Ajker Patrika

থাইল্যান্ড ভ্রমণে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন পর্যটকেরা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় পাতায়া সৈকত। ছবি: সংগৃহীত
থাইল্যান্ডের জনপ্রিয় পাতায়া সৈকত। ছবি: সংগৃহীত

পর্যটন শিল্পের ওপর নির্ভরশীল থাইল্যান্ড বিদেশি পর্যটকদের জন্য অর্থ খরচ আরও সহজ করছে। এবার ডিজিটাল অ্যাসেট, যেমন ক্রিপ্টোকারেন্সি, থাই বাথে রূপান্তর করে ভ্রমণ ও অন্যান্য খরচ মেটানোর সুযোগ দিতে যাচ্ছে দেশটি।

থাইল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী পিচাই চুনহাভাজিরা আজ সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, সরকার ডিজিটাল অ্যাসেট ব্যবহারের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পে নতুনত্ব আনতে এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য পেমেন্ট ব্যবস্থা সহজ করতে চায়।

এই নতুন উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্যুরিস্টডিজিপে’। এটি চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ১৮ মাসের জন্য একটি পরীক্ষামূলক কার্যক্রম হিসেবে চালু করা হবে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডিজিটাল অ্যাসেটকে সরাসরি পণ্য ও পরিষেবার পেমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। পর্যটকদের প্রথমে এটিকে থাই বাথে রূপান্তর করতে হবে। ব্যবসায়ীরা শুধু বাথেই পেমেন্ট গ্রহণ করবেন।

অর্থমন্ত্রী পিচাই বলেন, ‘বিদেশি পর্যটকদের থাইল্যান্ডে অবস্থানকে আরও সহজ করতে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই নতুন প্রোগ্রামটি বিদেশি পর্যটকদের নগদ ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের পরিবর্তে একটি নতুন উদ্ভাবনী পেমেন্ট ব্যবস্থা যোগ করবে।’

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ থাইল্যান্ড। বর্তমানে চীন থেকে আসা পর্যটকদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় নতুন বাজার খুঁজছে দেশটি। বিশেষ করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে চীনা পর্যটকদের আগমন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সম্প্রতি চীনা অভিনেতা ওয়াং জিং থাইল্যান্ড-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে অপহৃত হওয়ার ঘটনার পর চলতি বছরের প্রথমার্ধে চীনা পর্যটকের সংখ্যা ৩৩ শতাংশ কমে যায়। থাই সরকার এখন মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে।

দেশের প্রধান পরিকল্পনা সংস্থা চলতি বছর বিদেশি পর্যটকের আগমনের পূর্বাভাস ৩ কোটি ৭০ লাখ থেকে কমিয়ে ৩ কোটি ৩০ লাখ করেছে। থাইল্যান্ডের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি-তে পর্যটন খাতের অবদান প্রায় ১২ শতাংশ। চলতি বছরের ১০ আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ২ লাখ পর্যটক এসেছেন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ কম।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যে বিদেশি পর্যটকেরা ডিজিটাল অ্যাসেটকে বাথে রূপান্তর করে খরচ করতে চান, তাঁদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিজিটাল অ্যাসেট ব্যবসায়িক অপারেটর এবং ই-মানি পরিষেবা প্রদানকারীর মাধ্যমে লেনদেন করতে হবে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫ লাখ বাথ খরচ করা যাবে।

অর্থমন্ত্রী পিচাই জানান, এই সীমা এবং নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা ও ই-ওয়ালেট সক্রিয় করার কঠোর নিয়মাবলি অর্থ পাচার প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত