তা-ও কেটে যাবে।
দরজায় পিতলের ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখুন
বাড়িতে প্রবেশের দরজায় একটি পিতলের ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। ঘণ্টার শব্দ মনকে প্রশান্ত করে। মুড ভালো রাখতে ও ঘরে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে ঘণ্টার ধ্বনি সত্য়িই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

দেয়ালে হলুদ রং করুন
চোখ কপালে উঠল তো! হলুদের মধ্য়েও কিন্তু অনেক সুন্দর শেড রয়েছে। যে শেডগুলো করলে ঘরে একটা তরতাজাভাব ফিরে আসবে। ইদানীং মাস্টার্ড ইয়েলো রং করাচ্ছেন অনেকে বারান্দায় বা ঘরের কোনো একটা ফিচার ওয়ালে। এতে ঘরের প্রাণহীনভাবটাও দূর হচ্ছে, সঙ্গে ঘর হয়ে উঠছে আনন্দ ও কর্মশক্তির প্রেরণা।
ভাঙা ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন
পুরোনো চেয়ার থেকে শুরু করে কলম পর্যন্ত, যেসব জিনিসপত্র ও পরিধেয় আর আপনার কাজে লাগছে না—সেগুলো দান করে দিন। ঘরের বিভিন্ন কোনায় ও আলমারিতে আমরা এমন কিছু জিনিসপত্র ও কাপড়চোপড় জমিয়ে রাখি, যেগুলো প্রয়োজনেও লাগছে না; আবার ফেলে বা কাউকে দিয়ে দেওয়াও হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে যেগুলো দান করা সম্ভব, সেগুলো দান করে দিন। অন্যদিকে ভাঙা কাপ, পিরিচ বা কোনাভাঙা ফুলদানি; ফেলে দিন। এতে ঘর অনেকটাই হালকা হবে, মনটাও ভারমুক্ত থাকবে।

কমলার সুগন্ধিযুক্ত এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করুন
কমলার সুগন্ধ আমাদের মনকে প্রফুল্ল করে তোলে। ঘরে কমলার সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বাতাসটাও যেন আরও ফুরফুরে হয়ে ওঠে। তাই দিনে অন্তত একবার ঘরে কমলার সুগন্ধযুক্ত এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করুন। বাড়িতে কমলা থাকলে, সেগুলোর খোসা ও দারুচিনি একসঙ্গে পানিতে ফুটিয়ে নিন আধঘণ্টা। এতে ঘরে সুন্দর সুগন্ধ ভেসে বেড়াবে দীর্ঘক্ষণ।
ঘর সাজানোর উপকরণে বদল আনুন
পিতল, ব্রোঞ্জ, অ্যালুমিনিয়াম বা তামার উইন্ড চাইম ঝোলাতে পারেন। এতে বাতাসের দোলায় সুন্দর সুরে তা বাজতে থাকবে। ঘর হয়ে উঠবে জীবন্ত। এ ছাড়া বাড়িতে ফুলদানিতে তাজা ফুল রাখতে পারেন। তাজা ফুল রাখলে মন থেকে উদ্বেগ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার মতো নেতিবাচক আবেগ দূর হয়।

ঘরের বিভিন্ন কোণে গাছ রাখুন
সহজেই ঘরে বেড়ে ওঠে—এমন গাছ রাখুন। লাকি ব্যাম্বু, মানিপ্ল্যান্ট, স্নেকপ্ল্যান্ট ইত্যাদি সহজেই ঘরে রাখা যেতে পারে।
প্রাকৃতিক পরিশোধন
সূর্যের আলোতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা প্রাকৃতিকভাবে ঘরকে জীবাণুমুক্ত করে এবং বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। এটি ঘরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সূর্যের আলো গায়ে পড়লে মন প্রফুল্ল থাকে ও কাজকর্মে উৎসাহ পাওয়া যায়।
সূত্র: ম্যাজিক ব্রিকস

