সুমন্ত গুপ্ত
কাঁটাতারের বেড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে দুই রাষ্ট্রের সীমানা। কিন্তু ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। তাই রবীন্দ্র-নজরুল—দুজনই আমাদের।
কলকাতা থেকে আসানসোলগামী বাসে চড়ে বসলাম আমরা। ঘণ্টাপাঁচেকের পথ। নাগরিক জীবনের ছবি দেখতে দেখতে এগিয়ে চলেছি। কলকাতা থেকে প্রায় ২১৫ কিলোমিটার দূরে অজয় নদের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত গ্রাম চুরুলিয়া। গাড়ির হাঁকডাক-চিৎকার-চেঁচামেচিতে বুঝলাম, আমরা লোকাল বাসে উঠেছি। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লাগবে আসানসোল যেতে। মনে মনে একটু হতাশ হলাম। এরপরেও নতুন এক গন্তব্যপথে যাচ্ছি—এই আনন্দে হতাশাটুকু দমিয়ে রাখার চেষ্টা।
বাস জিটি রোড হাইওয়ে ধরে ছুটে চলেছে। বিহার বর্ডার পানাঘর, দুর্গাপুর, মুন্সিপাড়া, দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী মোড় ভিডিঙ্গী পেরিয়ে ছুটে চলেছি আমরা। বেলা সাড়ে ১১টায় আসানসোলে পৌঁছালাম। বাস থেকে নেমে চুরুলিয়া যাওয়ার বাহন খুঁজতে লাগলাম আমরা। সঙ্গী বললেন, আসানসোল থেকে চুরুলিয়া ১৯ কিলোমিটার দূরে। আমরা আবারও বাসে চেপে বসলাম। লোকাল বাস, ভাড়া ১০ টাকা।
হেলেদুলে বাস চলছে গন্তব্যের দিকে। পথে ছুটি হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের দুষ্টুমি দেখা গেল। রাস্তার বাঁয়ে চোখে পড়ল কাজী নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড। বাস চুরুলিয়া গ্রামের মোড়ে আমাদের নামিয়ে দিল। হেঁটে হেঁটে ঢুকে পড়লাম চুরুলিয়া গ্রামে। গ্রামের শুরুতেই কবির ম্যুরাল দেখতে পেলাম। অজয় নদের ঘাটের একটু আগে চুরুলিয়ার ছোট্ট একটি বাজার। চৌরাস্তার ডান দিকের সরু ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকলাম। দুই পাশেই মাটির ঘর। বেশির ভাগেই শণ বা বিচালির চালা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রাস্তায় খেলছে মনের আনন্দে। যানবাহনের কোনো ব্যস্ততা নেই। আমরা পৌঁছে গেলাম ‘কবিতীর্থে’।
সেই যে ছোটবেলায় যেমন পড়েছিলাম কবি নজরুলের সংক্ষিপ্ত জীবনী— আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামের এক দুস্থ পরিবারে নজরুলের জন্ম। ঠিক তেমনি ইতিহাস যেন তার কালের সাক্ষী এখনো বহন করে চলেছে। সেই উনিশ শতকের একেবারে শেষের মতো করেই। ভাঙাচোরা প্রতিটি বাড়ির দেয়াল, খসে পড়া পলেস্তারা, অর্ধনগ্ন লোহার গেট, ভেজা দেয়ালের গায়ে গায়ে গজিয়ে ওঠা আগাছা, ভাঙা কার্নিশে ঝুলে থাকা নোংরা কাপড়, পুষ্টির অভাবে বেরিয়ে থাকা পুরোনো বাড়ির কঙ্কাল, যে বাড়িগুলোতে জন্মের পরে আর কোনো কিছুর প্রলেপ পড়েনি, কোনো সংস্কার করা হয়নি। এ যেন সেই উনিশ শতক!
কবিতীর্থ বা নজরুলের বাড়ি এখন নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। তাঁর জীবনের বাঁক নেওয়া বিভিন্ন ঘটনার ইতিহাসসংবলিত বই, ম্যাগাজিন ও পেপার কাটিং রাখা হয়েছে একটি জাদুঘরে। আমরা পদব্রজে চলছি এগিয়ে। ছোট্ট বাড়িটির নিচতলায় নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। এখানে নজরুল ও তাঁর সন্তানদের ব্যবহৃত পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, পুরোনো ম্যাগাজিন, পেপার কাটিং, কবির ব্যবহৃত আসবাব, প্রমীলা দেবীর ব্যবহৃত খাট ও বিভিন্ন ছবি আমরা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। নজরুল একাডেমিতে গবেষণার জন্য কবির বিভিন্ন বই, সম্পাদিত ম্যাগাজিন রয়েছে দেখতে পেলাম। সাদাকালো নানান আলোকচিত্র, পাণ্ডুলিপি ও চিঠিপত্র সযত্নে রাখা। আরও আছে বিভিন্ন সময়ে পাওয়া নজরুলের বিভিন্ন পুরস্কার, পদকের সম্ভার। তাতে দেখা গেল জগত্তারিণী পদক ও মানপত্র, পদ্মভূষণ পদক ও মানপত্র।
সংগ্রহশালায় দেখলাম, ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কবির মৃত্যু এবং এর পরবর্তী শবযাত্রার আলোকচিত্র। নানা ধরনের বস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, ব্যবহারিক জিনিসপত্র, গ্রামোফোন, তানপুরা ইত্যাদি। ব্যবহৃত জিনিসগুলোর অধিকাংশ দিয়েছেন কবির কনিষ্ঠ পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। সংগ্রহশালার কয়েকটি শোকেস দিয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ। এসব তথ্য বলছিলেন স্থানীয় একজন—যেন পুরো মুখস্থ!
নজরুল একাডেমি প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা, বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। প্রবেশ ফি ৫ রুপি। প্রবেশ ফি অনুদান হিসেবে বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ।
এ বাড়ির কাছেই নজরুলের শৈশবের মসজিদ, পুকুর ও পাঠশালা। এ ছাড়া আছে সমাধিস্থল। সেখানে রয়েছে কবির পাথরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। কবি ও কবিপত্নী প্রমীলা দেবীর সমাধি রয়েছে পাশাপাশি। কবির কবরের মাটি নেওয়া হয়েছে ঢাকা থেকে। সমাধি উদ্যানের পাথরের স্মৃতিফলকটি স্থাপিত হয় ১৯৯৮ সালে। স্মৃতিসৌধের ফলকে রয়েছে অগ্নিবীণার ছবি। এ ছাড়া কাজী পরিবারের অন্যদের কবর ও স্মৃতিফলক রয়েছে সেখানে। কবি যে মক্তবে পড়তেন, সেটি এখন নজরুল বিদ্যাপীঠ। সেটিসহ তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি স্থাপনা রয়েছে নজরুল একাডেমির দুই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে। আরও আছে নজরুল কলেজ।
কোথায় থাকবেন: এখানে থাকা-খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। অনলাইনে বুকিং দিয়ে চুরুলিয়া ‘নজরুল যুব ভবনে’ থাকা যেতে পারে। তবে আসানসোলে থাকার ভালো ব্যবস্থা আছে।
কীভাবে যাবেন: কলকাতা বা হাওড়া থেকে উত্তর প্রদেশ-দিল্লিগামী যেকোনো ট্রেনে আসানসোল যাওয়া যাবে। এ ছাড়া লোকাল ট্রেন কিংবা গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়িগামী ট্রেনে বর্ধমানে নেমে লোকাল ট্রেনে আসানসোলে যাওয়া যাবে। শান্তিনিকেতন থেকে বাসে রানীগঞ্জ হয়ে আসানসোলে যাওয়া যাবে। তার আগে আপনাকে যেতে হবে কলকাতায়।
কাঁটাতারের বেড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে দুই রাষ্ট্রের সীমানা। কিন্তু ভাষাকে ভাগ করতে পারেনি। তাই রবীন্দ্র-নজরুল—দুজনই আমাদের।
কলকাতা থেকে আসানসোলগামী বাসে চড়ে বসলাম আমরা। ঘণ্টাপাঁচেকের পথ। নাগরিক জীবনের ছবি দেখতে দেখতে এগিয়ে চলেছি। কলকাতা থেকে প্রায় ২১৫ কিলোমিটার দূরে অজয় নদের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত গ্রাম চুরুলিয়া। গাড়ির হাঁকডাক-চিৎকার-চেঁচামেচিতে বুঝলাম, আমরা লোকাল বাসে উঠেছি। ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা লাগবে আসানসোল যেতে। মনে মনে একটু হতাশ হলাম। এরপরেও নতুন এক গন্তব্যপথে যাচ্ছি—এই আনন্দে হতাশাটুকু দমিয়ে রাখার চেষ্টা।
বাস জিটি রোড হাইওয়ে ধরে ছুটে চলেছে। বিহার বর্ডার পানাঘর, দুর্গাপুর, মুন্সিপাড়া, দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী মোড় ভিডিঙ্গী পেরিয়ে ছুটে চলেছি আমরা। বেলা সাড়ে ১১টায় আসানসোলে পৌঁছালাম। বাস থেকে নেমে চুরুলিয়া যাওয়ার বাহন খুঁজতে লাগলাম আমরা। সঙ্গী বললেন, আসানসোল থেকে চুরুলিয়া ১৯ কিলোমিটার দূরে। আমরা আবারও বাসে চেপে বসলাম। লোকাল বাস, ভাড়া ১০ টাকা।
হেলেদুলে বাস চলছে গন্তব্যের দিকে। পথে ছুটি হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের দুষ্টুমি দেখা গেল। রাস্তার বাঁয়ে চোখে পড়ল কাজী নজরুল ইসলাম মহাবিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড। বাস চুরুলিয়া গ্রামের মোড়ে আমাদের নামিয়ে দিল। হেঁটে হেঁটে ঢুকে পড়লাম চুরুলিয়া গ্রামে। গ্রামের শুরুতেই কবির ম্যুরাল দেখতে পেলাম। অজয় নদের ঘাটের একটু আগে চুরুলিয়ার ছোট্ট একটি বাজার। চৌরাস্তার ডান দিকের সরু ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকলাম। দুই পাশেই মাটির ঘর। বেশির ভাগেই শণ বা বিচালির চালা। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রাস্তায় খেলছে মনের আনন্দে। যানবাহনের কোনো ব্যস্ততা নেই। আমরা পৌঁছে গেলাম ‘কবিতীর্থে’।
সেই যে ছোটবেলায় যেমন পড়েছিলাম কবি নজরুলের সংক্ষিপ্ত জীবনী— আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামের এক দুস্থ পরিবারে নজরুলের জন্ম। ঠিক তেমনি ইতিহাস যেন তার কালের সাক্ষী এখনো বহন করে চলেছে। সেই উনিশ শতকের একেবারে শেষের মতো করেই। ভাঙাচোরা প্রতিটি বাড়ির দেয়াল, খসে পড়া পলেস্তারা, অর্ধনগ্ন লোহার গেট, ভেজা দেয়ালের গায়ে গায়ে গজিয়ে ওঠা আগাছা, ভাঙা কার্নিশে ঝুলে থাকা নোংরা কাপড়, পুষ্টির অভাবে বেরিয়ে থাকা পুরোনো বাড়ির কঙ্কাল, যে বাড়িগুলোতে জন্মের পরে আর কোনো কিছুর প্রলেপ পড়েনি, কোনো সংস্কার করা হয়নি। এ যেন সেই উনিশ শতক!
কবিতীর্থ বা নজরুলের বাড়ি এখন নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। তাঁর জীবনের বাঁক নেওয়া বিভিন্ন ঘটনার ইতিহাসসংবলিত বই, ম্যাগাজিন ও পেপার কাটিং রাখা হয়েছে একটি জাদুঘরে। আমরা পদব্রজে চলছি এগিয়ে। ছোট্ট বাড়িটির নিচতলায় নজরুল একাডেমি ও সংগ্রহশালা। এখানে নজরুল ও তাঁর সন্তানদের ব্যবহৃত পোশাক, বাদ্যযন্ত্র, পুরোনো ম্যাগাজিন, পেপার কাটিং, কবির ব্যবহৃত আসবাব, প্রমীলা দেবীর ব্যবহৃত খাট ও বিভিন্ন ছবি আমরা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। নজরুল একাডেমিতে গবেষণার জন্য কবির বিভিন্ন বই, সম্পাদিত ম্যাগাজিন রয়েছে দেখতে পেলাম। সাদাকালো নানান আলোকচিত্র, পাণ্ডুলিপি ও চিঠিপত্র সযত্নে রাখা। আরও আছে বিভিন্ন সময়ে পাওয়া নজরুলের বিভিন্ন পুরস্কার, পদকের সম্ভার। তাতে দেখা গেল জগত্তারিণী পদক ও মানপত্র, পদ্মভূষণ পদক ও মানপত্র।
সংগ্রহশালায় দেখলাম, ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট কবির মৃত্যু এবং এর পরবর্তী শবযাত্রার আলোকচিত্র। নানা ধরনের বস্ত্র, বাদ্যযন্ত্র, ব্যবহারিক জিনিসপত্র, গ্রামোফোন, তানপুরা ইত্যাদি। ব্যবহৃত জিনিসগুলোর অধিকাংশ দিয়েছেন কবির কনিষ্ঠ পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। সংগ্রহশালার কয়েকটি শোকেস দিয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ। এসব তথ্য বলছিলেন স্থানীয় একজন—যেন পুরো মুখস্থ!
নজরুল একাডেমি প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা, বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। প্রবেশ ফি ৫ রুপি। প্রবেশ ফি অনুদান হিসেবে বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ।
এ বাড়ির কাছেই নজরুলের শৈশবের মসজিদ, পুকুর ও পাঠশালা। এ ছাড়া আছে সমাধিস্থল। সেখানে রয়েছে কবির পাথরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি। কবি ও কবিপত্নী প্রমীলা দেবীর সমাধি রয়েছে পাশাপাশি। কবির কবরের মাটি নেওয়া হয়েছে ঢাকা থেকে। সমাধি উদ্যানের পাথরের স্মৃতিফলকটি স্থাপিত হয় ১৯৯৮ সালে। স্মৃতিসৌধের ফলকে রয়েছে অগ্নিবীণার ছবি। এ ছাড়া কাজী পরিবারের অন্যদের কবর ও স্মৃতিফলক রয়েছে সেখানে। কবি যে মক্তবে পড়তেন, সেটি এখন নজরুল বিদ্যাপীঠ। সেটিসহ তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ইত্যাদি স্থাপনা রয়েছে নজরুল একাডেমির দুই কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে। আরও আছে নজরুল কলেজ।
কোথায় থাকবেন: এখানে থাকা-খাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। অনলাইনে বুকিং দিয়ে চুরুলিয়া ‘নজরুল যুব ভবনে’ থাকা যেতে পারে। তবে আসানসোলে থাকার ভালো ব্যবস্থা আছে।
কীভাবে যাবেন: কলকাতা বা হাওড়া থেকে উত্তর প্রদেশ-দিল্লিগামী যেকোনো ট্রেনে আসানসোল যাওয়া যাবে। এ ছাড়া লোকাল ট্রেন কিংবা গুয়াহাটি-নিউ জলপাইগুড়িগামী ট্রেনে বর্ধমানে নেমে লোকাল ট্রেনে আসানসোলে যাওয়া যাবে। শান্তিনিকেতন থেকে বাসে রানীগঞ্জ হয়ে আসানসোলে যাওয়া যাবে। তার আগে আপনাকে যেতে হবে কলকাতায়।
সকালের নাশতায় রোজ কি রুটির সঙ্গে আলুভাজি খেতে ভালো লাগে? কোনো একদিন সকালে বানিয়ে ফেলুন ফুলকো লুচি, আর সঙ্গে থাকতে পারে কাবলি ছোলার ঘুগনি। আপনাদের জন্য কাবলি ছোলার ঘুগনির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১০ ঘণ্টা আগেআজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো ১১ অক্টোবর দিনটিকে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালন করে। আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘দ্য গার্ল, আই অ্যাম দ্য চেঞ্জ লিড: গার্লস অন দ্য ফ্রন্টলাইনস অব ক্রাইসিস’ বা ‘আমি সেই মেয়ে, আমিই পরিবর্তনের...
১০ ঘণ্টা আগেবাড়িতে থাকলে সকালে উঠেই চা বা কফি পান করা অনেকের প্রধান অভ্যাস। কোথাও ছুটিতে গেলেও সেই অভ্যাস ছাড়তে পারেন না তাঁরা। ভ্রমণের সময় হোটেলের যে কক্ষে থাকেন, সকালে উঠে সেখানেই সকালের চা-কফির পর্ব সেরে নিতে চান অনেকে। কিন্তু আপনি কি জানেন, কেটলি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত? পরের বার যখন কোনো হোটেল রুমে থাকবেন..
১১ ঘণ্টা আগেরক্তে শর্করা বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা শুধু ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য নয়। সুস্থ থাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদে রোগ প্রতিরোধের জন্যও এটি সমান জরুরি। আমাদের অনেকের ধারণা, ‘আমি তো বেশি মিষ্টি খাই না, তাহলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাবে কেন?’ কিন্তু আসল সমস্যা হলো কিছু সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাস। যেগুলো আমরা...
১৩ ঘণ্টা আগে