ইশতিয়াক হাসান
বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আবারও পাহাড় ও প্রকৃতিপ্রেমীতে সরগরম হয়ে উঠেছে সাজেক। এদিকে বছরের এই সময়টা, অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি কিংবা শেষভাগ সাজেক ভ্রমণের জন্য এক কথায় আদর্শ। কেন সেই উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আপনার সাজেকে ঘুরে বেড়ানো আরও আনন্দময় এবং ঝামেলামুক্ত করতে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই লেখায়।
এটা এখন মোটামুটি সবারই জানা যে সাজেক রাঙামাটিতে পড়লেও যাওয়া সহজ খাগড়াছড়ি দিয়ে। আপনি কখনো সাজেক যাননি, তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন, কেন সাজেক যাবেন? লেখাটি পড়তে পড়তে আশা করি এর উত্তর পেয়ে যাবেন।
ধরলাম আপনি ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির দিকে যাওয়া রাতের বাসে চড়েছেন। ভোরের আলো ফুটেছে কেবল, এমন সময় দেখলেন গাড়িটা বামের একটা পথে ঢুকে পড়েছে। খাড়া পাহাড়ি, আঁকাবাঁকা পথ ধরে যখন বাসটা চলবে, সামনে অনেক দূরে হয়তো ম্যাচ বাক্সের মতো অন্য কোনো একটি ট্রাক কিংবা বাস দেখলেন। আর ভাবলেন, মনে হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানায় পৌঁছে গেছেন। ব্যাপার মোটেই তা নয়, আপনি আসলে এখন আছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-মিরসরাই রেঞ্জে। বলা চলে সাজেক ভ্রমণের মজা শুরু হয়ে গেল আপনার।

তারপর থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত মোটামুটি পুরো পথটি গিয়েছে পাহাড়কে পাশে রেখে। সবুজ পাহাড় আপনাকে মুগ্ধ করবে, একই সঙ্গে আবার কোথাও কোথাও একপাশের খাদ দেখে গা কাঁটা দিতে পারে। খাগড়াছড়িতে প্রবেশের আগে আলুটিলার পাশে যে খাড়া ঢালটা পাবেন, সেটা পেরোনোর সময় রোমাঞ্চিত হবেন। খাগড়াছড়ি তো চলে এলেন, এখন সাজেক যাবেন কীভাবে?
বড় দল হলে খাগড়াছড়ি শহর থেকে চান্দের গাড়ি বা পিকআপ জিপ ভাড়া নেবেন সাজেক পর্যন্ত। আবার শুধু পরিবার নিয়ে গেলে কিংবা তিন-চারজনের ছোট দল হলে ভাড়া করবেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা মাহিন্দ্রা। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, খাগড়াছড়ি থেকে যখনই রওনা দেন না কেন, বাঘাইহাট থেকে সব গাড়ি ছাড়বে একই সময়ে। সকালে এবং দুপুরে দুই টাইমে সেখান থেকে ছাড়ে গাড়ি। পর্যটক বহনকারী গাড়িগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সঙ্গে থাকে সেনাবাহিনীর জিপ।

চান্দের গাড়িতে এক রাত থাকাসহ ভাড়া পড়বে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। সঙ্গে দ্বিতীয় দিন খাগড়াছড়ির জেলা পরিষদ পার্ক, আলুটিলা গুহার মতো জায়গাগুলোও ঘুরে দেখাবে। এদিকে পিকআপ জিপে ভাড়া পড়বে ৯ হাজার টাকা। সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা মাহিন্দ্রায় এই ভাড়া ৫ হাজারের আশপাশে।
খাগড়াছড়ি থেকে বাঘাইহাট পর্যন্ত পথটা নয়ন জুড়াবে আপনার। দীঘিনালা পর্যন্ত সড়কে বাঁক বেশি। দীঘিনালার কাছে মাইনি নদী পেরোনোর সময় কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে নদীটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। বাঘাইহাট থেকে চান্দের গাড়িগুলো লাইন করে দাঁড়ায়। এ সময় চাইলে বাঘাইহাট বাজারে নেমে পাহাড়ি কলা কিংবা মৌসুমি কোনো ফল কিনতে পারেন। রাসায়নিকমুক্ত তাজা ফল পাবেন নিঃসন্দেহে। তবে পর্যটকের চাহিদার কারণে দামটা এখন আগের তুলনায় বেড়েছে।

বাঘাইহাটের পর থেকে পাবেন পাহাড়ি পথের আসল মজা। এই রাস্তা উঠেছে তো আবার নেমেছে। তারপর আবার উঠেছে। তবে এই পথে খুব বেশি বাঁক নেই। পাহাড়ি পথে একটার পর একটা চান্দের গাড়ি ছোটার দৃশ্যও সুন্দর। এই পথে রাস্তার ওঠানামার কারণে আপনি পাবেন রোলার কোস্টারে চড়ার অনুভূতি। মাঝে মাঝে রাস্তার ধারে পাহাড়িদের একটা-দুটো ঘর পাবেন, দেখবেন মুগ্ধ চোখে। চলার পথে অবশ্যই দৃষ্টি সজাগ রাখবেন, না হলে অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। বিশেষ করে কাসালং ও মাইনি নদী যেখানটায় মিলেছে সেখানটা এক কথায় অসাধারণ। সেতুর ওপর থেকে নিচে বাঁ পাশে দুই নদীর মিলনস্থলের সৌন্দর্য দেখে আবার গাড়িতে উঠতে মন চাইবে না।

সাজেক যাওয়া পথে মাঝে মাঝেই রাস্তার দুপাশে দেখবেন পাহাড়ি শিশুদের। হাসিমুখে হাত নাড়বে তারা। সর্বশেষ প্রায় খাড়া একটা চড়াই পেরোতে হবে। এটা পেরোতে গিয়ে গাড়িগুলো গোঁ গোঁ শব্দে প্রতিবাদ জানাতে থাকবে। তবে ভয়ের কিছু নেই, শেষ পর্যন্ত ঠিকই আপনাকে পাহাড়ের ওপরে পৌঁছে দেবে। সাজেক ভ্রমণের অন্যতম রোমাঞ্চকর মুহূর্ত পাহাড়ের খাড়া এই অংশ পেরোনো।

পাহাড়ের ওপর উঠেই চমকে যাবেন। রাস্তার দুপাশে সারবেঁধে দাঁড়িয়ে আছে একটার পর একটা হোটেল, কটেজ, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ। দৃশ্যটা দেখে আপনার একটু দার্জিলিং দার্জিলিং ফিল হতে পারে। একই সঙ্গে আবার এটাও মনে হতে পারে, জায়গাটি অনেক বেশি ঘিঞ্জি বানিয়ে ফেলেছে।
মোটেল-রিসোর্টে ভরপুর এই জায়গার নাম রুইলুই পাড়া। সাজেক রাঙামাটির একটি ইউনিয়ন হলেও পর্যটকেরা সাজেক বলতে এই রুইলুই পাড়া এবং আরও ওপরের পাড়া কংলাককেই বোঝেন। রুইলুই মূলত লুসাই ও ত্রিপুরা অধ্যুষিত একটি পাড়া। মজার ঘটনা, ২০১১ সালে যখন সাজেকে এসেছিলাম, তখন একটি হোটেল-রিসোর্টও ছিল না, আর এখন এগুলোতে গিজগিজ করছে।

এখন শিরোনামের দিকে একটু তাকাই, লিখেছি ‘সাজেক ভ্রমণের এখনই সময়’, কেন? বর্ষায় প্রকৃতি অনেক সবুজ থাকে সন্দেহ নেই। বৃষ্টিতে পাহাড় যেভাবে সাজে, তার জুড়ি মেলা ভার। মেঘের আনাগোনা থাকে প্রচুর। তবে বৃষ্টির কারণে পথ পিচ্ছিল থাকায় পাহাড়ি রাস্তায় ঝুঁকি কিছুটা হলেও বাড়ে। এদিকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে আবহাওয়া ভালো থাকলেও প্রকৃতির সবুজ ভাব কমতে থাকে। কিন্তু এই সময়টায় বৃষ্টির ঝামেলা নেই, এদিকে আবার পাহাড় যথেষ্ট সবুজ। ভোরের দিকে ভালো মেঘও পাবেন। বেশ একটা শীত শীত আমেজও পাবেন। মোটের ওপর তাই চোখ বুঝে সাজেক ভ্রমণের একটি প্ল্যান সাজিয়ে ফেলতে পারেন।
তবে কথা হলো, পুরোনো সাজেক যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা অনেকেই এখনকার রিসোর্ট-কটেজে ঘিঞ্জি সাজেককে পছন্দ করেন না। তাঁদের দোষ দেওয়া যায় না। এখানে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে একের পর এক রিসোর্ট-কটেজ। অনেক ক্ষেত্রেই একটার থেকে প্রকৃতির রূপ উপভোগ নষ্ট করে দিয়েছে আরেকটি। তারপর আবার আমরা পর্যটক এবং ব্যবসায়ীরা মিলে অনেকটা আবর্জনাময় করে রেখেছি জায়গাটি।

তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, এখনকার সাজেকেও চাইলে আনন্দময় কয়েকটি দিন কাটাতে পারবেন, সেই সঙ্গে ইট-পাথরের নগরে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন সারা জীবন মনে রাখার মতো কিছু স্মৃতি। এমনিতে সাজেকের রুইলুই পাড়ায় ঘুরে বেড়ানোর সময় রাস্তার দুপাশ থেকেই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
রুইলুই পাড়ায় একটা মডেল লুসাই পাড়া আছে। দেখে বেশ মজা পাবেন, টিকিট জনপ্রতি ৩০ টাকা। আমরা অনেকটা সময় ওখানে কাটিয়েছিলাম। গাছের ওপর বাড়ি বা গাছবাড়িটা দেখে মজা পাবেন। লুসাইদের রাজার বাড়ি, সাধারণ বাড়িঘর, তৈজসপত্র সবকিছুই দেখবেন। রাজার বাড়ি মানে বাড়ির মডেলে আবার আছে কয়েকটা পেইন্টিংও। একটা দোলনাও পাবেন লুসাই শিশুদের জন্য বানানো দোলনার স্টাইলে। এ ছাড়াও লুসাইদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানান কিছুই পাবেন। হেলিপ্যাড থেকে সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন। সাজেকে পৌঁছার পরদিন ভোরে ঘুরে আসতে পারেন কংলাক পাড়া থেকে। কংলাক পাড়া এদিকের সবচেয়ে উঁচু জায়গা। ওখান থেকে আশপাশের পাহাড় ও রুইলুই পাড়ার রাস্তা এবং ঘরবাড়িগুলো দেখতেও বেশ লাগে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কংলাকেও পরিকল্পনাহীনভাবে একের পর এক কটেজ-হোটেল গজিয়ে উঠতে শুরু করেছে।

এখন সাজেকে একটু নিরিবিলি উপভোগের সুযোগ কীভাবে মিলবে, সে বিষয়ে দু-চারটি কথা বলছি। সাজেকের পুবে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে বাংলাদেশের দীঘিনালা। পুবমুখী ও পশ্চিমমুখী উভয় কটেজ থেকেই সামনে যত দূর চোখ যায় সবুজ পাহাড়ের দেখা মিলবে। ভালো ব্যালকনি বা বারান্দা আছে এমন একটি কটেজ বেছে নিন। আমার ব্যক্তিগতভাবে পুবমুখী দৃশ্য পছন্দ। কারণ ওদিকে বাংলাদেশের পাহাড় শেষ হতেই শুরু হয়ে গেছে ভারতের সেভেন সিস্টারের এক রাজ্য মিজোরামের পাহাড়। ব্যালকনিতে বসেই বড় একটা সময় পার করে দিতে পারবেন। মিজোরামের ওদিকে কামরা থাকলে দেখতে পাবেন সূর্যোদয়, পশ্চিমে মানে দীঘিনালার দিকে কটেজ নিলে সূর্যাস্তের ভিউ ভালো পাবেন।
মেঘ ভালো দেখতে চাইলে একেবারে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। বারান্দায় দাঁড়াতেই দেখবেন সাদা একটা মেঘের পর্দা ঢেকে রেখেছে গোটা পাহাড়রাজ্য। সূর্য ওপর দিকে ওটার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের চাদর ছিঁড়ে সবুজ পাহাড় বেরোতে থাকবে। এ ছাড়া ভিড়বাট্টা এড়িয়ে প্রকৃতি উপভোগ করতে চাইলে পাহাড়িদের চলাচলের কোনো পথ ধরে চলে যেতে পারেন নিচের দিকে। পাহাড়িদের জীবন, সবুজ গাছপালা, পাখির কলকাকলি—সবকিছুই দেখার ও শোনার সুযোগ মিলবে চোখ-কান খোলা রাখলে। পাহাড়ের ঢালে কোনো ঘেসো জমিতে বসে মিজোরাম কিংবা বাংলাদেশের পাহাড় দেখতে দেখতেও আনন্দময় সময় পার করতে পারেন।

তবে সাজেকের ভিড় এড়াতে চাইলে অবশ্য আপনার টানা ছুটির দিন এড়িয়ে যেতে হবে। তেমনি শুক্র ও শনিবার না গেলেই মঙ্গল। কারণ ওই দিনগুলোতে পর্যটকের চাপ থাকায় রিসোর্ট-কটেজের ভাড়াও থাকে বেশি। তেমনি সাজেকের রাস্তায় শান্তিমতো হাঁটাও মুশকিল।
আর আগে থেকে হোটেল-কটেজ ভাড়া দিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ছুটির দিন হলে ওটাই আপনার প্রথম কর্তব্য। ঈদসহ বড় ছুটিতে অনেকেই রিসোর্ট ভাড়া না করে গিয়ে বড় বিপদে পড়েছেন।

রিসোর্ট বা কটেজ বাছাইয়ের জন্য ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন। তেমনি কোন রেস্তোরাঁয় খাবেন সেটা বাছাইয়েও ইউটিউব আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। কিছু ভিডিও দেখলে বাছবিচার করার কাজটা সহজ হবে। তেমনি বেশির ভাগ রিসোর্ট-কটেজের ফেসবুক পেজ আছে। ওখানে ঢুঁ মারতে পারেন। এদিকে ছুটির দিন ছাড়া গেলে আপনি দরাদরি করে একটু কম ভাড়ায় কটেজ পেয়ে যাবেন। সাজেকের বেশির ভাগ কটেজের রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ৫ হাজারের মধ্যে। রেস্তোরাঁয় গোটা দিনের প্যাকেজ নিলে খাওয়ার খরচটা কম পড়বে।
কাজেই পাঠক, সাজেকে আনন্দময় একটি ভ্রমণে আপনাকে স্বাগত। ওহ্, একটা কথা, আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে পরিবেশ সুন্দর রাখুন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে সম্মান করুন।

বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আবারও পাহাড় ও প্রকৃতিপ্রেমীতে সরগরম হয়ে উঠেছে সাজেক। এদিকে বছরের এই সময়টা, অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি কিংবা শেষভাগ সাজেক ভ্রমণের জন্য এক কথায় আদর্শ। কেন সেই উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আপনার সাজেকে ঘুরে বেড়ানো আরও আনন্দময় এবং ঝামেলামুক্ত করতে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই লেখায়।
এটা এখন মোটামুটি সবারই জানা যে সাজেক রাঙামাটিতে পড়লেও যাওয়া সহজ খাগড়াছড়ি দিয়ে। আপনি কখনো সাজেক যাননি, তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন, কেন সাজেক যাবেন? লেখাটি পড়তে পড়তে আশা করি এর উত্তর পেয়ে যাবেন।
ধরলাম আপনি ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির দিকে যাওয়া রাতের বাসে চড়েছেন। ভোরের আলো ফুটেছে কেবল, এমন সময় দেখলেন গাড়িটা বামের একটা পথে ঢুকে পড়েছে। খাড়া পাহাড়ি, আঁকাবাঁকা পথ ধরে যখন বাসটা চলবে, সামনে অনেক দূরে হয়তো ম্যাচ বাক্সের মতো অন্য কোনো একটি ট্রাক কিংবা বাস দেখলেন। আর ভাবলেন, মনে হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানায় পৌঁছে গেছেন। ব্যাপার মোটেই তা নয়, আপনি আসলে এখন আছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-মিরসরাই রেঞ্জে। বলা চলে সাজেক ভ্রমণের মজা শুরু হয়ে গেল আপনার।

তারপর থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত মোটামুটি পুরো পথটি গিয়েছে পাহাড়কে পাশে রেখে। সবুজ পাহাড় আপনাকে মুগ্ধ করবে, একই সঙ্গে আবার কোথাও কোথাও একপাশের খাদ দেখে গা কাঁটা দিতে পারে। খাগড়াছড়িতে প্রবেশের আগে আলুটিলার পাশে যে খাড়া ঢালটা পাবেন, সেটা পেরোনোর সময় রোমাঞ্চিত হবেন। খাগড়াছড়ি তো চলে এলেন, এখন সাজেক যাবেন কীভাবে?
বড় দল হলে খাগড়াছড়ি শহর থেকে চান্দের গাড়ি বা পিকআপ জিপ ভাড়া নেবেন সাজেক পর্যন্ত। আবার শুধু পরিবার নিয়ে গেলে কিংবা তিন-চারজনের ছোট দল হলে ভাড়া করবেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা মাহিন্দ্রা। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, খাগড়াছড়ি থেকে যখনই রওনা দেন না কেন, বাঘাইহাট থেকে সব গাড়ি ছাড়বে একই সময়ে। সকালে এবং দুপুরে দুই টাইমে সেখান থেকে ছাড়ে গাড়ি। পর্যটক বহনকারী গাড়িগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সঙ্গে থাকে সেনাবাহিনীর জিপ।

চান্দের গাড়িতে এক রাত থাকাসহ ভাড়া পড়বে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। সঙ্গে দ্বিতীয় দিন খাগড়াছড়ির জেলা পরিষদ পার্ক, আলুটিলা গুহার মতো জায়গাগুলোও ঘুরে দেখাবে। এদিকে পিকআপ জিপে ভাড়া পড়বে ৯ হাজার টাকা। সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা মাহিন্দ্রায় এই ভাড়া ৫ হাজারের আশপাশে।
খাগড়াছড়ি থেকে বাঘাইহাট পর্যন্ত পথটা নয়ন জুড়াবে আপনার। দীঘিনালা পর্যন্ত সড়কে বাঁক বেশি। দীঘিনালার কাছে মাইনি নদী পেরোনোর সময় কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে নদীটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। বাঘাইহাট থেকে চান্দের গাড়িগুলো লাইন করে দাঁড়ায়। এ সময় চাইলে বাঘাইহাট বাজারে নেমে পাহাড়ি কলা কিংবা মৌসুমি কোনো ফল কিনতে পারেন। রাসায়নিকমুক্ত তাজা ফল পাবেন নিঃসন্দেহে। তবে পর্যটকের চাহিদার কারণে দামটা এখন আগের তুলনায় বেড়েছে।

বাঘাইহাটের পর থেকে পাবেন পাহাড়ি পথের আসল মজা। এই রাস্তা উঠেছে তো আবার নেমেছে। তারপর আবার উঠেছে। তবে এই পথে খুব বেশি বাঁক নেই। পাহাড়ি পথে একটার পর একটা চান্দের গাড়ি ছোটার দৃশ্যও সুন্দর। এই পথে রাস্তার ওঠানামার কারণে আপনি পাবেন রোলার কোস্টারে চড়ার অনুভূতি। মাঝে মাঝে রাস্তার ধারে পাহাড়িদের একটা-দুটো ঘর পাবেন, দেখবেন মুগ্ধ চোখে। চলার পথে অবশ্যই দৃষ্টি সজাগ রাখবেন, না হলে অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। বিশেষ করে কাসালং ও মাইনি নদী যেখানটায় মিলেছে সেখানটা এক কথায় অসাধারণ। সেতুর ওপর থেকে নিচে বাঁ পাশে দুই নদীর মিলনস্থলের সৌন্দর্য দেখে আবার গাড়িতে উঠতে মন চাইবে না।

সাজেক যাওয়া পথে মাঝে মাঝেই রাস্তার দুপাশে দেখবেন পাহাড়ি শিশুদের। হাসিমুখে হাত নাড়বে তারা। সর্বশেষ প্রায় খাড়া একটা চড়াই পেরোতে হবে। এটা পেরোতে গিয়ে গাড়িগুলো গোঁ গোঁ শব্দে প্রতিবাদ জানাতে থাকবে। তবে ভয়ের কিছু নেই, শেষ পর্যন্ত ঠিকই আপনাকে পাহাড়ের ওপরে পৌঁছে দেবে। সাজেক ভ্রমণের অন্যতম রোমাঞ্চকর মুহূর্ত পাহাড়ের খাড়া এই অংশ পেরোনো।

পাহাড়ের ওপর উঠেই চমকে যাবেন। রাস্তার দুপাশে সারবেঁধে দাঁড়িয়ে আছে একটার পর একটা হোটেল, কটেজ, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ। দৃশ্যটা দেখে আপনার একটু দার্জিলিং দার্জিলিং ফিল হতে পারে। একই সঙ্গে আবার এটাও মনে হতে পারে, জায়গাটি অনেক বেশি ঘিঞ্জি বানিয়ে ফেলেছে।
মোটেল-রিসোর্টে ভরপুর এই জায়গার নাম রুইলুই পাড়া। সাজেক রাঙামাটির একটি ইউনিয়ন হলেও পর্যটকেরা সাজেক বলতে এই রুইলুই পাড়া এবং আরও ওপরের পাড়া কংলাককেই বোঝেন। রুইলুই মূলত লুসাই ও ত্রিপুরা অধ্যুষিত একটি পাড়া। মজার ঘটনা, ২০১১ সালে যখন সাজেকে এসেছিলাম, তখন একটি হোটেল-রিসোর্টও ছিল না, আর এখন এগুলোতে গিজগিজ করছে।

এখন শিরোনামের দিকে একটু তাকাই, লিখেছি ‘সাজেক ভ্রমণের এখনই সময়’, কেন? বর্ষায় প্রকৃতি অনেক সবুজ থাকে সন্দেহ নেই। বৃষ্টিতে পাহাড় যেভাবে সাজে, তার জুড়ি মেলা ভার। মেঘের আনাগোনা থাকে প্রচুর। তবে বৃষ্টির কারণে পথ পিচ্ছিল থাকায় পাহাড়ি রাস্তায় ঝুঁকি কিছুটা হলেও বাড়ে। এদিকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে আবহাওয়া ভালো থাকলেও প্রকৃতির সবুজ ভাব কমতে থাকে। কিন্তু এই সময়টায় বৃষ্টির ঝামেলা নেই, এদিকে আবার পাহাড় যথেষ্ট সবুজ। ভোরের দিকে ভালো মেঘও পাবেন। বেশ একটা শীত শীত আমেজও পাবেন। মোটের ওপর তাই চোখ বুঝে সাজেক ভ্রমণের একটি প্ল্যান সাজিয়ে ফেলতে পারেন।
তবে কথা হলো, পুরোনো সাজেক যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা অনেকেই এখনকার রিসোর্ট-কটেজে ঘিঞ্জি সাজেককে পছন্দ করেন না। তাঁদের দোষ দেওয়া যায় না। এখানে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে একের পর এক রিসোর্ট-কটেজ। অনেক ক্ষেত্রেই একটার থেকে প্রকৃতির রূপ উপভোগ নষ্ট করে দিয়েছে আরেকটি। তারপর আবার আমরা পর্যটক এবং ব্যবসায়ীরা মিলে অনেকটা আবর্জনাময় করে রেখেছি জায়গাটি।

তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, এখনকার সাজেকেও চাইলে আনন্দময় কয়েকটি দিন কাটাতে পারবেন, সেই সঙ্গে ইট-পাথরের নগরে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন সারা জীবন মনে রাখার মতো কিছু স্মৃতি। এমনিতে সাজেকের রুইলুই পাড়ায় ঘুরে বেড়ানোর সময় রাস্তার দুপাশ থেকেই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
রুইলুই পাড়ায় একটা মডেল লুসাই পাড়া আছে। দেখে বেশ মজা পাবেন, টিকিট জনপ্রতি ৩০ টাকা। আমরা অনেকটা সময় ওখানে কাটিয়েছিলাম। গাছের ওপর বাড়ি বা গাছবাড়িটা দেখে মজা পাবেন। লুসাইদের রাজার বাড়ি, সাধারণ বাড়িঘর, তৈজসপত্র সবকিছুই দেখবেন। রাজার বাড়ি মানে বাড়ির মডেলে আবার আছে কয়েকটা পেইন্টিংও। একটা দোলনাও পাবেন লুসাই শিশুদের জন্য বানানো দোলনার স্টাইলে। এ ছাড়াও লুসাইদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানান কিছুই পাবেন। হেলিপ্যাড থেকে সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন। সাজেকে পৌঁছার পরদিন ভোরে ঘুরে আসতে পারেন কংলাক পাড়া থেকে। কংলাক পাড়া এদিকের সবচেয়ে উঁচু জায়গা। ওখান থেকে আশপাশের পাহাড় ও রুইলুই পাড়ার রাস্তা এবং ঘরবাড়িগুলো দেখতেও বেশ লাগে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কংলাকেও পরিকল্পনাহীনভাবে একের পর এক কটেজ-হোটেল গজিয়ে উঠতে শুরু করেছে।

এখন সাজেকে একটু নিরিবিলি উপভোগের সুযোগ কীভাবে মিলবে, সে বিষয়ে দু-চারটি কথা বলছি। সাজেকের পুবে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে বাংলাদেশের দীঘিনালা। পুবমুখী ও পশ্চিমমুখী উভয় কটেজ থেকেই সামনে যত দূর চোখ যায় সবুজ পাহাড়ের দেখা মিলবে। ভালো ব্যালকনি বা বারান্দা আছে এমন একটি কটেজ বেছে নিন। আমার ব্যক্তিগতভাবে পুবমুখী দৃশ্য পছন্দ। কারণ ওদিকে বাংলাদেশের পাহাড় শেষ হতেই শুরু হয়ে গেছে ভারতের সেভেন সিস্টারের এক রাজ্য মিজোরামের পাহাড়। ব্যালকনিতে বসেই বড় একটা সময় পার করে দিতে পারবেন। মিজোরামের ওদিকে কামরা থাকলে দেখতে পাবেন সূর্যোদয়, পশ্চিমে মানে দীঘিনালার দিকে কটেজ নিলে সূর্যাস্তের ভিউ ভালো পাবেন।
মেঘ ভালো দেখতে চাইলে একেবারে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। বারান্দায় দাঁড়াতেই দেখবেন সাদা একটা মেঘের পর্দা ঢেকে রেখেছে গোটা পাহাড়রাজ্য। সূর্য ওপর দিকে ওটার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের চাদর ছিঁড়ে সবুজ পাহাড় বেরোতে থাকবে। এ ছাড়া ভিড়বাট্টা এড়িয়ে প্রকৃতি উপভোগ করতে চাইলে পাহাড়িদের চলাচলের কোনো পথ ধরে চলে যেতে পারেন নিচের দিকে। পাহাড়িদের জীবন, সবুজ গাছপালা, পাখির কলকাকলি—সবকিছুই দেখার ও শোনার সুযোগ মিলবে চোখ-কান খোলা রাখলে। পাহাড়ের ঢালে কোনো ঘেসো জমিতে বসে মিজোরাম কিংবা বাংলাদেশের পাহাড় দেখতে দেখতেও আনন্দময় সময় পার করতে পারেন।

তবে সাজেকের ভিড় এড়াতে চাইলে অবশ্য আপনার টানা ছুটির দিন এড়িয়ে যেতে হবে। তেমনি শুক্র ও শনিবার না গেলেই মঙ্গল। কারণ ওই দিনগুলোতে পর্যটকের চাপ থাকায় রিসোর্ট-কটেজের ভাড়াও থাকে বেশি। তেমনি সাজেকের রাস্তায় শান্তিমতো হাঁটাও মুশকিল।
আর আগে থেকে হোটেল-কটেজ ভাড়া দিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ছুটির দিন হলে ওটাই আপনার প্রথম কর্তব্য। ঈদসহ বড় ছুটিতে অনেকেই রিসোর্ট ভাড়া না করে গিয়ে বড় বিপদে পড়েছেন।

রিসোর্ট বা কটেজ বাছাইয়ের জন্য ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন। তেমনি কোন রেস্তোরাঁয় খাবেন সেটা বাছাইয়েও ইউটিউব আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। কিছু ভিডিও দেখলে বাছবিচার করার কাজটা সহজ হবে। তেমনি বেশির ভাগ রিসোর্ট-কটেজের ফেসবুক পেজ আছে। ওখানে ঢুঁ মারতে পারেন। এদিকে ছুটির দিন ছাড়া গেলে আপনি দরাদরি করে একটু কম ভাড়ায় কটেজ পেয়ে যাবেন। সাজেকের বেশির ভাগ কটেজের রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ৫ হাজারের মধ্যে। রেস্তোরাঁয় গোটা দিনের প্যাকেজ নিলে খাওয়ার খরচটা কম পড়বে।
কাজেই পাঠক, সাজেকে আনন্দময় একটি ভ্রমণে আপনাকে স্বাগত। ওহ্, একটা কথা, আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে পরিবেশ সুন্দর রাখুন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে সম্মান করুন।
ইশতিয়াক হাসান
বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আবারও পাহাড় ও প্রকৃতিপ্রেমীতে সরগরম হয়ে উঠেছে সাজেক। এদিকে বছরের এই সময়টা, অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি কিংবা শেষভাগ সাজেক ভ্রমণের জন্য এক কথায় আদর্শ। কেন সেই উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আপনার সাজেকে ঘুরে বেড়ানো আরও আনন্দময় এবং ঝামেলামুক্ত করতে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই লেখায়।
এটা এখন মোটামুটি সবারই জানা যে সাজেক রাঙামাটিতে পড়লেও যাওয়া সহজ খাগড়াছড়ি দিয়ে। আপনি কখনো সাজেক যাননি, তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন, কেন সাজেক যাবেন? লেখাটি পড়তে পড়তে আশা করি এর উত্তর পেয়ে যাবেন।
ধরলাম আপনি ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির দিকে যাওয়া রাতের বাসে চড়েছেন। ভোরের আলো ফুটেছে কেবল, এমন সময় দেখলেন গাড়িটা বামের একটা পথে ঢুকে পড়েছে। খাড়া পাহাড়ি, আঁকাবাঁকা পথ ধরে যখন বাসটা চলবে, সামনে অনেক দূরে হয়তো ম্যাচ বাক্সের মতো অন্য কোনো একটি ট্রাক কিংবা বাস দেখলেন। আর ভাবলেন, মনে হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানায় পৌঁছে গেছেন। ব্যাপার মোটেই তা নয়, আপনি আসলে এখন আছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-মিরসরাই রেঞ্জে। বলা চলে সাজেক ভ্রমণের মজা শুরু হয়ে গেল আপনার।

তারপর থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত মোটামুটি পুরো পথটি গিয়েছে পাহাড়কে পাশে রেখে। সবুজ পাহাড় আপনাকে মুগ্ধ করবে, একই সঙ্গে আবার কোথাও কোথাও একপাশের খাদ দেখে গা কাঁটা দিতে পারে। খাগড়াছড়িতে প্রবেশের আগে আলুটিলার পাশে যে খাড়া ঢালটা পাবেন, সেটা পেরোনোর সময় রোমাঞ্চিত হবেন। খাগড়াছড়ি তো চলে এলেন, এখন সাজেক যাবেন কীভাবে?
বড় দল হলে খাগড়াছড়ি শহর থেকে চান্দের গাড়ি বা পিকআপ জিপ ভাড়া নেবেন সাজেক পর্যন্ত। আবার শুধু পরিবার নিয়ে গেলে কিংবা তিন-চারজনের ছোট দল হলে ভাড়া করবেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা মাহিন্দ্রা। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, খাগড়াছড়ি থেকে যখনই রওনা দেন না কেন, বাঘাইহাট থেকে সব গাড়ি ছাড়বে একই সময়ে। সকালে এবং দুপুরে দুই টাইমে সেখান থেকে ছাড়ে গাড়ি। পর্যটক বহনকারী গাড়িগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সঙ্গে থাকে সেনাবাহিনীর জিপ।

চান্দের গাড়িতে এক রাত থাকাসহ ভাড়া পড়বে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। সঙ্গে দ্বিতীয় দিন খাগড়াছড়ির জেলা পরিষদ পার্ক, আলুটিলা গুহার মতো জায়গাগুলোও ঘুরে দেখাবে। এদিকে পিকআপ জিপে ভাড়া পড়বে ৯ হাজার টাকা। সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা মাহিন্দ্রায় এই ভাড়া ৫ হাজারের আশপাশে।
খাগড়াছড়ি থেকে বাঘাইহাট পর্যন্ত পথটা নয়ন জুড়াবে আপনার। দীঘিনালা পর্যন্ত সড়কে বাঁক বেশি। দীঘিনালার কাছে মাইনি নদী পেরোনোর সময় কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে নদীটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। বাঘাইহাট থেকে চান্দের গাড়িগুলো লাইন করে দাঁড়ায়। এ সময় চাইলে বাঘাইহাট বাজারে নেমে পাহাড়ি কলা কিংবা মৌসুমি কোনো ফল কিনতে পারেন। রাসায়নিকমুক্ত তাজা ফল পাবেন নিঃসন্দেহে। তবে পর্যটকের চাহিদার কারণে দামটা এখন আগের তুলনায় বেড়েছে।

বাঘাইহাটের পর থেকে পাবেন পাহাড়ি পথের আসল মজা। এই রাস্তা উঠেছে তো আবার নেমেছে। তারপর আবার উঠেছে। তবে এই পথে খুব বেশি বাঁক নেই। পাহাড়ি পথে একটার পর একটা চান্দের গাড়ি ছোটার দৃশ্যও সুন্দর। এই পথে রাস্তার ওঠানামার কারণে আপনি পাবেন রোলার কোস্টারে চড়ার অনুভূতি। মাঝে মাঝে রাস্তার ধারে পাহাড়িদের একটা-দুটো ঘর পাবেন, দেখবেন মুগ্ধ চোখে। চলার পথে অবশ্যই দৃষ্টি সজাগ রাখবেন, না হলে অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। বিশেষ করে কাসালং ও মাইনি নদী যেখানটায় মিলেছে সেখানটা এক কথায় অসাধারণ। সেতুর ওপর থেকে নিচে বাঁ পাশে দুই নদীর মিলনস্থলের সৌন্দর্য দেখে আবার গাড়িতে উঠতে মন চাইবে না।

সাজেক যাওয়া পথে মাঝে মাঝেই রাস্তার দুপাশে দেখবেন পাহাড়ি শিশুদের। হাসিমুখে হাত নাড়বে তারা। সর্বশেষ প্রায় খাড়া একটা চড়াই পেরোতে হবে। এটা পেরোতে গিয়ে গাড়িগুলো গোঁ গোঁ শব্দে প্রতিবাদ জানাতে থাকবে। তবে ভয়ের কিছু নেই, শেষ পর্যন্ত ঠিকই আপনাকে পাহাড়ের ওপরে পৌঁছে দেবে। সাজেক ভ্রমণের অন্যতম রোমাঞ্চকর মুহূর্ত পাহাড়ের খাড়া এই অংশ পেরোনো।

পাহাড়ের ওপর উঠেই চমকে যাবেন। রাস্তার দুপাশে সারবেঁধে দাঁড়িয়ে আছে একটার পর একটা হোটেল, কটেজ, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ। দৃশ্যটা দেখে আপনার একটু দার্জিলিং দার্জিলিং ফিল হতে পারে। একই সঙ্গে আবার এটাও মনে হতে পারে, জায়গাটি অনেক বেশি ঘিঞ্জি বানিয়ে ফেলেছে।
মোটেল-রিসোর্টে ভরপুর এই জায়গার নাম রুইলুই পাড়া। সাজেক রাঙামাটির একটি ইউনিয়ন হলেও পর্যটকেরা সাজেক বলতে এই রুইলুই পাড়া এবং আরও ওপরের পাড়া কংলাককেই বোঝেন। রুইলুই মূলত লুসাই ও ত্রিপুরা অধ্যুষিত একটি পাড়া। মজার ঘটনা, ২০১১ সালে যখন সাজেকে এসেছিলাম, তখন একটি হোটেল-রিসোর্টও ছিল না, আর এখন এগুলোতে গিজগিজ করছে।

এখন শিরোনামের দিকে একটু তাকাই, লিখেছি ‘সাজেক ভ্রমণের এখনই সময়’, কেন? বর্ষায় প্রকৃতি অনেক সবুজ থাকে সন্দেহ নেই। বৃষ্টিতে পাহাড় যেভাবে সাজে, তার জুড়ি মেলা ভার। মেঘের আনাগোনা থাকে প্রচুর। তবে বৃষ্টির কারণে পথ পিচ্ছিল থাকায় পাহাড়ি রাস্তায় ঝুঁকি কিছুটা হলেও বাড়ে। এদিকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে আবহাওয়া ভালো থাকলেও প্রকৃতির সবুজ ভাব কমতে থাকে। কিন্তু এই সময়টায় বৃষ্টির ঝামেলা নেই, এদিকে আবার পাহাড় যথেষ্ট সবুজ। ভোরের দিকে ভালো মেঘও পাবেন। বেশ একটা শীত শীত আমেজও পাবেন। মোটের ওপর তাই চোখ বুঝে সাজেক ভ্রমণের একটি প্ল্যান সাজিয়ে ফেলতে পারেন।
তবে কথা হলো, পুরোনো সাজেক যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা অনেকেই এখনকার রিসোর্ট-কটেজে ঘিঞ্জি সাজেককে পছন্দ করেন না। তাঁদের দোষ দেওয়া যায় না। এখানে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে একের পর এক রিসোর্ট-কটেজ। অনেক ক্ষেত্রেই একটার থেকে প্রকৃতির রূপ উপভোগ নষ্ট করে দিয়েছে আরেকটি। তারপর আবার আমরা পর্যটক এবং ব্যবসায়ীরা মিলে অনেকটা আবর্জনাময় করে রেখেছি জায়গাটি।

তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, এখনকার সাজেকেও চাইলে আনন্দময় কয়েকটি দিন কাটাতে পারবেন, সেই সঙ্গে ইট-পাথরের নগরে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন সারা জীবন মনে রাখার মতো কিছু স্মৃতি। এমনিতে সাজেকের রুইলুই পাড়ায় ঘুরে বেড়ানোর সময় রাস্তার দুপাশ থেকেই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
রুইলুই পাড়ায় একটা মডেল লুসাই পাড়া আছে। দেখে বেশ মজা পাবেন, টিকিট জনপ্রতি ৩০ টাকা। আমরা অনেকটা সময় ওখানে কাটিয়েছিলাম। গাছের ওপর বাড়ি বা গাছবাড়িটা দেখে মজা পাবেন। লুসাইদের রাজার বাড়ি, সাধারণ বাড়িঘর, তৈজসপত্র সবকিছুই দেখবেন। রাজার বাড়ি মানে বাড়ির মডেলে আবার আছে কয়েকটা পেইন্টিংও। একটা দোলনাও পাবেন লুসাই শিশুদের জন্য বানানো দোলনার স্টাইলে। এ ছাড়াও লুসাইদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানান কিছুই পাবেন। হেলিপ্যাড থেকে সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন। সাজেকে পৌঁছার পরদিন ভোরে ঘুরে আসতে পারেন কংলাক পাড়া থেকে। কংলাক পাড়া এদিকের সবচেয়ে উঁচু জায়গা। ওখান থেকে আশপাশের পাহাড় ও রুইলুই পাড়ার রাস্তা এবং ঘরবাড়িগুলো দেখতেও বেশ লাগে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কংলাকেও পরিকল্পনাহীনভাবে একের পর এক কটেজ-হোটেল গজিয়ে উঠতে শুরু করেছে।

এখন সাজেকে একটু নিরিবিলি উপভোগের সুযোগ কীভাবে মিলবে, সে বিষয়ে দু-চারটি কথা বলছি। সাজেকের পুবে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে বাংলাদেশের দীঘিনালা। পুবমুখী ও পশ্চিমমুখী উভয় কটেজ থেকেই সামনে যত দূর চোখ যায় সবুজ পাহাড়ের দেখা মিলবে। ভালো ব্যালকনি বা বারান্দা আছে এমন একটি কটেজ বেছে নিন। আমার ব্যক্তিগতভাবে পুবমুখী দৃশ্য পছন্দ। কারণ ওদিকে বাংলাদেশের পাহাড় শেষ হতেই শুরু হয়ে গেছে ভারতের সেভেন সিস্টারের এক রাজ্য মিজোরামের পাহাড়। ব্যালকনিতে বসেই বড় একটা সময় পার করে দিতে পারবেন। মিজোরামের ওদিকে কামরা থাকলে দেখতে পাবেন সূর্যোদয়, পশ্চিমে মানে দীঘিনালার দিকে কটেজ নিলে সূর্যাস্তের ভিউ ভালো পাবেন।
মেঘ ভালো দেখতে চাইলে একেবারে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। বারান্দায় দাঁড়াতেই দেখবেন সাদা একটা মেঘের পর্দা ঢেকে রেখেছে গোটা পাহাড়রাজ্য। সূর্য ওপর দিকে ওটার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের চাদর ছিঁড়ে সবুজ পাহাড় বেরোতে থাকবে। এ ছাড়া ভিড়বাট্টা এড়িয়ে প্রকৃতি উপভোগ করতে চাইলে পাহাড়িদের চলাচলের কোনো পথ ধরে চলে যেতে পারেন নিচের দিকে। পাহাড়িদের জীবন, সবুজ গাছপালা, পাখির কলকাকলি—সবকিছুই দেখার ও শোনার সুযোগ মিলবে চোখ-কান খোলা রাখলে। পাহাড়ের ঢালে কোনো ঘেসো জমিতে বসে মিজোরাম কিংবা বাংলাদেশের পাহাড় দেখতে দেখতেও আনন্দময় সময় পার করতে পারেন।

তবে সাজেকের ভিড় এড়াতে চাইলে অবশ্য আপনার টানা ছুটির দিন এড়িয়ে যেতে হবে। তেমনি শুক্র ও শনিবার না গেলেই মঙ্গল। কারণ ওই দিনগুলোতে পর্যটকের চাপ থাকায় রিসোর্ট-কটেজের ভাড়াও থাকে বেশি। তেমনি সাজেকের রাস্তায় শান্তিমতো হাঁটাও মুশকিল।
আর আগে থেকে হোটেল-কটেজ ভাড়া দিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ছুটির দিন হলে ওটাই আপনার প্রথম কর্তব্য। ঈদসহ বড় ছুটিতে অনেকেই রিসোর্ট ভাড়া না করে গিয়ে বড় বিপদে পড়েছেন।

রিসোর্ট বা কটেজ বাছাইয়ের জন্য ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন। তেমনি কোন রেস্তোরাঁয় খাবেন সেটা বাছাইয়েও ইউটিউব আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। কিছু ভিডিও দেখলে বাছবিচার করার কাজটা সহজ হবে। তেমনি বেশির ভাগ রিসোর্ট-কটেজের ফেসবুক পেজ আছে। ওখানে ঢুঁ মারতে পারেন। এদিকে ছুটির দিন ছাড়া গেলে আপনি দরাদরি করে একটু কম ভাড়ায় কটেজ পেয়ে যাবেন। সাজেকের বেশির ভাগ কটেজের রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ৫ হাজারের মধ্যে। রেস্তোরাঁয় গোটা দিনের প্যাকেজ নিলে খাওয়ার খরচটা কম পড়বে।
কাজেই পাঠক, সাজেকে আনন্দময় একটি ভ্রমণে আপনাকে স্বাগত। ওহ্, একটা কথা, আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে পরিবেশ সুন্দর রাখুন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে সম্মান করুন।

বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আবারও পাহাড় ও প্রকৃতিপ্রেমীতে সরগরম হয়ে উঠেছে সাজেক। এদিকে বছরের এই সময়টা, অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি কিংবা শেষভাগ সাজেক ভ্রমণের জন্য এক কথায় আদর্শ। কেন সেই উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আপনার সাজেকে ঘুরে বেড়ানো আরও আনন্দময় এবং ঝামেলামুক্ত করতে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি এই লেখায়।
এটা এখন মোটামুটি সবারই জানা যে সাজেক রাঙামাটিতে পড়লেও যাওয়া সহজ খাগড়াছড়ি দিয়ে। আপনি কখনো সাজেক যাননি, তাহলে প্রশ্ন করতে পারেন, কেন সাজেক যাবেন? লেখাটি পড়তে পড়তে আশা করি এর উত্তর পেয়ে যাবেন।
ধরলাম আপনি ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ির দিকে যাওয়া রাতের বাসে চড়েছেন। ভোরের আলো ফুটেছে কেবল, এমন সময় দেখলেন গাড়িটা বামের একটা পথে ঢুকে পড়েছে। খাড়া পাহাড়ি, আঁকাবাঁকা পথ ধরে যখন বাসটা চলবে, সামনে অনেক দূরে হয়তো ম্যাচ বাক্সের মতো অন্য কোনো একটি ট্রাক কিংবা বাস দেখলেন। আর ভাবলেন, মনে হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমানায় পৌঁছে গেছেন। ব্যাপার মোটেই তা নয়, আপনি আসলে এখন আছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড-মিরসরাই রেঞ্জে। বলা চলে সাজেক ভ্রমণের মজা শুরু হয়ে গেল আপনার।

তারপর থেকে খাগড়াছড়ি পর্যন্ত মোটামুটি পুরো পথটি গিয়েছে পাহাড়কে পাশে রেখে। সবুজ পাহাড় আপনাকে মুগ্ধ করবে, একই সঙ্গে আবার কোথাও কোথাও একপাশের খাদ দেখে গা কাঁটা দিতে পারে। খাগড়াছড়িতে প্রবেশের আগে আলুটিলার পাশে যে খাড়া ঢালটা পাবেন, সেটা পেরোনোর সময় রোমাঞ্চিত হবেন। খাগড়াছড়ি তো চলে এলেন, এখন সাজেক যাবেন কীভাবে?
বড় দল হলে খাগড়াছড়ি শহর থেকে চান্দের গাড়ি বা পিকআপ জিপ ভাড়া নেবেন সাজেক পর্যন্ত। আবার শুধু পরিবার নিয়ে গেলে কিংবা তিন-চারজনের ছোট দল হলে ভাড়া করবেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা মাহিন্দ্রা। এখানে জানিয়ে রাখা ভালো, খাগড়াছড়ি থেকে যখনই রওনা দেন না কেন, বাঘাইহাট থেকে সব গাড়ি ছাড়বে একই সময়ে। সকালে এবং দুপুরে দুই টাইমে সেখান থেকে ছাড়ে গাড়ি। পর্যটক বহনকারী গাড়িগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সঙ্গে থাকে সেনাবাহিনীর জিপ।

চান্দের গাড়িতে এক রাত থাকাসহ ভাড়া পড়বে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। সঙ্গে দ্বিতীয় দিন খাগড়াছড়ির জেলা পরিষদ পার্ক, আলুটিলা গুহার মতো জায়গাগুলোও ঘুরে দেখাবে। এদিকে পিকআপ জিপে ভাড়া পড়বে ৯ হাজার টাকা। সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা মাহিন্দ্রায় এই ভাড়া ৫ হাজারের আশপাশে।
খাগড়াছড়ি থেকে বাঘাইহাট পর্যন্ত পথটা নয়ন জুড়াবে আপনার। দীঘিনালা পর্যন্ত সড়কে বাঁক বেশি। দীঘিনালার কাছে মাইনি নদী পেরোনোর সময় কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে নদীটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। বাঘাইহাট থেকে চান্দের গাড়িগুলো লাইন করে দাঁড়ায়। এ সময় চাইলে বাঘাইহাট বাজারে নেমে পাহাড়ি কলা কিংবা মৌসুমি কোনো ফল কিনতে পারেন। রাসায়নিকমুক্ত তাজা ফল পাবেন নিঃসন্দেহে। তবে পর্যটকের চাহিদার কারণে দামটা এখন আগের তুলনায় বেড়েছে।

বাঘাইহাটের পর থেকে পাবেন পাহাড়ি পথের আসল মজা। এই রাস্তা উঠেছে তো আবার নেমেছে। তারপর আবার উঠেছে। তবে এই পথে খুব বেশি বাঁক নেই। পাহাড়ি পথে একটার পর একটা চান্দের গাড়ি ছোটার দৃশ্যও সুন্দর। এই পথে রাস্তার ওঠানামার কারণে আপনি পাবেন রোলার কোস্টারে চড়ার অনুভূতি। মাঝে মাঝে রাস্তার ধারে পাহাড়িদের একটা-দুটো ঘর পাবেন, দেখবেন মুগ্ধ চোখে। চলার পথে অবশ্যই দৃষ্টি সজাগ রাখবেন, না হলে অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। বিশেষ করে কাসালং ও মাইনি নদী যেখানটায় মিলেছে সেখানটা এক কথায় অসাধারণ। সেতুর ওপর থেকে নিচে বাঁ পাশে দুই নদীর মিলনস্থলের সৌন্দর্য দেখে আবার গাড়িতে উঠতে মন চাইবে না।

সাজেক যাওয়া পথে মাঝে মাঝেই রাস্তার দুপাশে দেখবেন পাহাড়ি শিশুদের। হাসিমুখে হাত নাড়বে তারা। সর্বশেষ প্রায় খাড়া একটা চড়াই পেরোতে হবে। এটা পেরোতে গিয়ে গাড়িগুলো গোঁ গোঁ শব্দে প্রতিবাদ জানাতে থাকবে। তবে ভয়ের কিছু নেই, শেষ পর্যন্ত ঠিকই আপনাকে পাহাড়ের ওপরে পৌঁছে দেবে। সাজেক ভ্রমণের অন্যতম রোমাঞ্চকর মুহূর্ত পাহাড়ের খাড়া এই অংশ পেরোনো।

পাহাড়ের ওপর উঠেই চমকে যাবেন। রাস্তার দুপাশে সারবেঁধে দাঁড়িয়ে আছে একটার পর একটা হোটেল, কটেজ, রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁ। দৃশ্যটা দেখে আপনার একটু দার্জিলিং দার্জিলিং ফিল হতে পারে। একই সঙ্গে আবার এটাও মনে হতে পারে, জায়গাটি অনেক বেশি ঘিঞ্জি বানিয়ে ফেলেছে।
মোটেল-রিসোর্টে ভরপুর এই জায়গার নাম রুইলুই পাড়া। সাজেক রাঙামাটির একটি ইউনিয়ন হলেও পর্যটকেরা সাজেক বলতে এই রুইলুই পাড়া এবং আরও ওপরের পাড়া কংলাককেই বোঝেন। রুইলুই মূলত লুসাই ও ত্রিপুরা অধ্যুষিত একটি পাড়া। মজার ঘটনা, ২০১১ সালে যখন সাজেকে এসেছিলাম, তখন একটি হোটেল-রিসোর্টও ছিল না, আর এখন এগুলোতে গিজগিজ করছে।

এখন শিরোনামের দিকে একটু তাকাই, লিখেছি ‘সাজেক ভ্রমণের এখনই সময়’, কেন? বর্ষায় প্রকৃতি অনেক সবুজ থাকে সন্দেহ নেই। বৃষ্টিতে পাহাড় যেভাবে সাজে, তার জুড়ি মেলা ভার। মেঘের আনাগোনা থাকে প্রচুর। তবে বৃষ্টির কারণে পথ পিচ্ছিল থাকায় পাহাড়ি রাস্তায় ঝুঁকি কিছুটা হলেও বাড়ে। এদিকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে আবহাওয়া ভালো থাকলেও প্রকৃতির সবুজ ভাব কমতে থাকে। কিন্তু এই সময়টায় বৃষ্টির ঝামেলা নেই, এদিকে আবার পাহাড় যথেষ্ট সবুজ। ভোরের দিকে ভালো মেঘও পাবেন। বেশ একটা শীত শীত আমেজও পাবেন। মোটের ওপর তাই চোখ বুঝে সাজেক ভ্রমণের একটি প্ল্যান সাজিয়ে ফেলতে পারেন।
তবে কথা হলো, পুরোনো সাজেক যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা অনেকেই এখনকার রিসোর্ট-কটেজে ঘিঞ্জি সাজেককে পছন্দ করেন না। তাঁদের দোষ দেওয়া যায় না। এখানে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে একের পর এক রিসোর্ট-কটেজ। অনেক ক্ষেত্রেই একটার থেকে প্রকৃতির রূপ উপভোগ নষ্ট করে দিয়েছে আরেকটি। তারপর আবার আমরা পর্যটক এবং ব্যবসায়ীরা মিলে অনেকটা আবর্জনাময় করে রেখেছি জায়গাটি।

তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, এখনকার সাজেকেও চাইলে আনন্দময় কয়েকটি দিন কাটাতে পারবেন, সেই সঙ্গে ইট-পাথরের নগরে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবেন সারা জীবন মনে রাখার মতো কিছু স্মৃতি। এমনিতে সাজেকের রুইলুই পাড়ায় ঘুরে বেড়ানোর সময় রাস্তার দুপাশ থেকেই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
রুইলুই পাড়ায় একটা মডেল লুসাই পাড়া আছে। দেখে বেশ মজা পাবেন, টিকিট জনপ্রতি ৩০ টাকা। আমরা অনেকটা সময় ওখানে কাটিয়েছিলাম। গাছের ওপর বাড়ি বা গাছবাড়িটা দেখে মজা পাবেন। লুসাইদের রাজার বাড়ি, সাধারণ বাড়িঘর, তৈজসপত্র সবকিছুই দেখবেন। রাজার বাড়ি মানে বাড়ির মডেলে আবার আছে কয়েকটা পেইন্টিংও। একটা দোলনাও পাবেন লুসাই শিশুদের জন্য বানানো দোলনার স্টাইলে। এ ছাড়াও লুসাইদের জীবনযাত্রার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানান কিছুই পাবেন। হেলিপ্যাড থেকে সূর্যাস্ত দেখতে পাবেন। সাজেকে পৌঁছার পরদিন ভোরে ঘুরে আসতে পারেন কংলাক পাড়া থেকে। কংলাক পাড়া এদিকের সবচেয়ে উঁচু জায়গা। ওখান থেকে আশপাশের পাহাড় ও রুইলুই পাড়ার রাস্তা এবং ঘরবাড়িগুলো দেখতেও বেশ লাগে। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে কংলাকেও পরিকল্পনাহীনভাবে একের পর এক কটেজ-হোটেল গজিয়ে উঠতে শুরু করেছে।

এখন সাজেকে একটু নিরিবিলি উপভোগের সুযোগ কীভাবে মিলবে, সে বিষয়ে দু-চারটি কথা বলছি। সাজেকের পুবে ভারতের মিজোরাম, পশ্চিমে বাংলাদেশের দীঘিনালা। পুবমুখী ও পশ্চিমমুখী উভয় কটেজ থেকেই সামনে যত দূর চোখ যায় সবুজ পাহাড়ের দেখা মিলবে। ভালো ব্যালকনি বা বারান্দা আছে এমন একটি কটেজ বেছে নিন। আমার ব্যক্তিগতভাবে পুবমুখী দৃশ্য পছন্দ। কারণ ওদিকে বাংলাদেশের পাহাড় শেষ হতেই শুরু হয়ে গেছে ভারতের সেভেন সিস্টারের এক রাজ্য মিজোরামের পাহাড়। ব্যালকনিতে বসেই বড় একটা সময় পার করে দিতে পারবেন। মিজোরামের ওদিকে কামরা থাকলে দেখতে পাবেন সূর্যোদয়, পশ্চিমে মানে দীঘিনালার দিকে কটেজ নিলে সূর্যাস্তের ভিউ ভালো পাবেন।
মেঘ ভালো দেখতে চাইলে একেবারে ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। বারান্দায় দাঁড়াতেই দেখবেন সাদা একটা মেঘের পর্দা ঢেকে রেখেছে গোটা পাহাড়রাজ্য। সূর্য ওপর দিকে ওটার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের চাদর ছিঁড়ে সবুজ পাহাড় বেরোতে থাকবে। এ ছাড়া ভিড়বাট্টা এড়িয়ে প্রকৃতি উপভোগ করতে চাইলে পাহাড়িদের চলাচলের কোনো পথ ধরে চলে যেতে পারেন নিচের দিকে। পাহাড়িদের জীবন, সবুজ গাছপালা, পাখির কলকাকলি—সবকিছুই দেখার ও শোনার সুযোগ মিলবে চোখ-কান খোলা রাখলে। পাহাড়ের ঢালে কোনো ঘেসো জমিতে বসে মিজোরাম কিংবা বাংলাদেশের পাহাড় দেখতে দেখতেও আনন্দময় সময় পার করতে পারেন।

তবে সাজেকের ভিড় এড়াতে চাইলে অবশ্য আপনার টানা ছুটির দিন এড়িয়ে যেতে হবে। তেমনি শুক্র ও শনিবার না গেলেই মঙ্গল। কারণ ওই দিনগুলোতে পর্যটকের চাপ থাকায় রিসোর্ট-কটেজের ভাড়াও থাকে বেশি। তেমনি সাজেকের রাস্তায় শান্তিমতো হাঁটাও মুশকিল।
আর আগে থেকে হোটেল-কটেজ ভাড়া দিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ছুটির দিন হলে ওটাই আপনার প্রথম কর্তব্য। ঈদসহ বড় ছুটিতে অনেকেই রিসোর্ট ভাড়া না করে গিয়ে বড় বিপদে পড়েছেন।

রিসোর্ট বা কটেজ বাছাইয়ের জন্য ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন। তেমনি কোন রেস্তোরাঁয় খাবেন সেটা বাছাইয়েও ইউটিউব আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। কিছু ভিডিও দেখলে বাছবিচার করার কাজটা সহজ হবে। তেমনি বেশির ভাগ রিসোর্ট-কটেজের ফেসবুক পেজ আছে। ওখানে ঢুঁ মারতে পারেন। এদিকে ছুটির দিন ছাড়া গেলে আপনি দরাদরি করে একটু কম ভাড়ায় কটেজ পেয়ে যাবেন। সাজেকের বেশির ভাগ কটেজের রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ৫ হাজারের মধ্যে। রেস্তোরাঁয় গোটা দিনের প্যাকেজ নিলে খাওয়ার খরচটা কম পড়বে।
কাজেই পাঠক, সাজেকে আনন্দময় একটি ভ্রমণে আপনাকে স্বাগত। ওহ্, একটা কথা, আবর্জনা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে পরিবেশ সুন্দর রাখুন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনকে সম্মান করুন।

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
১৬ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
১৮ ঘণ্টা আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়
বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আবারও পাহাড় ও প্রকৃতিপ্রেমীতে সরগরম হয়ে উঠেছে সাজেক। এদিকে বছরের এ সময়টা অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি কিংবা শেষভাগ সাজেক ভ্রমণের জন্য এক কথায় আদর্শ। কেন সেই উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আপনার সাজেকে ঘুরে বেড়ানো আরও আনন্দময় এবং ঝামেলামুক্ত করতে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি এ লেখায়।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
১৬ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
১৮ ঘণ্টা আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য
বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আবারও পাহাড় ও প্রকৃতিপ্রেমীতে সরগরম হয়ে উঠেছে সাজেক। এদিকে বছরের এ সময়টা অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি কিংবা শেষভাগ সাজেক ভ্রমণের জন্য এক কথায় আদর্শ। কেন সেই উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আপনার সাজেকে ঘুরে বেড়ানো আরও আনন্দময় এবং ঝামেলামুক্ত করতে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি এ লেখায়।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
১৮ ঘণ্টা আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।
লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।
দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক
এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।
লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।
দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক
এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য
বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আবারও পাহাড় ও প্রকৃতিপ্রেমীতে সরগরম হয়ে উঠেছে সাজেক। এদিকে বছরের এ সময়টা অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি কিংবা শেষভাগ সাজেক ভ্রমণের জন্য এক কথায় আদর্শ। কেন সেই উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আপনার সাজেকে ঘুরে বেড়ানো আরও আনন্দময় এবং ঝামেলামুক্ত করতে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি এ লেখায়।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
১৬ ঘণ্টা আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।
বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় আবারও পাহাড় ও প্রকৃতিপ্রেমীতে সরগরম হয়ে উঠেছে সাজেক। এদিকে বছরের এ সময়টা অর্থাৎ নভেম্বরের মাঝামাঝি কিংবা শেষভাগ সাজেক ভ্রমণের জন্য এক কথায় আদর্শ। কেন সেই উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি আপনার সাজেকে ঘুরে বেড়ানো আরও আনন্দময় এবং ঝামেলামুক্ত করতে কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি এ লেখায়।
০৯ নভেম্বর ২০২৪
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৫ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
১৬ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
১৮ ঘণ্টা আগে