ঋতুর বেদিতে এখন হেমন্ত বাস করছে। আবহাওয়ার কারণেই এই মৌসুমে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত অনেকেই অসুখে পড়ছেন। বাড়ির সবাই একসঙ্গে অসুখে পড়ার ঘটনাও যে ঘটছে না, তা কিন্তু নয়। আর এমন হলে বাড়ির সবগুলো ঘর একসঙ্গে যেমন অগোছালো হয়ে যায়, তেমনি বাড়ির উৎফুল্ল ও তরতাজাভাবটাও কেমন উবে যায়। ঘরের যেদিকেই চোখ পড়ে, সেদিকেই অগোছালোভাব। ঘরদোর পরিপাটি না থাকলে বা নোংরা হলে অনেকেই আবার তীব্র অ্যাংজাইটিতে ভোগেন। তখন কোনো কাজেই ঠিকঠাক মন বসানো যায় না। তাই অসুখ সেরে ওঠার পর ঘরে ইতিবাচক শক্তি ফিরিয়ে আনতে বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী এই কাজগুলো করতে পারেন, যা ঘরকে তো পরিপাটি করে তুলবেই; আপনিও প্রাণশক্তি ফিরে পাবেন। বাস্তুশাস্ত্র সম্পর্কে তো নতুন করে বলার কিছু নেই। তা-ও বলে রাখি, এটি মূলত প্রাচীন ভারতীয় স্থাপত্য এবং নকশাব্যবস্থা; যা মেনে সাজালে ঘরে সুখ, আয়, সুস্বাস্থ্য ও ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়।
ঘরের অস্বাস্থ্যকর বাতাস বের হতে দিন
ঘরের অস্বাস্থ্যকর বাতাস দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, বাতাস চলাচলের জন্য জানালা খুলে রাখা। এতে ঘরের গুমোটভাবটা কেটে যাবে। ঘর হয়ে উঠবে ফুরফুরে।

দেয়ালে একাধিক আয়না লাগান
ঘরের উৎফুল্লভাব ফিরিয়ে আনতে দেয়ালে আয়না সেটে দিতে পারেন। এতে জানালা দিয়ে আলো প্রবেশ করে তা আয়নার মধ্য় দিয়ে প্রতিফলিত হয়ে পুরো ঘরে ছড়িয়ে যাবে। বাস্তুমতে, বাড়িতে দেয়ালে আয়না লাগানো হলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। তবে শোয়ার ঘরে আয়না রাখার ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকা চাই। বিছানার অপর পাশে আয়না না রাখার নির্দেশ রয়েছে বাস্তুশাস্ত্রে। রাখলেও তা পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা চাই।
অদ্ভুত পেইন্টিং সরিয়ে ফেলুন
মানসিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে এমন পেইন্টিং বাড়িতে থেকে থাকলে, তা সরিয়ে ফেলুন। বাড়িতে যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা শোক প্রকাশ পায়—এমন কোনো পেইন্টিং থাকে তাহলে অ্যাংজাইটি আরও বাড়তে পারে।
ঘর মোছার পানিতে লবণ ব্যবহার করুন
লবণকে বলা হয় প্রাকৃতিক পরিষ্কারক। রোগ থেকে সেরে ওঠার পর ঘর মোছার পানিতে এক টেবিল চামচ লবণ ফেলে পুরো বাড়ির মেঝে মুছে নিন। এতে জীবাণু তো দূর হবেই, মেঝেও হবে ঝকঝকে। ঘরে দুর্গন্ধ থাকলে তা-ও কেটে যাবে।
দরজায় পিতলের ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখুন
বাড়িতে প্রবেশের দরজায় একটি পিতলের ঘণ্টা ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। ঘণ্টার শব্দ মনকে প্রশান্ত করে। মুড ভালো রাখতে ও ঘরে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে ঘণ্টার ধ্বনি সত্য়িই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

দেয়ালে হলুদ রং করুন
চোখ কপালে উঠল তো! হলুদের মধ্য়েও কিন্তু অনেক সুন্দর শেড রয়েছে। যে শেডগুলো করলে ঘরে একটা তরতাজাভাব ফিরে আসবে। ইদানীং মাস্টার্ড ইয়েলো রং করাচ্ছেন অনেকে বারান্দায় বা ঘরের কোনো একটা ফিচার ওয়ালে। এতে ঘরের প্রাণহীনভাবটাও দূর হচ্ছে, সঙ্গে ঘর হয়ে উঠছে আনন্দ ও কর্মশক্তির প্রেরণা।
ভাঙা ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন
পুরোনো চেয়ার থেকে শুরু করে কলম পর্যন্ত, যেসব জিনিসপত্র ও পরিধেয় আর আপনার কাজে লাগছে না—সেগুলো দান করে দিন। ঘরের বিভিন্ন কোনায় ও আলমারিতে আমরা এমন কিছু জিনিসপত্র ও কাপড়চোপড় জমিয়ে রাখি, যেগুলো প্রয়োজনেও লাগছে না; আবার ফেলে বা কাউকে দিয়ে দেওয়াও হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে যেগুলো দান করা সম্ভব, সেগুলো দান করে দিন। অন্যদিকে ভাঙা কাপ, পিরিচ বা কোনাভাঙা ফুলদানি; ফেলে দিন। এতে ঘর অনেকটাই হালকা হবে, মনটাও ভারমুক্ত থাকবে।

কমলার সুগন্ধিযুক্ত এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করুন
কমলার সুগন্ধ আমাদের মনকে প্রফুল্ল করে তোলে। ঘরে কমলার সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বাতাসটাও যেন আরও ফুরফুরে হয়ে ওঠে। তাই দিনে অন্তত একবার ঘরে কমলার সুগন্ধযুক্ত এয়ার ফ্রেশনার স্প্রে করুন। বাড়িতে কমলা থাকলে, সেগুলোর খোসা ও দারুচিনি একসঙ্গে পানিতে ফুটিয়ে নিন আধঘণ্টা। এতে ঘরে সুন্দর সুগন্ধ ভেসে বেড়াবে দীর্ঘক্ষণ।
ঘর সাজানোর উপকরণে বদল আনুন
পিতল, ব্রোঞ্জ, অ্যালুমিনিয়াম বা তামার উইন্ড চাইম ঝোলাতে পারেন। এতে বাতাসের দোলায় সুন্দর সুরে তা বাজতে থাকবে। ঘর হয়ে উঠবে জীবন্ত। এ ছাড়া বাড়িতে ফুলদানিতে তাজা ফুল রাখতে পারেন। তাজা ফুল রাখলে মন থেকে উদ্বেগ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার মতো নেতিবাচক আবেগ দূর হয়।

ঘরের বিভিন্ন কোণে গাছ রাখুন
সহজেই ঘরে বেড়ে ওঠে—এমন গাছ রাখুন। লাকি ব্যাম্বু, মানিপ্ল্যান্ট, স্নেকপ্ল্যান্ট ইত্যাদি সহজেই ঘরে রাখা যেতে পারে।
প্রাকৃতিক পরিশোধন
সূর্যের আলোতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা প্রাকৃতিকভাবে ঘরকে জীবাণুমুক্ত করে এবং বাতাসকে বিশুদ্ধ করে। এটি ঘরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সূর্যের আলো গায়ে পড়লে মন প্রফুল্ল থাকে ও কাজকর্মে উৎসাহ পাওয়া যায়।
সূত্র: ম্যাজিক ব্রিকস

এ পর্যন্ত ৮১টি দেশের 8৮০টি শহরে গেছেন, থেকেছেন, খেয়েছেন তানভীর অপু। তাঁর এ ভ্রমণের তালিকায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন আছে, তেমনি আছে ইউরোপ, উত্তর-দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের অনেক দেশ। তাঁর শেষ ভ্রমণ ছিল মাল্টার গজো
৩০ মার্চ ২০২৩
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে এখনই শিখে নিন। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
৫ ঘণ্টা আগে
ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আপনি কি ঘুমের সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক সমাধান খুঁজছেন? তাহলে ক্যামোমাইল একবার ব্যবহার করে দেখুন।
ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুষ্টিবিদ বেথ জেরওনি বলেন, ‘ক্যামোমাইল মূলত হালকা ঘুমের ওষুধের মতো কাজ করে। কয়েক চুমুক খেলে এটি সত্যিই আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।’
তবে এই উদ্ভিদের উপকারিতা এখানেই শেষ নয়।
প্রথমত, ক্যামোমাইল চায়ের শান্তিদায়ক প্রভাব রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
ডেইজি ফুলের মতো দেখতে এই উদ্ভিদ পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো ভিটামিন ও মিনারেলসে ভরপুর।
ইউসিএলএ হেলথের তথ্যমতে, পটাশিয়াম (একধরনের ইলেকট্রোলাইট) আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে এবং হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে; বিশেষ করে যাঁরা বেশি লবণ খান, তাঁদের জন্য এটি উপকারী।
তবে বেশির ভাগ আমেরিকানই পর্যাপ্ত পটাশিয়াম পান না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের দৈনিক ২ হাজার ৬০০ মিলিগ্রাম এবং পুরুষদের ৩ হাজার ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার।
রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, এক কাপ ক্যামোমাইল চায়ে প্রায় ২১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণে শাকপাতা, মিষ্টিআলু, কলা ও অ্যাভোকাডো ভালো উৎস হতে পারে।
পটাশিয়ামের মতোই ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে। মায়ো ক্লিনিকের মতে, হৃদ্যন্ত্র, পেশি ও স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রমের জন্যও ক্যালসিয়াম অপরিহার্য।
তথ্যসূত্র: দি ইনডিপেনডেন্ট

আপনি কি ঘুমের সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক সমাধান খুঁজছেন? তাহলে ক্যামোমাইল একবার ব্যবহার করে দেখুন।
ক্যামোমাইল এমন এক ভেষজ, যা প্রাচীন গ্রিক যুগ থেকে পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাচীন গ্রিকরা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় দক্ষ ছিলেন। তাঁরা জানতেন, এই ভেষজে আছে অ্যাপিজেনিন নামের এক রাসায়নিক উপাদান, যা শরীর শান্ত করে এবং ঘুম ঘুম ভাব আনে।
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুষ্টিবিদ বেথ জেরওনি বলেন, ‘ক্যামোমাইল মূলত হালকা ঘুমের ওষুধের মতো কাজ করে। কয়েক চুমুক খেলে এটি সত্যিই আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।’
তবে এই উদ্ভিদের উপকারিতা এখানেই শেষ নয়।
প্রথমত, ক্যামোমাইল চায়ের শান্তিদায়ক প্রভাব রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
ডেইজি ফুলের মতো দেখতে এই উদ্ভিদ পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো ভিটামিন ও মিনারেলসে ভরপুর।
ইউসিএলএ হেলথের তথ্যমতে, পটাশিয়াম (একধরনের ইলেকট্রোলাইট) আমাদের স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে এবং হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে; বিশেষ করে যাঁরা বেশি লবণ খান, তাঁদের জন্য এটি উপকারী।
তবে বেশির ভাগ আমেরিকানই পর্যাপ্ত পটাশিয়াম পান না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের দৈনিক ২ হাজার ৬০০ মিলিগ্রাম এবং পুরুষদের ৩ হাজার ৪০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার।
রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, এক কাপ ক্যামোমাইল চায়ে প্রায় ২১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদা পূরণে শাকপাতা, মিষ্টিআলু, কলা ও অ্যাভোকাডো ভালো উৎস হতে পারে।
পটাশিয়ামের মতোই ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে। মায়ো ক্লিনিকের মতে, হৃদ্যন্ত্র, পেশি ও স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রমের জন্যও ক্যালসিয়াম অপরিহার্য।
তথ্যসূত্র: দি ইনডিপেনডেন্ট

এ পর্যন্ত ৮১টি দেশের 8৮০টি শহরে গেছেন, থেকেছেন, খেয়েছেন তানভীর অপু। তাঁর এ ভ্রমণের তালিকায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন আছে, তেমনি আছে ইউরোপ, উত্তর-দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের অনেক দেশ। তাঁর শেষ ভ্রমণ ছিল মাল্টার গজো
৩০ মার্চ ২০২৩
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে এখনই শিখে নিন। আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
৪ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
৫ ঘণ্টা আগে
ঋতুর বেদিতে এখন হেমন্ত বাস করছে। আবহাওয়ার কারণেই এই মৌসুমে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত অনেকেই অসুখে পড়ছেন। বাড়ির সবাই একসঙ্গে অসুখে পড়ার ঘটনাও যে ঘটছে না, তা কিন্তু নয়। আর এমন হলে বাড়ির সবগুলো ঘর একসঙ্গে যেমন অগোছালো হয়ে যায়, তেমনি বাড়ির উৎফুল্ল ও তরতাজাভাবটাও কেমন উবে যায়।
৬ ঘণ্টা আগে